(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	পাঠক সমাবেশ

পাঠক সমাবেশ

পাঠক সমাবেশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

কাপ্তেন, গভীর সমুদ্রে চলো
কাপ্তেন, গভীর সমুদ্রে চলো
টোকন ঠাকুর
  • যে জার্নি, যে জীবনযাপন বাংলা কবিতার সঙ্গে টোকন ঠাকুরের, তা তিন দশক অতিক্রান্ত। প্রতিদিনের বদলে যাওয়া পরিপার্শ্বের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে কবিতার ভাষা-ভঙ্গি-অভিব্যক্তি। বদলে যাচ্ছে টোকন ঠাকুরের কবিতার ধরনও। স্বপ্ন দ্যাখেন তিনি, স্বপ্ন রচনা করেন কবিতার মধ্যে। মনে হয়, তিনি সেই জাহাজের মালিক, যিনি ফেরার পিপাসা নিয়ে হয়তো কোনো বন্দরে ভিড়তে চেয়েও কী এক দাঢ্যতায় ফের অর্ডার করেন, কাপ্তেন, গভীর সমুদ্রে চলো।

    গ্রন্থের কবিতাসকল পড়তে পড়তে আমরা বুঝতে চেষ্টা করব- কোন দিকে যাচ্ছেন টোকন ঠাকুর, বাংলা কবিতার পাঠককেই বা তিনি কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন?

250
ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো
ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো
জিয়া হায়দার রহমান
  • An investment banker approaching forty, his career collapsing and his marriage unraveling receives a surprise visitor at his West London townhouse. Confronting the disheveled figure of a South Asian male carrying a backpack, the banker recognizes a long-lost college friend, a mathematics prodigy who disappeared many years earlier under mysterious circumstances. The friend has resurfaced with a confession of unsettling power.

    Zia Haider Rahman takes us on a journey of exhilarating scope, ranging over Kabul, London, New York, Islamabad, Oxford, and Princeton and dealing with love, belonging, finance, science, and war. Its framework is an age-old story: the friendship of two men and the betrayal of one by the other, both of them desperate in their different ways to climb clear of their wrong beginnings. Set against the breaking of nations and beneath the clouds of economic recession, the novel chronicles the lives of people carrying unshakable legacies of class, culture, and faith as they struggle to tame their futures. 

    In the Light of What We Know is by turns tender, intimate, and panoramic, telescoping the great upheavals of our young century into the first novel of rare ambition and profundity.

995
প্লেটোর পত্রাবলি
প্লেটোর পত্রাবলি
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • সাধারণভাবে প্লেটোর যে তেরোটি পত্র থ্রাসিল্লাস-এর সূত্রে আত্মজীবনীকার দায়োজিনিজ লুক্রেশাস লিখিত প্লেটোর জীবনীতে উল্লেখিত হয়েছে, তা-ই এই পত্রগুচ্ছে স্থান পেয়েছে। সবগুলো পত্রই প্লেটোর জীবনের শেষ দুই দশকে লেখা। অধিকাংশ পত্রই, যেমন পত্র এক, দুই, তিন ও তেরো সাইরাকিউজের একনায়ক দাইয়ানিসিয়াসের উদ্দেশে লিখিত। প্লেটো সাইরাকিউজের এক আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন; একনায়কতন্ত্রী শাসনকে প্রজ্ঞার শাসনে, ‘সর্বোত্তমের’ শাসনে,‘দার্শনিক-রাজার’ শাসনে পরিবর্তিত করা যায় কি না, তার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। এই প্রচেষ্টায় তাঁর সহযোগী হয়েছিল প্লেটোর শিষ্য ও দাইয়ানিসিয়াসের শ্যালক দিয়ন। তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে প্লেটোর সবচেয়ে বিখ্যাত সপ্তম পত্রটি লিখিত হয়েছিল।

450
বাংলাদেশের করোনাকাল : সাংবাদিকের চোখে
বাংলাদেশের করোনাকাল : সাংবাদিকের চোখে
জান্নাতুল বাকেয়া কেকা
  • ১০০ বছর আগে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে সারা বিশ্বে কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ গবেষণা বলছে, ১৯১৮ সালের শরৎকালে রোগটি দ্বিতীয় ধাপে ছড়িয়ে পড়লে প্রথম ধাপের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ঠিক ১০০ বছর পর কোভিড-১৯ সংক্রমণে অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঐতিহাসিক মুহূর্ত পার করছে পুরো বিশ্ব। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণের উৎপত্তি হয়ে সেই ঢেউ কীভাবে বিশে^র দেশে দেশে ছড়িয়েছে, তার স্বরূপ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে ‘বাংলাদেশের করোনাকাল : সাংবাদিকের চোখে’ বইতে।

    অচেনা এক ভাইরাস ‘নভেল করোনা’ ‘কোভিড-১৯’ নামে বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশ্বের দেশে দেশে চলেছে ‘লকডাউন’ নামে ঘরবন্দি শ্বাসরুদ্ধকর এক জীবন! যা ক্রমেই মানুষের মনোদৈহিক স্থবিরতা ছাপিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে উন্নত রাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি। বৈশ্বিক মহামারিতে দীর্ঘ সময় উড়ান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এদেশের বিত্তশালীরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই প্রথম গরিবের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। করোনাকালে জীবন-মৃত্যুর দূরত্ব যখন এক সুতোরও কম, তখনো মানুষের লোভ-ক্ষমতা আর দুর্নীতির দাপট দেখেছেন দেশবাসী। সংক্রমণ ঠেকাতে যে পিপিই-মাস্ক-গ্লাভস বা সুরক্ষা পোশাক বাঁচাতে পারত একেকজন চিকিৎসকের প্রাণ, জোগান দিতে গিয়েও নকল ও নিম্নমানের পণ্য দিয়ে উল্টো চিকিৎসকদের প্রাণ সংহারের কারণ হয়েছে! তারও ইঙ্গিত আছে এই বইতে।

    করোনাকালের সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় ঘরবন্দি মানুষেরা জুম, স্টিমইয়ার্ড, হোয়াটসআপ, মেসেঞ্জারের মতো প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থেকেছেন। তরুণ-প্রবীণ সাংবাদিকরাও কীভাবে দ্রুত খাপখাইয়ে ভিন্ন পরিস্থিতিতেও ভূমিকা রেখেছেন, সেই ইতিবাচক ঘটনাও এসেছে বইটিতে। সর্বোপরি বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস ঘিরে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব : বৈশ্বিক রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কৌশলগত স্বার্র্থ কিংবা প্রকৃতির বিরূপ প্রতিশোধ কি না, তা-ও বিশ্লেষণের চেষ্টা আছে বইটিতে।

695
বিম্বিত কার্তিকডাঙায়
বিম্বিত কার্তিকডাঙায়
মোহাম্মদ তারেক
  • কবি মোহাম্মদ তারেক-এর কবিতা প্রকৃতির একান্তবর্তিতায় লালিত। জন্মস্মৃতিবিজড়িত গ্রাম, নদ-নদী, জল-মাটি, হাওয়া, ঋতুবৈচিত্র্য ইত্যাদি তাঁর কবিতায় বিস্তার করেছে কল্পনার ডালপালা। প্রকৃতির রহস্যময়তার মাঝে খুঁজেছেন জীবন, দর্শন। পাশাপাশি রয়েছে চিরায়ত মা ও সন্তানের অবয়ব। নরনারীর চিরন্তন প্রেম। কবি মোহম্মদ তারেক কবিতায় আঙ্গিক নিয়েও হয়েছেন নিরীক্ষাপ্রবণ। কথোপকথন, বর্ণনাত্মক ইত্যাদি আঙ্গিক ব্যবহৃত হয়েছে। কবিতায় তিনি প্রচুর আঞ্চলিক শব্দ প্রয়োগ করেছেন। কখনো তিনি বিভিন্ন শব্দ তৈরি করেছেন যা মনে হবে অপ্রচলিত। তাঁর কবিতার অন্তরে প্রবেশ করতে হলে পাঠককে খানিকটা নিবিষ্ট হতে হবে। বিম্বিত কার্তিকডাঙায় কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। মোহাম্মদ তারেককে কবিতার রহস্যময়, অন্তর্গত, শিল্পঋদ্ধ ও দুর্গম যাত্রাপথে স্বাগত। পাঠক কবিতাগুলো পাঠ করে এর গীতিময়তা, নিরীক্ষাধর্মী শব্দচয়ন, এবং নতুনত্বের স্বাদ উপভোগ করবেন।

400
আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-১
আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-১
আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙালির অভিমত :

    আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রন্থ পড়ে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি নতুন কথা বলে নয়, তাঁর মুক্তবুদ্ধি, সৎসাহস ও উদার চিন্তা প্রত্যক্ষ করে। —আহমদ শরীফ।

    আরজ আলী মাতুব্বরের জীবনের জিজ্ঞাসার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তা পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক যোগাতে সক্ষম। —অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান।

    আরজ আলী মাতুব্বর প্রথম ও নির্মম যে অন্ধকার সুচিরকাল ধরে স্থায়ী হয়ে আছে এই বাংলাদেশে, তার কথাই বলেছেন তাঁর বইতে। বর্ণনা করে নয়, প্রশ্ন করে। —সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

    আরজ আলী মাতুব্বর শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের অহঙ্কার ও আত্মতৃপ্তিকে শক্ত হাতে নাড়িয়ে দিয়েছেন। — হাসনাত আবদুল হাই।

350
আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-২
আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-২
আরজ আলী মাতুব্বর
  • স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত সমগ্র রচনা নিয়ে তিন খণ্ডে বিভক্ত রচনাবলির প্রথম খণ্ড এই বই।

    আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙালির অভিমত: .

    আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রন্থ পড়ে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি নতুন কথা বলে নয়, তার মুক্তবুদ্ধি, সৎসাহস ও উদার চিন্তা প্রত্যক্ষ করে। —আহমদ শরীফ ...

    আরজ আলী মাতুব্বর জীবনের জিজ্ঞাসার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তা পাঠকের মনে চিন্তার খােরাক জোগাতে সক্ষম। —অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান। ...

    আরজ আলী মাতুব্বর প্রথম ও নির্মম যে। অন্ধকার সুচিরকাল ধরে স্থায়ী হয়ে আছে এই বাংলাদেশে, তার কথাই বলেছেন তার। বইতে। বর্ণনা করে নয়, প্রশ্ন করে। —সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

    আরজ আলী মাতুব্বর শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের অহঙ্কার ও আত্মতৃপ্তিকে শক্ত হাতে নাড়িয়ে দিয়েছেন। — হাসনাত আবদুল হাই

350
আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-১,২,৩
আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-১,২,৩
আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙালির অভিমত :

    আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রন্থ পড়ে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি নতুন কথা বলে নয়, তাঁর মুক্তবুদ্ধি, সৎসাহস ও উদার চিন্তা প্রত্যক্ষ করে।

    …..আহমদ শরীফ।

    আরজ আলী মাতুব্বরের জীবনের জিজ্ঞাসার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তা পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক যোগাতে সক্ষম।

    …..অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান।

    আরজ আলী মাতুব্বর প্রথম ও নির্মম যে অন্ধকার সুচিরকাল ধরে স্থায়ী হয়ে আছে এই বাংলাদেশে, তার কথাই বলেছেন তাঁর বইতে। বর্ণনা করে নয়, প্রশ্ন করে।

    ….সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

    আরজ আলী মাতুব্বর শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের অহঙ্কার ও আত্মতৃপ্তিকে শক্ত হাতে নাড়িয়ে দিয়েছেন।

    ….হাসনাত আবদুল হাই।

895
শহীদুল জহির উপন্যাসসমগ্র
শহীদুল জহির উপন্যাসসমগ্র
মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ
  • অনেকে বলতে চান, জাদুবাস্তবতার রচনাভঙ্গি গ্রহণ করে স্বতন্ত্রভাবে লেখক হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার মানসেই তিনি লেখক-নাম শহীদুল হক থেকে শহীদুল জহিরে বদল করেছিলেন। উত্তর-আধুনিক প্রগতিবাদী লেখক হিসেবেও শহীদুল জহিরকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। শহীদুল জহির তাঁর রচিত সাহিত্যে ভাষা ব্যবহারে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করেছেন, হয়তো সফলও হয়েছেন। সাধারণভাবে বলা যায়, তিনি নিম্নবর্গের মানুষের মুখের অকৃত্রিম ভাষাকে পুঁজি হিসেবে নিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যজগতের ব্যতিক্রমী স্রষ্টা শহীদুল জহির অকালপ্রয়াত। বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে সৃজনশীল সাহিত্য অঙ্গনে তাঁর আগমন ঘটেছিল। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর সাহিত্য-সৃষ্টি আমৃত্যু (২০০৮) বহমান ছিল। তাঁর সৃষ্টির পরিমাণগত দিক খুব বেশি না হলেও গুণগত দিক অসাধারণ। অসাধারণত্বের বিষয়টি নানা দিক থেকে মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ঘটনার বহুরৈখিক বর্ণনা, বুননশৈলী, শেকড়স্পর্শী অনুসন্ধান, প্রতিটি বিষয় সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে উপলব্ধিপূর্বক তা সুসংগঠিত করা, পূর্ণাঙ্গতা—এ সবই তাঁর সৃষ্টিকে বিশিষ্ট করে তুলেছে।
    অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, সংরক্ষণ এবং সংগ্রহের অভাবে অনেক সৃজনশীল সাহিত্যকর্ম কালের অতল গহবরে তলিয়ে যায়। এ বিষয়টি অনুধাবন করে শহীদুল জহির স্মৃতি পরিষদ ও পাঠক সমাবেশ যৌথভাবে শহীদুল জহির সমগ্র প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
    ২০১৩ সালে প্রকাশিত শহীদুল জহির সমগ্রটি অপ্রত্যাশিত পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে এবং সংস্করণটি দ্রুতই নিঃশেষ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে শহীদুল জহিরের বেশ কিছু অগ্রন্থিত অপ্রকাশিত গল্প, উপন্যাস ও অন্যান্য লেখার সন্ধান পাওয়া যায়। পরে প্রাপ্ত এই লেখাগুলি একটি অখণ্ড ‘সমগ্র’র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে অতিরিক্ত ভারী হয়ে যায়। তাছাড়া, সকল পাঠক উপন্যাস ও গল্প—দুটি বিষয় একত্রে সংগ্রহ করতে না-ও চাইতে পারেন। এই বিবেচনায় পাঠকের পছন্দ, ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে কেনার সুবিধার্থে নতুন সংযোজনসহ শহীদুল জহির রচনা সমগ্র তিনটি পৃথক খণ্ডে, যথা—শহীদুল জহির উপন্যাস সমগ্র, শহীদুল জহির গল্প সমগ্র এবং অপ্রকাশিত অগ্রন্থিত শহীদুল জহির প্রকাশ করা হলো।

695
শহীদুল জহির গল্পসমগ্র
শহীদুল জহির গল্পসমগ্র
শহীদুল জহির
  • অনেকে বলতে চান, জাদুবাস্তবতার রচনাভঙ্গি গ্রহণ করে স্বতন্ত্রভাবে লেখক হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার মানসেই তিনি লেখক-নাম শহীদুল হক থেকে শহীদুল জহিরে বদল করেছিলেন। উত্তর-আধুনিক প্রগতিবাদী লেখক হিসেবেও শহীদুল জহিরকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। শহীদুল জহির তাঁর রচিত সাহিত্যে ভাষা ব্যবহারে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করেছেন, হয়তো সফলও হয়েছেন। সাধারণভাবে বলা যায়, তিনি নিম্নবর্গের মানুষের মুখের অকৃত্রিম ভাষাকে পুঁজি হিসেবে নিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যজগতের ব্যতিক্রমী স্রষ্টা শহীদুল জহির অকালপ্রয়াত। বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে সৃজনশীল সাহিত্য অঙ্গনে তাঁর আগমন ঘটেছিল। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর সাহিত্য-সৃষ্টি আমৃত্যু (২০০৮) বহমান ছিল। তাঁর সৃষ্টির পরিমাণগত দিক খুব বেশি না হলেও গুণগত দিক অসাধারণ। অসাধারণত্বের বিষয়টি নানা দিক থেকে মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ঘটনার বহুরৈখিক বর্ণনা, বুননশৈলী, শেকড়স্পর্শী অনুসন্ধান, প্রতিটি বিষয় সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে উপলব্ধিপূর্বক তা সুসংগঠিত করা, পূর্ণাঙ্গতা—এ সবই তাঁর সৃষ্টিকে বিশিষ্ট করে তুলেছে।
    অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, সংরক্ষণ এবং সংগ্রহের অভাবে অনেক সৃজনশীল সাহিত্যকর্ম কালের অতল গহবরে তলিয়ে যায়। এ বিষয়টি অনুধাবন করে শহীদুল জহির স্মৃতি পরিষদ ও পাঠক সমাবেশ যৌথভাবে শহীদুল জহির সমগ্র প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
    ২০১৩ সালে প্রকাশিত শহীদুল জহির সমগ্রটি অপ্রত্যাশিত পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে এবং সংস্করণটি দ্রুতই নিঃশেষ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে শহীদুল জহিরের বেশ কিছু অগ্রন্থিত অপ্রকাশিত গল্প, উপন্যাস ও অন্যান্য লেখার সন্ধান পাওয়া যায়। পরে প্রাপ্ত এই লেখাগুলি একটি অখণ্ড ‘সমগ্র’র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে অতিরিক্ত ভারী হয়ে যায়। তাছাড়া, সকল পাঠক উপন্যাস ও গল্প—দুটি বিষয় একত্রে সংগ্রহ করতে না-ও চাইতে পারেন। এই বিবেচনায় পাঠকের পছন্দ, ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে কেনার সুবিধার্থে নতুন সংযোজনসহ শহীদুল জহির রচনা সমগ্র তিনটি পৃথক খণ্ডে, যথা—শহীদুল জহির উপন্যাস সমগ্র, শহীদুল জহির গল্প সমগ্র এবং অপ্রকাশিত অগ্রন্থিত শহীদুল জহির প্রকাশ করা হলো।

695
শাহাদুজ্জামানের গল্প, অগল্প, না-গল্প সংগ্রহ
শাহাদুজ্জামানের গল্প, অগল্প, না-গল্প সংগ্রহ
শাহাদুজ্জামান
  • লোকায়ত গল্প-বয়ানের অকৃত্রিম ঢঙের সঙ্গে আধুনিক গল্প বিশ্বের আঙ্গিকগত নানা নিরীক্ষার টুকরো মিলিয়ে শাহাদুজ্জামান তৈরি করেছেন তাঁর নিজস্ব গল্পপদ। কোনো কোনো লেখাকে অবশ্য প্রচলিত অর্থে গল্প বলা দুষ্কর। সেখানে বরং গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ এদের পরস্পরের দেয়াল ভেঙে মিলিত হয়েছে। এই বইয়ের মাধ্যমে নতুন পাটক যেমন শক্তিমান কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখার সঙ্গে পরিচিত হবেন, তেমনি পুরোনো পাঠক পাবেন দুই মলাটের ভেতর তাঁর এযাবৎ প্রকাশিত সব কটি গল্প।

595
লালনসমগ্র
লালনসমগ্র
ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী
  • লালন সাঁই (১৭৭৪-১৮৯০) লৌকিক বাংলার প্রধান সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি বাউলসাধনার শ্রেষ্ঠ ভাষ্যকারও তিনি। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ও শাস্ত্রকে অগ্রাহ্য-অস্বীকার করে তিনি যে মরমি ভুবন নির্মাণ করেছেন, তা মানবিক চেতনা ও বোধে ঋদ্ধ। এই বহুমাত্রিক লোকব্যক্তিত্ব ছিলেন সমাজমনস্ক সমকালীন সামাজিক সমস্যা তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। তাই জাতপাত, সম্প্রদায়বিদ্বেষ ও প্রথা-সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন গানের ভেতর দিয়ে জানিয়েছেন প্রতিবাদ। মরমি ভাবসাধনার এই স্বশিক্ষিত চারণকবির শিল্পচেতনা ও কবিত্বশক্তি বিস্ময়কর। ভাব-ভাষা-ছন্দ-অলংকারে তাঁর গান অসামান্য শিল্পসিদ্ধি অর্জন করেছিল বলেই রবীন্দ্রনাথের মতো মানুষকেও তা স্পর্শ ও প্রাণিত করেছিল। লালনের কৃতিত্ব এই যে, নিম্নবর্গের একটি অবজ্ঞাত লৌকিক ধর্মসম্প্রদায়ের সাধনসংগীতকে তিনি সংগীতসাহিত্যের মর্যাদা দিয়েছেন। লালনের গান তাই আজ বাঙালির গৌরবময় সাংস্কৃতিক সম্পদ। লালনের বাণী কেবল বাংলাভাষী মানুষের ভেতরেই আজ আর সীমাবদ্ধ নেই, সে গানের সুর ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দেশেও। বিশ্ব-নাগরিক লালন আজ শান্তি-সাম্য-সম্প্রীতি-কল্যাণ-মানবতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ১৮৮৫ থেকে লালনের গান সংগৃহীত ও প্রকাশিত হয়ে এলেও, লালনের গানের নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য সংকলনের অভাব পূরণ হয়নি। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে লালনসমগ্র নামে লালনের যথাসম্ভব বিশুদ্ধ ও প্রামাণ্য একটি সংকলন প্রস্তুত করেছেন লালন-বিশেষজ্ঞ ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী।

1495
কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর
কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর
শেখ হাসিনা (সম্পাদক) , কামাল চৌধুরী (সম্পাদক) , অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (সম্পাদক)
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত সরকার অনুমোদিত স্মরণিকা ‘কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর’ / ‘Voice of Millions’.বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার বাবা-কে নিয়ে লেখা কবিতা দিয়ে গ্রন্থটির শুর করা হয়েছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সচিত্র সংক্ষিপ্ত জীবনী, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের এবং দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিচারণা, বঙ্গবন্ধুর স্মরনীয় বানী, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশিষ্টজনদের স্মরনীয় উক্তি, ঐতিহাসিক ৬-দফা, ৭ই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯ তম অধিবেশনে বাংলায় প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধুর লিখিত গ্রন্থসমূহের পরিচিতির উপস্থাপনার সংকলিত হয়েছে। জাতির পিতার দেশপ্রেম এবং অসাধারণ নেতৃত্বের গুনাবলী সম্বলিত এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির নির্মোহ ইতিহাস সমৃদ্ধ এ গ্রন্থটি।

995
শাহাদুজ্জামান রচনা সংগ্রহ - ২ (বড়োগল্প)
শাহাদুজ্জামান রচনা সংগ্রহ - ২ (বড়োগল্প)
শাহাদুজ্জামান
  • শাহাদুজ্জামান বাংলা মননশীল কথাসাহিত্যের অন্যতম লেখক। আধুনিক গল্পবিশ্বের নিরীক্ষা এবং বাংলার লোকগল্পের সারল্য মিলিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন তাঁর নিজস্ব গল্পভুবন। শাহাদুজ্জামান রচনাসংগ্রহ ১এ- এযাবৎ প্রকাশিত তাঁর সবকটি গল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

365
কথা পরম্পরা : গৃহীত এবং ভাষান্তরিত সাক্ষাৎকার
কথা পরম্পরা : গৃহীত এবং ভাষান্তরিত সাক্ষাৎকার
শাহাদুজ্জামান
  • বছর দশেক আগে কথা পরম্পরা প্রথম প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে এই স্বতন্ত্র ধারার বইটি মননশীল পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। কথা সাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান তার গৃহীত এবং ভাষান্তরিত সাক্ষাৎকারগুলো সংকলিত করেছেন এই বইটিতে। নানা ক্ষেত্রের বরেন্য ব্যাক্তিত্বদের সঙ্গে গভীর অনুসন্ধানী আলাপচারিতার মাধ্যমে শাহাদুজ্জামান এ দেশে সাক্ষাৎকারের একটি স্বতন্ত্র ধারার সুচনা করেন। সেই সঙ্গে তার শক্তিমান গদ্যে বিশ্ববরেন্য ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের অনুবাদ, বাঙ্গালী পাঠকদের কাছে তুলে ধরে শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতির বহু খ্যাতিমান মানুষের অন্তর্জগত। তাঁর গৃহীত এবং ভাষান্তরিত সাক্ষাৎকারগুলো বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে নানা বই এবং পত্রিকায় বহুবার পুনর্মুদ্রিত হয়। বইটির প্রথম মুদ্রন নিঃশেষ হয়ে যায় দ্রুত। পাঠকদের মধ্যে প্রচুর চাহিদা থাকা সত্বেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে ‘কথা পরম্পরা’র দ্বিতীয় সংস্করণ হতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেল । তবু নতুন কলেবরে বইটি অবশেষে পাঠকদের কাছে উপস্থিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। মননশীল পাঠকদের জন্য ‘কথা পরম্পরা’ একটি অবশ্য পাঠ্য বই বলে আমরা বিবেচনা করি।

450
পৃথিবী এলোমেলো সকালবেলায়
পৃথিবী এলোমেলো সকালবেলায়
মাসরুর আরেফিন
  • পড়ো এই চিঠি এবং লণ্ডভণ্ড পৃথিবীর তবে অর্থ উদ্ধার করো,
    যদি বুটপালিশের স্বাদ জিভ থেকে সরাতেই চাও
    তো দুধের থেকেও বেশি গাঢ় অন্য কিছু সন্ধান করো—যাও।
    এটাও বিশ্বাস করো, ওইটাও করো, এই তো চেহারা!
    আর জীবনে যা যা যা যা করেছ খোকা তুমি,
    তার দাম দিতে হবে না, বলো?

250
ফ্রানৎস কাফকা : ধেয়ান
ফ্রানৎস কাফকা : ধেয়ান
ফ্রানৎস কাফকা , মাসরুর আরেফিন
  • ফ্রানৎস কাফকা বিংশ শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক। এ পর্যন্ত নােবেল বিজয়ী ১০৯ জন লেখকের মধ্যে ৩২ জনই তাঁদের লেখায় কাফকার সরাসরি প্রভাব আছে বলে স্বীকার করেছেন। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পরে আর কোনাে লেখককে নিয়ে এতটা লেখালেখি বা গবেষণা হয়নি, যা হয়েছে কাফকাকে নিয়ে। গত শতকের মধ্য-নব্বইয়ের আগেই, মৃত্যুর সত্তর বছরের মধ্যে, তাঁকে নিয়ে লেখা হয়ে গেছে ১০ হাজার বই; আর ১৯৯৬ থেকে ২০১০-এর ভেতরে প্রতি ১০ দিনে তার ওপর বের হয়েছে একটি করে নতুন গবেষণা-গ্রন্থ।
    অনুবাদকের দীর্ঘ বাইশ বছরের ব্যক্তিগত কাফকা-গবেষণার পরে দুই খণ্ডে ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র বাংলায় বেরােনাের পাশাপাশি আলাদাভাবে বের হলাে কাফকার জীবদ্দশায় প্রকাশিত বইগুলাে – একই রকম ভূমিকা, টীকা ও দীর্ঘ পাঠ-পর্যালােচনাসহ।
    কাফকা-সাহিত্যের ‘নিয়তি বা সম্ভবত এই লেখাগুলাের মহত্ত্ব এটাই যে এগুলাে তুলে ধরে সবকিছুই, কিন্তু নিশ্চিত করে না কিছুই।
    – আলব্যের কাম

250
ভাষান্তরসমগ্র : ভাষান্তরিত গল্প, প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার
ভাষান্তরসমগ্র : ভাষান্তরিত গল্প, প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার
শাহাদুজ্জামান
  • কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখালেখির শুরু আশির দশকের মাঝামাঝি অনুবাদের মাধ্যমে।পরবর্তীকালে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ কথাসাহিত্যের নানা শাখায় মৌলিক রচনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজি লেখা বাংলায় ভাষান্তর অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ভাষান্তরিত লেখাগুলোতেও রয়েছে শাহাদুজ্জামানের নিজস্ব রচনাশৈলীর স¦fক্ষর। তাঁর ভাষান্তরিত প্রবন্ধগুলো সংকলিত হয়েছে ‘ ভাবনা ভাষান্তর’, গল্পগুলো ‘ক্যাঙ্গারু দেখার শ্রেষ্ঠ দিন’এবং বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকারগুলো ‘ কথা পরম্পরা’ বইয়ে। এছাড়া তাঁর অগ্রন্থিত বিভিন্ন ভাষান্তরিত রচনাও রয়েছে। ‘ ভাষান্তরসমগ্র’শাহাদুজ্জামানের এ যাবৎ ভাষান্তরিত সকল গ্রন্থিত, অগ্রন্থিত রচনার সংকলন।এ বই বিশ্বসাহিত্য, রাজনীতিসহ, আন্তর্জাতিক ভাবনাজগতের এক বিস্তৃত প্রেক্ষাপটের মুখোমুখি করবে পাঠকপাঠিকাকে।

1295
আমিই আমার কাউন্সেলর
আমিই আমার কাউন্সেলর
হুরে জান্নাত শিখা
  • আমাদের সকলের জীবনেই কোনো না কোনো মানসিক সংকট থাকে। কোনোটি ব্যক্তিগত, কোনোটি আবার পারিপার্শ্বিকতা থেকে সৃষ্ট। বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, ক্রোধ, গ্লানি এবং আরও নানা আবেগীয় আচরণ এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সংকটগুলো প্রকাশিত হয়। এগুলো আমাদের সুখী হবার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, দুঃখ ভারাক্রান্ত করে রাখে। কিন্তু মানসিক সংকট থেকে নিজেকে বের করে আনার প্রক্রিয়াটি ব্যক্তির নিজের কাছেই। প্রয়োজন একটি সুস্থ জীবন পাবার মানসিক প্রস্তুতি, জ্ঞানীয় জগতের পুনর্গঠন (cognitive reconstruction) এবং আচরণ পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট অনুশীলন। আমিই আমার কাউন্সেলর নিজেকে ভাল রাখার এবং সমষ্টিক জীবনের সাথে উপযোজন করে চলার একটি পরীক্ষিত, নিয়মতান্ত্রিক ও যৌক্তিক পদ্ধতিনির্ভর গ্রন্থ। অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিন্তু নিজেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমাদের আছে–আমি আমার কাউন্সেলর এ মৌলিক মনস্তাত্ত্বিক নীতিকে ধারণ করে।

550
দ্য নর্থ এন্ড
দ্য নর্থ এন্ড
বর্ণালী সাহা
  • দ্যা নর্থ এন্ড উপন্যাসের পটভূমিতে রয়েছেন প্রাক্তন স্কুলশিক্ষিকা রোজম্যারি ইম্যাকুলেট-যাঁকে কেউ-না-কেউ প্রায় প্রতিদিনই ফোন করত। বলত ইয়েমেনের স্কুলে বাচ্চাদের ওপর শিলাবৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণের গল্প, বলত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশার কথা। কী করবেন রোজম্যারি? কতজন মানুষের দুঃখ লাঘব করবেন? মর্নিংওয়াকে গিয়ে একদিন ব্রিস্টলের ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে তিনি লাফিয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময়েই রোজম্যারির ফটোগ্রাফার-নাতি কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থীদের ছবি তোলায় ব্যস্ত। এক বিবাহিত বাঙালি উন্নয়নকর্মীর সঙ্গে তার প্রেমের পরিণাম চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে কোপেনহেগেন পর্যন্ত একটা বক্ররেখায় সঞ্চারিত হয়। এই যুগল শুধু পালাতে চায়। ওরা উন্নয়ন চায় না, ত্রাণের রাজনীতি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি চায় না, চায় না উত্তর ঢাকার উত্তরোত্তর বর্ধমান বিত্তের ভাগ-কিন্তু না-চাইলেও এর অংশভাক না-হয়ে ওদের উপায় কী?

295
বুধ গ্রহে চাঁদ উঠেছে
বুধ গ্রহে চাঁদ উঠেছে
কিযী তাহনিন
  • বুধ গ্রহে চাঁদ উঠেছে’র দশটি গল্প। গল্পের ফাঁকে গল্প। চরিত্রের ওপারে অন্য চরিত্র। তারা সবাই তাদের মতন। নিজস্ব। প্রতিটি চরিত্রের দেখবার পৃথিবী আলাদা। কেউ তোলে সুর, কেউ জানে ভাষা, কেউ বাঁচে অনুরণনে। মানুষেরা শুধু চরিত্র হয়ে ওঠেনি গল্পগুলোতে। নিসর্গ স্থান করে নিয়েছে গল্পের ভাঁজে ভাঁজে। তাই বিন্যাকুড়ির তোতামিয়া, লাল সুতা বাঁধা টিয়া পাখি, হলুদ লাল ছোপের ফিতা সাপ, ব্রহ্মপুত্র কিংবা রূপসা, বিলম্বি গাছ এমনকি নানা রঙের মুখোশও হয়ে ওঠে চরিত্র।
    নানা ঢঙের চরিত্রেরা মিলে যায় এক সূত্রে এসে–অপেক্ষা। তারা সবাই অপেক্ষায় আছে।

290
ইচ্ছের মানচিত্র
ইচ্ছের মানচিত্র
কিযী তাহনিন
  • কিযী তাহনিনের জন্ম ১৩ জানুয়ারি, ঢাকায়। বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া এক সৃজনশীল পরিবারে। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। মা গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. জোবায়দা আখতার এবং বাবা বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খ. ম. হারুন। বাবা-মায়ের পরিচর্যায় খুব ছোটবেলা থেকে তাঁর সৃজনশীল চর্চার প্রতি আগ্রহ জন্মে। লেখালিখি শুরু হয় ইত্তেফাকের শিশুপাতায় কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। সেই সৃজনশীল লেখার অধ্যবসায় এবং চর্চা তিনি চালিয়ে যেতে চান। তাঁর লেখা গল্প এবং কলাম প্রকাশিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্বনামখ্যাত পত্রিকা যেমন—সমকাল, বণিক বার্তা, সারাবাংলা, বিডিনিউজ ২৪, আমাদের অর্থনীতির সাহিত্য পাতায়।
    কিযী ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটি থেকে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটি বিষয়ে আরেকটি মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
    বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে অবস্থিত জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থায় কর্মরত আছেন।
    ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড কিযী তাহনিনের কর্মজীবন এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে তাঁর প্রচেষ্টা ও সফল ভূমিকা নিয়ে স্টোরি অব মাই লাইফ নামে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়।
    ইচ্ছের মানচিত্র কিযী তাহনিনের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।

290
শেখ হাসিনা নির্বাচিত উক্তি
শেখ হাসিনা নির্বাচিত উক্তি
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া
  • বই দুটির সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। ইংরেজি বইটিতে ১১৫টি বিষয়ে শেখ হাসিনার উক্তি; বাংলা বইটিতে ১০০টি বিষয়ে তাঁর উক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    এসবের মধ্যে কয়েকটি বিষয় হলো: বঙ্গবন্ধু, আত্মশক্তি, উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র, তরুণ প্রজন্ম, ত্যাগ, দেশপ্রেম, নারী, ন্যায়নীতি, ন্যায়বিচার, পাবলিক সার্ভেন্ট, বৈশ্বিক সহযোগিতা, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, রাজনীতি, শান্তি, সুশাসন, স¦নির্ভরতা। Bangabandhu, Bangladesh, Democracy, Development, Economy, Empowerment , Global Cooperation,  Human Rights, Humanity, Justice, Morality, Mother Earth, Patriotism, Peace, Politics, Public Servant, Truth, Women, World Vision, Youth

695
অত্যাচারিতের শিক্ষা
অত্যাচারিতের শিক্ষা
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • অত্যাচারিতের শিক্ষা শুধুমাত্র চিন্তাভাবনা আর লেখাপড়ার ফসল নয়। এর শেকড় বাস্তব অবস্থার গভীরে প্রোথিত। শিক্ষামূলক কার্যক্রমে যে-সব শ্রমিক (কৃষক ও শহুরে শ্রমিক) ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজনকে আমি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে এই বইটিতে। প্রাথমিকভাবে এই বইটিতে যে সকল বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোকে ভবিষ্যতে আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার আশা রাখছি। পরবর্তী সময়ে হয়ত-বা কিছু কিছু বক্তব্য পরিমার্জন করতে হতে পারে, কিছু কিছু বক্তব্য হয়ত-বা আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’

    এই বই কিছু পাঠকের কাছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। কেউ কেউ হয়ত মানবমুক্তির ধ্যানধারণার ক্ষেত্রে আমাকে পুরোপুরি ভাববাদী ঠাওরাবেন। কিছু বিষয়―যেমন, তত্ত্ববিদ্যা, প্রেম, সংলাপ, আশা, বিনয় এবং সহানুভূতি সম্পর্কিত আলোচনা হাস্যকর প্রতিক্রিয়াশীল বিষয় হিসেবেও প্রতিভাত হতে পারে। কেউ কেউ আছেন যাঁরা অন্যায়-অবিচার হতে সুবিধা ভোগ করেন; তাঁরা হয়ত-বা এই অগ্রাহ্যতাকে মেনে নেবেন না, বা নিতে চাইবেন না। তাই এই প্রাথমিক লিখাটি তাঁদেরই উদ্দেশ্যে যাঁরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আমূল সংস্কারের পক্ষপাতী। আমি নিশ্চিত যে, মার্ক্সবাদী ও খ্রিস্টানগণ পুরোপুরি বা অংশত আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করলেও পুরো বইটিই পড়বেন। আবার, যে-পাঠক বদ্ধমূল ধারণার বশবর্তী হয়ে একটি ‘অযৌক্তিক’ অবস্থানে নিজেকে ধরে রাখতে চান তাঁকেও এই বই একটি সংলাপে প্রবৃত্ত করবে বলে আশা করছি।

450
বঙ্গবন্ধু মানিক মিয়া সম্পর্ক
বঙ্গবন্ধু মানিক মিয়া সম্পর্ক
ড. সুনীল কান্তি দে
  • অবিভক্ত বাংলায় কলকাতায় ছাত্র-রাজনীতির সময় থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সম্পর্ক। সেই থেকে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট, ৬২-এর ছাত্র আন্দোলন ও সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান প্রভৃতি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকেছেন মানিক মিয়া। মানিক মিয়ার মৃত্যুর (১ জুন ১৯৬৯) আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে
    সেই সম্পর্ক অটুট ছিল। উভয়ে মিলে প্রথমে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক, পরে দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশ, আন্দোলন-সংগ্রামে রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরামর্শ, উভয়ের মধ্যে পত্র যোগাযোগ, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে মানিক মিয়ার দৈনিক ইত্তেফাক তথা মোসাফির এর রাজনৈতিক কলাম ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ এর ভূমিকা প্রভৃতি আলোচিত হয়েছে এ গ্রন্থে।

295
একজন আরজ আলী
একজন আরজ আলী
হাসনাত আবদুল হাই
  • হাসনাত আবদুল হাইয়ের প্রেরণা মানুষের শক্তি মানুষের ক্ষমতা ও মানুষের সাহস। প্রতিভাবান, শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব নিয়ে উপন্যাস লেখার উদ্যোগ হাসনাত আগেও নিয়েছেন এবং তাদের আবগে ও প্রেরণা, স্বভাব, ভাবনা এবং ক্ষোভ ও বৈশিষ্ট্যচিহ্নিত করার জন্য উপন্যাসরে প্রচলিত রীতির বাইরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে হাসনাত আলাপ করেন, দিনের পর দিন তাদের কথা শোনেন। তিনি নিজেও কথা বলেন, কেবল প্রশ্ন করা নয়, মতামত দেন, মন্তব্য করেন এবং এইসব সংলাপেই পাঠক আরজ আলীর সংশয়, তাঁর বিদ্যাচর্চা, সংকট, তাঁর লাখো লাখো ছাপা, বই প্রকাশ, বইয়ের প্রচার প্রভৃতি বিষয়ে জানতে নায়ককে চিনতে পারেন। বলতে গেলে এইসব সংলাপের বিন্যাসেই গড়ে ওঠে উপন্যাস। -আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

250
ফ্রানৎস কাফকা : পুত্রেরা
ফ্রানৎস কাফকা : পুত্রেরা
মাসরুর আরেফিন
  • গত শতকের মধ্য-নব্বইয়ের আগেই, মৃত্যুর সত্তর বছরের মধ্যে তাঁকে নিয়ে লেখা হয়ে গেছে ১০ হাজার বই, আর ১৯৯৬ থেকে ২০১০-এর ভেতরে প্রতি ১০ দিনে তাঁর ওপর বের হয়েছে একটি করে নতুন গবেষণা-গ্রন্থ। অনুবাদকের দীর্ঘ বাইশ বছরের ব্যক্তিগত কাফকা-গবেষণার পরে দুই খণ্ডে ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র বাংলায় বেরোনোর পাশাপাশি আলাদাভাবে বের হলো কাফকার জীবদ্দশায় প্রকাশিত বইগুলো একই রকম ভূমিকা, টীকা ও দীর্ঘ পাঠ-পর্যালোচনাসহ কাফকা-সাহিত্যের ‘নিয়তি বা সম্ভবত এই লেখাগুলোর মহত্ত্ব এটাই যে এগুলো তুলে ধরে সবকিছুই, কিন্তু নিশ্চিত করে না কিছুই।’–আলব্যের কাম্যু ‘আমি যখন কলেজে ভর্তি হই … এক রাতে এক বন্ধু আমাকে ফ্রানৎস কাফকার ছোটগল্পের একটা বই ধার দেয়। … সে রাতেই কাফকার ‘রূপান্তর’ গল্পটা পড়া শুরু করি। প্রথম লাইন পড়ামাত্র আমার প্রায় বিছানা থেকে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। … এভাবে যে কেউ লিখতে পারে তা-ই তো আমার জানা ছিল না; যদি জানতাম, তাহলে নিশ্চিত আরো কত আগেই লেখালেখি শুরু করতাম। তার পরই, দেরি না করেই, আমি ছোটগল্প লেখা শুরু করলাম। … ওই-ই শুরু।’

    — গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস

450
জীবনানন্দ পত্রাবলি
জীবনানন্দ পত্রাবলি
ফয়জুল লতিফ চৌধুরী
  • আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ কবি জীবনানন্দ দাশ। মুখোমুখি সাক্ষাৎ এবং কথোপকথনের চেয়ে চিঠিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন নির্জনতাপ্রিয় এই কবি। নিয়মিতই চিঠিপত্র লিখেছেন। পরিতাপের বিষয়, তাঁর অনেক অনেক চিঠি আমাদের হাতে পৌঁছল না, অপুনরুদ্ধারণীয়ভাবে হারিয়ে গেল কালের গর্ভে।

    জীবনানন্দ নিয়মিত চিঠি লিখতেন, যত্ন নিয়ে। তাঁর লেখার খাতা খুলে পাওয়া যাচ্ছে অনেক চিঠির খসড়া, অনেক ক্ষেত্রে চিঠি ডাক করার আগে সেটির অনুলিপি করেছেন।

    তাঁর চিঠিগুলোতে একজন আত্মবিশ্বাসী, সৌজন্যসুন্দর এবং অকপট ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়, যিনি মানবিক সম্পর্কের ব্যাপারে আন্তরিক, যাঁর পরিমিতিবোধ অগাধ, যাঁর বিনয় প্রশস্ত ও অবিচল। একই সঙ্গে আত্মমর্যাদা সচেতন। ব্যক্তিমানসের বিশ্বস্ত ছবি ফুটে উঠেছে চিঠির পঙক্তিতে পঙক্তিতে। যথাযথ ও নির্ভুলভাবে কবিতা মুদ্রণ নিয়ে অবিরাম দুশ্চিন্তা, বেকারত্ব ও সীমাহীন আর্থিক দুরবস্থা, চাকরির জন্য অসহায় প্রচেষ্টা, ব্যক্তিজীবনের নিঃসঙ্গতা, অন্যের কীর্তি ও প্রতিভার প্রতি ঈর্ষাহীন শ্রদ্ধা, গুরুজনদের ব্যাপারে দায়িত্ববোধ ইত্যাদি নানাবিধ জীবনানন্দীয় বৈশিষ্ট্যের অভিজ্ঞান এই চিঠিগুলো।

    বেশ কয়েকটি চিঠি তাঁর সাহিত্যবিষয়ক মতাদর্শ ও ধ্যানধারণার অকৃত্রিম স্বাক্ষর বহন করে আছে। সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “চিঠিপত্রে অত্যন্ত অন্তরঙ্গ কবি ছিলেন তিনি। তাঁর চিঠি পেলে মনে হতো, সব সময় তিনি কবিতার কথা ভাবেন। এমন তো কেউ ভাবেন না, রবীন্দ্রনাথেরও অন্যান্য ভাবনা আছে। কিন্তু কবিতার দুর্ভাবনা ছাড়া কি এই ব্যক্তিটির ভাবনার মতো আর কিছু নেই?”

695
প্লেটো : সিম্পোজিয়াম
প্লেটো : সিম্পোজিয়াম
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • সিম্পোজিয়াম (ইংরেজিতে সিম্পোজিয়াম; গ্রিকে সিম্পোজিয়ন)। যদি প্লেটোর একাধিক শ্রেষ্ঠ রচনার কথা বলা হয় তবে সাধারণত রিপাবলিক ও সিম্পোজিয়াম-এর নাম করা হয়; কখনো কখনো এমন বলা হয় যে, উৎকর্ষে সিম্পোজিয়াম অতিক্রম করে যায় রিপাবলিক-কেও। এক পানাসরে প্রদত্ত প্রেমসম্পর্কিত বক্তৃতার সংকলন হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে এই সংলাপটিকে। এতে মোট সাতটি বক্তৃতা স্থান পেয়েছে এবং সেই আসরে সক্রেটিসের প্রদত্ত বক্তব্যে প্রেমের ঐশ্বরিক প্রকৃতির কথা শুনতে পাই আমরা। অন্য বক্তাগণের মধ্যে সক্রেটিসের যুবক বন্ধু ফিদ্রাস তাঁর বক্তৃতায় দাবি করেন যে, সদ্গুণসম্পন্ন ব্যক্তি এবং তরুণ প্রেমাস্পদের মধ্যকার প্রেম হলো উচ্চপর্যায়ের প্রেম, মহৎ জীবনের প্রধান প্রণোদনা। আগাথনের প্রথম ট্র্যাজেডি রচনায় পুরস্কারপ্রাপ্তিতে এই পানাসরের আয়োজন করা হয়েছিল। তার প্রেমাস্পদ পউসিনিয়াস সেই আসরে সাধারণ প্রেম তথা দৈহিক প্রেমের সাথে স্বর্গীয় প্রেমের পার্থক্য করেন, আর বলেন যে, সেই স্বর্গীয় প্রেম হচ্ছে সদ্গুণ ও দর্শনের প্রেম। এরিক্সিমাকাস নামক চিকিৎসক জানান যে, প্রেম হচ্ছে দেহের মধ্যকার বিভিন্ন বিপরীতমুখী উপাদানের সামঞ্জস্যবিধানের নীতি। নাট্যকার অ্যারিস্তোফানিজ এক কিংবদন্তি তুলে ধরে বর্ণনা করেন যে, আদিতে মানুষের ছিল চার হাত ও চার পা, দুই মুখ ও এক মাথা। জিউসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কারণে তিনি মানুষকে অর্ধেক করে কেটে দেন এবং তার পর থেকে এই দুই অংশ প্রেমের মধ্য দিয়ে একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আগাথন প্রেমদেবতার প্রশংসা করে তাকে সকল সদ্গুণের আধার হিসেবে বর্ণনা করেন। সবশেষে সক্রেটিস তাঁর বক্তৃতায় তুলে ধরেন যে, ভৌত সামগ্রীর প্রতি প্রেম খোদ সৌন্দর্যের প্রকৃতির প্রতি প্রেমে উন্নীত হতে পারে এবং তার মাধ্যমে মানুষ ঐশীলোকের সন্ধান পেতে পারে। পরিশেষে সক্রেটিসের প্রেমাস্পদ আল্সেবাইয়াদিয়াজের কথাবার্তা ও আচরণে আমাদের ধারণা জন্মে যে, প্রেম হলো এক ধরনের উন্মত্ততা। এই সংলাপটিতে প্লেটোনীয় বিমূর্ত প্রেমের ধারণার সন্ধান পাওয়া যায়; এবং সেইসাথে সক্রেটিসের চরিত্র-বৈশিষ্ট্যেরও একটি চমৎকার চিত্রায়ন এটি। মানুষের সকল চিন্তা ও কার্য যে অমরত্বের আকাক্সক্ষায় প্রণোদিত সেই প্রত্যয়ের উচ্চারণ শোনা যায় এই সংলাপটিতে।

495
গণিত ভাবনা
গণিত ভাবনা
মেহেদী মাহমুদ চৌধুরী
  • গণিত নিয়ে বাংলা ভাষায় নানা ধরনের বই আছে। আছে কবিতা, গান, শিল্প-সাহিত্য নিয়েও। কিন্তু এই বইটি সর্ব অর্থে নতুন। বইটি কবিতা, গান ও বাংলা সাহিত্যের নানা দিকের সাথে মিলিয়ে প্রকাশ করেছে গণিত নিয়ে লেখকের ভাবনাগুলো। তাই বইটি যেমন গণিতের তেমনি শিল্প-সাহিত্য-দর্শনেরও। বইটি তাই অপ্রথাগত এবং বাংলাতে এরকম একটি মৌলিক বই সম্ভবত এই প্রথম প্রকাশিত হলো। গণিত নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে কিন্তু তেমন বিশেষ কিছু জানার সুযোগ হয়ে উঠেনি বইটি তাদের গণিতের নানা দিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। বইটি তাই কাজে লাগবে গণিতের ছাত্র-শিক্ষকদের। আবার যারা গণিতে কখনো যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের বাইরেও যে ভাবনার বিষয় আছে বুঝতে পারেননি তাদেরও পরিচয় করিয়ে দেবে গণিতের সৃজনশীলতা-ভাবনার জায়গাটা সম্পর্কে। গণিত ভাবনার পর্বগুলোতে লেখক মিল খুঁজে পান রূপনগরের রাজকন্যার সাথে পিথাগোরাসের উপপাদ্যের, বাংলা পল্লীগীতির অভাগা বধূর সাথে অকালমৃত্যুর শিকার এভারিস্তগালোয়ার, ১০৮টা নীল পদ্মের সাথে দুর্লভ মৌলিক সংখ্যার। রূপসী বাংলার কবিতার সূত্র ধরে খুঁজে বেড়ান মানব সভ্যতার হারানো নগরীর গণিত, ক্যালকুলাস আবিষ্কারে সাথে মিলিয়ে জুতা আবিষ্কার কবিতার নতুন ব্যাখ্যা দেন, গণিতের রাজপুত্র গাউসের প্রকাশ ঘটে অতি বড় বৃদ্ধপতি হিসাবে, ওমর খৈয়াম হয়ে উঠেন দু-দিকে আগুন ধরানো মোমবাতি, বাহাসে জড়িয়ে পড়েন লালন ফকিরের সঙ্গে। এরকম আরো অনেক কিছুর প্রকাশ ঘটেছে গণিত ভাবনার পর্বে পর্বে। পাঠক, আসুন সেই ভাবনাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।

350
লিপি, পাণ্ডুলিপি, বই ও মুদ্রণশিল্পের ইতিকথা
লিপি, পাণ্ডুলিপি, বই ও মুদ্রণশিল্পের ইতিকথা
নাজনীন সুলতানা নীতি
  • মানব সভ্যতার প্রধান বাহন বা উপকরণ ভাষা। পৃথিবীতে যে-অসংখ্য ভাষা আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেসব ভাষা হাজার হাজার বছরের বিবর্তনের ধারায় কীভাবে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সহজবোধ্য হয়ে উঠেছে, এর ঐতিহাসিক-কালানুক্রমিক প্রেক্ষাপটের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করেছেন বৃটিশ লেখক অ্যাগনেস অ্যালেন তাঁর দি স্টোরি অব দি বুক বইতে। বইটিতে রয়েছে প্রাচীনকাল থেকে লিপি, ভাষা, লেখালেখি, পুস্তক ও ছাপাখানা আবিষ্কারের ঐতিহাসিক সব মূল্যবান তথ্য ও তার বিস্তৃত আলোচনা।

550
মৌলানা জালালউদ্দিন রূমীর দিওয়ানে শামসে তাবরিযি
মৌলানা জালালউদ্দিন রূমীর দিওয়ানে শামসে তাবরিযি
সৈয়দ রেজাউল করিম
  • পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সুফি কবি মওলানা জালালউদ্দীন রূমীর (মৃত্যু ১২৭৩ খ্রি.) ‘দিওয়ানে শামসে তাবরিযি’ মরমি কবিতার অনন্য এক সাহিত্যিক কীর্তি। যে কবিতার মূল বিষয় হলো প্রেম, আধ্যাত্মিক প্রেম। যে ঐশ্বরিক প্রেমের উন্মেষ রূমীর অন্তরে ঘটিয়েছিলেন মওলানা শামসে তাবরিযি, যিনি ছিলেন রূমীর আত্মার দোসর।

    শামসের অকস্মাৎ মর্মান্তিক অন্তর্ধান রূমীর হৃদয়ে বিচ্ছেদের আগুন প্রজ্বলিত করেছিল। সেই বিক্ষত হৃদয় হতে ফল্গুধারার মতো নিসৃত হয় অপূর্ব এক প্রেমের কবিতা, যার আধ্যাত্মিকতা এই বিশ্বকে ছাড়িয়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়।

595
	প্লেটো : লেকিজ
প্লেটো : লেকিজ
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • লেকিজ (ইংরেজিতে লেকিজ; গ্রিকে লাখেস) প্লেটোর প্রথম পর্বের একটি সংলাপ এবং এতে সক্রেটিস দুজন অ্যাথেনীয় সমরনায়ক লেকিজ ও নিকিয়াসের সাথে সাহসের প্রকৃতি নিয়ে, বা অধিকতর স্পষ্ট করে বললে ‘সাহস কী’- তা সংজ্ঞায়িত করার প্রচেষ্টায় আলোচনায় নিরত হন। মূল আলোচ্য বিষয় আন্দ্রেইয়া’-কে সাধারণত সাহস হিসেবে অনুবাদ করা হয়, কিন্তু আক্ষরিকভাবে আন্দ্রেইয়া-র অর্থ হচ্ছে ‘পৌরুষ’, যা গ্রিক সমাজে একজন পুরুষের সক্রিয় নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে অপরিহার্য বলে ধরা হতো। প্লেটো বিভিন্ন সংলাপ, বিশেষত রিপাবলিক-এ সদ্গুণের বিভিন্ন অংশ বা উপাদানের ক্ষেত্রে সাহসকে একটি মূল উপাদান বলে চিহ্নিত করেন। অন্য কিছু সক্রেটীয় সংলাপের মতোই লেকিজ নামক এই সংলাপটিতে সংজ্ঞা নির্মাণের প্রচেষ্টায় সক্রেটিস সাহসের সম্মত সংজ্ঞায় উপনীত হওয়ার উদ্যোগ নেন, কিন্তু তা সম্ভব হয় না, অধিকতর পাঠ ও জ্ঞানার্জনের প্রয়োজন উপস্থাপিত হয়। লেকিজ ‘সক্রেটীয় প্রকরণ’ এবং সংলাপের নাটকীয়তার এক অনন্য উদাহরণ।

250
কুয়াশায় শাদা ঘোড়া
কুয়াশায় শাদা ঘোড়া
সৈয়দ শামসুল হক
  • আমার মাকে আজ মাটি দিয়ে ফিরলাম। গর্ভে তিনি ধরেছিলেন। কতনা দুঃখের সহন তাঁর গেছে আমাকে নিয়ে। বুঝি তাঁর জীবনকে নিয়েই! যে-জীবনের ছবি এখন আমি একটু একটু করে গড়ে তুলছি। আমি জানি এখন হবে এই আমার কাজ। তাঁর জীবনের গল্পটা শেষ পর্যন্ত যে আমারই গল্প হয়ে উঠবে, এটিও এখন আমি অনুমান করে উঠছি। মায়ের মৃত্যুর আগে প্রায় এক মাস যাবত বারেবারেই আমি একটি স্বপ্ন পাচ্ছিলাম প্রায় প্রতি রাতেই। শাদা একটি ঘোড়া। দাঁড়িয়ে আছে ঘোর কুয়াশার ভেতরে। যেন সে কুয়াশা দিয়েই তৈরি। এক পা তুলে আছে। যেন এক্ষুনি সে ছুটে যাবে। অথবা ছুটে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছে। হয়তো আজ রাতে স্বপ্ন আবার পাবো। সেই স্বপ্ন। কুয়াশায় শাদা ঘোড়া! কুয়াশা নয়, স্বপ্নে আমি জোছনা আর কুয়াশা এক করে ফেলেছি। ওটি জোছনাই। সেই জোছনা! সেই পূর্ণিমার জোছনা রাতে টগরের হাতখানি হাতের ভেতরে নিয়ে চাঁদের দিকে আমাদের দুজনের অপলক তাকিয়ে থাকা। ঘোড়াটিও আমাদেরই মতো স্বপ্নবিহ্বল হয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিলো পা তুলে। আজ রাতে স্বপ্নটা যদি ফিরে আসে, হয়তো দেখবো পা নামিয়ে নিয়েছে, ঘোড়াটি চলতে শুরু করেছে।

195
প্লেটো : রাষ্ট্রনায়ক
প্লেটো : রাষ্ট্রনায়ক
আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
  • রাষ্ট্রনায়ক (ইংরেজিতে স্টেটস্ম্যান; গ্রিকে পলিতিকস)। এই সংলাপটিকে সফিস্ট-এর উত্তরখন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমরূপী ও বিষমরূপী বিভিন্ন বস্তু ও প্রত্যয়ের বিভাজন ও সংজ্ঞায়নের মধ্য দিয়ে আদর্শ রাষ্ট্রনায়ককে খুঁজে পাবার উদ্যোগ হিসেবে রাষ্ট্রনায়ক সংলাপটিকে দেখা যেতে পারে। সফিস্ট-এ যেমন দার্শনিকের বিপরীতে সফিস্টের প্রকৃতি ও কৃত্য নিরূপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনই দার্শনিকের বিপরীতে রাষ্ট্রশাসনকারী তথা, রাষ্ট্রনায়কের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে এই সংলাপটিতে। সফিস্টদের বিপরীতে রাষ্ট্রনায়ক সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রশাসনে পারদর্শী, তিনি সত্তাসারে শাসনকার্য অনুধাবন করেন; তাই তাঁর শাসন হয়ে ওঠে আইনের সীমাবদ্ধতামুক্ত—তা হয়ে ওঠে প্রজ্ঞার শাসন। রাষ্ট্র শুধু আইন দিয়ে শাসন করা যায় না; রঙের মিশ্রণ জানার মধ্য দিয়ে যেমন উত্তম চিত্র অঙ্কন করা যায় না, তেমনই একমাত্র আইনই সুশাসনের হাতিয়ার নয়। রাষ্ট্রনায়কের প্রজ্ঞাই উত্তম শাসনের চাবিকাঠি; তিনিই কেবল রাষ্ট্রের বিভিন্ন মত ও চরিত্রের মানুষকে একত্রে বুনন করে তাতে ঐক্য সৃষ্টি করতে পারেন। অপরদিকে আইনের শাসন কেবল সুশাসন নয়, দুঃশাসনেরও অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তবে আদর্শ রাষ্ট্রনায়কের সন্ধান না মিললে আইনের শাসনই দ্বিতীয়োত্তম পদ্ধতি বলে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। এই সংলাপটিতেই আমরা সরকারের উত্তম ও নিকৃষ্ট বিভিন্ন আদল—একব্যক্তির শাসন হিসেবে রাজতন্ত্র ও একনায়কত্ব, অনেকের শাসন হিসেবে অভিজাততন্ত্র ও ধনিক-গোষ্ঠীতান্ত্রিক শাসন, এবং বহুর শাসন হিসেবে গণতন্ত্রের শ্রেণিকরণের সন্ধান পাই। এই শ্রেণিকরণ এখনো রাষ্ট্রশাসন পদ্ধতির শ্রেণিকরণ হিসেবে বিদ্যমান আছে।

495
আমার হারানো আমি
আমার হারানো আমি
হুরে জান্নাত শিখা
  • আমার হারানো আমি: জীবন মানেই এক বিচিত্র লড়াই। নানা বাধা-বিঘ্ন, ঘাত-প্রতিঘাতের সাথে লড়াই করাতেই এর গতিময়তা। মাঝে মাঝে এ লড়াই হয়ে ওঠে গভীর ক্লান্তিকর। মনে হয় প্রখরা কোনো মধ্যাহ্নে ঠেকে গেছে আমাদের চলাপথ। নিজেকে হারিয়ে ফেলি আমরা। জীবন হারিয়ে যায় অর্থহীনতায়।

    জীবনের দুঃখ, যাতনা ও বিপর্যয়ের কোনো সার্বজনীন সূত্র না থাকলেও প্রতিকূলতাকে জয় করে অর্থপূর্ণ একটি জীবন পাবার সুযোগ সব সময়ই আছে। প্রয়োজন নিজেকে জানা; নিজের সম্ভাবনা ও শক্তিকে বুঝতে পারা। জীবনের নানা প্রতিকূলতাকে বুঝতে পারা, জীবন ও নিজের সম্পর্কে নানা সত্য মিথ্যা ধারণা সম্পর্কে উপলব্ধি অর্জন এবং নিজের শক্তি দিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।

    বর্তমান গতিময় সময়ের বিচিত্র সামাজিক ও ব্যক্তিগত সংকটে তরুণ বয়স থেকে শুরু করে সকল বয়সের পাঠককে নিজের সাথে পরিচিত হয়ে জীবনের প্রতিকূলতাগুলোর সাথে লড়বার শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করবে ‘আমার হারানো আমি’।

495
বঙ্গাব্দ : বাংলা সন ইতিহাস, উৎপত্তি ও বিকাশ
বঙ্গাব্দ : বাংলা সন ইতিহাস, উৎপত্তি ও বিকাশ
জয়নাল আবেদিন খান
  • বঙ্গাব্দ: বাংলা সন ইতিহাস উৎপত্তি ও বিকাশ বইটি একটি গবেষণাগ্রন্থ। ইতিপূর্বে এই বিষয়ে এই ধরনের কোনো প্রামাণিক গ্রন্থ রচিত হয়নি। মলহনের পুত্র বল্লাল : কে এই কিংবদন্তির মহানায়ক এই বিষয়ের ওপর প্রচলিত জনশ্রুতি ও ঐতিহাসিক তথ্য আহরণ করতে গিয়ে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বহু বিতর্কিত বাংলা সনের প্রতি আকৃষ্ট হন। জনশ্রুতির সঙ্গে ঐতিহাসিক তথ্যের সামঞ্জস্য বিধান করে তিনি বর্তমান গবেষণাগ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থে গবেষক সফলভাবেই দেখিয়েছেন যে বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত জনশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রে প্রামাণিক ইতিহাসের চেয়ে কোনো অংশেই কম বস্তুনিষ্ঠ ও কম নির্ভরযোগ্য নয়। গবেষক আরো দেখিয়েছেন যে স্বার্থবাদী মহল তাদের হীন স্বার্থে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর মলহনের পুত্র কীর্তিমান বল্লাল রাজাকে চালিয়ে দিয়েছে খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর বিজয় সেনের পুত্র বল্লাল রাজা হিসেবে। এই উদ্দেশ্যে তারা শত শত গ্রন্থ রচনা করেছে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রাচীনীকৃত করেছে। ফলে কীর্তিমান নবাব বল্লালের আসল ইতিহাস নকল ইতিহাসের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। গবেষক জয়নাল আবেদীন খান শ্রমসাধ্য গবেষণার মাধ্যমে সেই লুপ্তপ্রায় আসল ইতিহাসকে মিথ্যার বেড়াজাল থেকে উদ্ধার করে সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন, যা বঙ্গদেশ ও বাঙালির প্রকৃত ইতিহাস পুনর্গঠনে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

500
Home
Categories
Cart
Account