(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	পাঠক সমাবেশ

পাঠক সমাবেশ

পাঠক সমাবেশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

অসমতার খেসারত : দ্য প্রাইস অব ইনইকুয়ালিটি
অসমতার খেসারত : দ্য প্রাইস অব ইনইকুয়ালিটি
ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ
  • অসমতার সামাজিক প্রভাব ক্রমাগত এখন বর্ধিষ্ণুভাবে বোধগম্য-যেমন উচ্চমাত্রায় অপরাধ সংঘটন, স্বাস্থ্য এবং মানসিক অসুস্থতা, নিম্নমাত্রিক শিক্ষাদীক্ষা এবং সেই সঙ্গে স্বল্পমাত্রার জীবনায়ু ইত্যাদি। কিন্তু অসমতার কারণগুলো কী? কেন এটি দ্রুত বর্ধিষ্ণু এবং এর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ফলাফলই বা কীরূপ? এই ব্যতিক্রমধর্মী বইয়ে জোসেফ স্টিগলিজ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন।

    তিনি দেখিয়েছেন তারা কীভাবে তাদের কৌশলগুলো ব্যবহার করেন। এখানে বাজার যেমন সুদক্ষ নয় তেমনই তা সুস্থিরও নয়। ক্রমাগত বাজার উত্তরোত্তরভাবে বৃদ্ধিমুখী যা প্রতিযোগিতাহীন পরিস্থিতির জন্ম দেয়। ফলে এখানে এর প্রভাবে অর্থ ও সম্পদ ক্রমান্বয়ে কতিপয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে উঠছে; প্রবৃদ্ধি এবং জিডিপি’র পরিমাণ নিম্ন গতিসম্পন্ন হয়ে উঠছে।
    স্টিগলিজ যুক্তিসহকারে সেইসঙ্গে দেখিয়েছেন যে, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরিবর্তে বরং তা প্রাশই আরও উস্কে দিচ্ছে। স্টিগলিজ যুক্তিসহকারে একটি ভিন্ন পথ দেখিয়েছেন যার মাধ্যমে এ অবস্থা হতে মুক্ত হয়ে ‘অন্যরকম বিশ্ব নির্মাণ সম্ভব।’ দ্য প্রাইস অব ইনইকুয়ালিটি বইয়ে কার্যত মুক্তবাজার ধারণার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং অপরিহার্য সমালোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে।

795
ড্যাডি সমগ্র : প্রবন্ধ
ড্যাডি সমগ্র : প্রবন্ধ
সাহাদাত পারভেজ
  • গোলাম কাসেম ড্যাডির ফটোগ্রাফিবিষয়ক প্রবন্ধগুলো ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত মাসিক সওগাতে ধারাবাহিকভাবে ছাপা হতে থাকে। ১৯৭৮ সালে বিপিএস নিউজ লেটার প্রকাশিত হলে তিনি সহজ ভাষায় আলোকচিত্রের কারিগরি দিক নিয়ে লিখতে শুরু করেন।

    ড্যাডির এই টেকনিক্যাল লেখাগুলো এখন হয়ে উঠেছে স্যুভেনিয়র। আর ফটোগ্রাফির সঙ্গে তাঁর দার্শনিক বোঝাপড়াগুলো হয়ে উঠেছে ক্ল্যাসিক; ফটোগ্রাফির মৌলিক ভিত্তি গড়ার জন্য যা অবশ্যপাঠ্য। বর্তমান পৃথিবীতে প্রযুক্তি অভাবনীয় উৎকর্ষ লাভ করেছে। এই ডিজিটাল যুগেও ড্যাডির লেখাগুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তিনি সবসময় মনে করতেন, ‘ম্যান বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা।’

    গোলাম কাসেম ড্যাডির এমন অনুধাবন আর পরামর্শ মিলবে ১৯৩৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত লেখা ৩৯টি প্রবন্ধে। সঙ্গে রয়েছে তাঁর তোলা আমাদের দেখা অদেখা ২১টি আলোকচিত্র।

595
প্রান্তজনের গল্প
প্রান্তজনের গল্প
হরিশংকর জলদাস
  • ব্রাত্য মানুষদের নিয়ে যতগুলো ছোটগল্প আছে হরিশংকর জলদাসের, তাদের সবটা নিয়েই এই গল্পসংকলন- ‘প্রান্তজনের গল্প’।
    প্রান্তজন কারা?
    সমাজের একেবারে প্রান্তে যারা বাস করে, তারাই প্রান্তজন। এটা অভিধানের কথা।
    ভদ্র-শিক্ষিত সমাজমানুষের দেওয়া অভিধাটা কী?
    ছোটলোক, ছোটজাত, নীচ বংশ, পতিত, সংস্কারহীন, আচারভ্রষ্টা- এসব।
    বর্ণগরিমায় বিভোর সনাতনধর্ম তো গত হাজার হাজার বছর ধরে বলেই আসছে- ব্রাহ্মণরা নরোত্তম, শূদ্ররা নরাধম! ‘মনুসংহিতা’য় বলা হয়েছে- শূদ্রাধমও আছে। এরা নমঃশূদ্র। ডোম, মেথর, ব্যাধ, জেলে, ধোপা, মুচি, গণিকা- এরা শূদ্রাধম। তাই ওরা নরাধমও। এদের নিয়েই হরিশংকরের লেখালেখি। তিনি নিজেও এরকম একটা ইতর (!) জাতে জন্মেছেন। তাই লিখতে বসলেন যখন, নিষাদ-কৈবর্ত-কোটনা-বেশ্যা-ভিক্ষুক-মেথর-চর্মকার তাঁর কলমে এসে ভর করল।
    সমাজে এরাই কি শুধু প্রান্তজন? নির্যাতিত গৃহবধূ, লাঞ্ছিত গৃহকর্মী, ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী, সহায়হীন ভিক্ষুক- এরা কি প্রান্তজন নয়!
    হ্যাঁ, ওরাও একধরনের প্রান্তজন। প্রান্তজনই শুধু অচ্ছুত আর অপাঙ্ক্তেয় নয়, উঁচুজাতের ভদ্র-শিক্ষিত পরিবারেও এই প্রান্তমানুষদের দেখা মিলে। ‘ক্ষরণ’ গল্পের দেবর্ষি, ‘চিঠির দরিদ্রকৃষকের কালাকোলা মেয়েটি, ‘রতন’-এর রতন, ‘ভিখারি’র ভিক্ষুকটি, ‘তিতাসপাড়ের উপাখ্যানে’র অদ্বৈত মল্লবর্মণ, ‘একটি হাত, ডান হাত’-এর একলব্য- এদের প্রতিপ্রত্যেকে প্রান্তজন।
    ‘একজন জলদাসীর গল্প’, ‘কুন্তীর বস্ত্রহরণ’, ‘হুড়কো’, ‘মোহনা’, ‘খিদে’- এসবগল্প পাঠককে এক একটি জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
    বাঙালিজীবনের দ্ব›দ্ব-বিদ্বেষ, প্রীতি-প্রতিবাদ হরিশংকরের গল্পের বিষয়-আশয়। সবকিছুকে ছাপিয়ে মানবিক মূল্যবোধই তাঁর গল্পে তীব্র হয়ে উঠে। ‘প্রান্তজনের গল্প’গুলো পাঠ করতে করতে পাঠক তা অনুভব করবেন।

695
জলেশ্বরী
জলেশ্বরী
সৈয়দ শামসুল হক
  • সাহিত্যে সৈয়দ শামসুল হকের স্বসৃষ্ট জনপদ-জলেশ্বরী। জলেশ্বরীকে ভিত্তিভূমে রেখে তিনি যেমন তৃণমূলের নিঃস্বর মানুষকে ভাষাময় মূর্ততা দিয়েছেন তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী কথামালা এ জনপদের অবয়বে খুঁজে পেয়েছে সার্থক জায়গাজমি। জলেশ্বরী কোথাও না থেকে এভাবে হয়ে ওঠে অশ্রুরক্তস্বপ্নময় ভূমি ও জলের বাংলাদেশ। আর জলেশ্বরীর জাদুকর লেখক সৈয়দ শামসুল হক হয়ে ওঠেন ব্যক্তি থেকে সমষ্টিমানুষের পরাস্ত ও একই সঙ্গে অজেয় উত্থানের অনন্য লিপিকার। ১৯৯০-এ প্রকাশিত হয়েছিল সৈয়দ শামসুল হকের জলেশ্বরীর গল্পগুলো। তারপর ২০১০-এ গদ্য সংকলন জলেশ্বরীর দিনপত্রী। বইয়ের নামত জলেশ্বরী হাতে গোনা হলেও ভাবগত দিক থেকে সৈয়দ হকের জলেশ্বরী সিরিজ বহুবিস্তৃত। সৈয়দ হকের জলেশ্বরী সিরিজের রচনার মধ্যে আছে-দূরত্ব, দ্বিতীয় দিনের কাহিনি, নিষিদ্ধ লোবান, অন্তর্গত, ত্রাহি, শকুনমারির খবরাখবর, না যেয়ো না, স্তব্ধতার অনুবাদ, শঙ্খলাগা যুবতী ও চাঁদ, চোখবাজি, ময়লা জামার ফেরেশতারা, বকুল রঙিন স্টুডিও, গুপ্ত জীবন প্রকাশ্য মৃত্যু, উড়ে যায় মালতি পরি, কুয়াশায় শাদা ঘোড়া ইত্যাদি। এর মধ্যে ছয়টি উপন্যাস-দূরত্ব, নিষিদ্ধ লোবান, দ্বিতীয় দিনের কাহিনি, ত্রাহি, স্তব্ধতার অনুবাদ, উড়ে যায় মালতি পরি, কথাকাব্য অন্তর্গত এবং একগুচ্ছ গল্প নিয়ে জলেশ্বরীর প্রথম খন্ডের এ আয়োজন। পরবর্তী খন্ডগুলোতে পর্যায়ক্রমে জলেশ্বরী সিরিজের সমস্ত রচনা অন্তর্ভুক্ত হবে।

995
ভুলে থাকা গল্প
ভুলে থাকা গল্প
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
  • পাঠক সমাবেশ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের দুটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশ করে ক’বছর আগে। এ গ্রন্থদুটির নতুন সংস্করণও পৌঁছে গেছে অনেক পাঠকের কাছে। এ দুটি গ্রন্থ থেকে কিছু গল্প বেছে নিয়ে নতুন একটি সংকলন প্রকাশের উদ্যোগ যখন পাঠক সমাবেশ নিল, গল্পকার তাতে শুধু সায় দিলেন তা নয়, সেগুলো কিছুটা সম্পাদনা এবং পরিমার্জনা করার উদ্যোগও নিলেন। সঙ্গে সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি গল্পও জুড়ে দিলেন। ফলে ভুলে থাকা গল্প গ্রন্থটি ১৫টি গল্পের পুণর্মুদ্রণ শুধু নয়, পুনর্লেখনও বটে, এবং এক অর্থে পুনর্কল্পনাও। এসব গল্পের যে কথনশৈলী, তার অনুপ্রেরণা এসেছে আমাদের কথাসাহিত্য থেকে, যে সাহিত্যে লেখক ও শ্রোতার বা পাঠকের মধ্যে একটা বন্ধন আপনা থেকেই তৈরি হয়ে যায়। এই গ্রন্থটি পাঠককে আনন্দ দেবে, তাকে ভাবাবে, এবং জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করার অনুপ্রেরণা দেবে।

350
তরজমাগুচ্ছ
তরজমাগুচ্ছ
আলম খোরশেদ
  • দেশের প্রধান ও প্রতিষ্ঠিত অনুবাদকদের অন্যতম আলম খোরশেদ দীর্ঘ চল্লিশবছর ধরে নিজেকে অনুবাদকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখেছেন। সারা বিশে^র সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জ্ঞানকাণ্ডের প্রতি তাঁর এই অকৃত্রিম আগ্রহ ও অনুরাগের ফসল তরজমাগুচ্ছ: বিশ্বের সাহিত্য, সাহিত্যের বিশ্ব। লেখকের নির্ভেজাল বিশ্বনাগরিকতা, ভাষাপ্রেম ও সাহিত্যানুরাগেরই যথার্থ প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই বর্তমান গ্রন্থে উপস্থাপিত লেখকবৃন্দ এবং তাঁদের রচনাসমূহের নির্বাচন, উপস্থাপনা ও অনুবাদ প্রয়াসের মধ্যে। দুই মলাটের মধ্যে এখানে আমরা একসঙ্গে পেয়ে যাই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পাঁচ মহাদেশের জনাতিরিশেক খ্যাতনামা লেখক ও চিন্তককে।

    এদের মধ্যে যেমন আছেন জাপানের ধ্রুপদী কবি কোবায়াশি ইসা ও শ্রীলঙ্কার সমকালীন কথাকার রমেশ গুনেসেকেরা, তেমনি রয়েছেন আফ্রিকার জাতবিদ্রোহী ন্গুগি ওয়া থিয়োঙ্গ’ও আর ইউরোপের অনুচ্চকণ্ঠ কেইস নুট্বুম; একদিকে যেমন আছেন ফরাসি সাহসিনী আনাইস নিন, তেমনি অন্যদিকে ইতালির নিভৃতচারী এলেনা ফেররান্তে; আছেন লাতিন আমেরিকার তরুণতর মার্সেলো মউচিনিও থেকে শুরু করে আরব বিশ্বের সুপরিচিত কবি নিজার কাব্বানি,এবং ব্রাজিলের নতুন চলচ্চিত্রের কালাপাহাড়ী কণ্ঠস্বর গ্লউবের হশা হয়ে মার্কিন মনস্বী নারীবাদী নেত্রী গ্লোরিয়া স্টাইনেম পর্যন্ত।

    সব মিলিয়ে, এই অনতিবৃহৎ সংকলনগ্রন্থটি সত্যিকার অর্থেই যেন বিশ্বসাহিত্যের বিপুল ও বিস্ময় জাগানিয়া জগতের একটি বিশ্বস্ত প্রতিচ্ছবিরূপে উপস্থাপিত হয় উৎসুক ও সংবেদী পাঠকের কাছে।

350
মহাত্মা লালন ফকির
মহাত্মা লালন ফকির
ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী
  • বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতিতে ফকির লালন সাঁই (১৭৭৪-১৮৯০) আজ এক অবশ্য-উচ্চারিত নাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নামের মহিমা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বে ক্রমশ প্রসার লাভ করেছে। তিনি শুধু বাউলসম্প্রদায়ের প্রধান প্রতিনিধিই নন, গানের ভেতর দিয়ে বাউলসাধনার মূল ভাষ্যও রচনা করেছেন। বাউলগানের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা হিসেবে তাঁর নামে এক চলিষ্ণু নদীর মতো কাল থেকে কালান্তরে বহমান। গ্রামীণ বাংলার লোক জাপনের এই ধ্রুপদী মরমি পুরুষ আজ তার অগ্রসর প্রগতিচিন্তা, মানবিক মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা আর তাঁর অসাধারণ আবেদনসৃজনে সক্ষম গানের জন্যে এক ‘আইকন’-এ পরিণত হয়েছেন। ইউনেস্কো ২৫ নভেম্বর ২০০৫ বাংলাদেশের বাউলগানকে ‘A Master Voice of the Oral and intangible Heritage of Humanity’ হিসেবে যে স্বীকৃতি দিয়েছে তার মূলে আছে লালনের গান।

555
অতলান্ত খোঁজ
অতলান্ত খোঁজ
নিলুফা আক্‌তার
  • কল্যাণীয় নিলুফা আক্তার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। পাশাপাশি সৃষ্টিশীল সাহিত্যরচনায় সে একনিষ্ঠ। ‘অতলান্ত খোঁজ’ তার প্রথম উপন্যাস। রচয়িতার বাস্তব পর্যবেক্ষণের সঙ্গে কল্পনাশক্তির সার্থক যোগে এই উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে। এতে মানবজীবনের, বিশেষত নারীজীবনের, নানা উত্থানপতনের চিত্র ধরা পড়েছে। সমাজের সঙ্গে ব্যক্তির এবং ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির দ্বন্দ্বসহযোগসংঘাত এতে রূপায়িত হয়েছে। তার মধ্য থেকেই বেরিয়ে এসেছে জীবন সম্পর্কে তিক্তমধুর উপলব্ধি, গতানুগতিক জীবনাচরণকে অতিক্রম করে এক নতুন ভাবনার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছোবার চেষ্টা। লেখক একই সঙ্গে মেধাবী ও পরিশ্রমী। বইটির প্রকাশভঙ্গির মধ্যেও আছে নিজস্বতার প্রগাঢ় ছাপ। এই বইয়ের প্রকাশ-উপলক্ষে আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, ‘অতলান্ত খোঁজ’ পাঠকের সমাদর লাভ করবে।
    (আনিসুজ্জামান, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)

695
দেড় নম্বরি
দেড় নম্বরি
কিযী তাহনিন
  • দেড় নম্বরি’র নয়টি গল্পে প্রেম এসেছে নানা ছুতোয়, অলিগলি পথ ধরে। জীবনের মতন করে। কখনো পুরোনো দেয়ালের শ্যাওলার মতন, নাছোড়বান্দা। ডিমের কুসুমের এক কোণেও শামুকের মতন প্রেম জন্মে। লোভী দাঁতগুলো টকটক করে ওঠে নরম মাংসের ভালোবাসায়। কারও কাছে প্রেম শীতকালের মতন, গুটিশুটি আদুরে বেড়াল, মটরশুঁটির দানা। কখনো প্রেম শকুন্তলা দেবীর একান্ত, সেই প্রেমের সুতোয় টান দিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে রোজিনা। প্রেম এসেছে খেলার পুতুল হয়ে, এসেছে সবুজ নেইলপলিশের ঝিকমিকে কৌটায়, শেষটুকু দেখার আশায়।


    যতবার জীবন এসেছে, প্রেম কি আসেনি? বিষাদ হয়ে, অপেক্ষা হয়ে?

350
কলিকাতা কেন্দ্রিক নবজাগরণ ও বাঙালি মুসলমান
কলিকাতা কেন্দ্রিক নবজাগরণ ও বাঙালি মুসলমান
ড. সুনীল কান্তি দে
  • ঊনিশ শতকের কলকাতা-কেন্দ্রিক নবজাগরণের প্রভাবে প্রভাবিত বিশ শতকে ‘শিখা গোষ্ঠী’ এবং ‘পূরবী সাহিত্য গোষ্ঠী’র প্রগতিশীল তরুণ বাঙালি মুসলমান লেখকগণের চিন্তা-ভাবনা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে রক্ষণশীল বাঙালি মুসলমানগণ তাঁদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সেই সকল রক্ষণশীল বাঙালি মুসলমান বিশেষত উলেমা সম্পাদিত সংবাদ-সাময়িকপত্রসমূহ কবি নজরুল ইসলামসহ তরুণ প্রগতিশীল লেখক-বুদ্ধিজীবীর সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়। ফলে সৃষ্টি হয় তরুণ প্রগতিশীল বাঙালি বুদ্ধিজীবী ও আধুনিকতাবিমুখ রক্ষণশীল বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। বাঙালি মুসলমানদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণে এসব মধ্যবিত্ত তরুণ প্রগতিশীল বাঙালি মুসলমান বুদ্ধিজীবীগণের ভূমিকা আলোচিত হয়েছে এ গ্রন্থে।

295
স্বরূপকথা
স্বরূপকথা
আশান উজ জামান
  • একঘরে এক নারী-যে কথা বলতে পারে, কিন্তু বলে কম। আর এক মগ্নপুরুষ-যে বলতে চায়, কিন্তু পারে কম। সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের একদল হোমো সেপিয়েন্স, শেষ পর্যায়ের কিছু হোমো নিয়ান্দারথাল, আর সচল সবল প্রকৃতি। সব মিলিয়ে কেমন ছিল প্রাগৈতিহাসিক সেই সমাজ? কেমন ছিল তাদের জীবন জগৎ আর শিকার অস্বীকার? কেমন করেই বা তারা প্রস্তুত হচ্ছিল ভবিষ্যৎ-আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি হতে?
    এসবেরই গল্প শোনায় স্বরূপকথা।

795
অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প
অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
  • ১৯৭৪ সালে বিচিত্রায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রথম গল্প বেরিয়েছিল, বিশাল মৃত্যু। ওই গল্পের অপ্রচলিত শৈলী, অপ্রথাগত ভাষা এবং কাহিনীবর্ণনা পাঠকদের আকর্ষণ করেছিল। সমালোচনাও হয়েছিল এর ধ্বংসাত্মক প্রবণতার জন্য। তারপর বহুদিন তিনি গল্প লিখেননি। ১৯৮৯ সালে বিচিন্তার ঈদ সংখ্যায় একটি গল্প লিখে তিনি পুনরায় ফিকশনের রাস্তায় আসেন। এই গল্পটিতে আভাস ছিল, তিনি একটি স্বতন্ত্র ধারা নির্মাণ করছেন। আজ তিনটি গল্পগ্রন্থের পর সহজেই বলা যায়, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম একটি একান্ত নিজস্ব স্টাইল সৃষ্টি করেছেন, যাতে বাস্তব এবং অবাস্তবের, স্থিতি এবং অস্থিরতার, সচেতন বোধ এবং বিভ্রমের একটি আশ্চর্য মিশ্রণ ঘটতে থাকে প্রতিমুহুর্তে; নিশ্চিহ্ন হয় লঘু-গুরু বিভাজন। গল্পকার হয়ে দাঁড়ান এক সংবেদনশীল story-teller যিনি পাঠককে হাত ধরে তার গল্পের ভুবনে নিয়ে যান এবং পাঠকেরা হয়ে যায় তার গল্পের অনিবার্য অংশ।

350
মেকিং অব আ ডেমোক্রেসি : একটি গণতন্ত্র তৈরির কাহিনি
মেকিং অব আ ডেমোক্রেসি : একটি গণতন্ত্র তৈরির কাহিনি
শরীফ মোহাম্মদ খান (
  • ইউরোপে, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে এবং পরে আমেরিকায় প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক তথা সরকার ব্যবস্থার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলিই মূলত এ বইটিতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাবলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের তথা ভূমিদাস প্রথার আবির্ভাব, ভূমিদাসদের দুর্ভাগা জীবনচিত্র, ক্রুসেড ও ইউরোপীয় জীবনযাত্রায় তার প্রভাব, মধ্যশ্রেণির আগমন, রাজা ও সামন্তপ্রভুদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত, ম্যাগনাকার্টা ও ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিবর্তন, কালমৃত্যু নামক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিদাসদের বিদ্রোহ ও রাজকীয় প্রতারণা, বারুদের ব্যবহার ও জাতীয় রাষ্ট্রের উদ্ভব, ক্যাথলিক চার্চ ও তার বিভক্তি, দুঃসাহসিক সামুদ্রিক অভিযান ও নতুন দুনিয়া আবিষ্কার, অলিভার ক্রমওয়েল ও ১৬৮৮ সালের গৌরবজনক বিপ্লব এবং পার্লামেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি।

    নতুন দুনিয়ায় দুঃসাহসিক মহাঅভিবাসন, জনমানবহীন বিশাল প্রান্তরে বসতি স্থাপন প্রক্রিয়া, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকারের প্রশ্নে কলহ-বিবাদ, রাজকীয় গভর্নর ও নাগরিক পরিষদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত, ইংল্যান্ডের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিরোধ, কর ধার্যের প্রশ্নে পার্লামেন্টের কর্তৃত্ব অস্বীকার, নতুন জাতিসত্ত্বার উদ্ভব, কনফেডারেশন থেকে ফেডারেশনে রূপান্তরের উদ্ভাবনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থাবলি ও প্রতিনিধিত্বমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থার যাত্রা ইত্যাদি।

295
	পুনশ্চ প্রশাসন
পুনশ্চ প্রশাসন
হোসেন আব্দুল মান্নান
  • এই বইয়ের অধিকাংশ লেখাই প্রজাতন্ত্রের প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশ সচিবালয়-কেন্দ্রিক। সিভিল সার্ভিসের বেশ ক’জন স্বনামধন্য কর্মকর্তা (সিএসপি) যখন সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী অর্থাৎ সচিব পদে কর্মরত থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, এগুলো সে সময়কার ঘটনা। বিষয়গুলো দাপ্তরিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথচ ছোট ছোটগল্পের মতো। সাবেক সচিবগণের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রজন্মের অনেক তরুণ কর্মকর্তা খুব কাছাকাছি থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। অনেকেই একান্ত সচিব (পিএস) পদে থেকে তাঁদের সরাসরি অনুসরণ করেছেন। নানাবিধ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করে কেউ কেউ নিজেকে যথেষ্ট সমৃদ্ধও করেছেন। এদের লব্ধ অম্স্নমধুর স্মৃতিকথনকে পুঁজি করেই এরকম ছোট্ট কলেবরের একটি বই বের করার সাহস সঞ্চার করি। আমি নিজেও দু’জন আলোচিত সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে বেশ কিছু সময় কাজ করি। যার ফলে গল্পগুলোর বর্ণনা খানিকটা সহজতর হয়েছে। এগুলো আমার নিজের এবং আমার সময়ের বেশ ক’জন একান্ত সচিবের প্রত্যক্ষ জবানিতে সংগ্রহ করা বাস্তব কাহিনি-ভিত্তিক।

395
ড্যাডি সমগ্র : গল্প
ড্যাডি সমগ্র : গল্প
সাহাদাত পারভেজ
  • গোলাম কাসেম ড্যাডির গল্পের কাহিনি রোমাঞ্চকর; ভাষা মধুর ও চলমান। গল্পগুলো নারীচরিত্র আর অ্যাডভেঞ্চারে ভরা। তাঁর নারীদের সিংহভাগ ছিলেন প্রাগ্রসর চেতনরি সঞ্জীবিত প্রতীক। তিনি হিন্দু ও মুসলমান উভয় সমাজ থেকে চরিত্র আহরণ করতেন। তাঁর গল্পে রয়েছে অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙি, মানুষের আত্মীক সম্পর্ক ও এর টানাপোড়েনের নানামুখী বিশ্লেষণ। তিনি মুসলিম লেখকদের ভেতর প্রথম সার্থক গল্পকার। তাঁর শিল্প ও সাহিত্যকর্মে আধুনিক আঙ্গিক এবং সমকালীন সমাজজীবন অন্তবর্তী হয়ে উঠেছে।
    শিল্পের মোহ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো মোহ তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। তিনি সারা জীবন নির্মোহভাবে লিখে গেছেন। নিজেকে নিজের ভেতর গুটিয়ে রেখেছেন; সাধকরা যেমনটা করে থাকেন। ফলে আমাদের সমাজের ভেতরকার মানুষ তাঁকে ঠিক বুঝতে বা বুঝে উঠতে পারেনি। বোঝার যে চেষ্টা করেছেনে এমনও নয়। ফলে তাঁর মতো একজন শক্তিমান কথাশিল্পীর লেখার সঙ্গে এই প্রজন্মের অনেকেই পরিচিত নন।
    গোলাম কাসেম ড্যাডির ১৯১৮ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত লেখা ৪৬টি গল্পের এক অনবদ্য রচনাসম্ভার-ড্যাডিসমগ্র : গল্প।

1495
এক্সপ্রেশনিজম
এক্সপ্রেশনিজম
ড.ম. রফিকুল আলম
  • শিল্পকলার ইতিহাসে এক্সপ্রেশনিজম একটি গুরুত্তপূর্ণ আন্দোলন। আধুনিক শিল্পকলার যাত্রা শুরু হয় উনবিংশ শতাব্দিতে, ইম্প্রেশনিস্ট আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, যা ছিলো আধুনিক শিল্পধারার মাইলফলক। বিজ্ঞানের আবিস্কার, যান্ত্রিক বিপ্লব, আলোকচিত্রের আবিস্কার এবং সামাজিক পরিবর্তনের ফলে গড়ে উঠে এই শিল্প আন্দোলন। এর পর একের পর আরেক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। কারন কোনো আন্দোলনই শিল্পীকে পূর্ণ তৃপ্ত করতে পারছিলনা। কোনো না কোনো অভাব এই সব আন্দোলনের মধ্যেই নিহিত ছিলো । আর তাকে জয় করার মানসেই সৃষ্টি হচ্ছিল নিত্য-নতুন পরিক্ষা নিরিক্ষা ও আন্দোলন । এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা ব্রতি হলেন নতুন সৃষ্টির উন্মাদনায় । এক্সপ্রেশনিজম আন্দোলনটি আধুনিক শিল্পকলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী আন্দোলন । পাশ্চাত্য জগতে বহু শিল্পী এই আন্দোলনে শরিক হন। তবে বর্তমান গ্রন্থে এঁদের মধ্য থেকে দশ জন শিল্পীর জীবন ও শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । সেই সাথে তাঁদের গুরুত্তপূর্ণ কাজের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে যাতে আগ্রহী পাঠক ও শিল্পকলার শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিল্পকলা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন । বর্তমান গ্রন্থাকার শিল্পকলার ইতিহাসের অধ্যাপক এবং শিল্পকলা বিষয়ে অনেকগুলি গ্রন্থের প্রণেতা । তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্প-সমালোচক এবং একইসঙ্গে একজন চিত্রশিল্পী ও কলা ঐতিহাসিক । ফলে শিল্পকলা সম্মন্ধে তাঁর মূল্যায়ন ও ব্যাক্ষা বিশিষ্টতার দাবি রাখে ।

250
প্রেমবন্দনা-নিকোলাস ত্রুয়নের সঙ্গে আঁলা বাদিয়ুর কথোপকথন
প্রেমবন্দনা-নিকোলাস ত্রুয়নের সঙ্গে আঁলা বাদিয়ুর কথোপকথন
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • প্রখ্যাত ফরাসি দার্শনিক আঁলা বাদিয়ু নিকোলাস ত্রুয়নের সাথে প্রেমের প্রকৃতি, প্রেমের সমস্যা, প্রেমের জন্য সংগ্রাম, এবং তার লক্ষ্য ও পরিণতি নিয়ে আলাপচারিতায় নিরত হন এই রচনাটিতে। ফ্রান্সের আভিনো মেলায় তাঁদের আলাপচারিতার একটি সম্প্রসারিত লিখিত রূপ এই পুস্তকটি। বাদিয়ু দেখতে পান যে, আধুনিক যুগে প্রেম বহুবিধ সংকটের মুখে নিপতিত হয়েছে। তাঁর দার্শনিক দৃষ্টিকোণ ও অঙ্গীকার থেকে তাঁর কাছে অনুভূত হয় যে, প্রেমকে সেইসব সংকট থেকে উদ্ধার করতে হবে, তাকে ‘পুনরাবিষ্কার’, ‘পুনর্নির্মাণ’ করতে হবে। কী সেই সংকট? তাদের মধ্যে প্রথমেই আছে নিরাপত্তা দ্বারা সৃষ্ট সংকট; দৈব আর অনিশ্চয়তা যে প্রেমের সহজাত প্রকৃতি, তা হারিয়ে ফেলেছে প্রেম—তাকে এক ‘শূন্য-ঝুঁকির’ ক্রিয়া করে তোলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ভোগবাদ প্রেমকে অর্থহীন করে তুলেছে, সঙ্গী-সঙ্গিনীর প্রতি অঙ্গীকারহীন, ‘অপর সত্তার’ প্রতি সংবেদনহীন করে তুলেছে। আর প্রেমবিরোধী শিবিরের প্রচারণা, বাঘা বাঘা দার্শনিক এবং অন্যান্যদের প্রেমবিরোধী যুক্তি তো রয়েছেই। এই প্রেক্ষাপটে বাদিয়ু প্রেমের পক্ষে, অনেকটা প্লেটোর অনুসরণে, এক নতুন দৃষ্টিকোণ ও অঙ্গীকার নির্মাণ করেন। তিনি বলেন, “আমার দার্শনিক ‘জার্গন’-এ যাকে আমি একটি ‘সত্য প্রক্রিয়া’ বলি, তা-ই বাস্তবিকপক্ষে প্রেম, অর্থাৎ, তা এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সুনির্দিষ্ট ধরনের সত্য নির্মিত হয়। এই সত্য সাদামাটা কথায় দুজন সম্পর্কে সত্য: সেসত্য, বলতে গেলে ভিন্নতা থেকে উৎসারিত। এবং আমি মনে করি প্রেম—যাকে আমি ‘দুই দৃশ্যপট’ বলি—হল এই অভিজ্ঞতা। এ-অর্থে, এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী সমস্ত প্রেম টিকে থাকার অঙ্গীকার করে, এবং ভিন্নতার পরিপ্রেক্ষিত থেকে এই অভিজ্ঞতাকে আপন করে নেয় এবং ভিন্নতা নিয়ে কোনো এক দিক দিয়ে নতুন সত্য সৃষ্টি করে।”

250
 যুক্তিতর্কে বিমূর্ত চিত্রকলা
যুক্তিতর্কে বিমূর্ত চিত্রকলা
রিঙকু অনিমিখ
  • এটি একটি বিতর্কমূলক বই। বিষয় : শিল্পকলায় বিমূর্তবাদ। বিষয় পুরোনো, তর্ক নতুন করে। বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিকের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শুরু। এরপর ক্রমান্বয়ে একজন চিত্রশিল্পী এবং একজন বরেণ্য কবি কথাসাহিত্যিকের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে পোস্ট দিলে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। যোগাযোগ মাধ্যমে এমন শিল্পসম্মত সুস্থ বিতর্ক বিরল ঘটনা। এপার-ওপার দুই বাঙলার প্রায় অর্ধশত কবি-শিল্পীর অংশগ্রহণে বিশ্লেষণাত্বক সেইসব যুক্তিতর্কে উঠে আসে চিত্রকলা ও কবিতায় বিমূর্তায়নের নানা দিক-দিগন্ত, যা শিল্পকলা ও সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রা যোগ করবে।
    শুধু কবি ও শিল্পীই নন, যে-কোনো অনুসন্ধিৎসু ও শিল্পরসিক পাঠকই এই বই থেকে আনন্দ-সহযোগে কুড়িয়ে নিতে পারবেন কৌতূহলী মনের রসদ। আর চারুকলার শিক্ষার্থীদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য তালিকায় যুক্ত হতে পারে।

450
সভ্যতার উষাকাল : গিলগামেশের মহাকাব্য
সভ্যতার উষাকাল : গিলগামেশের মহাকাব্য
রইসউদ্দিন আরিফ
  • রইসউদ্দিন আরিফের এই বইটি একটি প্রবন্ধ সংকলন হলেও এটি কোনো গতানুগতিক সংকলন নয়। বইয়ে অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধগুলোর বিষয়বস্তুর মধ্যে একটি ধারাবাহিকতা আছে-যার মূল প্রতিপাদ্য হলো মানবসভ্যতা। সভ্যতার ধারাবাহিকতা হলো মূলত মানুষের চিন্তা ও ভাবমানস থেকে উৎসারিত চেতনা, দর্শন, সাহিত্য, ধর্ম, সমাজচিন্তা ও বিজ্ঞানের ধারাবাহিকতা।

    একটি যুগের সভ্যতার মূল্যায়ন হয় সেই যুগের মানুষের চিন্তা, চেতনা, ধর্ম, দর্শন, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের উৎকৃষ্টতা দিয়ে। প্রায় ছয় হাজার বছর আগের সুমের ও বেবিলনীয় সভ্যতাকে বলা হয়ে থাকে সভ্যতার উষাকাল। সভ্যতার সেই উষাকাল থেকে আজকের আধুনিক সভ্যতা পর্যন্ত বিভিন্ন কালের সভ্যতার একটা ধারাবাহিক চিত্র পাওয়া যাবে এই বইটিতে।

495
প্লেটোর চারটি সংলাপ : বড় হিপ্পিয়াস, ছোট হিপ্পিয়াস, আয়ন, মেনেক্সেনাস
প্লেটোর চারটি সংলাপ : বড় হিপ্পিয়াস, ছোট হিপ্পিয়াস, আয়ন, মেনেক্সেনাস
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • এই পুস্তকটিতে দুই মলাটের ভেতর প্লেটোর চারটি সংলাপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; একটি কারণ হলো দুটি সংলাপ ‘বড় হিপ্পিয়াস’ ও ‘ছোটো হিপ্পিয়াস’-এর নামের কিছুটা সাদৃশ্য আর বাকি দুটি সংলাপ-‘আয়ন’ ও ‘মেনেক্সেনাস’-এর পরিসরের স্বল্পতা। বিষয়বস্তুর দিক থেকে সংলাপ চারটি প্রভূতভাবে ভিন্ন। ‘বড় হিপ্পিয়াস’ প্লেটোর নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক সংলাপ; এর বিষয়বস্তু হলো ‘সৌন্দর্য’। সক্রেটিস এতে সফিস্ট হিপ্পিয়াসের সঙ্গে সৌন্দর্যের মাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন।

495
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও সুমনের গল্প
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও সুমনের গল্প
ফরিদুর রেজা সাগর
  • ফরিদুর রেজা সাগর ছোটদের জন্য নানা ধরনের মজাদার গল্প লেখেন। তাঁর গল্পে থাকে মুক্তিযুদ্ধের কথা, থাকে দেশপ্রেম। ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও সুমনের গল্প’ বইয়ে আছে তাঁর লেখা ছোটদের উপযোগী পাঁচটি গল্প। সবগুলো গল্পেই আছে বঙ্গবন্ধুর কথা। সত্যি ঘটনার ওপর আশ্রয় করে গল্পগুলো লেখা। সত্যি ইতিহাস আর লেখকের কল্পনা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এই গল্পগুলোতে। ফলে ছোটরা এতে পাবে ইতিহাস জানার ও গল্প পড়ার আনন্দ।

250
জলধর সেনের আত্মজীবনী
জলধর সেনের আত্মজীবনী
ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী
  • কুমারখালীর কাঙাল হরিনাথ মজুমদার-সম্পাদিত ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকা ও তাঁর ‘ফিকিরচাঁদ ফকিরের দল’-কে কেন্দ্র করে দূর-মফস্সলে গড়ে উঠেছিল এক সারস্বত-গোষ্ঠী। হরিনাথ-প্রাণিত এই দলকে ‘কাঙাল-মণ্ডলী’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া যায়। জলধর সেন (১৮৬০-১৯৪৩) ছিলেন এই ‘কাঙাল-মণ্ডলী’রই এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক।

    জলধর সেন ছিলেন উনিশ ও বিশ শতকের সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক সংযোগ সেতু। প্রায় আশি বছরের জীবন তিনি উৎসর্গ করেছিলেন সাহিত্যসাধনা ও সাময়িকপত্র-সম্পাদনা কর্মে। জলধরের কৃতিতে মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংবর্ধনা উপলক্ষে লিখেছিলেন : ‘যিনি বাংলা সাহিত্য সমাজে আপন স্নিগ্ধ সহৃদয়তাগুণে বর্তমান সাহিত্যসাধকদের হৃদয় জয় করিয়াছেন সেই প্রবীণ সাহিত্যতীর্থপথিক শ্রীযুক্ত জলধর সেনের সম্মাননার উদ্দেশে উৎসৃষ্ট প্রশস্তিপুস্তকে এই কয়েক ছত্র অর্ঘ্যরূপে পাঠাইলাম।’

    এই কৃতবিদ্য স্বারস্বত-সাধকের অন্তরঙ্গ স্মৃতিচর্চা- ‘জলধর সেনের আত্মজীবন।’ এক অপস্রিয়মাণ কালের সমাজ, জীবন ও সংস্কৃতির অনবদ্য চালচিত্র এই বইটি। দীর্ঘ চৌষট্টি বছর পর জলধর সেনের এই দুষ্প্রাপ্য মহার্ঘ আত্মকথাটির প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশিত হলো ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায়।

495
অপরাজিতা ও কয়েকজন অদম্য ‍সিসিফাস
অপরাজিতা ও কয়েকজন অদম্য ‍সিসিফাস
হুরে জান্নাত শিখা
  • সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যাক্তির জীবন বা ঘটনাকে এ উপন্যাসের চরিত্র এবং ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়নি। তবে উপন্যাসটির প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক এ দাবি করা সঙ্গত হবে না। যে ঘটনাগুলো মানুষের জীবনে নিরন্তর ঘটে চলে সেগুলো কাল্পনিক কী করে হয়? এ চরিত্রগুলো আমাদের  চারপাশে বিচরণ করে চলেছে। এরা বাস্তব জগতের মানুষ। সে, তুমি, আমি এবং আমরা। পাঠক কোনো চরিত্রে কাকতালীয়ভাবে নিজেকে খুঁজে পেয়ে যেতে পারেন, পেয়ে যেতে পারেন খুব পরিচিত কোনো মানুষকে। এবং একই সাথে খুঁজে পেতে পারেন দুর্বিষহ জীবনের যাতনাময় নানা অভিজ্ঞতার সাথে লড়াইয়ে টিকে থাকবার প্রয়োজনীয় কিছু সূত্র।

595
	খণ্ডিত জীবন এবং তাহাদের কথা
খণ্ডিত জীবন এবং তাহাদের কথা
নিলুফা আকতার
  • জীবন কী খণ্ডিত নাকি অখণ্ড?
    কে জানে আসলে সে কেমন?
    ‘তাহারা’ আসলে কারা?
    আমি তুমি সে নাকি অন্য কেউ?
    খণ্ড-অখণ্ড জীবনের সঙ্গেই-বা ‘তাহাদের’ কী যোগ?
    মূর্ত-বিমূর্তবোধের ঠিক মধ্যখানে কিংবা বলা যায়,
    পিরামিডের স্পর্শবিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর
    মৌলিক ভাবনার জমাটবদ্ধ নিঃশ্বাসের বোধোদয়ের আকাট আখ্যান,
    ঔপন্যাসিক নিলুফা আক্তারের দ্বিতীয় উপন্যাস
    ‘খণ্ডিত জীবন এবং তাহাদের কথা’
    এই আখ্যান লেখকের অনিবার্য স্বতঃস্ফূর্ত অন্বেষণ
    আর ব্যক্তির অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনের এক মুখোমুখি কথোপকথন।
    জীবনের অতল সাধ. অপরিমেয় আস্বাদ, সৃষ্টির অপার আকাঙ্ক্ষার
    অনিঃশেষ উপলব্ধিতে প্রগাঢ় এই উপন্যাস পাঠে
    পাঠকচিত্ত যেমন ঋদ্ধ হবেন; ঠিক তেমনি জীবন ভাবনায় হবেন সিদ্ধ।

595
অংশী : মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ, শরাণার্থীদের জীবন ও নারী-পুরুষ রহস্যভিত্তিক উপন্যাস
অংশী : মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ, শরাণার্থীদের জীবন ও নারী-পুরুষ রহস্যভিত্তিক উপন্যাস
তপন কুমার রুদ্র
  • স্বল্পভাষী মুখচোরা অশোক মামাতো বোনের বান্ধবী লীলার প্রতি আকৃষ্ট হয়। লীলাও তার প্রতি আসক্ত হয়। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ চলার একপর্যায়ে অশোক খবর পায় যে তার বাবা-মা বোন ও ভগ্নিপতি সীমান্ত পার হয়ে আসামের মানিকারচরের এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। অসহিষ্ণু অশোক শিলিগুড়ি থেকে মানিকারচর চলে যায় স্বজনদের খোঁজে। আত্মত্যাগ, রাজনৈতিক ধারা, ষড়যন্ত্র, নানামুখ দোদুল্যমানতা, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, অসহায় শরণার্থীদের জীবনপ্রবাহ এবং তাদের নিয়ে দুই বাংলার ধূর্ত শোষকশ্রেণীর অবৈধ ব্যবসা, রাজাকার-আলবদর তথা স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ঘৃণ্য কার্যকলাপ ইত্যাদি বহুবিধ ঘটনার সাক্ষী হয় অশোক।

195
কেন আসিলে ভালোবাসিলে
কেন আসিলে ভালোবাসিলে
আবদুল মান্নান সৈয়দ
  • ছোটগল্প আর কবিতা, উপন্যাস আর নাটক, প্রবন্ধ আর সমালোচনা, পত্রিকা সম্পাদনা আর গ্রন্থ সম্পাদনা-একসঙ্গে অনেকরকম কাজ করে গেছেন আবদুল মান্নান সৈয়দ। তাঁর প্রধান পরিচয় কী- এ বিষয়ে নানা মুনির নানা মত। তিনি সেসব দিকে কান না-দিয়ে নিজে স্বেচ্ছাচারী শিল্পঘূর্ণিস্রোতে ভেসে চলেছেন। ছোটগল্প রচনায়ও বিরতি পড়েনি কখনো। ঠিক কতগুলো গল্প লিখেছেন মান্নান সৈয়দ, তার কোনো হিশেব নেই। গোটা দশেক গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এযাবৎকালে। তাঁর সাম্প্রতিকতম এই গল্পগ্রন্থে মান্নান সৈয়দ নতুনতর রূপে উপস্থিত হয়েছেন। এই গ্রন্থের কোনো কোনো গল্প পত্রিকায় প্রকাশকালেই চাঞ্চল্য জাগিয়েছিল।

195
গোঁসাই গোপালের মরমি পদাবলি
গোঁসাই গোপালের মরমি পদাবলি
ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী
  • মরমি সাধনা ও সংগীতের সঙ্গে লোকায়ত বাংলা ও বাঙালির গভীর সম্পর্ক ও নিগূঢ় যোগ বহুকালের। এই সাধনায় অধ্যাত্ম-উপলব্ধির পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ ও সম্প্রদায়-সম্মিলনের ভাববাণীও উচ্চারিত হয়েছে। গোঁসাই গোপাল (১২৭৬-১৩১৯) ছিলেন এই ধারারই এক মহান সাধক।

    বাউল-বৈষ্ণবদের পীঠস্থান শিলাইদহে গোপালের আবির্ভাব। জনক গোঁসাই রামলালও ছিলেন পরম সাধক ও মরমি পদকর্তা। পিতাই তাঁর সাধনা ও সংগীতের গুরু। বাউল-গবেষক ডক্টর উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছেন: ‘লালনের তিরোধানের পর কুষ্টিয়া অঞ্চলে বাউল-মতাবলম্বী একজন রসিক বৈষ্ণব সাধকের উদ্ভব হয়। ইনি শিলাইদহের গোঁসাই গোপাল।’

    গোঁসাই গোপাল সাধনতত্ত্বের অনেক গান রচনা করেন। একসময় সারা বাংলা জুড়েই তাঁর গানের প্রচার-প্রসার ও আদর-কদর ছিল। গোপালের গানে যোগ-তন্ত্র ও সহজিয়া ভাবের মিশ্রণ ঘটেছিল। সুফিমতও সেই গানকে ঋদ্ধ করে। এই বিষয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন মন্তব্য করেন : ‘তিনি [গোঁসাই গোপাল] হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের জনমনের রসের জোগান দিয়াছেন।’

    একদা বিশিষ্ট ও বিখ্যাত মরমি সাধক গোঁসাই গোপাল আজ প্রায়-বিস্মৃত একটি নাম। উত্তরসাধকের অভাবে তাঁর গানও বিলুপ্তির পথে। গোঁসাই গোপালের দুই পুত্রের সংকলিত গোপাল গীতাবলী নামে স্বতন্ত্র দুটি গীত-সংকলনেরও হদিস মেলে না। সেই দুষ্প্রাপ্য পুস্তিকা দুটির প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশিত হলো ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায়- গোঁসাই গোপালের মরমি পদাবলি নামে।

295
	প্লেটো : পারমেনিদিজ
প্লেটো : পারমেনিদিজ
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • পারমেনিদিজ (ইংরেজিতে পারমেনিডিজ; গ্রিকে পারমেনিদেস)।
    এই সংলাপটি এক অধিবিদ্যা বিষয়ক ধাঁধা হিসেবে প্রতীয়মান হয়। সক্রেটিসপূর্ব প্রখ্যাত দার্শনিক পারমেনিদিজ তাঁর শিষ্য জিনোকে (জিনোর কূটাভাষ’খ্যাত) সঙ্গে করে অ্যাথেন্সে বেড়াতে আসেন এবং যুবকবয়েসি সক্রেটিস তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করেন। সেখানে জিনো তাঁর একটি পুস্তক পাঠ করেন এবং তিনি বাস্তব জিনিসের বুদ্ধিগ্রাহ্যতা ও ‘বহুত্ব’কে চ্যালেঞ্জ করেন। সক্রেটিস তা নিয়ে প্রথমে জিনো ও পারমেনিদিজকে তাঁর প্রত্যয় নিয়ে প্রশ্ন করেন। পারমেনিদিজ যে বলেন বাস্তবতা গঠিত হয় অভৌত, প্রত্যক্ষণাতীত ‘আদল’ নিয়ে এবং প্রত্যক্ষণযোগ্য, ভৌত সামগ্রী তাতে অংশগ্রহণ করে, তা কী করে সত্য হয়? পারমেনিদিজ সেই প্রকরণের কথা বলেন এবং ‘এক সত্তা’কে বিষয় হিসেবে নির্বাচন করে বিরোধপূর্ণ ‘অবরোহ অনুমান’ ধরে এর আটটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের সত্তা, ঐক্য, একত্ব ও ভিন্নতা, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য, গতি ও স্থিরতা, স্থান ও সময়, ইত্যাদি উপস্থাপন করেন। আদলের তত্ত্ব গড়ে তোলার জন্য এইসব প্রত্যয় কী ভূমিকা রাখে তার দায়িত্ব পড়ে সক্রেটিসের ওপর, একইসাথে পাঠকের ওপর। এই মহান পুরুষটি যখন আলোচনার অন্তে বলেন, “এক কি অস্তি, না কি অস্তি নয়, এক এবং অন্য কিছু কি এক রকম, না কি এক রকম নয়, এবং তা একই বলে প্রতীয়মান হয়, না কি হয় না, তা বলা যায় না”, তখন পাঠক প্রথমে হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন, কিন্তু অব্যবহিত পরে নিজের ভাবনাকে সক্রিয় করা ছাড়া তার গত্যন্তর থাকে না।

450
বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও ভারত
বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও ভারত
ড. সুনীল কান্তি দে
  • জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর পাকিস্তানি গোয়েন্দার নজরদারির প্রকৃতি ও প্রবণতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা চেয়ে ১৯৬২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর নিকট বঙ্গবন্ধুর পত্র যোগাযোগ, মুক্তিযুদ্ধে তহবিল সংগ্রহের জন্য রংপুর ট্রেজারী থেকে সোনাদানা ও অর্থ সংগ্রহ, মুক্তিযুদ্ধে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষকগণের মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধে কলকাতা বেতারের ভূমিকা প্রভৃতি আলোচ্য গ্রন্থে বিবৃত হয়েছে।

295
কবির অন্তরমহল : তিরিশের কবিদের পত্রাবলি
কবির অন্তরমহল : তিরিশের কবিদের পত্রাবলি
ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী
  • কবিদের হস্তাক্ষরে পত্রাবলির সংকলন এই-ই প্রথম প্রকাশিত হলো। পত্রগুচ্ছের এই পান্ডুলিপি-সংস্করণ-সংকলন-সম্পাদনা করেছেন ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী। পুরোনো চিঠিপত্র সংগ্রহ ও প্রকাশে ডক্টর চৌধুরীর অনুরাগ ও সিদ্ধির পরিচয় মিলবে ইতোপূর্বে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ও কাজী আবদুল ওদুদের পত্র-সংকলনে। কবির অন্তরমহল : তিরিশের কবিদের পত্রাবলি-তে সংকলিত চিঠিপত্রে একটি বিশেষ কালের আধুনিক কবিদের অন্তর্জগতের বোধ বিশ্বাস, প্রকৃতি-প্রবণতা, চিন্তা-চেতনার অন্তরঙ্গ পরিচয় প্রতিফলিত।

    তিরিশের প্রতিনিধিস্থানীয় এই ১১ জন কবির ১১৩টি চিঠি এখানে সংকলিত হলো। তিরিশের কবিদের সংখ্যায় এত বেশি চিঠি একসঙ্গে এর আগে বোধকরি পত্রপত্রিকায় কিংবা স্বতন্ত্র কোনো বইয়ে ছাপা হয়নি। সংকলিত চিঠিগুলো নানা প্রসঙ্গে লেখা- এখানে যেমন সাহিত্যের বিষয় স্থান পেয়েছে, আছে ব্যক্তিজীবন কিংবা নিজস্ব ভাবনা-উপলব্ধির কথা, পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুরোধ বা কুশলকামনা- ধন্যবাদ-কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মতো সৌজন্য প্রকাশের অবলম্বনও হয়েছে এই পত্রগুচ্ছ।

    কবিতার এই মৌলিক রূপান্তর ছিল প্রসঙ্গ ও প্রকরণ উভয় দিক থেকেই। তিরিশের প্রধান কবি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪), সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০), অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৭), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪) ও বিষ্ণু দে (১৯০৯-১৯৮২)। অবশ্য সতীর্থ-সহযাত্রী হিসেবে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত (১৯০৩-১৯৭৬), প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮), অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২), হুমায়ুন কবির (১৯০৬-১৯৬৯), অজিত দত্ত (১৯০৭-১৯৭৯), সঞ্চয় ভট্টাচার্য্য (১৯০৯-১৯৬৯) এবং আরো কারো কারো নামও অনিবার্যভাবেই এসে যায়। এঁরা রবীন্দ্রপ্রভাববলয় ও পুরোনো কাব্যচিন্তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন।

1295
অবশেষ ও অংশবিশেষ
অবশেষ ও অংশবিশেষ
এনামুল করিম নির্ঝর
  • যা কিছু ঘটনা-রটনা, সমীকরণের ফাঁদে অল্পবিস্তর কালি-কলমের খোঁচায় বিমূর্ত অক্ষর গাঁথার নেশায় চারপাশ হয় অচিন সময়। গল্প যদি সময়কে উপেক্ষা করে, তবে তা হয় জল্পনা। আর গল্প যদি মানুষকে উপেক্ষা করে, তা হয় কল্পনা। এই পৃষ্ঠাগুলোর হরফসমগ্র কি আক্রান্ত? নাকি ভারাক্রান্ত?

107
জমজমাট গায়েবানার হাজিরায়
জমজমাট গায়েবানার হাজিরায়
ইসফানদিয়র আরিওন
  • জমজমাট গায়েবানার হাজিরায় বাংলা ভাষার ছান্দিক বুননে হাজির করেছে এমন একজন বিশ্ববিখ্যাত কবির সৃষ্টিশীল মহাকাব্যিক চেতনাকে যার নাম মাহমউদ দারউইশ! আমরণ নির্বাসনেন্ত্রন্ত্রণায় দগ্ধ দেশহীন এই কবি আত্মরক্ষার সন্ধি রচনায় প্রবেশ করেছিলেন সীমারেখাহীন এমন এক কাব্যবিশ্বে যেখানে তাঁর উপলব্ধি বলেছিল- ভাষাই পারে কোনো বিলুপ্ত জাতিসত্তাকে তার অক্ষরে অক্ষরে মূর্তমান করে রাখতে, ভাষাই পারে প্রিয় স্বদেশ হতে বিচ্ছেদের দুঃখকে তাজা রাখতে। শুধু তাই নয়, তাঁর উপলব্ধি আরও বলেছিল – তাঁর পুরো জীবনকে কবিতায় প্রবেশ করালে তিনি পেয়ে যাবেন সেই দিব্যচোখ, যে চোখের দৃষ্টিসীমা সাধারণ দৃষ্টিসীমাকে অতিক্রম করে যায়। এই গ্রন্থপাঠের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের অনুবাদসাহিত্যের ইতিহাসকে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ ঘটল। কেননা, এই অনুবাদ-বিশ্লেষণ পাঠের মাধ্যমে যে-কোনো সাধারণ পাঠকের পক্ষেও উপলব্ধি করা সম্বব হবে যে, বাংলাদেশের অনুবাদক ইসফানদিয়র আরিওন আরবী ভাষায় অসাধারণ দক্ষতা ও পাণ্ণ্ডিত্য অর্জন করেছেন।

443
নির্বাচিত গল্প
নির্বাচিত গল্প
মাহবুব আজীজ
  • মাহবুব আজীজের গল্পে একদিকে সমাজকে দেখার একটা আয়োজন আছে; সমাজের স্খলন, বিচলন এবং পরিবর্তনকে জানার একটা প্রয়াস আছে, অন্যদিকে ব্যক্তির জীবন, তার মনোজগতের উত্থান-পতন, সম্পর্কের ভাঙা-গড়া আর নিকটজনদের সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণগুলো জানার চেষ্টা আছে। গ্রাম তিনি ঘনিষ্ঠভাবে চেনেন, শহরটাকেও; তার কোনো গল্পেই তাই বাস্তবটা কল্পিত নয়, তবে বাস্তবের রূপায়ণে মাঝে মাঝে পরাবাস্তবের একটা মাত্রা থেকে যায়। মাহবুব আজীজের গল্প পড়তে বসা আর নিজের চারপাশ একটা চক্কর দিয়ে আসার মতোই, সবই চেনা, সবই জানা, কিন্তু তার গল্পের রসায়ন যখন এই চেনা-জানার মূল ধরে টান দেয়, ভেতরমাত্রার দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকে, পাঠকের জন্য বিস্ময় জমা হতে থাকে।                                          –সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

    দেশ সমাজ পরিপার্শ্ব আর বাস্তবতার কাছে সমর্পিত মানুষের মন আর মনস্তত্ত্বের গল্প লেখেন মাহবুব আজীজ-তিনি লেখেন মানুষের সামূহিক উত্তরণের আকাক্সক্ষার গল্প। তার গল্প আখ্যানে বাক্সময় হয় জীবনকে তিল-তিল করে উপভোগ আর উপলব্ধির বাসনা। তার গল্পের মানুষেরা কখনো দুর্মর স্বপ্ন আর সংগ্রামে হয় আন্দোলিত, কখনো ডুব দেয় তারা অতল নৈঃসঙ্গ্য-অর্ণবে…

    সমকালের নানামাত্রিক আলোড়ন-আন্দোলন মাহবুব আজীজের আখ্যানে নিপুণ বিন্যাসে হয়ে ওঠে চিরকালীন সম্পদ-এখানেই ছোটগল্পকার হিসেবে তার সার্থকতা। শৈল্পিক নিরাসক্তিতে মাহবুব আজীজ অনায়াসে প্রবেশ করেন বিশেষ কোনো চরিত্রের মনোলোকে এবং সেখান থেকে তুলে আনেন মানুষের অকহনীয় যন্ত্রণাপাথর। এই নৈর্ব্যক্তিকতাই তার গল্পকে এনে দেয় কালোত্তীর্ণ মহিমা।                                                         –বিশ্বজিৎ ঘোষ

     

622
প্লেটো : তাইমিয়াস ও ক্রিতিয়াস
প্লেটো : তাইমিয়াস ও ক্রিতিয়াস
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • প্লেটোর তাইমিয়াস পুস্তকটিকে যে দার্শনিক প্রত্যয় তুলে ধরা হয়েছে তা হলো ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির পেছনকার ‘যুক্তি ও প্রয়োজনীয়তা’; প্রথমত ব্রহ্মাণ্ডে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলার মধ্যে শৃঙ্খলা আনয়নের যুক্তি এবং ব্রহ্মাণ্ড ও তার মধ্যে মানুষসহ সকল প্রাণীর প্রয়োজনে তাতে বিভিন্ন জিনিসের সৃষ্টি। “তিনি (দেবতা/Demiurge) দেখতে পেলেন যে, দৃশ্যমান ব্রহ্মাণ্ড স্থির অবস্থায় নেই বরং বিসংগত এবং বিশৃঙ্খল অবস্থায় বিরাজমান; তখন তিনি বিবেচনা করলেন যে, শৃঙ্খলা সকল দিক থেকে উত্তম এবং তাই বিশৃঙ্খলা থেকে শৃঙ্খলা দিলেন।…সমগ্র হিসেবে কোনো বুদ্ধিহীন প্রাণী সমগ্র হিসেবে কোনো বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণীর তুলনায় কখনো অধিকতর সুন্দর হবে না, আর আত্মা ছাড়া কোনো কিছুর পক্ষেই বুদ্ধি অর্জন করা সম্ভব নয়। এই যুক্তিবোধ থেকেই তিনি আত্মায় বুদ্ধি রোপণ করেন এবং আত্মাকে দেহের ভেতর স্থাপন করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড গড়ে তুললেন এবং নিশ্চিত করলেন যেন তাঁর সৃষ্টি প্রকৃতিগতভাবে সবচেয়ে সুন্দর হয়, সম্ভবপর সবচেয়ে উত্তম হয়।… সত্যিকার অর্থে দেবতার দূরদর্শিতার মাধ্যমেই আত্মা ও বুদ্ধিমত্তায় বলীয়ান হয়ে জীবন্ত সত্তা হিসেবে পৃথিবী আবিভর্‚ত হয়েছে।’ কিন্ত পৃথিবী সৃষ্টির পেছনে এই কারণই যথেষ্ট ছিল না। ‘এই পৃথিবী অস্তিমান হয়েছে প্রয়োজনীয়তা ও বুদ্ধিমত্তার সংমিশ্রণে। সৃষ্ট জিনিসপত্রকে প্রবুদ্ধ করে বুদ্ধিমত্তা তার ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে এবং যৌক্তিক প্রবুদ্ধকরণের হাতে প্রয়োজনীয়তার এই নতিস্বীকৃতি দিয়েই যে ব্রহ্মাণ্ড এখন দেখা যায় তা গঠন করা হয়েছে।’ এই সৃষ্টিতত্ত্ব প্লেটোর যুগের অন্যান্য সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে ভিন্ন। তাঁর বস্তুতত্ত্ব–জ্যামিতিক পরমাণুবাদও তাঁর যুগের পরমাণুতত্ত্ব (বিশেষত দিমোক্রিতাস, লুসিপাসের তত্ত্ব) থেকে ভিন্ন হিসেবে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। হাইজেনবার্গ বলেছেন, ‘…এমনকি এখনই বলা যেতে পারে যে, (বস্তুর রূপ নিয়ে) চূড়ান্ত উত্তরটি প্লেটোর তাইমিয়াস-এর কাছাকাছি কোনো প্রত্যয় হবে।’ পাঠক তাইমিয়াস-এ ভিন্ন এক প্লেটোকে, সৃষ্টিতাত্ত্বিক, ব্রহ্মাণ্ডতাত্ত্বিক দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক হিসেবে আবিষ্কার করবেন।
    অসমাপ্ত ক্রিতিয়াস সংলাপটি তাইমিয়াস-এর কুশীলবদের নিয়ে আদর্শ-রাষ্ট্র সম্পর্কিত এক আলোচনা। সেই রাষ্ট্রটি হলো প্লেটোর আরেকটি কাল্পনিক রাষ্ট্র–আতলান্তিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ আতলান্তিস। অসমাপ্ত এই সংলাপটিতে আমরা তার আদর্শরূপের বর্ণনা দেখতে পাই এবং একসময় এর অধিবাসীদের ‘ঐশ্বরিক গুণের’ ধ্বংসের কারণে জিউস যে তাকে ধ্বংস করেছিলেন তার সংবাদ পাই। আতলান্তিসের কিংবদন্তি পাশ্চাত্যের মনকে এমনভাবেই প্রভাবিত করেছে যে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই হাজারখানেক বই লেখা হয়েছে এবং বছরে অন্তত গোটা দশেক বই লেখা হচ্ছে।

443
জননেত্রীর জয়যাত্রা-খণ্ড ১ : ১৯৮১-১৯৯০
জননেত্রীর জয়যাত্রা-খণ্ড ১ : ১৯৮১-১৯৯০
আসিফ কবীর
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তাঁর রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের সংবাদ সংকলনের মাধ্যমে প্রণীত এ গ্রন্থ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যিক রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস-অর্জন-বিপর্যয় এবং সর্বোপরি জাতীয় জীবনে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা এই গ্রন্থনায় সংকলিত হয়েছে।

891
রবীন্দ্রসমগ্র : খণ্ড ০১
রবীন্দ্রসমগ্র : খণ্ড ০১
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • পাঠক সমাবেশ নিবেদিত ২৫ খণ্ডে রবীন্দ্রসমগ্রে উন্মোচিত হয়েছে রবীন্দ্র সৃষ্টিবৈভবের এক অপার বিস্ময়। ২৫ খণ্ডে রবীন্দ্রসমগ্রের খণ্ড ১-এ অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থ ও তার প্রথম প্রকাশকাল :

    সন্ধ্যাসংগীত : ১২৮৮, প্রভাতসংগীত : বৈশাখ ১২৯০, ছবি ও গান : ফাল্গুন ১২৯০, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী : ১২৯১, কড়ি ও কোমল : ১২৯৩, মানসী : ১২৯৭, প্রকৃতির প্রতিশোধ : ১২৯১, বাল্মিকীপ্রতিভা : ফাল্গুন ১২৮৭, মায়ার খেলা : অগ্রহায়ণ ১২৯৫, রাজা ও রানী : শ্রাবণ ১২৯৬, বিসর্জন : ১২৯৭, বউ-ঠাকুরানীর হাট : পৌষ ১২৮৯, রাজর্ষি : ১২৯৩, য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র : ১২৮৮, য়ুরোপ-প্রবাসীর ডায়ারি : বৈশাখ ১২৯৮ (প্রথম খণ্ড), আশ্বিন ১৩০০ (দ্বিতীয় খণ্ড), চিঠিপত্র : ১২৯৪, পঞ্চভূত : ১৩০৪।

895
এবং তাহারা
এবং তাহারা
আঁখি সিদ্দিকা
  • শব্দশিল্পী আঁখি সিদ্দিকা’র জীবনে যারা আলোর পৃথিবী দেখিয়েছেন, তাঁকে নিবিড়ভাবে তৈরি করেছেন, প্রেরণা জুগিয়েছেন, উড়বার ডানা দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন নির্বাচিত ‘চিত্রময়, কবিতাময়, গদ্যময়’, ‘তাহাদের’ নিয়ে পর্যবেক্ষণই …এবং তাহারা গ্রন্থের প্রবন্ধসমূহের শ্বাসমূল।
    নিরীক্ষাপ্রিয় আঁখি সিদ্দিকা কবিতাকে ভালোবেসে শব্দে অবগাহন করতে আগ্রহী হলেও নিবিড়ভাবে প্রবন্ধে নিজেকে নিয়মিত নিরীক্ষা করেছেন, করছেন। তিনি তাঁর প্রিয় চরিত্র ফ্রিদার মতো ভাবেন–“Nothing is worth more than laughter. It is strength to laugh and abandon oneself”। সহজতা আর হাসি দুইয়ের মিশ্রনে সমালোচনার মতো জটিল বিষয়কে সাবলীলভাবে তিনি ব্যাখা করেছেন … এবং তাহারা গ্রন্থে।
    আঁখি সিদ্দিকা এ গ্রন্থে ১৭টি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করেছেন যার শব্দচিত্রায়ন ভীষণভাবে তাঁরই অস্তিত্বের আবডালে পুষে রাখা বোধকে প্রকাশ করে। তিনি আলোর পৃথিবীর ‘তাঁহাদের’ নির্মাণ কৌশলকেও ব্যাখা করেছেন উক্ত প্রবন্ধগুলিতে।

403
উপন্যাসের পথে
উপন্যাসের পথে
স্বকৃত নোমান
  • ৪৪০.০০ টাকা ২০% ছাড়৫৫০.০০ টাকা

    কেমন হওয়া উচিত ঔপন্যাসিকের জীবনধারা? জীবনকে কীভাবে সাজালে, কোন নিয়ম-নীতি অনুসরণ করলে লেখার সময় বের করতে পারবেন লেখক? স্বকৃত নোমান জানাচ্ছেন, উপন্যাস লেখার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ প্রস্তুতির। প্রথমে হতে হবে নিজের মুখোমুখি। দেখতে হবে নিজের মধ্যে এক ঋষি বাস করে কি না, জগতের সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে যে নিজের সাধনায় রত, মোহময়ী অপ্সরীও যার ধ্যান ভাঙাতে পারে না। যদি সেই ঋষির সন্ধান পাওয়া যায়, তবে উপন্যাসের জগৎ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। শুরু করুন পাঠ। পড়ুন যে কোনো বই, হাতের কাছে যা পান। পড়ুন মানুষ এবং প্রকৃতিকে। পড়ুন সেসব সাহিত্যকর্ম, যেগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে সাহিত্যের ভুবন।

    একজন ঔপন্যাসিক অনেকটা মৌমাছির মতো। ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্ম, সংস্কৃতি, ভ‚গোল, জ্যোতির্বিদ্যা, অধিবিদ্যা, সংগীত, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি তার কাছে একেকটি ফুলবাগান। এসব বাগান থেকে মধু আহরণ করে তিনি যে মৌচাকে সঞ্চয় করেন তার নাম উপন্যাস। উপন্যাস এক প্রাচুর্যময় শিল্পমাধ্যম। ঔপন্যাসিক ও উপন্যাসের নানা বিষয় দিয়ে এ বই সাজিয়েছেন খ্যাতিমান কথাশিল্পী স্বকৃত নোমান।

492
অশনিপর্ব
অশনিপর্ব
জাহিদ হায়দার
  • স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের প্রথম পনেরো বছরের পরিধিতে প্রায় সমান্তরালভাবে চারিত্র্য পাওয়া চারটি অশনির কথারূপ এই উপন্যাসে পরিমিত ভাষ্যে, চরিত্র ও ঘটনার দ্বান্দ্বিকতায় বিবৃত হয়েছে।

    দুর্নীতি, সামরিক শাসনের ক্ষত, ধর্মান্ধতা এবং সমাজতান্ত্রিক সংগ্রামের ব্যর্থতা থেকে বাংলাদেশ কবে মুক্তি পাবে, আগামী দিন করবে তার হিসাব।

    ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’-র দর্শনকে ধারণ করে বলে মানবতাবাদী কামরুল কি নাস্তিক? না কি কামরুলের মতো মানুষ ধর্মান্ধদের জন্য এক বিপজ্জনক অস্তিত্ব? কমরেড আশরাফ হোসেন হেরে যান কেন? সামিদার মৃগীরোগ তৈরি করে বিশেষ সমাজ। শ্রমজীবী মানুষদের যথার্থ শিক্ষা না দিতে, সুবিধাবাদী পুঁজির শিক্ষিতরা (?) অনেক সার্কাস করে বর্ণপরিচয় পড়ান! খুনি, যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মের ব্যাবসাদারি জমির আলীর বিচার কতদিনে শেষ হবে?

    বেঁচে থাকবার জটিল অঙ্ক যোগ ও বিয়োগ, এক সময়ে সামরিক শাসকের বন্দুকের সামনে মিছিল করা, অঙ্কের শিক্ষক অজ্ঞেয়বাদী ফাতিমা শিকদারকে খাদের কিনারে নিয়ে যায়।

492
গল্পসংগ্রহ - ১ম খণ্ড
গল্পসংগ্রহ - ১ম খণ্ড
আহমাদ মোস্তফা কামাল
  • আহমাদ মোস্তফা কামাল তাঁর গল্পে কুশলী কলমে তুলে ধরেন সমাজের নানা বৈকল্য ও বিকার, অসুখ ও স্খলনের গল্প। মানুষের মনের নিভৃতে আলো ফেলে ছেঁকে আনেন প্রেম, স্বপ্ন ও ভালো লাগার নিকষিত অনুভূতিগুলো। তাঁর গল্পে বাস্তব জটিল, বাস্তবের প্রকাশ জটিলতর। মানুষের স্বপ্ন বাস্তবের আঘাতে হারিয়ে যায়, প্রেম দিগ্ভ্রান্ত হয়, প্রাপ্তির মুহূর্ত ঢুকে পড়ে অপ্রাপ্তির অঞ্চলে। যাত্রাদলের এক সদস্য অতীত স্মরণ করে কাঁদেন আশ্চর্য কান্না। স্বপ্নের আঘাতে কাতর মানুষের ওপর রূঢ় বাস্তবের চাবুক পড়ে। বিজ্ঞাপনের জৌলুসমাখা জগতে স্ত্রীকে হারিয়ে কেউ উৎকল্পনার হাত ধরে পরিত্রাণের পথে নামে। অনিদ্রায় আক্রান্ত একজন এক রাতে প্রেমের সন্ধান পায়। তরুণ বিপ্লবী পরীক্ষার মুহূর্তে তার আদর্শ হারিয়ে ফেলে। এক ঘোর লাগা মানুষ প্রকাশ্যে স্ত্রীর কাছে প্রেমানুভূতি জানাতে গিয়ে ডেকে আনে সর্বনাশ। এক শহরে অচেনা এক লোক এসে তার স্ফিংক্স্-সদৃশ প্রশ্নে মানুষের সব হিসাব-নিকাশ এলোমেলো করে দেয়। খণ্ড খণ্ড দৃশ্যে সুন্দর-ভয়ানক নানা মুহূর্ত জীবন্ত হয় কামালের গল্পগুলোতে। জাদুবিস্তারি বর্ণনায় তিনি সাজান মানুষের নিভৃত ও কোলাহলময় মুহূর্তগুলো। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের গ্লানি এবং বিষাদ, বিপন্নতা ও নিমগ্নতার ছবি আঁকেন অপূর্ব দক্ষতায়। তাঁর ভাষা সজীব, মেদহীন ও নির্বিকল্প। তিনি আমাদের সময়ের এক সংবেদী রূপকার। তাঁর গল্পগুলো সে সংবেদনের অনুপম রূপায়ন।

891
নরকের ফুল
নরকের ফুল
গাজালা মাহমুদ
  • “যন্ত্রণা থেকে যদি ভালো কিছু উঠে আসে, তাহলে তো যন্ত্রণাই শ্রেয়। জীবনের অলিগলি থেকে ভালোবেসে কিংবা ভালো না বেসে সুখে অথবা অসুখে যে যন্ত্রণা আমি পেয়েছি, সে যন্ত্রণা থেকে সৃষ্টি হয়েছে এই কবিতাগুচ্ছের। এ শুধু কবিতা নয়, এ আমার অনুভ‚তি, এ আমার আরেক পরিচয়। যেন বকুল অথবা শিউলির মতো শুভ্র পবিত্র কিছু ফুল। হাতে নিলেই গন্ধ শুঁকে নিতে ইচ্ছে করে। যন্ত্রণা থেকে জন্ম নিয়েছে বলে আমি ভালোবেসে এই সৌন্দর্যের নাম দিয়েছি ‘নরকের ফুল’।

264
মুসলিম সাহিত্য সমাজ : সভার সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণী ১৯২৬-১৯৩৮
মুসলিম সাহিত্য সমাজ : সভার সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণী ১৯২৬-১৯৩৮
ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী
  • উনিশ-বিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের জাগরণে সভা-সমিতির একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল। সংস্কার ও রক্ষণশীলতা, অশিক্ষা ও গোঁড়ামির বলয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে বাঙালি মুসলমানকে দিশা দিয়েছিল এই সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় সংগঠনগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২৬-এর একেবারে গোড়ার দিকে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম সাহিত্য সমাজ। ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’ – এই বীজমন্ত্র নিয়ে সাহিত্য সমাজের যাত্রা হয়েছিল শুরু। বারো বছর আয়ুষ্কালের এই সংগঠনটির বার্ষিক মুখপত্রের নাম ছিল শিখা। সংগঠনের নামের আগে ‘মুসলিম’ শব্দটি থাকলেও এখানে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ছিল না-হিন্দু-মুসলমান উভয়েই এখানে স্বচ্ছন্দে অংশ নিয়েছেন। উদার মুক্তচিন্তার সঙ্গে সম্প্রদায়-সম্প্রীতির একটি আবহও গড়ে উঠেছিল সংগঠনের কর্মকান্ডে। এই মুসলিম সাহিত্য সমাজের সভার বিবরণ একটি বাঁধানো খাতায় লিখে রাখা হতো। মুসলিম সাহিত্য সমাজের সাধারণ ও বার্ষিক অধিবেশনের কার্যবিবরণী এই সংগঠনের কর্মকা-ের মূল্যবান ও প্রামাণ্য উপকরণ। সাহিত্য সমাজের এই কার্যবিবরণী মূলত সংগঠনের নির্বাচিত বা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকই গুছিয়ে লিখে রাখতেন। যতদিন সমিতির কার্যক্রম চলেছিল, সেই বারো বছরের সভার বিবরণী-খাতা একসময় কাজী আবদুল ওদুদের কাছ থেকে তাঁর জামাতা, ওই সমাজেরই একজন সক্রিয় সদস্য, শামসুল হুদার হাতে আসে। দীর্ঘকাল অযত্নে পড়ে-থাকায় পোকায় কাটা বিবরণীর জীর্ণ খাতাটির বাঁধাই খুলে গিয়ে অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে -পৃষ্ঠাও হয়ে ওঠে বিবর্ণ ও নরম। হয়তো আর কিছুকাল পরে এই মূল্যবান সাংস্কৃতিক উপকরণটির কোনো অস্তিত্বই বজায় থাকতো না। সেই বিবেচনায় ড. আবুল আহসান চৌধুরীর উদ্যোগে এই খাতাটির প্রতিলিপি সংস্করণ (ঋধপংরসরষব ঊফরঃরড়হ) পাঠক সমাবেশের সৌজন্যে প্রকাশিত হলো। শিক্ষিত বাঙালি মুসলমানের চেতনায় নাড়া দেওয়ার মতো একটি প্রতিষ্ঠানের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল প্রকাশের প্রয়োজন ও গুরুত্ব সুধীজন অনুধাবন করলে তা হবে এই কাজের যথাযথ স্বীকৃতি।

2681
সক্রেটিস : জীবন মৃত্যু দর্শন
সক্রেটিস : জীবন মৃত্যু দর্শন
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • হেমলক পানে যখন সক্রেটিসের মৃত্যু ঘটে সেই দৃশ্য বর্ণনা করে ফিদোর জবানিতে প্লেটো বলেন: ‘এচেক্রাতিস, এই ছিল আমাদের প্রিয় সহচরের (সক্রেটিসের) জীবনের অবসান; তাঁর সেই কালে আমরা যারা তাঁকে জানতাম তাদের নির্দ্বিধায় বলা উচিত—তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি ছিলেন সবচেয়ে উত্তম, সবচেয়ে জ্ঞানী এবং সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ।’ পৃথিবীর এক শ্রেষ্ঠ দার্শনিক সম্পর্কে আরেক শ্রেষ্ঠ দার্শনিকের এই ছিল মূল্যায়ন; সক্রেটিস সম্পর্কে এর চাইতে খাঁটি কথা আর কী হতে পারে!

    সক্রেটিস: জীবন মৃত্যু দর্শন শীর্ষক এই গ্রন্থটিতে সক্রেটিসের বিচিত্র ও ন্যায়পরায়ণ জীবন ও কর্ম, তাঁর বিচার ও মৃত্যু ছাড়াও তাঁর দার্শনিকতাকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সক্রেটিস বোধ হয় ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে দর্শনের প্রথম শহীদ—তেমন প্রত্যয় তুলে ধরা এবং প্রতিষ্ঠা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এ গ্রন্থে। সিসেরো বলেন: ‘সক্রেটিস দর্শনকে মাটির পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন’, তথা তিনিই প্রথম নৈতিক দর্শনের সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীতে মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে, একত্রে বসবাস করবে, ততদিনই তার নৈতিক জীবন যাপনের প্রয়োজন থাকবে; সেই বিবেচনায় সক্রেটিসের দর্শনের প্রয়োজনীয়তাও শেষ হবে না।

    হালের গ্রন্থটিতে ক্ষুদ্র পরিসরে বাংলা ভাষায় সক্রেটিসের জীবন ও দর্শন নিয়ে কিছু তথ্য ও বক্তব্য উপস্থাপনের একটি বিনীত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

533
Home
Categories
Cart
Account