(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

Filters

Price Range

Pathok Seba
তাফসীরে হেদায়াতুল কুরআন (১-৯ খণ্ড)
Hasnu behum
  • তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআনের বৈশিষ্ট্যসমূহ -
    ১. এতে আয়াতের সাথে মিল রেখে শাব্দিক তরজমা করা হয়েছে।
    ২. কঠিন শব্দগুলোর শাব্দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
    ৩. এতে গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বিশুদ্ধ তারকিব উল্লেখ করা হয়েছে।
    ৪. প্রত্যেক আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আয়াতের তারকিবে কোথাও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি।
    ৫. এতে সংক্ষেপে কুরআনে কারিমের মর্মকথা উপস্থাপন করা হয়েছে।
    ৬. এতে অতি কঠিন বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে।
    ৭. সংশ্লিষ্ট আলোচনাগুলো সাবলীল, শব্দ ও প্রকাশরীতি সাদাসিধে, যা সকলের বোধগম্য।
    ৮. এতে প্রথমে একটি/দুটি আয়াত উল্লেখ করতঃ শাব্দিক অনুবাদ, পরে আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক, তারপর শিরোনাম যুক্ত করে সহজ ও বোধগম্য ব্যাখ্যা। অতঃপর রেখা টেনে আয়াতের পারিভাষিক অর্থ ও অস্পষ্টার ওয়াজাহত। কোথাও শেষে মুক্তাবাণীও লিখে দিয়েছেন, যা অতীতের আলোচনার প্রাণ হয়ে থাকে।
    ৯. এতে প্রত্যেক সুরার শুরুতে সুরার নাম, ক্রমিক নম্বর, নুজুল নম্বর, মক্কাবতীর্ণ না মাদানিবতীর্ণ, রুকু ও আয়াতসংখ্যা। তারপর সুরায় আলোচিত প্রধান বিষয়বস্তুসমূহ সারসংক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে।
    ১০. তাফসিরটি সাধারণ ও বিশেষ শ্রেণী; সকলের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
    ১১. লেখক আয়াতের যে তাফসির গ্রহণ করেছেন, সেটা সুস্পষ্ট শব্দে দ্ব্যর্থহীনভাবে লিখেছেন। পাঠকবৃন্দকে 'আগর-মগর' 'কিল ও কাল' এর নির্জন প্রান্তরে ফেলে যাননি।
    ১২. তাফসিরটি বর্জনীয় শব্দ, বাক্য ও তারকিব থেকে মুক্ত।
    ১৩. আধুনিক যুগের চাহিদানুযায়ী এটা সেরা একটি তাফসির।
    ১৪. সবচে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এটা লিখেছেন এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি একাধারে অর্ধযুগ বিভিন্ন শাস্ত্রের কিতাবাদি অত্যন্ত সুনামের সাথে পাঠদান করেছেন, পাশাপাশি যিনি বিভিন্ন শাস্ত্রের ওপর অর্ধ শতাধিক কিতাবও রচনা করেছেন।
    ১৫. তরজমা ও তাফসিরের পাঠদানকারী শিক্ষকবৃন্দ, মসজিদের ইমামগণ, তরজমা পাঠকারী ছাত্রবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ সকলে এ থেকে সহজে উপকৃত হতে পারবেন।
    ১৬. এটা একটি ইলহামি তাফসির। কারণ এটা হজরতুল উসতাজ লিখেননি, বরং আহলে ইলম ও বুজুর্গদের অনুরোধ, পীড়াপীড়ি এবং এক অদৃশ্য ইঙ্গিত ও সুসংবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখেছেন।
    ৭. এতে ফিকহি মাসআলাগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
    ১৮. এতে কঠিন বিষয়ের বোধগম্যে সহজ উদাহরণ টানা হয়েছে।
    ১৯. ইতিহাস থেকে কিংবা নিজের জীবন থেকে শিক্ষনীয় ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।
    ২০. সর্বশেষ কথা হল; "ইনশাআল্লাহ এই তাফসির আপনাকে কুরআনে কারিমের অনেক নিকটবর্তী করে দেবে।"
    ২১. এ তাফসিরটির বাংলা সম্পাদনা করছেন একদল বিদগ্ধ তাফসির ও হাদিস বিশারদ ।
    ২২. এ তাফসির আপনাকে সহজে কুরআন শেখা ও বোঝার প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে ।
    ২৩. এ মহা মূল্যবান তাফসিরটির ভাষান্তর করছেন হযরত মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি রাহিমাহুল্লাহ -এর কয়েকজন বিশ্বস্ত ছাত্র ও ভক্ত। যারা হযরতের ইলমি সোহবতে ধন্য হয়েছেন ।
    মাদানী কুতুবখানা-বাংলাবাজার এর সুদক্ষ অনুবাদক ও সম্পাদনা টিম কাজটি সম্পন্ন করেছে অদম্য আগ্রহ ও স্পৃহা নিয়ে ।
    আসুন কুরআন পড়ি, কুরআন শিখি, শব্দে শব্দে কুরআনের অর্থ পড়ি । সহজে কুরআন বুঝতে তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন আপনাকে রাহনুমায়ী করবে ।
4500 9000-50%
বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত
মাওলানা ইসমাইল রেহান
  • বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকটের জায়গাটাকে যদি একবাক্যে প্রকাশ করতে হয় তবে বলতে হবে বুদ্ধি ও মনস্তাত্ত্বিক সংকট। বিগত কয়েক প্রজন্মসহ বর্তমান মুসলিম প্রজন্মের মনস্তত্ত্বকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অচল করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মুসলিম জাতিসত্তা ও দীনি ফিতরাত নষ্ট হয়ে গেছে পশ্চিমা ও অন্যান্য জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক আঘাতে। ফলে আজ রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার সর্বত্র দীনহীনতার সয়লাব।
    স্বাধীনতা, প্রগতি ও যুগচাহিদার নামে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ যেই মানসিক দাসত্ব ও ধর্মহীনতার প্লাবনে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে এর সাথে বিগত ৩০০ থেকে ৩৫০ বছরের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের গভীর সম্পর্ক আছে। উম্মাহর মনস্তত্ত্বকে মানুষের দাসত্ব থেকে আল্লাহর দাসত্বে ফিরিয়ে আনার জন্য ইসলামের সোনালি ইতিহাসের পাশাপাশি বিগত ৩০০ বছরের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করাতে হবে। তখন তারা বুঝতে পারবে, আজকের শাসনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবারব্যবস্থা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা নয়। বরং উপনিবেশ, প্রাচ্যবাদ ও বিশ্বায়নের মাধ্যমে তাদের উপর বিদ্যমান মতাদর্শগুলো চাপিয়ে দিয়েছে ইউরোপ।
    আর উম্মাহকে ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই নাশাত পাবলিকেশন নিয়ে আসছে "বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত"।

347 475-27%
মধ্যপ্রাচ্য: যুদ্ধ রাজনীতি বাস্তবতা
মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকল
  • মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকল আরব বিশ্বের একজন প্রসিদ্ধ সাংবাদিকসাহিত্যিকবুদ্ধিজীবি  পর্যবেক্ষক। তিনি ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল আহরাম পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর বেশকিছু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। বইটি তার  বিষয়ের ওপর সপ্তম বই, যা ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয় সমালোচকদের দৃষ্টিতে উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতি  যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর লেখা বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম বই এটি।

    মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকল  বইয়ে উপসাগরীয় যুদ্ধে আরবদের দ্বিধাভক্তিইরাকের বিরুদ্ধে মিত্র জোটের সামরিক হামলার পেছনের অন্তর্নিহিত কারণমধ্যপ্রাচ্যের তে নিয়ে পশ্চিমা স্বার্থবাদী রাজনীতির সমীকরণআরব নেতাদের পারস্পারিক দ্বন্দ  বোঝাপড়া ইত্যাদি বিষয়ে তার কলম চালিয়েছেন। এসব আলোচনার মধ্য দিয়ে তিনি উপসাগরীয় যুদ্ধনাটকের রহস্যভে করতে যথেষ্ঠ পরিশ্রম করেছেন। পশ্চিমা বিশ্লেষণ ও মিডিয়ার বক্তব্য থেকে যা সম্পূর্ণই আলাদা।

    এসব যুদ্ধ কেন সংঘটিত হলোকে কীভাবে বিজয় লাভ করলবিজয়ের ধর  প্রকৃতি কী ছিলএসব বিষয়ে প্রতিও যথেষ্ঠ ইঙ্গিত দেয়া য়েছে। সবশেষে মধ্যপ্রাচ্যের অতীবর্তমান  ভবিষ্যত সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন-উত্তরের ক্লাইমেক্ পাঠককে হতাশ করবে না।

205 300-32%
জিজ্ঞাসা ও জবাব ১ম-৫ম খণ্ড
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
  • ⚉ জিজ্ঞাসা ও জবাব ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর রেখে যাওয়া এক অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ।
    ⚉ কুরআন সুন্নাহর আলকে ইসলামি সওয়াল-জওয়াব।
    ⚉ গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রশ্নের উত্তর।
    ⚉ অজানাকে জেনে নিন।
    ⚉ এমন সব প্রশ্নের উত্তর যা সকল মুসলিমের জেনে রাখা প্রয়োজন।

597 1030-43%
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ - দুই খণ্ড একত্রে
শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত্তুওয়াইজিরী
  • বই: কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ
    মূল: শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত্তুওয়াইজিরী
    অনুবাদ পরিষদ: – শাইখ আবু আহমাদ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী। – শাইখ মুহাম্মদ আব্দুর রব আফফান মাদানী। – শাইখ মুহাম্মদ উমার ফারুক আব্দুল্লাহ মাদানী। – শাইখ আজমাল হুসাইন আব্দুন নূর মাদানী। – শাইখ শহীদুলাহ খান মাদানী।

    অনুবাদ, সংশোধনী ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে: শাইখ আবু আহমাদ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী।

    কভার: হার্ড কভার।

    পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১ম খণ্ড (৯৬৮) পৃষ্ঠা ┊
    ২য় খণ্ড (৯০৪) পৃষ্ঠা ।

    পেপার: ৮০ গ্রাম ক্রিম অফ-হোয়াইট।

    প্রকাশনী: আলোকিত প্রকাশনী।

1995 2000-1%
উমাইয়া খিলাফতের ইতিহাস (৬ খণ্ড একত্রে) (হার্ডকভার)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • —আপনি কি উমাইয়া খিলাফতের সঠিক ও পূর্ণ ইতিহাস জানতে চান?
    —আপনি কি শিয়া, রাফিজি, খারিজিদের উত্থান-পতনের বিশদ ইতিহাস জানতে চান?
    —আমিরে মুআবিয়া, হাসান-হুসাইন, ইয়াজিদ, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর,
    আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান, উমর ইবনু আবদুল আজিজসহ উমাইয়া শাসকদের
    সঠিক ইতিহাস যদি আপনি জানতে চান; তাহলে এই বইটি আপনার জন্যই।
    .
    ইতিহাসের সোনালি শাসন খিলাফতে রাশিদার পর শুরু হয় ইসলামি ইতিহাসের দুর্যোগকাল–বংশীয় খিলাফতের সূচনা, জামালযুদ্ধ, সিফফিনযুদ্ধ, কারবালা, ইমাম হুসাইনের শাহাদত! একের পর এক ঘটতে থাকা ইতিহাসের আলোচিত-সমালোচিত অধ্যায়!
    .
    পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলামের বিজয় অভিযান; শিয়া-খারিজিদের উত্থান, খিলাফতকেন্দ্রিক অস্থিরতা, ইসলাম রক্ষায় সাহাবি-তাবিয়িগণের আত্মত্যাগ, লোমহর্ষক ঘটনায় ভরপুর বিস্ময়কর আলো-আঁধারি; ইসলামের মহান সাহাবিদের নিয়ে মিথ্যা রটনাকারীদের কল্পকথার বিশ্লেষণ–এর সবই উমাইয়া খিলাফতের ইতিহাস পরিক্রমা।

    বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবির কলমে উঠে এসেছে সত্যসন্ধ ইতিহাসের সাহসী উচ্চারণ। ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছেন উমাইয়া খিলাফতের আদ্যোপান্ত। প্রামাণিক বিশ্লেষণে ইতিহাস কত সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে–এই গ্রন্থ খুলে দেবে সেই জানালা।
2291 3055-26%
আতশকাচে দেখা বাদশা হারুনুর রশিদ
ড. শাওকি আবু খলিল
  • ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত এক চরিত্রের নাম আব্বাসি খলিফা বাদশা হারুনুর রশিদ। এ নামের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। কারণ তার শাসনামল ছিল ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির চরম উৎকর্ষের যুগ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তখন উন্নতি-অগ্রগতির শিখরে পৌঁছে ছিল বলে এ সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। সে সময়ে বাগদাদ হয়ে উঠেছিল জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সূতিকাগার। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন জ্ঞান আহরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সেখানে ছুটে যেত। 

    হারুনুর রশিদ হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আব্বাসি খলিফা। সাম্রাজ্যের পরিধি বৃদ্ধি, ফেতনা ও বিদ্রোহ দমনে তার বীরত্ব ও সাহসিকতার গুণগান আজও মানুষের মুখে মুখে শোভা পায়। একদিকে নিরীহ ও সাধারণ প্রজাদের কাছে তিনি ছিলেন একজন স্নেহপরায়ণ শাসক, অপরদিকে অন্যায় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কাছে ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক। 

    এতসব কিছুর পরেও তার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত প্রজাহিতৈষী শাসক। যিনি রাতের আঁধারে ছদ্মবেশে ঘুরে ঘুরে প্রজাদের সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করতেন এবং তাদের যাবতীয় প্রয়োজনাদি পূরণ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন আল্লাহর আদেশ-নিষেধ ও সুন্নতে নববির অনুসরণে সদা তৎপর। যিনি সারাজীবন জ্ঞান ও জ্ঞাণী লোকদের সম্মান করেছেন এবং আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

    এতসব মহৎ গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রী মহল এ মহান মুসলিম খলিফার নামে তার তিরোধানের পর থেকেই নানা বিষোদগার করে আসছে। তাদের বক্তব্যমতে হারুনুর রশিদ ছিলেন একজন ব্যর্থ ও অত্যাচারী শাসক। বস্তুত এসকল চালবাজ লোকেরা নিজেদের হীন মনোবাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে খলিফা হারুনুর রশিদের নামে বিভিন্ন অপবাদ ও কুৎসা রটিয়ে বেড়ায়। এসব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার হয়ে সাধারণ মুসলিম সমাজ আজ এ মহান খলিফার প্রকৃত ইতিহাস ও জীবনচরিত থেকে দূরে সরে পড়েছে।

    বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি এ মহান খলিফার জীবনচরিত নিয়েই রচিত। এর রচয়িতা হলেন আরব বিশ্বের প্রখ্যাত গবেষক ও ইতিহাসবিদ ড. শাওকি আবু খলিল। তিনি বইটিতে নির্ভরযোগ্য সব সূত্র ও গবেষণার আলোকে খলিফা হারুনুর রশিদের জীবনের আদ্যোপান্ত অত্যন্ত সুনিপুণ ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় তুলে ধরেছেন।

450
মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস (১-১৪খন্ড)
মাওলানা ইসমাইল রেহান
  • মাওলানা ইসমাইল রেহান রচিত ‘তারিখে উম্মতে মুসলিমা’ গ্রন্থটির পটভূমি সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্তকার সমস্ত ইতিহাস। এই দীর্ঘ সময়ে সংঘটিত মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক তাবৎ প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত হয়েছে এই দালিলিক গ্রন্থ।
    ইতিহাসের অজস্র পট-পরিবর্তনের দৃশ্যচিত্র অত্যন্ত কুশলী ও সুনিপুণ বুননে উপস্থাপন করেছেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ মাওলানা ইসমাইল রেহান।মনোরম-স্নিগ্ধ ভাষায় গ্রন্থটির পাতায়-পাতায় প্রাণবন্ত হয়ে আছে মুসলিম উম্মাহর কল্লোলিত বিচিত্র সময়। অল্পদিনের ভেতর পুরো উপমহাদেশে গ্রন্থটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভাষায় শুরু হয়েছে এর অনুবাদের কাজ।
    অনুবাদকমন্ডলী :
    মাওলানা আবদুর রশীদ তারাপাশী, মাওলানা নাজীবুল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা নূরুয-যামান, মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন, মাওলানা যুবাঈর আহমাদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মঈনুদ্দীন তাওহীদ, মাওলানা আম্মার আবদুল্লাহ।
3500 8750-60%
আল-আদাবুল ‍মুফরাদ (দুই খণ্ড)
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বোখারী (র)
  • ♦ ১২০০ বছর পূর্বে রচিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের বই।
    ♦ প্রতিটি হাদিস তাহকিক ও তাখরিজ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
    ♦ দুআর উচ্চারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
    ♦ যয়িফ হাদিসগুলোর দুর্বল হওয়ার কারণ বর্ণনা করা হয়েছে।
    ♦ অনুবাদে পূর্ণ সনদকে পরিহার করা হয়েছে।
    ♦ প্রতিদিন ঘরে তালিম করার মতো বই।
    ♦ সর্বসাধারণের উপযোগী সহজ অনুবাদ।

500 1000-50%
খোলাসাতুল কোরআন (পবিত্র কোরআনের মর্মকথা)
মাওলানা মুহাম্মদ আসলাম শেখোপুরী রহ.

  • রমাদান তো কুরআনের মাস ; এ মাসেই তো রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর পুরো কুরআন নাযিল হয়েছে, কিন্তু কখনো কি কোন রমাদানে মর্ম ও উদ্দেশ্য বুঝে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করেছেন? আচ্ছা, সেটা না-হয় বাদ দিলাম, রমাদান উপলক্ষেও কি কখনো ভেবে দেখেছেন কুরআন আপনার থেকে কী চায়? বরং তা আপনার জন্য কী নিয়ে এসেছে? আপনাকে কী দিতে চায়? রাব্বুল আলামিন এতে আপনাকে কী বলেছেন? যিনি আপনাকে সৃষ্টি করলেন, আপনার আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করলেন তিনি আপনাকে কী বলতে চান? কখনো কি তার এ চিঠিটা পড়ে দেখেছেন?


    বৃথা এ জীবন!


    বিভিন্ন বিষয়ে হাজারটা বই পড়তে পারলেন কিন্তু রবের পাঠানো চিঠিটা পড়তে পারলেন না! এর মর্ম অনুধাবন করতে পারলেন না! আপনার চেয়ে হতভাগা আর কে আছে?


    মর্মপীড়ায় ভুগছেন? গভীর যাতনা অনুভব করছেন?


    আলহামদুলিল্লাহ, আপনার জন্যই নাশাতের তরফ থেকে উপহার "খোলাসাতুল কুরআন"।


    যা আপনাকে কুরআনের মর্ম ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত করবে। প্রতিটি সূরার প্রতিবাদ্য ও মূল বক্তব্য তুলে ধরবে। সূরা থেকে আহরিত বিধিবিধান সম্পর্কে জানান দিবে। সূরায় নিহিত শিক্ষা ও উপদেশের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বাদ যাবে না কোন ঘটনাও। সংক্ষেপে হলেও তুলে ধরবে তা।


    মোটকথা পুরো কুরআনের বক্তব্য ও বয়ান তুলে ধরার প্রয়াস চালাবে এ গ্রন্থটি।


263 360-27%
মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান রা.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • কাতিবে ওহি, প্রিয়নবির প্রিয় শ্যালক, ইসলামি জগতের প্রথম শাহানশাহ, আমিরুল মুমিনিন মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান রা. আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত এমন এক সমুজ্জ্বল নাম। যাঁর সুমহান কীর্তিসমূহের আলোচনা মুমিনহৃদয়ে বইয়ে দেয় আনন্দের প্রস্রবণ। অপরদিকে ইয়াহুদিদের পোষ্য ইবনু সাবা, তার পদলেহী রাফিজিরাসহ প্রাচ্যবিদরা এবং অধুনার গবেষকরা সত্যাসত্য নিরূপণ না করে তাঁর ওপর নিন্দাবাদের যে ছুরি চালিয়েছে, তা যেকোনো মুমিনের অন্তরে তুলে বেদনার রক্তপ্লাবন। যেখানে উম্মাহর স্বীকৃত ইতিহাসবিদ জাহাবি, ইবনু কাসির ও ইবনু খালদুনরা তাঁর সুউচ্চ মর্যাদা ও কৃতিত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন ভাষা, খুঁজে পান না উপযুক্ত শব্দ, সেখানে রাশিদ রেজা আর আব্বাস মাহমুদ আক্কাদরা তাঁর মর্যাদায় দুর্গন্ধময় ভাষা; দূষিত সব শব্দ ব্যবহার করতে কুণ্ঠিত হন না।


    তাঁর সঙ্গে হাসান ইবনু আলির সন্ধি একসুতোয় গেঁথে দেয় দ্বিধাবিভক্ত জাতিকে। উম্মাহর ঐকমত্যে তিনি অধিষ্ঠিত হন ইসলামি খিলাফতের সিংহাসনে। ক্ষণের জন্য স্থাণু হয়ে পড়া জিহাদ ও বিজয়ের ধারায় এনে দেন গতির সঞ্চার। ইসলামের পক্ষে সমুদ্রযুদ্ধের মহানায়ক ছিলেন তিনি, যে ব্যাপারে নবিজির সুসংবাদ বিদ্যমান। বিলাদুল মাগরিব তথা দূর আফ্রিকা থেকে নিয়ে মধ্য-এশিয়ার খোরাসান পর্যন্ত ইসলামের নিশান ছড়িয়ে দেন এই দিগ্‌বিজয়ী বীর সাহাবি। এতকিছুর পরেও তিনি পদে পদে বিদ্বেষী ইতিহাসবিদদের দ্বারা বিদ্ধ হয়েছেন অন্যায্য সমালোচনার তিরে।


    মাজলুম সেই সাহাবিকে নিয়ে ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি রচিত এ গ্রন্থটি আপনাকে দেবে তাঁর সম্পর্কে সত্য-সুন্দর ধারণা। পাতায় পাতায় পাবেন তাঁর ওপর আরোপিত মিথ্যা সব অপবাদের দাঁতভাঙা জবাব। দূর হবে তাঁর ব্যাপারে শোনা সব সংশয়জাগানিয়া মিথ্যা।

580 750-23%
কিতাবুল ফিতান
আল্লামা ইব্‌নে কাছীর (রহ.)

  • আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর শেষ নবী। তাঁর পর আর কেউ আল্লাহর বার্তা নিয়ে দুনিয়ায় আসবেন না। এজন্য তিনি কিয়ামতের পূর্বে বহু ফেতনার কথা বয়ান করে গেছেন। তার অনেকগুলো ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে; কিছু বাস্তবায়িত হতে চলেছে; আর কিছু বাকি রয়েছে। কিন্তু আমরা গাফলতের কারণে যেগুলো ঘটে গেছে, সেগুলোর খবরও রাখছি না। আর যেগুলো ঘটে চলেছে, সেগুলোর খবর নিচ্ছি না। আর যেগুলো ভবিষ্যতে ঘটবে, সেগুলো সম্পর্কে তো কিছু বলারই অপেক্ষা রাখে না।


    দুনিয়া যত বুড়িয়ে যাবে, ততই এর নিয়মনীতি বিঘ্নিত হতে থাকবে। পরিভাষায় এই বিবর্তনকে ‘ফিতনাহ’ বহুবচনে ‘ফিতান’ বলা হয়ে থাকে। তাসবীহের সূতা ছিঁড়ে দিলে যেভাবে তার দানাগুলো একের পর এক পড়তে থাকে, দুনিয়ার বার্ধক্যের সময় ফিতানের আবির্ভাবও সেভাবেই সংঘটিত হতে থাকবে। রসূলুল্লাহ ﷺ-এর ভাষ্য এই দাবির উপরই সাক্ষ্য প্রদান করে।


    ইসলামের মহামনীষীগণ অত্যন্ত চৌকসভাবে রসূলুল্লাহ ﷺ-এর এজাতীয় ভাষ্যের সংকলন উম্মাহর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। যাঁরা এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন, তাঁদের তালিকা অত্যন্ত দীর্ঘ। যাবতীয় নাম সন্বিবেশিত করতে গেলে একটি ছোটখাট পুস্তিকায় পরিণত হবে। তবে তাঁদের মধ্যে ইমাম ইবনে কাসীর’র নাম খুব গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করার মত।


    তিনি তাঁর ইতিহাসগ্রন্থ ‘আল-বেদায়াহ ওয়ান-নেহায়াহ’র ‘ফিতান’ অধ্যায়ে এই প্রসঙ্গে বর্ণিত প্রায় যাবতীয় রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে অনেক আলেমে দীন এই অংশটি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিমার্জিত করে স্বতন্ত্র পুস্তকহিসাবে প্রকাশ করেছেন।


    পরিমার্জন বলতে কেউ ব্যাখ্যা যুক্ত করেছেন। কেউ বিভিন্ন হাদীস-তাফসীরের গ্রন্থ থেকে তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন। কেউ ইবনে কাসীর উদ্ধৃত দীর্ঘ সূত্র সংক্ষিপ্ত করেছেন। ইত্যাদি। আমরা একটি পরিমার্জিত সংস্করণের অনুবাদ পেশ করছি। এ ধরণের গ্রন্থের অনুবাদ করা খুব কঠিন। কেননা, এমন গ্রন্থাবলিতে এমন কিছু তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেগুলো শুধু আরবীতেই ব্যক্ত করা সম্ভব। তবুও বাংলা-উপস্থাপন-রীতি অনুসরণ করতে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।


330 600-45%
সিক্রেটস অব জায়োনিজম : বিশ্বব্যাপী জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের ভেতর-বাহির (হার্ডকভার)
হেনরি ফোর্ড , অনুবাদ -ফুয়াদ আল আজাদ
  • আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মালিক হেনরি ফোর্ড। কোম্পানি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি তো চক্ষু চড়কগাছ! এ কী! ইহুদিদের জায়োনিষ্ট জাল অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে পৃথিবীকে!
    .
    ফোর্ড ১৯২০ সালে শুরু করলেন নিজের পত্রিকা ‘দ্য ডিয়ারবর্ন ইনডিপেন্ডেন্ট’। সেখানে ৯১ পর্বের কলামে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলেন ইহুদি জাল ও নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী তুমুল হইচই শুরু হলো। জায়োনিষ্ট মুখোশ উন্মোচিত হলে আমেরিকান ব্যবসায়ীর কলমে। ইতোমধ্যে ফোর্ড-এর কলামগুলো নিয়ে চার খণ্ডের বই তৈরি হলো; নাম- ‘The International Jew’। প্রতিক্রিয়ায় ইহুদি লবি জবাব দিতে লাগল। আমেরিকা থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানেই সব বই লাপাত্তা হলো। পত্রিকার বিরুদ্ধে সম্প্রিতি নষ্টের উস্কানির অভিযোগ উঠল। ১৯২৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হলো তার পত্রিকা এবং আলোচিত এই বই।
    .
    কিন্তু চাইলেই কি সব বন্ধ করে দেওয়া যায়? আশির দশকে আবার প্রকাশিত হলো বইটি। দুনিয়াব্যাপী ২৩টি ভাষায় অনূদিত হলো। বিশ্বখ্যাত সেই বইটির বাংলা অনুবাদ ‘সিক্রেটস অব জায়োনিজম’। অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মেধাবী মুখ ফুয়াদ আল আজাদ। শিহরণ জাগানিয়া বইটি সংগ্রহ করার সময় এখনই।

300
সন্তানের ভবিষ্যৎ
ড. ইয়াদ কুনাইবী
  • সন্তান, সে তো আসমান থেকে পাওয়া। সন্তান, সে তো স্বর্গ থেকে আসা। সন্তান, সে তো স্বপ্ন দিয়ে বোনা সোনা-রঙা সোনালি ফসল।
    সন্তান পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের সম্পদ। সন্তান চোখের শীতলতা, অন্তরের কোমল উষ্ণতা, হৃদয়ের গহীনে সযত্নে চাষ-করা এক টুকরো মুক্তো। সন্তান মানে বেঁচে থাকার শক্ত অবলম্বন। সন্তান মানে সারাদিন ঘামঝরা ভীষণ খাঁটুনির পর এক অনাবিল প্রশান্তি। সন্তান মানে শত ঘুটঘুটে অন্ধকারেও আলোর ঝলকানি।
    সন্তান মানে অর্থবহ সার্থক বেঁচে থাকা। সন্তান মানে সহস্র হতাশার ভিড়েও আশার ফোয়ারা। সন্তানই তো উত্তপ্ত মরুভূমিতে ছায়া দেয়। হাড়-কাঁপানো-শীতে উষ্ণতা জোগায়। হাসি, খুশি আর আনন্দে জীবন রাঙায়। জীবনের শেষ বেলায় চশমা হয়ে পথ দেখায়, লাঠি হয়ে ভার নেয়, বাহন হয়ে সবখানে নিয়ে বেড়ায়, মুখে তুলে খাইয়ে দেয় আবার যত্ন করে ঘুম পাড়ায়।
    কিন্তু এতসব প্রাপ্তির তৃপ্তি পেতে সন্তানকে আগে ‘মানুষ’ বানাতে হয়, তিলে তিলে গড়ে তুলতে হয়, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর ফেলতে হয়। ওহির আলোয় আলোকিত করে আপনি আপনার সন্তানকে কীভাবে জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল করে গড়ে তুলবেন, সন্তানকে কীভাবে পৌঁছে দেবেন আলোর ঠিকানায় সেজন্যই আমাদের এই সবুজ আয়োজন——সন্তানের ভবিষ্যৎ।
250
মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ (১-১০ খণ্ড)
মাওলানা ইসমাইল রাইহান
  • এক মলাটে মুসলিম জাতিসত্তার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসগ্রন্থ। যে বইয়ে মানবজাতির হাজার বছরের ইতিহাস সংক্ষেপে এবং মুসলিম উম্মাহর চৌদ্দশো বছরের ইতিহাস সবিস্তারে উঠে এসেছে। তথ্যের প্রাচুর্য, প্রতিটি তথ্যের সঙ্গে প্রাচীন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স বুক থেকে উদ্ধৃতি, নির্মোহ বিশ্লেষণ এবং বিশুদ্ধ মানদণ্ডে পরখ করে সাবলীল তথ্য উপস্থাপনার বৈশিষ্ট্য অন্য যেকোনো বই থেকে এই বিশ্বকোষকে স্বাতন্ত্র্য এনে দিয়েছে।
    উর্দুর সুবিশাল চার ভলিউম থেকে বাংলায় দশ খণ্ডে বইটি অনূদিত হয়েছে। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের ইউরোপ অভিযান, অর্থাৎ হিজরি ৯ম শতাব্দী/ঈসায়ি ১৫তম শতাব্দী পর্যন্ত পুরো আরব, ইউরোপ, আফ্রিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ইতিহাস পূর্ণাঙ্গভাবে উঠে এসেছে।
    বইটি লিখেছেন, মাওলানা ইসমাইল রাইহান। যিনি পাকিস্তানের জামিয়াতুর রশিদ করাচির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। বইটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন, সাবেক বিচারপতি মাওলানা তাকি উসমানি, ড. মনযুর মেঙ্গলসহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য বিদগ্ধ মনীষী।
4770 9000-47%
ফিরে আসুন রবের দিকে প্যাকেজ
শাইখ সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী রহ.
  • আল্লাহর সঙ্গে কিভাবে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করবেন?

    মুমিন মানুষ আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী। আল্লাহর গোলামীর মাধ্যমেই মানুষ তার সান্নিধ্য লাভ করে। আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভ করতে হলে পূতপবিত্র থাকতে হবে, যেমন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে, ফিতনা থেকে বেচে থাকতে হবে, রবের নিকটবর্তী হওয়ার রাস্তা খুজতে হবে। আর তাঁর গোলামি বা ইবাদত করার অন্যতম মাধ্যম হলো কিয়ামুল লাইল বা নামাজ। যা মুমিন মুসলমানের অনন্য গৌরবময় ইবাদত। এ ইবাদতের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

    রবের দিকে ফিরা যায়, এমন কিছু বই নিয়ে আমাদের এই 'ফিরে আসুন রবের দিকে প্যাকেজ'

    .

    বই- রাতের আঁধারে প্রভুর সান্নিধ্যে

    মূল- শাইখ সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী রহ.

    অনুবাদ- আব্দুল আহাদ তাওহীদ

    মুদ্রিত মূল্য- ২৪০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৪৪

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1eu8TjrBqB2AYUCHfVM3AOr9C8Ze5iVth/view?usp=drivesdk 

    .

    বই- গুনাহ থেকে ফিরে আসুন

    মূল- ইমাম ইবনুল কায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ রহ.

    তাখরিজ- মাওলানা তাহের নাক্কাশ পাকিস্তানি

    অনুবাদ- মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার

    মুদ্রিত মূল্য- ২৬০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৬০

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1_xpjCYWLmPklt3sWNp8kPmO9r6hhZL9l/view?usp=drivesdk

    .
    বই- ফিতনা থেকে বাঁচুন

    মূল- শাইখ ইউসুফ বিননূরী রহ.
    অনুবাদ- মারগুব ইরফান

    মুদ্রিত মূল্য- ২৮০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৮৪

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1Uvl7cQvgCKkf4T1w3YsyxBTOkZZB_ObB/view?usp=drivesdk

780
দ্য প্রফেট মুহাম্মদ
শওকত হোসেন
  • "দ্য প্রফেট মুহাম্মদ" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ


    একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে নিয়ে রচিত মনোধুদ্ধকর গ্রন্থ। চমৎকার শৈলী আর সহানুভূতির সাথে লেখা।


    ফারগাস ফ্রেমিং দ্য সোর্ড ত্যান্ড দ্য ক্রসে'র -এর রচয়িতা।


    পয়গন্কর মুহাম্মদ (স:) সর্বকালের মানবজাতির নায়ক। জীবদ্দশায় এক নতুন ধর্ম : ইসলাম; একটি নতুন রাষ্ট্র: প্রথম একবদ্ধ আরব; এবং এক নতুন টি কুরানের ধ্রুপদী ভাষা-মুহাম্মদের কাছে আর্চতযানজেল গ্যা্িয়েল কর্তৃক পরত্যাদি্ট 'আলাহর বানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তাঁর পরলোকগমনের ক প্রজন্ম পরে তিনি এক নতুন সাম্রাজ্য আর এক নতুন সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করবেন। ধর্মের উপলব্ধি যেখানে ক্রমেই অত্যাবশ্যক নেতা, স্বগ্রষ্টা এবং পয়গন্বরের এতিহাসিক অনুরণন আর  আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। ষষ্ঠ শতাব্দীর আরব, যেখানে মুহাম্মদ সৈ:) জন্ম গ্রহণ করেছেন, আপন মানুষ, ক্যারাভান কাফেলা, নিজ শহর মক্কার  বাজার এলাকায় তার বেড়ে ওঠা, আল্লাহর পয়গন্বরে পরিণত হওয়ার 'সেই রাত, মকায় শিক্ষা দানের বিপজ্জনক বছরগুলো আর মদিনা অধিকার করার মক্কার  প্রয়াস, যা শেষ পর্যন্ত মুহাম্মদের (স:) মুসলিম বাহিনীর কাছে পরাস্ত মক্কার বৈরী প্রয়াস-এসব কিছুই জীবন্ত করে তুলেছেন তিনি।

    পরজারসনের গ্রন্থ যেন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণের মতো। পয়গম্বরের দৈনন্দিন ও পারিবারিক জীবনে আনন্দ-অবগাহন করেছেন তিনি ধর্মীয় সযতন বুননের ভেতর


    দিয়ে। গতিশীল দারুণভাবে পাঠযোগ্য একটি বই।'

170 230-27%
অবৈধ প্রেম থেকে দূরে থাকুন
শায়খ মুহাম্মদ সালিহ আলী মুনাজ্
  • আজকে একুশ শতকে সবচেয়ে ব্যাপক হারে যে রোগটি ছয়লাপ করেছে, হারাম যে কাজটি মানুষ হালাল-জ্ঞান করা শুরু করেছে, তা হলো বিয়ে বহির্ভূত ভালোবাসা। স্কুল পড়ুয়া শিশু থেকে শুরু করে তরুণ তরুণী, চাকুরীজীবী, এমনকি বিবাহিত, কেউই বাদ নেই।
    .
    ফলে সমাজে যেমন দেখা দিচ্ছে নানামুখী বিশৃঙ্খলা, তেমনি বহু মানুষের জীবন, পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া হারাম ভালোবাসা অন্তরকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেয়, আল্লাহর মাঝে বান্দার দূরত্ব সৃষ্টি করে। কল্যাণের পথ থেকে দূরে সরিয়ে গোমরাহির পথে এগিয়ে দেয়।
    .
    ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থা, যা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির সাথে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই ইসলাম ভালোবাসাকে হারাম করেনি, বরং অবৈধ প্রেমকে হারাম করেছে। হারাম ভালোবাসার ক্ষতি, এ থেকে বের হয়ে আসার উপায়, করণীয় বর্জনীয় ইত্যাদি বিষয়ে পূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয় ইসলাম। বক্ষ্যমাণ বইটি এই বিষয়ে চমৎকার একটি পাথেয়।

110 200-45%
ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে?
এশরার লতিফ
  • এশরার লতিফ এর ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে?  প্রিন্টেড ২০২২ এর বইমেলার নতুন বইটি সংগ্রহ করুন সরাসরি তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে! প্রি-অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশে ফ্রী ডেলিভারি!

    ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে? বইয়ের অংশঃ

    মেডিকেল অফিসার হিসেবে ভুবন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মাত্রই যোগ দিয়েছে লায়লা। কিছু দিনের ভেতরেই লায়লা বুঝতে পারলো যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি আর অনিয়ম। এসব নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে অফিসের বড় কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হলো সে। জানতে পারলো ঝুমঝুমি নামের একজন মেডিকেল অফিসার এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। এর মাঝে একদিন ভুবন নগরে আর ঝিনাইদহের কাছে একই সময় ভূপাতিত হলো দুটো যুদ্ধ বিমান। ঘটনার তদন্তে ভুবন নগর এলো গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর লাবণি। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। শর্ষে থেকে বেরিয়ে এলো ভুত, কেঁচো খঁড়তে বেরিয়ে এলো ভয়ংকর সাপ।

    এই ধরনের অন্যান্য বই দেখুন “প্রি-অর্ডারের বই” এবং আমাদের নতুন সব আপডেট পেতে তাম্রলিপি ফেসবুক পেজে ফলো করতে পারেন।


400
মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে ১-৪ খণ্ড
ড. রাগিব সারজানি
  • ড. রাগিব সারজানি। একজন দরদি দাঈ, একজন কুশলী ইতিহাসবিদ। আলোচনার ময়দানে ও বইয়ের পাতায় তিনি তুলে ধরেন মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও অবদান, করণীয় ও প্রয়োজন। তিনি সমৃদ্ধ অতীতের গল্প শোনান, সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। তিনি ঘুমন্ত রাহবারকে জাগরণের আহ্বান জানান, দিগ্ভ্রান্ত পথিককে রাহবারের পথ দেখান। নন্দিত ও বরণীয় লেখক ড. রাগিব সারজানির এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ ‘মা-যা কাদ্দামাল মুসলিমুনা লিল-আলাম’। গ্রন্থটিতে তিনি তুলে ধরেছেন পৃথিবী ও মানবজাতির কল্যাণে মুসলিমজাতির উদ্ভাবন ও আবিষ্কার এবং কীর্তি ও অবদানের বয়ান। তথ্য ও যুক্তির মিশেলে তিনি রচনা করেছেন শ্রেষ্ঠতম জাতির নিখুঁত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য অভিধান। গ্রন্থটিতে আছে ঘুমন্ত রাহবার ও দিকহারা কাফেলা—উভয় শ্রেণির প্রয়োজনীয় তথ্যের চমকপ্রদ বিবরণ। গ্রন্থটি তাই হতে পারে প্রতিটি মুসলমান ও প্রতিটি মানবসন্তানের অধ্যয়ন-তালিকায় অমূল্য সংযোজন।

    গ্রন্থটি ২০০৯ সালে মিশরের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘মুবারক অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সে দেশের ভাষায় অনূদিত ‘শ্রেষ্ঠ বই’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। ড. রাগিব সারজানির এ গ্রন্থটি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার পাশাপাশি পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ইন্দোনেশীয়, মান্দারিন ও রুশ ভাষায় অনূদিত ও বেশ সমাদৃত হয়েছে।

1377 1450-6%
সরোবর
মোঃ আবু জাহেদ (জাহিদ)
315
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে আটাশ বছর
বীরপ্রতীক
  • সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে আটাশ বছর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার স্মৃতিচারণ মাত্র নয়। এটি একার্থে আমাদের সেনাবাহিনীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও। ১৯৯৬-এর ১৮-২০ মে’র ঘটনাপ্রবাহ, যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন সেনা প্রধানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়, লেখক নিজেও যার শিকার হন, এই বইটির মূল উপজীব্য হলেও, উক্ত ঘটনার প্রেক্ষাপট হিসেবে স্বাধীনতা পূর্বকাল থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসকে–তার যুদ্ধকালীন গঠনপর্ব, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদান, স্বাধীনতা-উত্তর সংগঠন ও কার্যক্রম, পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনা, পরবর্তী অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা , সামরিক শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর তৎপরতা, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সেনাদলের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু ধারাবাহিক ও বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।

113 150-25%
বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
  • নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক গ্রন্থ এই বই, ইন শা আল্লাহ।

    বইটি কাদের জন্য?

    এই বই তাদের জন্য যারা আমার কাছে ‘সাজিদ হতে চাই’ বলে বিভিন্ন সময়ে আবদার করেন। পরামর্শের আবদার, পথনির্দেশের আবদার। সাজিদ হতে হলে, আমি মনে করি, সবার আগে একটা অন্ধকার বৃত্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সাজিদ যেভাবে অন্ধকারের কৃষ্ণগহ্বর ছেড়ে, আলোর ফোয়ারাতে তার জীবন রাঙিয়েছে, সেরকম ঝলমলে আলোর মাঝে নিজেকে মেলে ধরাই ‘সাজিদ’ হবার প্রথম এবং প্রধান শর্ত। কেবল ভারি ভারি বই আর যুক্তির পশরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার মধ্যেই ‘সাজিদ’ হয়ে উঠার সার্থকতা নেই। সাজিদ হয়ে উঠার সার্থকতা তখনই যখন সাজিদ যে আদর্শের আলো প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে দিতে চায়, তা আমরা জীবনে মেখে নিতে পারবো।

287
দুআ কবুলের গল্পগুলো
রাজিব হাসান
  • দু’আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাহ। রাসূল ( ﷺ) ইরশাদ করেন,“দু’আ মূল ইবাদাহ”। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী] দু’আ হলো মহান আল্লাহর নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করা। যিনি আমাদের সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন, পরীক্ষার নিমিত্তে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন, কৃত গুনাহ মাফের জন্য কিংবা যে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন। যুগে যুগে মানবতার মুক্তির দূত নাবী রাসূলগণ যে কোন প্রয়োজনে স্বীয় রবের কাছে দু’আ করতেন। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।

    সাহাবাগণ দু’আ করতেন, চাইতেন, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ফিক্বির জারি রাখতেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দু’আ, যেকোন বিপদ-আপদে দু’আ, যে কোন সমস্যায় দু’আ, সুখের সময়ও দু’আ। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দু’আ। তাদের যাবতীয় ফরিয়াদ ছিল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে, শুধুমাত্র তারই কাছে। রদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহুম ওয়া আজমাঈন।

    আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া উম্মতের বড় একটা অংশ দু’আর দেখানো পথ থেকে অনেক দূরে। উম্মতের এই বড় অংশটা আবার কয়েক ভাগে বিভক্ত। একভাগ দু’আ করেনা বা করতে চায় না, একভাগ স্বীয় রব্বকে ভুলে সৃষ্টিকূলের কাছে মাথা ঠুকে, আর আরেকভাগ দু’আ করতে চাইলেও আত্ন-বিশ্বাস আর তাওয়াক্কুলের অভাবে কিংবা পদ্ধতি না জানার কারণে নিজে দু’আ করা থেকে মাহরুম থাকে।

    আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, “সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যাক্তি যে দু’আ করে না”[সহিহ আল জামি’]

    আমাদের কোনকিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথমে আমরা সৃর্ষ্টির কাছে ধরনা দেই। যখন একে একে সবগুলো দরজা বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখন আল্লাহর দিকে ফিরে এসে ফিক্বির জারী করি। অনেক সময় দু’আর হালই ছেড়ে দেই, দু’আ করতেই চাই না, হতাশায় ভুগি।

    সকল প্রয়োজনে সর্বাগ্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে সাহায্য চাওয়ার মানুষের বড্ড অভাব। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে দুর্বল সৃষ্টিকূলের দিকে ধাবিত হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী। অথচ তিনিই আল্লাহ্‌ যিনি আমাদের দু’আ কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন। বেশী বেশী দু’আ করতে বলেছেন। প্রতিটি বিষয়ে হউক তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, হউক বৃহদাকার একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকেই সর্বদা ডাকতে হবে আমাদের, তার কাছেই চাইতে হবে সবকিছু। কোন কিছুর জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে দু’আ করলে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত খুশি হন।

    শাইত্বন আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিতে নাড়া দেয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন? তিনি কী শুনবেন আমার মত এই নগন্য-জঘন্য এক সাধারণ মানুষের কথা? কত মানুষই তো দু’আ করে, তাদের দু’আ কী কবুল হয় ? তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের শাইত্বনিক ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শাইত্বনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শাইত্বনই করে থাকে। কেননা আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো তারই। একদম সহজ সমীকরণ।

    আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্‌ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন বই “দু’আ কবুলের গল্পগুলো”

196 280-30%
শাস্তি ও বিপর্যয় : কেন আসে? প্রতিকার কী?
ইমাম ইবনু আবিদ দুনিয়া রাহ.

  • আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে দুনিয়াতে পাঠানোর শত-সহস্র বছর আগেই পৃথিবীকে সাজিয়েছেন প্রাকৃতিক সম্পদে। আগুন, পানি, বাতাস, মাটি- এ মূল চার উপাদানে সৃজন করলেন প্রকৃতি। পাহাড়, সাগর, নদী-নালা, খাল-বিল, গাছপালা, উদ্ভিদ ও তৃণলতা, ফলমূল, বৃক্ষ-তরু; পশু পাখি, জীব, জড় প্রাণী- এসব দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ করে সাজালেন এই জগৎ ও সংসার।
    সৃষ্টি ও সৃষ্টজগতের শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা ও সামাজিক সাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য। এ জন্য প্রয়োজন দূষণমুক্ত প্রকৃতি ও সুশৃঙ্খল সামাজিক পরিবেশ। জলবায়ু ও আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন মানবসভ্যতার জন্য এক অশনিসংকেত। বৈশি^ক উষ্ণতা বৃদ্ধি, বরফ গলে যাওয়া এবং ওজনস্তরের ফুটো বা ফাটল সভ্যতার ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, (অর্থ) জলে-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল।-সুরা রুম : ৪১।
    এমতাবস্থায় এমন আজাব ও গজব তথা সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে, যা থেকে কেউ রক্ষা পাবে না এবং সে প্রকৃতির রোষ থেকে নিরপরাধ লোকেরাও রেহাই পাবে না। এ প্রকার সামাজিক ও জাতীয় দুর্যোগের কারণ হলো, ‘আমর বিল মারুফ’ তথা সৎকাজের আদেশ ও ‘নাহি আনিল মুনকার’ অর্থাৎ অসৎকাজের নিষেধ করা ছেড়ে দেওয়া। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো বিশ্বাস, সৎকর্ম, সদুপদেশ ও ধৈর্য। মানুষের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য অন্য যে গুণটি বিশেষ প্রয়োজন, তা হলো, দায়িত্বশীল হওয়া। সৎকর্ম ও কর্তব্যপরায়ণতা ব্যতীত শুধু ইমান মানুষকে অনিষ্ট, অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে সম্পূর্ণ রক্ষা করতে পারে না। অন্য যেসব বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি পারস্পরিক, যা সামগ্রিক ক্ষতি, অমঙ্গল ও অকল্যাণ থেকে বাঁচার জন্য একান্ত জরুরি তা হচ্ছে সৎকর্ম, সদুপদেশ ও ধৈর্য তথা সহিষ্ণুতা ও সহনশীলতা।
    সম্মানিত লেখক এই গ্রন্থে আল্লাহর শাস্তি ও বিপর্যয় হতে বেঁচে থাকা বিষয়ে কুরআনের আয়াত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়িগণের মূল্যবান বক্তব্য অত্যন্ত চমৎকার ও অভিনব পদ্ধতিতে উপস্থাপন করেছেন।
270
ছোবল
মাকসুদা আখতার প্রিয়তী
400
কুরআনের ভূগোল
ড: শাওকি আবু খলিল
  • সন্দেহের অবকাশ নেই যে, আল্লাহর শেষ আসমানী গ্রন্থ আল কুরআন তার মূলপাঠ্যসহ সকল দিক থেকে সুরক্ষিত আছে। এই মর্যাদা অন্য কোনো ঐশ্বরিক ধর্মের অধিকারে নেই। কুরআনের পূর্ববর্তী অগণিত ধর্মগ্রন্থ এবং বিশেষ গ্রন্থত্রয়ের মূলপাঠ্য (টেক্সট) হারিয়ে গেছে। এসব ধর্মের নিজস্ব পরম্পরা অনুযায়ী এখন ধর্মগ্রন্থের যা কিছু অবশিষ্ট আছে, তা বিবর্তনের ধারার চলমান রূপায়ন। যা একধরনের আর্কাইভের সংগ্রহ বটে। কিন্তু পবিত্র কুরআন বিবর্তনের কোনো পথ পাড়ি দেয়নি। একেবারে প্রথমে যেমন, আজও তেমনি এ মহাগ্রন্থ অগুনতি হাফিজের বক্ষে সুরক্ষিত। প্রায় চৌদ্দ শত বছর আগের আল কুরআনের লিখিত পাণ্ডুলিপি এখনো বিদ্যমান। বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘর, সরকারি লাইব্রেরি, ধর্মীয় বিদ্যালয় এবং ব্যক্তিগত আর্কাইভগুলোতে বিভিন্ন শতাব্দী এবং সময়কালে লেখা, কমপক্ষে দুই লক্ষেরও বেশি কপি মওজুদ রয়েছে। এতে একটি শব্দ বা বর্ণেরও ভিন্নতা নেই। কুরআন যেমন নাযিল হয়েছিল, তেমনি আছে আজও। সময়ের পরিক্রমায় পবিত্র কুরআন সম্পর্কিত বহু সংখ্যক উলূম তথা জ্ঞানশাস্ত্রের জন্ম হয়েছে। কুরআনিক জ্ঞানকলায় একালে যুক্ত হয়েছে নতুন এক বিষয়, যাকে আতলাসুল কুরআন বা কুরআনের ভূগোল আখ্যা দেওয়া হয়। বিংশ শতাব্দীর শেষাবধি কুরআনের ভূগোল, নবীদের আলোচনা, কুরআনসংশ্লিষ্ট স্থান এবং ব্যক্তিবর্গ এর নামে প্রচুরসংখ্যক বই রচিত হয়েছে। বিশ্বসভ্যতার তৃতীয় সহস্রাব্দে নতুন এই জ্ঞানকলা কুরআন—বোঝার একটি নতুন ধারা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কুরআনে বিভিন্ন স্থান, ব্যক্তিবর্গ এবং জাতিগোষ্ঠীর উল্লেখ হয়েছে, প্রথমবারের মতো মানচিত্র ও নকশার মাধ্যমে সেগুলো তুলে ধরার সফল চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্মীয় গ্রন্থাদির ব্যাখ্যা—বিশ্লেষণের জন্যে ওল্ড এবং নিউ টেস্টামেন্টে প্রাচ্যবিদরা যে কাজ করেছেন, তা জ্ঞান ও গবেষণার উপযোগিতায় উল্লেখযোগ্য। তাওরাতে বা ইঞ্জিল চতুষ্টয়ে যে স্থান ও ব্যক্তিবর্গের আলোচনা রয়েছে, তা এক ডজনেরও বেশি ভৌগোলিক মানচিত্রের বইয়ে সুন্দরভাবে স্থান পেয়েছে। যেগুলোকে অ্যাটলাস (অঃষধং) বলা হয়। অপরদিকে কুরআন মজিদের বিভিন্ন সূরায় আরব ও হিজাজের যেসব জাতি, স্থান, ব্যক্তিত্ব, মহাসাগর, নদী, উপসাগর, হ্রদ, পর্বত, মরুভূমি, গুহা, শহর এবং জনবসতির উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো শত শত লেখকের দ্বারা বিশদভাবে অধিত হয়েছে এবং এর উপর রচিত হয়েছে মূল্যবান বহু গ্রন্থ। কিন্তু এই তথ্যগুলোকে মানচিত্র বা নকশার সাহায্যে উপস্থাপন করার জন্য কোনো মৌলিক প্রয়াস আমাদের সামনে ছিল না, ফলস্বরূপ যখন একজন কুরআন—পাঠক কুরআনে উল্লেখিত স্থানগুলোকে পাঠ করেন এবং দেখেন, তখন তার মনের মধ্যে স্থির ও স্বচ্ছ কোনো ধারণা প্রতিফলিত হয় না। আমরা স্বীকার করি যে, মুসলিম গবেষক ও আলিমগণের হাতে আরব ও হিজাজের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার উপর বহু মৌলিক গ্রন্থ লেখা হয়েছে। ওবায়েদ বিন শারিয়ার কিতাব আল—মুলুক ওয়া আখবার আল—মাযিয়ীন, আবু উবাইদার “কিতাবুল মাগাজাত”, মুবাররাদের “কিতাবু আয়্যামি বানি মাজিন, নাসাবু কাহতান ওয়া আদনান”, হিশাম কালবির বিভিন্ন কিতাব, ইবনে হিশামের আল—সিরাত আল—নববিয়্যাহ। ইবনুল হিশাম হামদানীর “সিফাতু জাজিরাতু আল—আরব”, এবং “আকলিল”, ইবনে ইসহাকের কিতাবুস সীরাত, আবু ওয়ালিদ আজরাকির মাক্কাহ, ইবনে কুতায়বার কিতাব আল—মাআরিফ, আবু জাফর আল—তাবারির তারিখুর রুসুল ওয়াল আম্বিয়া, মাসুদির “মুরুযুয যাহাব”, আবুল ফিদার আল মুখতাসার ফি আখবারিল বাশার, ইবনে খালদুনের “কিতাবুল ইবার” ইবনে আসাকিরের তারিখু দিমাশকসহ বহুবিধ উপকারী গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যাতে কুরআনে উল্লেখিত স্থান, ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে দরকারী তথ্য উপস্থিত রয়েছে। এভাবে ভূগোল ও ইতিহাসের উপর হিশাম বিন মুহাম্মদ কালবি, আবু সাঈদ আল—আসমাঈ, সা’দান ইবনে মুবারক, আবু সাঈদ হাসান আল—সুকরি, উমর বিন রিস্তা, আবু জায়েদ বলখি, আবু সাঈদ আল—সাইরাফি, হাসান বিন মুহাম্মদ আল—মারুফ, মাহমুদ বিন উমর আয যামাখশারি, আল—বাকরী, ইমাম সুয়ূতী, ইবনে ফকিহ হামদানী, ইবনে মারদুইয়া, ইবনে হাওকল, মাকদিসি, ঈদ্রিসি, ইয়াকুত হামাভি, জাকারিয়্যা কাজভিনি এবং শামস—উদ—দীন দিমাশকি’র মতো পণ্ডিতগণ খুব দরকারী জ্ঞানভাণ্ডার রেখে গেছেন। ইদ্রিসির তৈরিকৃত পৃথিবীর মানচিত্র আজও বিস্ময় সৃষ্টি করে এবং আধুনিক মানচিত্রসমূহের জননী হিসেবে নিজের প্রাপ্য সম্মান দাবি করে। আল—বিরুনীর “আল—আসারুল বাকিয়াহ আনিল কুরূনি আল—খালিয়াত”ও খুব দরকারী তথ্য সরবরাহ করে। কোনো না কোনোভাবে এসব বইয়ের সেই উপযোগিতা রয়েছে, যা কুরআনের স্থান, জাতি ও ব্যক্তিবর্গ অধ্যয়ন ও উপলব্ধির ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হতে পারে।

451 550-18%