(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	পাঠক সমাবেশ

পাঠক সমাবেশ

পাঠক সমাবেশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

কালো দিন শাদা রাত
কালো দিন শাদা রাত
সিদ্ধার্থ হক
  • সিদ্ধার্থ হকের পাঠকমাত্রই জানেন, তাঁর কবিতার ভেতর দিয়ে খুবই সংগোপনে বয়ে চলেছে এক অনিঃশেষ বেদনার সুনীল ধারা। পাশাপাশি, ক্রমাগত, পার্সোনিফিকেশনের মাধ্যমে জগতের যত জড় আর স্থির বস্তুসমূহ রয়েছে, তাকে তিনি প্রাণারোপনের দ্যুতি ছড়িয়ে তৈরি করে চলেছেন কখনো স্পাইরাল, কখনো ফ্লাট এক অনন্য জগৎ। তাঁর অবলোকনের ত্রিসীমানায় যা কিছু স্থাবর ও জঙ্গম, দৃশ্যমান আপাত তুচ্ছাতিতুচ্ছ, প্রকৃতির সহস্র উপাদান― বাস্তব-পরাবাস্তব-কুহকী বাস্তব, অ্যাবসার্ডিটি― সবকিছুই যেন মোহন স্যাক্রার বিশাল অগ্নিময় পাত্রে এসে তীব্র তাপে আর চাপে গলে হয়ে উঠছে একেকটি অনন্য কবিতা।

426 533-21%
বিচ্ছিন্নতার আগে ও পরে
বিচ্ছিন্নতার আগে ও পরে
জাহিদ হায়দার
  • “জীবনের গল্প থেমে গেলেই মৃত্যু,
    জানতেন আরব্য রজনীর দুই বোন।
    জীবন, শ্বাসপ্রশ্বাস না-থামা ও থামার সাংঘর্ষিক দাস।
    মানুষ যখন প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে পেছনে ঘোরে,
    হাঁটে, ঐ পেছনও তখন শ্বাসের সম্মুখ।

    – কোন্ দুরবস্থার মধ্যে পড়লে
    একজন মানুষ বোবা হতে চায়?
    – শিক্ষক বিচিত্র ঘটনার গল্প বিক্রি করেন।
    লক্ষ্য, জীবন থেকে যেন বৈচিত্র না হারায়।
    – প্রতিদ্বন্দ্বিতার দঙ্গলে বাঁচার চিৎকার নিয়তির অংশ।
    – তর্জনী ক্ষমতার প্রতীক। কে হারাতে চায়?
    – মৃত্যুর খবর জানবার পর
    মৃত-বাড়িতে গিয়ে মানুষ কী বলে?
    – মানুষ কীভাবে বিচ্ছিন্নতার শিকার হয় ‘গল্পপ্রবন্ধ’-র
    পুরোনো রীতিতে বলবার চেষ্টা আছে।
    – ‘বিপ্লবীদের চা’ কি ঠাট্টা, না কি এক বাস্তবতার চিত্রায়ন?
    – ‘প্রেম : জীবন্ত জীবাশ্ব’ গল্পটি কবিতা, গদ্য
    ও প্রবন্ধভাষার বুননে লেখা।”

    উপরে বলা বিষয়গুলি ছাড়াও জীবনের আরো কিছু
    নিশ্বাসের গল্প বলবার চেষ্টা করেছেন জাহিদ হায়দার।

354 443-21%
শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন
শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন
কামাল চৌধুরী
  • শান্তিনিকেতনের নান্দনিক পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ভবন– বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত অংশ হিসাবে। এ ভবন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রবিতীর্থে রচিত হয়েছে বাংলা ও বাঙালির নবতর মেলবন্ধন। বাঙালির সৃজন ও মননচর্চার উজ্জ্বল স্মারকরূপে এ ভবন নবপ্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রেরণা জোগাবে– এ প্রত্যাশা এখন সকলের। সরকারি চাকরির সুবাদে এ ভবনের স্থান নির্বাচনসহ সামগ্রিক কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন লেখক। তাঁর অনুপুঙ্খ ও ইতিহাসনিষ্ঠ কলমে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ভবন প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত। এ গ্রন্থ যুগপৎ স্মৃতিকথা ও ইতিহাস, যা আগামীদিনের পাঠক ও গবেষকদের কাছে তথ্যসূত্র হিসাবে বিবেচিত হবে।

641 801-20%
ড্যাডি সমগ্র : দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থমালা
ড্যাডি সমগ্র : দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থমালা
সাহাদাত পারভেজ
  • দেশভাগের পর এ দেশে আলোকচিত্রণের শিক্ষাচর্চা শুরু হলেও ফটোগ্রাফি-বিষয়ক কোনো বাংলা বই ছিল না। এই অভাববোধ থেকে গোলাম কাসেম ড্যাডি আলোকচিত্রণ বিষয়ে বই লিখতে শুরু করেন। তাঁর প্রথম বই ক্যামেরা প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় এক নজরে ফটোগ্রাফী। আর তাঁর মৃত্যুর চার বছর পর প্রকাশিত হয় সহজ আলোকচিত্রণ। আলোকচিত্রের কারিগরি দিক নিয়ে লেখা হলেও দীর্ঘ সময় ধরে বইগুলো গুরুত্ব বহন করে চলেছে। ফটোগ্রাফির ডিজিটাল যুগেও ড্যাডির লেখা বই ও তাঁর উপদেশ নানাভাবে প্রাসঙ্গিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য যে, বইগুলো এখন আর কোথাও পাওয়া যায় না।

    ‘ড্যাডিসমগ্র : দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থমালা’ মূলত ড্যাডির লেখা বইগুলোর প্রতিলিপি সংস্করণ। এই সংস্করণের উদ্দেশ্য হলো পুরোনো আদল ঠিক রাখা। এই গ্রন্থে তিনটি বইয়ের প্রতিলিপি ছাড়াও ২৯টি দুর্লভ আলোকচিত্র, তিনটি স্কেচ, ছয়টি প্রচ্ছদ, দুটি পেপার কাটিং, ছয়টি চিঠি, চারটি নথি ও ড্যাডির হাতে লেখা জীবনবৃত্তান্ত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই গ্রন্থ এ কালের পাঠকদের ফটোগ্রাফির দুনিয়ায় প্রবেশ করতে কিছুটা হলেও উসকে দিতে সাহায্য করবে।

713 891-20%
ইনসমনিয়াক রাতের বংশীবাদক
ইনসমনিয়াক রাতের বংশীবাদক
হুরে জান্নাত শিখা
  • বাজারে জন্ম নেওয়া এবং বড় হয়ে ওঠা মুমিনুল ঠিক কে, তার বাঁশির সুরের উৎস কোথায় কেউ জানে না। কেউ জানার প্রয়োজন মনে করে না। মুমিনুল তার মতো বেড়ে ওঠে, এই ব্যস্ত এবং নির্ঘুম নগরীর অদ্ভুত অথচ প্রচলিত ঘটনাবলির সাক্ষী হয়ে। তার জন্য পৃথিবীর ভালোবাসাগুলো ছড়িয়ে থাকে যত্রতত্র, বেহিসাবি। এগুলো ভালোবাসা কি না তার জানা থাকে না। প্রাণী এবং যুগপৎ মানব জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা মুমিনুলের কাছে নির্লিপ্ততা কিংবা লিপ্ততার কোনো পৃথক অর্থ নেই। সে জানে না স্বাধীনতা কাকে বলে, কোথায় দাহের জন্ম হয়, কে উৎপীড়ক আর কে-ই বা ত্রাতা। তাতে তার কোনো অসুবিধা হয় না। মুমিনুল বোধ করি স্বাধীন, কারণ স্বাধীনতার নিরাপদ বেষ্টনির ভেতর প্রবেশ করার প্রয়োজন সে কখনো বোধ করে না। ইনসমনিয়াক রাত তার বাঁশির সাথে জেগে থাকে। কিংবা মুমিনুল ইনসমনিয়াক রাতের সঙ্গী হয় নিজের অজান্তেই। প্রথাগত মানবসূলভ অনুভবের বাইরেও একটি জগৎ আছে। সে জগতটিই বোধ করি মুমিনুলের জগৎ।

211 264-21%
হাওয়াই থেকে লিখছি
হাওয়াই থেকে লিখছি
মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ
  • এ গ্রন্থের লেখাগুলোর একটা ইতিহাস আছে। লেখক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে যখন ১৯৭৬ সালে হাওয়াই গিয়েছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে ই এস ও এল (ইংলিশ ফর দি স্পিকারস অব আদার লাঙ্গুয়েজেস) কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য তখন তিনি লেখাগুলো প্রতি সপ্তাহে দেশে পাঠাতেন দৈনিক সংবাদ-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের জন্য। সেগুলো সংবাদে ছাপাও হয়েছিল। কিন্তু পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় ২৭ বছর পর, লেখক যখন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।
    আজ প্রায় ৪৫ বছর পর বইটি পুণর্মুদ্রিত হচ্ছে নতুন অঙ্গসজ্জায়, কিছু দুর্লভ ছবিসহ। এ গ্রন্থে উল্লেখিত অনেকেই আজ বেঁচে নেই। কিন্তু লেখাগুলোতে বিধৃত লেখকের অনুভূতি আজও তার প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। সময় বদলায়, মানুষের সুখদুঃখ হাসিকান্নার রং বদলায় না।
    কোর্সে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় তাঁর এ বইয়ের প্রধান আকর্ষণ। আমাদের নিকট ও দূর প্রতিবেশী দেশগুলোর সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নানাভাবে আলোচিত হয়েছে। মালয়েশীয় ও হাওয়াই সমাজে ভূতপ্রেতে বিশ্বাস আমাদের চেয়েও গভীর। কাঠগোলাপ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে মৃত্যুর ও শোকের প্রতীক, তাই আনন্দঘন মুহূর্তে এ ফুল কাউকে উপহার দিতে নেই।
    হাওয়াই এর অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এর অধিবাসীদের জীবনবৈচিত্র, এর ইতিহাস, দ্বীপবাসীদের সাংস্কৃতিক জীবন, এদের গান নৃত্য পূজা বন্দনা ইত্যাদির বর্ণনা আছে এ গ্রন্থে। আমেরিকার মূল ভূখণ্ড ভ্রমণের সময় লেখক অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় তুলে ধরেছেন সে দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে। কয়েকটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি নিবিড়ভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন। সব মিলিয়ে ভ্রমণকাহিনির একটা মিষ্টি আমেজ আছে যা পাঠককে মুগ্ধ করে।

211 264-21%
হাবিব আনিসুর রহমানের নির্বচিত গল্প
হাবিব আনিসুর রহমানের নির্বচিত গল্প
হাবিব আনিসুর রহমান
  • অভিজ্ঞতা আর আত্ম-অনুভবই হচ্ছে ছোটোগল্পের প্রাণ। সেই অভিজ্ঞতায় পরিব্যাপ্ত জীবনকে স্পর্শ করে তাকে আখ্যান-বর্ণনার ভেতরে এনে গল্পের আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন হাবিব আনিসুর রহমান এই বইতে। গল্পগুলো অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ আর অনুভবের অনুপম নির্যাসে উজ্জ্বল। পাঠক অবধারিতভাবেই গল্পগুলোতে পাবেন। আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনার নানান বিচ্ছুরণ। গল্প লেখার বিষয় নয়, গল্প ঘটে থাকে আমাদের চারপাশে। লেখা মানে তাকে জনসমক্ষে নিয়ে আসা মাত্র। হাবিবের ভাষা মেদহীন। গল্পগুলোতে পাঠক এক অন্যরকম স্বাদ পাবেন।

354 443-21%
স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি
স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি
আবু সাঈদ খান
  • ধোঁয়া যেমন আগুনের নিশানা; স্লোগান তেমনই রাজনৈতিক ধারার দিকচিহ্ন। কাঁটাগাছেও যেমন বাহারি ফুল ফুটে থাকে; স্লোগান তেমনই রাজনীতির কঠিন ময়দান থেকে উৎসারিত সুরধ্বনি। রাজনীতি না স্লোগান আগে-এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে; কিন্তু এই দুইয়ের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। বরং কঠিন রাজনৈতিক তত্ত্বকে সহজ ভাষায় জনসাধারণের হৃদয়ে ছুঁয়ে দিতে কিংবা মাথায় গেঁথে দিতে স্লোগান এক অব্যর্থ অস্ত্র। স্লোগান একটি জনগোষ্ঠীর সময় শুধু নয়, সংস্কৃতিরও পথরেখা।
    রাজনীতির সঙ্গে স্লোগানের পরম্পরা ও গুরুত্ব আমাদের ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানের গ্রন্থাবলিতে সামান্যই স্থান পেয়েছে। স্বীকার করতে হবে, ইউরোপ ও আমেরিকায় রাজনৈতিক স্লোগান নিয়ে গবেষণা ও গ্রন্থ রচনা বিরল নয়। কিন্তু বাংলাদেশে ‘স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি’ সম্ভবত এ ধরনের প্রথম গ্রন্থ। মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খানের এই গ্রন্থ ২০০৮ সালে প্রথম প্রকাশের পর থেকেই বহুল আলোচিত।
    উপমহাদেশে আধুনিক রাজনৈতিক ধারা সূচিত হয়েছিল সিপাহি বিদ্রোহের পর ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ‘নেটিভ’ রাজনীতি দানা বেঁধেছিল আরও পরে, বিশ শতকের গোড়ায়। তখন থেকেই রাজনৈতিক স্লোগানের পরিধি বাড়তে থাকে। ব্রিটিশবিরোধী লড়াইয়ের সাড়া জাগানো স্লোগান ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। সেই থেকে ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ‘যদি তুমি ভয় পাও/ তবে তুমি শেষ/ যদি তুমি রুখে দাঁড়াও/ তবে তুমিই বাংলাদেশ’ পর্যন্ত সংকলিত হয়েছে এই বইয়ে।
    নাম ‘স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি’ হলেও এতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ আন্দোলনের স্লোগানও সংকলিত হয়েছে। ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবেশী ভারতের এই সময়ের আলোচিত স্লোগানগুলো স্থান পেয়েছে। দুই মলাটের মধ্যে যেন উঠে এসেছে গত এক শতাব্দীর রাজনীতির পত্র-পল্লব।
    এই গ্রন্থ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অনন্য দলিল। এতে সংকলিত স্লোগানগুলো যেমন কৌত‚হল উদ্দীপক, তেমনই চিন্তাজাগানিয়া।

354 443-21%
প্রণতি গ্রহণ করো
প্রণতি গ্রহণ করো
মোঃ জামাল হোসেন
  • শিশিরভেজা সবুজে তাজা রক্তের গাঢ় আস্তরণ এই বাংলাদেশ। একাত্তরের জনযুদ্ধের শহিদেরা এখনো বেঁচে আছেন। রক্তাক্ত পতাকা বয়ে চলেছেন আগামী প্রজন্মের জন্য। এই পতাকা যিনি তুলে দিয়েছেন মহাকাব্যের সেই নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হায়নার দল তাঁকে হত্যা করে উল্লাসে মেতেছে। তিনি বাঙালি জাতিসত্তার দিঘল বাতিঘর। স্বপ্নের সারথি। এই কাব্যগ্রন্থে কবিতার রক্তমাংসে বারবার ফিরে এসেছে সেই মহানায়কের কথা, সমকাল ও আবহমান বাংলার ধূসর ইতিহাসের বিচ‚র্ণিত স্মৃতি-বিস্মৃতির বর্ণমালা আখ্যান। মূর্ত ও বিমূর্ত নিবেদনে এসেছে কোমল প্রেম ও প্রকৃতি। এই গ্রন্থে চয়িত কবিতাগুলো কবির দেশপ্রেম, ইতিহাস ও ঐতিহ্য চেতনার এক মিথস্ক্রিয় স্বরলিপি। দ্রোহের অনবদ্য সাহসী উচ্চারণ।

283 354-21%
	ডাঙ্গার কুমির
ডাঙ্গার কুমির
আমেনা তাওসিরাত
  • “ছয়টি ছোটগল্প আছে এই গল্পগ্রন্থে। স্মৃতিচারণকে কমন কম্পোন্যান্ট হিসেবে রেখে আলাদা প্রেক্ষাপটে রচিত প্রতিটি গল্প। কেউ হালিশার কিংবা আলি শাহ, যারা আবর্তনে আর বিবর্তনে হয়তো মূল নাম থেকে ডাক নাম হয়ে যায়। আদতে কোনো অ্যাকাডেমিক শিক্ষা নেই কিন্তু নাগরিক হিসেবে ঠিকই সচেতন। ডিজিটালাইজেশন তাকে বৈষম্য করেনি তাই অর্থনীতি খেকো কুমিরদের তারা ঠিকই চেনে। আবার শুধু ‘সেট অফ রুলস’ ফলো করা প্রান্তিক মানুষের সরলরৈখিক গল্পই নয়, এখানে আছে অসুস্থ এক দর্শনের ক্রোধ আর তার বিপরীতে বিনীতার বোধ; পারিজার রাজনৈতিক ভাবদর্শন, সাময়িক সংকট-সৃষ্ট জার্নালিজম-এর একনিষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে তার স্বগতোক্তি আর পুরাঘটিত ব্যক্তিকালের কম্পোজিশন; রাধোর ‘ভাঙবো কেন, ভাঙিনা’ টাইপ চারিত্রিক বেদন আর ইথিক্যাল পারসেপশন; তাবাসসুমের বাধ্যগত জীবন থেকে করা এক লহমায় বিপ্লব। অন্যদিকে দহনকাল এসকোর্ট করা রিমুর দৈবাৎ ফিরে পাওয়া সুদিন, যেখানে মানুষ নয়, প্রকৃতিই হয়ে ওঠে প্রধান চরিত্র। এগুলো গল্প, ন্যাচারাল টোনে বলা মেটাফরের চরিত্র বদল, অন্য কারো উপাখ্যানের ভেতর কাল বয়ে নেওয়া অগণিত মানুষের ভার কিংবা হাহাকার।”

211 264-21%
সাপ্তাহিক সওগাত ও সান্ধ্যকালের পত্রালাপ
সাপ্তাহিক সওগাত ও সান্ধ্যকালের পত্রালাপ
ড. সুনীল কান্তি দে
  • সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন (১৮৮৮-১৯৯৪) ছিলেন গত বিশ শতকের সর্বজনপ্রিয় সাহিত্যসেবী, সমাজহিতৈষী, কুসংস্কার এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এক লড়াকু সৈনিক। ওই শতকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে যখন মুক্তবুদ্ধি চর্চার তরুণ লেখকগণ গোঁড়া সমাজ ও ধর্মীয় নেতাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তখন তিনি তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে এসেছিলেন।
    সওগাত সম্পাদকের নিকট বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সাথে জড়িত কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ বেশ কিছু সাধারণ পাঠক সমকালীন সাহিত্য সমাজ, রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করে এবং তাদের মতামত ব্যক্ত করে চিঠিপত্র লিখেছেন। সেসব চিঠিপত্র তাঁর সম্পাদিত মাসিক সওগাত ও সাপ্তাহিক সওগাতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পাদকের মন্তব্যসহ প্রকাশিত হয়েছিল। সেসব চিঠিপত্র থেকে আগ্রহী পাঠক একদিকে যেমন সমকালীন সমাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন অন্যদিকে এই চিঠিপত্রসমূহ সমকালীন সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক গবেষণার কাজে আসতে পারে। নিষ্ঠাবান গবেষক ড. সুনীল কান্তি দে এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এসব চিঠিপত্র সংকলন করেছেন। আলোচ্য গ্রন্থে বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য ‘সাপ্তাহিক সওগাত’-এ প্রকাশিত সম্পাদকের নিকট লিখিত চিঠিপত্রগুলোই গ্রন্থিত করা হয়েছে।
    পত্র লেখকগণের মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ফজিলাতুন নেসা, মোহাম্মদ মোদাব্বের, আবুল হুসেন, আবদুল হাকিম, কাজী আবদুল ওদুদ, অধ্যাপক মোতাহের হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল হাকিম বিক্রমপুরী, মোহাম্মদ আনওয়ার উল্লা, শেখ মোহাম্মদ সিদ্দীক, কাজী মোহাম্মদ হরমুজউল্লাহ, এস ওয়াজেদ আলী, আবুল কালাম শামসুদ্দীন (নূরী), আবুল ফজল, মিসেস সাজেদা খাতুন, তমিজউদ্দিন খান, ফজলে আলী এবং আলোকানন্দ মহাভারতী প্রমুখ কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী।

354 443-21%
	রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষমতা-স্বপ্ন খুদ-কুঁড়া প্রাপ্তির দলিলাদি
রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষমতা-স্বপ্ন খুদ-কুঁড়া প্রাপ্তির দলিলাদি
তুষার দাশ
  • ভেতরের ক্যান্সার বাইরের পাউডারে ঢাকা অসম্ভব। আর কবি যেহেতু ‘উঁচা উঁচা পাবতে’ বসবাসকারী শবর-বালিকা-বালক নয়, অতএব তাকেও সহ্য করতে হয় তীব্র মনোদৈহিক বেদনার ভয়াবহ চাপ। মন্থনের যাবতীয় গরলের প্রত্যক্ষ গলাধকরণকারীর আবেগী সংবেদনা তাকে তীব্র নীল করে আর সেই গরলানল হু হু করে বেরিয়ে আসে তার সৃজনপ্রবাহে। সেসবের সৃষ্টমূল্য কানাকড়ি না হলেও তাতে কবির কিছুই যায় আসেনা। সময়-ভাষ্যের দায় প্রত্যেক সৃজন-প্রতিভার।

    আমাদের যে নষ্ট-গলা দুঃসময় পার করতে হচ্ছে নানা তীব্র অসামঞ্জস্যতার ভেতর দিয়ে, যার ভেতর রয়েছে অনৈতিকতার সার্বিক দুরাচার; পুরোপুরি পরিকল্পিত দূরদৃষ্টিহীন কুচেতনাবহনকারী সমাজনাট্যরংগ; সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অপরাধী কুশীলব; কৃতঘ্ন আর রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্বাসঘাতক, সামষ্টিকভাবে বিনষ্ট দুর্বৃত্তদের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া আমাদের বহুকালের যৎসামান্য সর্ঞ্চিত মূল্যবোধ ও জ্ঞানভাণ্ডারের মৌচাককে মধুশূন্য করে, লুটেপুটে চেটেখানেওয়ালাদের বিরুদ্ধেই আমার বাক্যাবলি। কৃষ্ণার্থভারাতুর দুঃসময়ের চেহারাটা মোটা দাগে টেনে এক বীভৎসতার উৎসরূপ ফোটানোর দায় কতটা মিটলো, জানিনা।

211 264-21%
সময়ের মুখোমুখি
সময়ের মুখোমুখি
মোরশেদ শফিউল হাসান
  • হাসান শফি ছদ্মনামে লেখা অপরিচিত লেখকের ‘সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় : বিপ্লব ভাবনায় নয়া প্রেক্ষিত প্রবন্ধটি পড়ে অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম লিখেছিলেন : “কী সুন্দর ঝরঝরে হাত এবং চিন্তার। পরিচ্ছন্নতা। এমন পরিচ্ছন্ন প্রকাশের দক্ষতা খুব কমই চোখে পড়ে। কঠিন প্রশ্ন। কঠিন বিষয়। কিন্তু প্রাঞ্জল । প্রকাশ।” [‘ডেড কমিউনিজমের ভূত’, দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৮ এপ্রিল ২০০০]
    বস্তুত লেখকের এই পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও বলিষ্ঠ প্রাঞ্জল। উপস্থাপনার পরিচয় বিধৃত রয়েছে সময়ের মুখােমুখির প্রায় প্রতিটি প্রবন্ধে। তা সে প্রবন্ধের বিষয় বামপন্থার। ভবিষ্যৎ, সাম্প্রদায়িকতার স্বরূপ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, গণতন্ত্রের অনুশীলন, শিল্প-সাহিত্য বিচারে মৌলবাদী ও বামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি যা-ই হােক। লেখকের যুক্তি, মননশীলতা, অন্তদৃষ্টি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতার সঙ্গে তাঁর। ভাষার ধার ও প্রকাশভঙ্গির স্বচ্ছতা মিলে প্রবন্ধগুলােকে আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে। উপরন্তু পাঠককে যা আকর্ষণ করবে তা লেখকের প্রতিবাদী, জিজ্ঞাসু ও বিতর্কপ্রবণ মনের পরিচয়।

250 313-21%
করোনা কাহিনী : গল্প সঙ্কলন
করোনা কাহিনী : গল্প সঙ্কলন
হাসনাত আবদুল হাই
  • যে অতিমারী অতর্কিতে এসে পৃথিবীব্যাপী মানুষের জীবন বিপর্য্যস্ত করে দিয়েছে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কিছু মানুষের কথা নিয়ে লেখা হয়েছে করোনা কাহিনীর দশটি গল্প। কল্পিত হলেও বাস্তবে এই সব গল্পের ঘটনার কম-বেশি সাদৃশ্য রয়েছে।
    করোনা-ভাইরাস ধনী-দরিদ্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য না করলেও এর নির্মম আঘাত পড়েছে নিম্নবিত্ত এবং দরিদ্রের ওপরই সবচেয়ে বেশি। গল্পগুলিতে এদের কথাই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিপন্নতার বিষয়ও বাদ পড়েনি।
    করোনা-কাহিনীর গল্প অতিমারী মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই-এ যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, ছোট ক্যানভাসে তুলির সংক্ষিপ্ত টানে তার প্রতিফলন। অতিমারীর অভিঘাতের যে বিশাল ব্যাপ্তি তার ইঙ্গিত রয়েছে গল্প গুলিতে।

250 313-21%
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় বঙ্গবন্ধু
নাসির আলী মামুন
  • মানুষের মুখ ক্যামেরার শিল্পী নাসির আলী মামুনের সৃজন-সাধনার ভরকেন্দ্র। এত মানুষের মুখের পানে চেয়ে থাকার সাধ কেন এই আলোর শিল্পীর হৃদয়ে অফুরান! আমাদের বিস্ময় জাগায়। মামুন প্রধানত ইতিহাসখ্যাত মানুষের মুখ আলোকচিত্রায়িত করেছেন। স্বদেশের খ্যাতিমান মানুষ নয় শুধু, ছয় মহাদেশের অনেক কীর্তিমানের মুখ হয়েছে মামুনের ধ্যানবিন্দু।

    কিন্তু সব ছাপিয়ে একটি মানুষ, পেছনে আকাশ না থাকলে শোভমান হয় না যার ইমেজ, যার দিকে তাকিয়ে লক্ষ লক্ষ জনতা রচিত করে মানব-সমুদ্র, যাকে পরম মমতায় এ ভূখণ্ডের মানুষেরা নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু। যাকে পিতৃজ্ঞান করা অনিবার্য হয়ে যায় তাঁর কীর্তির জন্য, তাই তিনি পরিজ্ঞাত হন জাতির জনক হিসেবে। তাঁকে কিশোর মামুন দেখেছেন জনতাঘনিষ্ঠ হয়ে বক্তৃতারত ভঙ্গিতে, দেখেছেন নেতাদের মাঝে মধ্যমণি হয়ে মত-বিনিময়ের একান্ত আলাপচারিতায়।

713 891-20%
বালা’র বেসামাল শব্দতরঙ্গে
বালা’র বেসামাল শব্দতরঙ্গে
হরষিত বালা
  • এ গ্রন্থের কোনো রচনাকেই পূর্ণাঙ্গ কোনো কবিতা বলা যাবে না। এগুলো যেন বিচিত্র ভাবের, বিক্ষিপ্ত অনুভূতির, বিচ্ছিন্ন কল্পনার খণ্ডিত ক্ষুদ্র অণু-পরমাণু। কোনোটাই পূর্ণতায় দানা বেঁধে ওঠেনি সত্যি, কিন্তু পূর্ণতারই ইঙ্গিতবাহী। পাঠক স্বকীয় রসানুভূতির স্পর্শে এগুলোকে পূর্ণতায় পৌঁছে দেবার অবকাশ পাবেন। আকাশে সঞ্চরমাণ রাশিরাশি মেঘখণ্ডের মতো যে-সকল ভাব-কল্পনা কবির মনের আকাশে নিয়ত সঞ্চরণ করছে তাদেরই খণ্ডিত ক্ষুদ্র টুকরার আভাস কবি অক্ষরের ফ্রেমে বেঁধে রাখার প্রয়াস পেয়েছেন। বাংলা কাব্যসাহিত্যের ভান্ডারে এ এক অভিনব সংযোজন!
    ভালোবাসায় যত ধরনের আবেগ-অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার সবকিছুই প্রতিফলিত হয়েছে কবিতাগুলোতে-পাওয়ার আনন্দ, না-পাওয়ার কষ্ট, মিলনের মাধুর্য, বিরহের কাতরতা; আছে কাছে আসার আমন্ত্রণ, একসাথে পথচলার স্মৃতি আর দূরে চলে যাওয়ার বেদনা।….
    আগুন কেবল দহনই করে না, দীপ্তিও ঢালে। তবে অগ্নিতাপের চেয়ে প্রেমের উত্তাপ যে বিশিষ্টতা দাবি করতে পারে একটু বেশি-বেশিই, পাঠকমাত্রেই তা উপলব্ধি করবেন। বালা’র বেসামাল শব্দতরঙ্গে নিঃসন্দেহে এ সবের সাক্ষ্য বহন করে।

211 264-21%
প্রজাপতি পাখা মেলো
প্রজাপতি পাখা মেলো
মোস্তফা তারিকুল আহসান
  • এ আখ্যান এক বাঙালি মুসলিম মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে রোমেলার যে বাবার নিষেধ উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়; শৈশব কৈশোর থেকে স্বাধীনভাবে সব আনন্দময় কাজ করে বাবার চোখ রাঙানির লক্ষ্য হলেও তাকে থামাতে পারেনি বাবা। প্রতিবাদী জীবনযাপন করতে করতে সে বাঙালি নারীর মূল সত্তা আবিষ্কার করতে থাকে; বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম সংস্কৃতি সাহিত্য ধর্ম নিয়ে তার বোধ স্পষ্ট হতে থাকে। পাকিস্তানি মতাদর্শে বিশ্বাসী বাবাকে সে ভালোবাসে তবে বাবার কোনো সিদ্ধান্ত সে মানতে পারে না। মা ও মুক্তিযোদ্ধা মামার বিবেচনাবোধ তাকে কিছুটা স্বস্তি দেয়, বন্ধু-প্রেমিক শুভ’র সাহচর্য ও কর্মকাণ্ড তাকে সাহস জোয়গায়। তবে সে স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালির বোধের জায়গায় ভয়ঙ্কর অসঙ্গতি দেখতে পায়। সেজন্য সে কাজ করে; এগিয়ে যায় সব বাধা পায়ে দলে। আখ্যানটি যেমন এক নারীর তেমনই স্বাধীন বাংলাদেশে চেতনার সংকটও এর মূল প্রসঙ্গ। বাবা মা ভাই বোন ফেলে সে দ্বিতীয়বার যখন বাড়ি ছাড়ে তখন সে খানিকটা উন্মূল তবে স্বাধীনতা ও আনন্দের স্বপ্ন তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সামনের দিকে।

283 354-21%
সোনামণিদের ছড়া : রঙে রেখায় কথামালায় - ১ম খণ্ড
সোনামণিদের ছড়া : রঙে রেখায় কথামালায় - ১ম খণ্ড
সুভাষ বিশ্বাস
  • শিল্পাঞ্জলি শিশু আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি এবং কবি সুভাষ বিশ্বাসের ছড়ার সমন্বয়ে রচিত ‘রঙে রেখায় কথা মালায়’ একটি অনন্যসুন্দর শিশুতোষ বই। শিশুরা ছড়াগুলি পড়ে তাদের কোমল মননশীলতা দিয়ে প্রতিটি ছড়ার ছবি এঁকেছে। শিশুমনোযোগী মননশীলতা নিয়ে দেখলে ছবির সাথে ছড়ার সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাবে এবং ছড়ামোদির মন শিশুতোষ আনন্দে ভরে উঠবে।

    এ বইয়ের অধিকাংশ ছড়ায় আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেক্ষেত্রে নড়াইলের আঞ্চলিকতা সামনে এসেছে। ছড়াপ্রিয় শিল্পানুরাগী শিশুরা একটু চিন্তা করে ছবির সাথে ছড়া মিলালে ছড়ার ভাবার্থ সহজেই বুঝতে পারবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আঞ্চলিক ভাষাবৈচিত্রের প্রতিও তাদের কৌতূহল সৃষ্টি হবে। ছবি ও ছড়ার এ বইখানি ছড়ামোদি শিশু কিশোর ও বয়স্কদের আনন্দ দিতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস ।

350 443-21%
	বৃষ্টি ও পুতুলের কান্না
বৃষ্টি ও পুতুলের কান্না
খ. ম. আ. রব
  • নাট্যকার খ. ম. আ. রব বাংলাদেশের কোন উল্যেখযোগ্য নাট্যকার নয়। একজন নাট্যকর্মী মাত্র। নাটক লেখার প্রচেষ্টা তার নিরন্তর। নিজে লেখেন ও পরিচালনা করেন ক্ষুদ্র পরিমণ্ডলে। উদ্দেশ্য নাটক যেন হয় সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। তাঁর লেখা নাটক পড়ে ও দেখে পাঠক কিংবা দর্শকের মনে সামান্য হলেও নাড়া দেবে এটুকু বলা যেতে পারে। তার প্রথম লেখা ও মঞ্চস্থ নাটক ‘যে কাজ হয়নি শেষ’। তার দ্বিতীয় নাট্যগ্রন্থ ‘সোনার ধান’ গাঁয়ের সহজ-সরল বর্গাচাষীদের জীবনের দুঃখগাথা।
    বৃষ্টি ও পুতুলের কান্না’ নাট্যকারের প্রথম শিশুতোষ নাটক। এ নাটক সকলের ভালো লাগবে।

140 175-20%
আবদুল মান্নান সৈয়দ : সর্বস্বত্তানিমগ্ন সাহিত্যিক
আবদুল মান্নান সৈয়দ : সর্বস্বত্তানিমগ্ন সাহিত্যিক
আহমাদ মাযহার
  • আহমাদ মাযহার এই বিষ্ময়কর প্রতিভার র্সৃষ্টির্কমকে অন্তরঙ্গভাবে জানেন। ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে তার সঙ্গে অনেক ভাব বিনিময় হয়েছে। সুদীর্ঘকাল ধরে আবদুল মান্নান সৈয়দের রচনাসম্ভারের অন্তরঙ্গ পঠন-পাঠন আহমাদ মাযহারকে তার সাহিত্যের মূল্যায়নে সার্মথ্যবান করে তুলেছে। এই বইয়ে তার র্সষ্টির্কমের একদিকে রয়েছে মূল্যায়ন অন্যদিকে রয়েছে লেখকের সঙ্গে স্মৃতিসূত্রে প্রেরনাগত উন্মোচন। র্সবোপরি রয়েছে তার সাহিত্যনিমগ্নতার পরিচয়।

180 225-20%
Home
Categories
Cart
Account