(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

কালান্তর প্রকাশনী-Kalantor Prokashoni

কালান্তর প্রকাশনী-Kalantor Prokashoni

কালান্তর প্রকাশনী-Kalantor Prokashoni এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ দ্য ব্যাটালিয়ন
সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ দ্য ব্যাটালিয়ন
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • তাতার ও মঙ্গোল, মামলুক, আইন জালুত, শাজারাতুদ-দুর, সাইফুদ্দিন কুতুজ, রুকনুদ্দিন বাইবার্স এগুলো এখন বাংলাভাষাভাষী মানুষের কাছে পরিচিত নাম। এসব নিয়েই রচিত গবেষণাধর্মী এ ইতিহাসগ্রন্থটি।

    এ গ্রন্থটিতে মঙ্গোলদের মোকাবিলায় মামলুকদের সার্বিক তৎপরতা তুলে ধরা হয়েছে, তাদের সংগ্রামের কথা সুচারুরূপে ব্যক্ত করা হয়েছে। তেমনিভাবে সাইফুদ্দিন কুতুজের জীবনীও বর্ণিত হয়েছে। মঙ্গোলদের মোকাবিলায় যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে; সাথে কিছুটা বিশ্লেষণসহ আইন জালুতে মুসলমানদের বিজয়ের কারণগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। শাসনক্ষমতা লাভের নীতিমালা এবং ইতিহাসের শিক্ষাও উদ্ঘাটন করা হয়েছে।

    আইন জালুতে বিজয়ের গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো ছিল—বিচক্ষণ নেতৃত্ব, স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি, সুস্পষ্ট লক্ষ্য, বিশুদ্ধ চিন্তাচেতনা, শাহাদতের আকাঙ্ক্ষা, উম্মাহর শত্রুদের সাথে বন্ধুত্বহীনতা, যোগ্য লোকের কাছে দায়িত্ব অর্পণ, শক্তিশালী বাহিনী, জিহাদের পুনর্জাগরণ ও উপায়-উপকরণ গ্রহণ; তেমনিভাবে সামরিক প্রশিক্ষণের সাথে আদর্শিক দীক্ষা, ক্রমাগত প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রতিভা, সাইফুদ্দিন কুতুজের দূরদৃষ্টি ও বিচক্ষণ রাজনীতি, মামলুকবাহিনীতে বিজয়ী দলের গুণাবলি পাওয়া যাওয়া, পর্যায়ক্রমিক আদর্শ ও প্রতিরোধ-পরিকল্পনার উত্তরাধিকার, আলেমদের সাহায্য ও পরামর্শ চাওয়া, দুনিয়াবিমুখতা, মঙ্গোল রাজপরিবারে ভেতরগত দ্বন্দ্ব এবং জালিম ও অবাধ্যদের পাকড়াও করার ব্যাপারে আল্লাহর রীতি ইত্যাদি ছিল আইন জালুতে বিজয়ের অন্যতম কিছু কারণ।

    এ গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা মামলুক শাসনামল সম্পর্কে ব্যাপক শিক্ষার্জন করতে পারব। এ বই আমাদের আরও অনেক গ্রন্থের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। ফলে সেগুলোর দ্বারাও আমরা উপকৃত হতে পারব।


350
সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ
সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • অটোমান সাম্রাজ্য মুসলমানদের স্বর্ণালি ইতিহাসের এক বর্ণালি নাম। উসমানি খেলাফত নামেই মূলত পরিচিত এই শাসনকাল। যে নাম শোনার সাথে সাথে আনন্দে নেচে ওঠে প্রাণ। ঝলমল করে ওঠে হৃদয়ের উঠোন। চোখ মুদলেই দেখা যায় নিকোপোলিসের ময়দানে বায়েজিদ ইলদারামের মুগুরের আঘাতে ভেড়া-বকরির ন্যায় পলায়নপর ক্রুসেডারদের নাজেহাল দৃশ্য। ভেসে ওঠে সুলায়মান কানুনি কর্তৃক ভিয়েনার দ্বারে করাঘাতের ছবি। বুক ফুলে ওঠে যখন দেখা যায় প্রিভিজার কাছে একা খাইরুদ্দিন বারবারুসা ইউরোপের চারশতাধিক যুদ্ধজাহাজের বহরকে খাওয়াচ্ছেন নাকানি-চুবানি। আনমনা হয়ে যেতে হয় যখন আলোঝলমল সে হৃদয়-উঠোনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহের অনন্য কৃতিত্ব, যিনি বাস্তবায়ন করেছিলেন প্রিয়নবির ভবিষ্যদ্‌বাণী-সংক্রান্ত মুজিজা। চোখের সামনে ফুটে ওঠে পাহাড়ি বন্ধুর পথে পুরো নৌবহর টেনে নেওয়ার অতিলৌকিক দৃশ্য। গোল্ডেনহর্নে রাজহাঁসের মতো ভেসে বেড়ানো উসমানি নৌবহর। হাজার বছরের অজেয় দুর্গনগরী কনস্টান্টিনোপলের পতনের ছবি। দুর্ধর্ষ জেনেসারি বাহিনীর তুলনাহীন বীরত্ব।
    সেই স্বর্ণালি ইতিহাসের উজ্জ্বল এক টুকরোর দ্যূতি তুলে ধরা হয়েছে সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ নামক এই গ্রন্থে। এই আশায় যে, জাতির যুবশ্রেণি জেগে উঠুক। অনুধাবন করুক আমরা কী ছিলাম আর কী হয়েছি। এরপর তারা তাদের কর্তব্য নির্ধারণ করুক।
    ‘কালান্তর প্রকাশনী’ ঐতিহাসিক দায়মুক্তি এবং ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই প্রকাশ করে চলছে মুসলিম উম্মাহর হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় ইতিহাস। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রকাশনা ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির ‘সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ’।

227 325-31%
ক্যারিশম্যাটিক এরদোগান (অটোমান থেকে বর্তমান)
ক্যারিশম্যাটিক এরদোগান (অটোমান থেকে বর্তমান)
ড. রাগিব সিরজানি

  • রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। এখন দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি তুর্কির নন্দিত প্রেসিডেন্ট।

    দেশ, মুসলিম উম্মাহ, বিলাদুল হারামাইন, আল-আকসা ও ফিলিস্তিনকেন্দ্রিক তাঁর কথা ও বলা, ভাষণ ও বক্তৃতা দেশবিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

    নব্যক্রুসেডারেরা একদিকে নিষ্ঠুর-নির্দয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠছে, অপরদিকে এরদোগান প্রতিবাদী কণ্ঠে আবির্ভূত হচ্ছেন প্রতিবাদের ডায়াসে।

    এরদোগান বর্তমান মুসলিম বিশ্বের এক স্বপ্নপুরুষ। মজলুমের দরদি বন্ধু। নির্যাতিত জনপদের কল্যাণকামী মুহাফিজ। নির্যাতিত, নিগৃহীত, কান্নারত শিশুকিশোর নারীর দায়িত্বশীল অভিভাবক।

    তিনি শিকড়ের শিকড়ে ফিরতে লালায়িত।

    আরবে-আজমে তাঁকে নিয়ে লেখক ও সংবাদিকেরা কথা বলছেন, লিখে যাচ্ছেন। কবিরাও বসে নেই। গবেষকেরা রাতদিন গবেষণা করছেন তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে। অনেক লেখাই তো হয়েছে, হচ্ছে। আরও হয়তো হবে, হবেই। কিন্তু শিকড়সন্ধানী লেখক, গবেষক ইতিহাসবেত্তা ড. রাগিব সিরজানির কলমে তিনি একটু অন্যরকমভাবেই চিত্রিত হয়েছেন!

    এ বই নিয়ে পড়তে বসলে মনে হবে—

    আমি কী পড়ছি? কার লেখা পড়ছি?

    যাকে নিয়ে লেখা এ বই, তিনি কোন যুগের মহান শাসক? কী প্রাজ্ঞ রাজনীতিক!

    তিনি দূর অতীতের কেউ নন তো! নইলে এ ঝড়ের ভেতরে কে আর হবেন এমন সিপাহসালার? উম্মাহর হাসিতে যিনি হাসেন? আর কান্নায় কেঁদে কেঁদে হন—সারা!

    আসলে কে তিনি?…

    আর ‘কালক্ষেপণ’ না-করে এ বই পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনাকে।


210 300-30%
লায়ন অব দ্য ডেজার্ট (শহিদ উমর মুখতার)
লায়ন অব দ্য ডেজার্ট (শহিদ উমর মুখতার)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • উসমানি খিলাফতের প্রাণ তখন ওষ্ঠাগত প্রায়।  তখনই সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা শকুনগোষ্ঠীর লোভাতুর চোখ গিয়ে পড়ে খেলাফতের অধীনস্থ আফ্রিকার মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর ওপর। তারা এসব ভূখণ্ডকে রাজাবিহীন রাজ্য হিসেবে ধরে নেয়। ইতালি ঝাঁপিয়ে পড়ে লিবিয়ায়। ১৯১১ সালে লিবিয়ার সমুদ্র উপকূলে নোঙর করে ইতালিয়ান রণতরীগুলো। পিঁপড়ের মতো বেরিয়ে আসে হাজার হাজার ইতালিয়ান সৈন্য।

    সিংহ যেমন আস্তানা ছেড়ে গর্জন করতে করতে বনের খোলা মাঠে বেরিয়ে আসে, তেমনি জাবালে আখজারের আল-কুসুর খানকাহ থেকে রণহুংকারে সদলবলে ময়দানে বেরিয়ে আসেন উমর মুখতার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ সানুসি সুফি আন্দোলনের আধ্যাত্মিক জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব তিনি। রাতের সাধক আর দিনের অশ্বারূঢ়। দাড়ি, টুপি আর আলখাল্লা পরিহিত দরবেশ। কুরআন-হাদিসের মশালধারী একজন জবরদস্ত আলেম।

    ঔদ্ধত সিংহের ন্যায় মৃত্যুর প্রতি একেবারে উদাসীন কতজন সাথিকে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন দখলদার ইতালিয়ানদের বিরুদ্ধে। ১৯১১ থেকে নিয়ে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত এই ২০টি বছর প্রায় ২৬৩ রণক্ষেত্রে অত্যন্ত বীরদর্পে লড়াই করে যান। প্রতিটি যুদ্ধে চোখে শর্ষেফুল দেখতে থাকে ইতালিয়ান বাহিনী।ইতালি সরকার তার সাথে বারবার সমঝোতা করতে চেয়েছে; কিন্তু প্রতিবারই তিনি এককথা বলেছেন; যা ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করে রেখেছে—‘আমরা আত্মসমর্পণ করি না; আমরা হয় জিতি, না হয় মরি।’

    সেই মরুসিংহ উমর মুখতারের জীবন ও কীর্তি নিয়ে রচিত এই বইটি।


190 260-27%
খারেজি (উৎপত্তি, চিন্তাধারা ও ক্রমবিকাশ)
খারেজি (উৎপত্তি, চিন্তাধারা ও ক্রমবিকাশ)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • আমরা এমন এক যুগে বসবাস করছি, যেখানে তুমুল ঘূর্ণিঝড় চলছে ইসলাম ধ্বংসের। আমাদের দীন ও আকিদা নির্মূলে চলছে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র। ইতিহাসের এমনই এক অভিশপ্ত দল খারেজি। ইসলামের আকিদা হতে প্রথম বিচ্যুত দলও এটি। তাদের ছিল স্বতন্ত্র চিন্তাধারা এবং বিশেষ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি—যা যথারীতি একটি আকিদা হিসেবে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর দিকে দিকে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ছড়িয়ে রেখেছে। দলছুট এসব খারেজিদের নিন্দায় রাসুল সা. হতে বহু হাদিস বর্ণিত রয়েছে। তাদের অনিষ্টতার প্রতি ইঙ্গিতবাহী হাদিসের সংখ্যাও কম নয়।

    আলোচ্য গ্রন্থটি খারেজিদের বিষয়ে একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে রচিত। এতে খারেজি সম্প্রদায়ের প্রকৃতি ও ইতিহাস, তাদের সাথে আমিরুল মুমিনিন হজরত আলি ইবনে আবি তালিব রা.-এর আচরণ, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেপথ্য কারণ উঠে এসেছে। পাশাপাশি যুগে যুগে তাদের কুকীর্তি যেমন : ধর্মে বাড়াবাড়ি, দীন সম্পর্কে উদাসীনতা, তাকফিরের অযথা অপব্যবহার ইত্যাদি বিষয়েও বিবৃত হয়েছে প্রখ্যাত আরব স্কলার ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির কলমে। ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় তিনি পাঠকদের সামনে উন্মোচন করেছেন—যেখান থেকে আমরা পাব অসংখ্য শিক্ষার খোরাক।


230
স্পেন টু আমেরিকা (স্পেনের পতন ও আমেরিকা আবিষ্কারের ইতিহাস)
স্পেন টু আমেরিকা (স্পেনের পতন ও আমেরিকা আবিষ্কারের ইতিহাস)
আবু লুবাবা শাহ মানসুর

  • স্পেন হচ্ছে আমাদের হারিয়ে যাওয়া জান্নাত আর আমেরিকা হচ্ছে আমাদের জন্য দন্তখোলা জাহান্নাম। কীভাবে আমরা সে জান্নাত হারিয়ে আজ জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে ‘স্পেন টু আমেরিকা’ সে হৃদয়বিদারক ইতিহাসের করুণ আখ্যান। বইটি পাঠকালে আপনি প্রকাশ-অযোগ্য হতাশায় কুকড়ে যাবার পাশাপাশি শুনতে পাবেন উম্মাহর সোনালি স্বপ্নের পাজর ভাঙার যন্ত্রণাদায়ক আর্তনাদ। সে সাথে যখন দেখবেন বীর তারিকের উত্তরসূরি মুসা বিন আবি গাসসানের অসহায় একাকিত্ব, লেন্দুপ দর্জি আর মীরজাফরদের ন্যায় গাদ্দারি, পরিণাম-অন্ধ ভোগবাদী শাসকের রাজ্য অপেক্ষা রানির মেকআপের চিন্তা; তখন স্তম্ভিত ও বিমূঢ় হয়ে পড়তে পারেন আপনি।

    ‘স্পেন টু আমেরিকা’য় আপনি পরিচয় পাবেন পরের ধনে পোদ্দারি করা, দুপুরে-ডাকাত, মুসলিম উম্মাহর কৃতিত্ব-চোর নির্লজ্জ ইউরোপীয়দের প্রকৃত চেহারার।

    দেখতে পাবেন এর পাতায় পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত আর আগুনের জীবন্ত ইতিহাস। শুনতে পাবেন অশ্রুর মহাসড়ক ধরে মেষ-ছাগলের মতো তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া সরলপ্রাণ অসহায় রেড-ইন্ডিয়ানদের বুকফাটা হাহাকার। লোভের আগুনে ছাই হয়ে যেতে দেখবেন ‘অ্যারাওক’ ও ‘চ্যারোকি’ নামক দুই রেড ইন্ডিয়ান জাতির ইতিহাস। জানতে পারবেন রাজ্যলিপ্সু ফার্দিনান্দ ও চরম মুসলিম-বিদ্বেষী রানি ইসাবেলার মানস-সন্তান আমেরিকানরা কেন মুসলমানদের মোকাবিলায় এতটা হিংস্র? কী তাদের ভবিষ্যৎ টার্গেট।


161 230-30%
বিস্ময়বালক হামমাদ সাফি
বিস্ময়বালক হামমাদ সাফি
নাজমুল ইসলাম কাসিমী

  • আপনি ছুটেছেন আপনার স্বপ্নের হাত ধরে, সাফল্যের সন্ধানে। আপনি বিশ্বাস করেন স্বপ্নের শেষপ্রান্তে থাকে সাফল্য। সাফল্য এমনি এমনি চলে আসে না। নিয়ে আসতে হয়। থাকতে দিতে হয়। সেভাবেই আগাচ্ছেন আপনি। ভালো কথা, সাফল্য কাকে বলে—অথবা সফলতার কনসেপ্ট কি আপনার কাছে ক্লিয়ার?

    যদি প্রশ্ন করি, সাফল্যের মূলমন্ত্রটা কী? তাহলে আপনি বলবেন হার্ডওয়ার্ক বা কঠোর পরিশ্রম। নাইন্টি পারসেন্ট মানুষই একই জবাব দেবে। বলবে, জীবনে বড় হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম দরকার। পরিশ্রম করলেই সাফল্য আসে। আমাদের বাংলা ভাষাবিদরা তো পরিশ্রমকে মাই-বাপ বানিয়ে বাগধারা পর্যন্ত তৈরি করে রেখেছেন, ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।’

    আসলেই কি তাই?

    সৌভাগ্যের জন্য কি পরিশ্রমই মূলকথা?

    হামমাদ সাফি, দ্যা নান্না প্রফেসর। ১১ বছরের বাচ্চা একটা ছেলে। কিছুদিন আগেও তাকে কেউ চিনত না। এখন তাকে পৃথিবী চিনে। এর কারণ, তার ভাবনাগুলো আকাশের মতো উদার। তার চিন্তাগুলো সাগরের মতো বিশাল। তার চেতনাগুলো পাহাড়ের মতো দৃঢ়। সবচে বড়কথা হলো ছেলেটির ১১ বছরের শরীরের উপর ১১১ বছরের একটি মাথা আছে।

    হামমাদ সাফি, মোটিভেশন, সাকসেসসহ এরকম আরও কিছু বিষয় নিয়ে রচিত ‘বিস্ময়বালক’।


200
দ্য লিজেন্ড (সুলতান ইমাদুদ্দিন জিনকি)
দ্য লিজেন্ড (সুলতান ইমাদুদ্দিন জিনকি)
আসলাম রাহি

  • খলিফা মনসুর, হারুনুর রশিদ, মামুনুর রশিদ ও মুতাসিম বিল্লাহের পর খেলাফতে আব্বাসিয়ার প্রতিটি স্তম্ভ ও কড়িকাঠে পতনের যে ঘুনপোকা লেগেছিল, তা নিঃসাড় ও নিষ্প্রাণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় খেলাফতের কাঠামো। তখন সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে এশিয়ায় আসতে চাইছিল মাংসাসী ক্রুসেডীয় শৃগালের পাল। কিন্তু সুলতান মালিকশাহ সালজুকি নামক এক মুসলিম সিংহের ভয়ে সাহস করে উঠতে পারেনি তখন।

    মালিকশাহের অন্তর্ধানের পর মুসলিম সাম্রাজ্য গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। তখনই ক্রুসেডাররা কামড় বসায় ইসলামি সাম্রাজ্যের কলিজায়। একে একে দখল করে নেয় বিশাল মুসলিম এলাকা। একপর্যায়ে ৪৯২ হিজরির রজব মাসে দখল করে নেয় মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মাকদিস।

    সেই ঘনঘোর সময়ে সুলতান মালিকশাহের একসময়ের প্রধান সেনাপতি, পরবর্তীকালে হালাবের শাসক আক সুনকুর ওরফে কাসিমুদ্দৌলাহর ঔরসে জন্ম নেন মহান সেনাপতি আবুল মুজাফ্ফার ইমাদুদ্দিন জিনকি। সেই ইমাদুদ্দিনই সুলতান মওদুদের সাথে মিলে ক্রুসেডারদের উপর হানেন প্রথম আঘাত। কিন্তু পরবর্তীকালে টানা ১০ বছর তাঁকে জড়িয়ে থাকতে হয় গৃহযুদ্ধের কাদায়। তবে গৃহযুদ্ধ থেকে একটু অবকাশ পেতেই তিনি পুনরায় একের পর এক আঘাত হানতে থাকেন ক্রুসেডারদের কলিজায়। উদ্ধার করতে থাকেন একের পর এক রাজ্য। উদ্ধার করেন শক্তিশালী দুর্গ ও তাদের শক্তিকেন্দ্র ‘আর-রাহা’।

    ‘দ্য লিজেন্ড’ গ্রন্থে রয়েছে মহান বীর ইমাদুদ্দিন জিনকির শিহরণ জাগানিয়া তৎপরতার বর্ণনা। গ্রন্থটি পাঠ করলে মনে হবে আপনিও যেন ইমাদুদ্দিন জিনকির একজন সিপাহি হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সেইসব জিহাদের ময়দান।


70 100-30%
উসমানি খেলাফতের স্বর্ণকণিকা
উসমানি খেলাফতের স্বর্ণকণিকা
আইনুল হক কাসিমী

  • তাতারিদের হাতে সালজুকি সাম্রাজ্যের পতন হলে উসমান বিন আরতুগাল ১২৯৯ সালে স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠা করেন উসমানি সাম্রাজ্য।

    আনাতোলিয়ার একসময়ের এই ছোট্ট জায়গিরটি পুরো এশিয়া মাইনর, পশ্চিম এশিয়া, পূর্ব প্রাচ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা আর উত্তর-পূর্ব ইউরোপে মোট ২৯টি প্রদেশ নিয়ে প্রায় ৫২ লাখ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ছিল। যে সীমানায় পৃথিবীর বর্তমান মানচিত্রে প্রায় ৪২টি দেশের অবস্থান।

    কিন্তু আফসোসের বিষয়, ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ ইসলাম-বিদ্বেষী পশ্চিমাদের ক্রীড়নক মুস্তফা কামাল পাশা এ খেলাফতের কবর রচনা করেন।

    উসমানি খেলাফত ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদী—সবচেয়ে বৃহৎ, সামরিক শক্তিধর ও সর্বশেষ ইসলামি খেলাফত। দুর্দান্ত ও মহাপ্রতাপধর এ সাম্রাজ্যের ভয়ে তৎকালীন অপরাপর সাম্রাজ্যগুলো কাঁপত থরথর করে! স্বয়ং আমেরিকা ও রাশিয়া উসমানি খেলাফতকে কর প্রদান করত! বেশি দূরের নয়—এ ইতিহাস মাত্র ১০০ বছর আগের!

    আমরা এই খেলাফতের বিভিন্ন যুদ্ধকাহিনি জানতে পারলেও খেলাফতের সোনাফলা মাটি-প্রকৃতি, সোনালি দিন-রাত আর সোনার সেই রাজা-প্রজাদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না বললেই চলে!

    উসমানি খেলাফতের সুদীর্ঘ ছয় শতাধিক বছরের যুগ-যুগান্তর ও কাল-কালান্তরের বাঁকেবাঁকে ঘটে যাওয়া ঈমান জাগানিয়া ও হৃদয়ছোঁয়া স্বপ্নিল কাহিনি, বর্ণিল গল্প ও স্বর্ণালি ইতিহাসের এক অতুলনীয় সমাহার এই ‘উসমানি খেলাফতের স্বর্ণকণিকা’ গ্রন্থটি। যে গ্রন্থটি ঐশী বিধানে পরিচালিত একটি সাম্রাজ্য, একটি জাতি ও একটি বিশাল সমাজের কতগুলো সোনার মানুষের সোনালি অবস্থা-ব্যবস্থাকে ফুটিয়ে তুলেছে। হেথা-হোথা ছড়ানো-ছিটানো বিক্ষিপ্ত কাহিনি, গল্প ও ইতিহাস-টুকরোকে বইটি একই সূতোয় গেঁথে নিয়ে এসেছে। সেই হিসেবে বইটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আগাগোড়া উসমানি খেলাফতের ইতিহাসের কোনো বই নয়; বরং উসমানি খেলাফতের বাস্তব সত্য কিছু ঈমানদীপ্ত, চমকপ্রদ ও শিক্ষণীয় কাহিনির অনবদ্য সংকলন।


154 220-30%
উসমান ইবনু আফফান রা.
উসমান ইবনু আফফান রা.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • উসমান ইবনু আফফান রাজিয়াল্লাহু আনহু ইসলামের তৃতীয় খলিফা। আল্লাহর রাসুলের জামাতা। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবির একজন। তাঁর জীবন ইসলামের ইতিহাসে এক আলোকোজ্জ্বল অধ্যায়। মহত্ত্ব, মর্যাদা, নিষ্ঠা, জিহাদ ও আল্লাহর পথে দাওয়াতে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

    এই গ্রন্থে উসমানের জন্ম থেকে শাহাদাত পর্যন্ত বিস্তারিত ঘটনা আলোকপাত করা হয়েছে। আলোচনা করা হয়েছে তাঁর রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কেও। বিচারের ক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, আইন প্রণয়ন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, ব্যক্তিস্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অবিস্মরণীয়।

    তাঁর অনন্য কীর্তি হচ্ছে, এক মাসহাফে উম্মতকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। প্রাদেশিক গভর্নরদের সঙ্গে উসমানি কর্মপদ্ধতি, তাঁদের অধিকার, দায়িত্ব, পর্যবেক্ষণ ও তদন্তে উসমানি পদ্ধতি এবং সে-সকল গভর্নরের নিয়োগ-সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি তাঁর হত্যাসম্পর্কীয় ফিতনার কারণসমূহও উঠে এসেছে সবিস্তারে।

    উসমানি চিন্তাধারার আলোকে একজন আদর্শ রাষ্ট্রনেতার অবিচলতা, বিচক্ষণতা, ঐক্যের আকুতি, বিভক্তি থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সাবধানতা, নীরবে সয়ে যাওয়া, জ্ঞানীদের পরামর্শ ও রাসুলের আদর্শ শক্ত হাতে ধারণের দীক্ষা পাওয়া যাবে। এই গ্রন্থ জুননুরাইনের মহত্ত্ব তুলে ধরবে। পাঠকের সামনে প্রতিভাত হবে তাঁর ইমান, ইলম, আখলাক ও জীবনাচার। এতে আমরা পাব ইমানি চেতনা। আমলের আগ্রহ। ত্যাগের দীক্ষা
690
হুমুল্লাজিনা
হুমুল্লাজিনা
রশীদ জামীল
  • মাওলানা কাসিম নানুতবি খতমে নবুওতের মুনকির ছিলেন। রশিদ আহমদ গাংগুহি ছিলেন একজন স্বঘোষিত মিথ্যাবাদী। খলিল আহমদ সাহারানপুরি বলেছেন, শয়তানের ইলম নবিজি থেকে বেশি ছিল! আশরাফ আলি থানবি নিজের নামে আলাদা কালিমা বানিয়ে ফেলেছিলেন। আনওয়ার শাহ কাশ্মিরি তাহরিফে কুরআনের ক্বাইল ছিলেন।’

    ‘আদদুররুল মুখতারে’ বলা হয়েছে, ‘ইমাম তাকে বানাও যার বউ সুন্দরী।’ ‘শামি’তে বলা আছে, ‘রক্ত এবং পেশাব দিয়ে সুরায়ে ফাতেহা লেখা জায়েজ!’ ‘বাহরুর রাঈকে’ মাস্টারবিউশনকে জায়েজ বলা হয়েছে। ‘উসুলে কারখি’তে কুরআন- হাদিস ছেড়ে ইমামের মাসআলায় আমল করতে বলা হয়েছে। ‘কাজিখানে’ আবু হানিফার ফাতওয়া হলো, ‘পতিতাবৃত্তির পয়সা হালাল।’ সেই আবু হানিফাকে হেদায়ায় সাহাবি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘ফাজায়েলে আমালে’র বক্তব্য পরস্পর-বিরোধী। ‘বেহেশতি জেওরে’ বলা আছে, ‘আঙুলে মলমূত্র লেগে গেলে জিহ্বা দিয়ে চেটে নেওয়া যাবে।’


    … কথাগুলো আহাফি এবং আহলে বিদআতের পক্ষ থেকে উলামায়ে আহনাফ এবং উলামায়ে দেওবন্দের উপর উত্থাপিত এবং বাজারজাতকৃত অভিযোগ। এমন অভিযোগ এবং আরও কিছু অভিযোগের জবাব নিয়ে ‘হুমুল্লাজিনা’।


230
বিশ্বাসের বহুবচন (শাপলা থেকে শাহবাগ)
বিশ্বাসের বহুবচন (শাপলা থেকে শাহবাগ)
রশীদ জামীল

  • শাহবাগ বললে এখন আর নাস্তিকতার কথা আলাদা করে বলা লাগে না। শাপলা বললে সাঁতার না-জানা বাচ্চাদের হাবুডুবু খাওয়া দৃশ্যের পাশাপাশি কিছু মুনাফিকের চেহারাও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আর কওমি ছেলেরা তো বরাবরই, ঠিক যেমন আগেই বলেছি—বিশ্বাসের কাঁচামাল।

    শাহবাগের গণজাগরণকে খেয়েছে অ্যান্টি-ইসলাম বখাটে এবং ধান্ধাবাজ কিছু ব্লগার। হেফাজতের গণজাগরণকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে আলেম নামধারী কিছু রাজনৈতিক মুনাফিক।

    ‘বিশ্বাসের বহুবচন’ হলো শাপলা এবং শাহবাগের পাণ্ডুলিপি একটু নেড়ে দেখা। বলা চলে নতুন করে হাশিয়া লেখা। সাথে একটু কওমিনামা। যাদের কাছে মনে হবে—কথা সত্য, তাদের জন্য ভালোবাসা। যাদের গা একটু জ্বালাপোড়া করবে, তাদের জন্য এন্টিবায়োটিক শুভ কামনা।

    বি.দ্র. : বইটির মুনাফা ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় পরিবারে দান করা হবে।


340
মাসাদিরুল কুরআন
মাসাদিরুল কুরআন
মাওলানা ছাদিকুর রহমান

  • * কুরআন মাজিদে ব্যবহৃত افعال ও اسمائ مشتقۃ-এর মাসদারসমূহকে উর্দু-বাংলা-ইংরেজি অর্থসহ সরফি باب ও جنس সমূহের তারতিব অনুযায়ী বিন্যস্ত করা হয়েছে।

    * প্রতিটি جنس এর শেষে صرف صغیر-এর গরদান (রূপান্তর) লিখা হয়েছে।

    * কুরআন মাজিদে ব্যবহৃত ২১ বাবে (অধ্যায়ে) মোট ১৮২৫ টি মাসদারের সমাহার।

    * কিতাবটি কুরআন মাজিদের বাংলা, ইংরেজি, উর্দু অনুবাদ ও ক্রিয়া পরিচয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    * আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য অতিসহায়ক হবে।

    * কিতাবটিতে কুরআন মাজিদের শব্দসমূহের উৎসমালা উদ্ভাবনে এক অভিনব ও অভূতপূর্ব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।


112 160-30%
তাওহিদের মর্মকথা
তাওহিদের মর্মকথা
ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি রহ.

  • ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে তাওহিদ। তাওহিদপন্থীদের জন্যই ঘোষিত হয়েছে জান্নাত। নিষ্কলুষ তাওহিদ নিয়ে যারা মহান প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হবে, তারা লাভ করবে মহা সফলতা। পক্ষান্তরে যারা তাওহিদকে প্রত্যাখ্যান করবে কিংবা যাদের তাওহিদ ত্রুটিযুক্ত থাকবে, প্রতিপালকের সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার দিন তারা চরম আক্ষেপে ভুগবে এবং  অবশেষে নিক্ষিপ্ত হবে অপরাধীদের আবাসস্থল জাহান্নামে।

    তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদির জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজে আইন। যেহেতু তাওহিদ সকলের জন্য, তাই তাওহিদের মৌলিক জ্ঞানকে রাখা হয়েছে অত্যন্ত সহজ, সরল এবং সকলের বোধগম্যরূপে। খ্রিষ্টানদের ত্রিত্ববাদের মতো জটিল কোনো সমীকরণ এতে নেই। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, পরবর্তীরা তাওহিদের মূল বিষয়ের আলোচনা কমিয়ে দিয়ে শাখাগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভ্যন্তরীণ চরম দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে। ফলে মুসলিমদের ঐক্যের ভিত্তি তাওহিদকে কেন্দ্র করে অনৈক্য এবং বিভেদের সূত্রপাত হয়েছে। তাই উম্মাহর এই চরম অবক্ষয়ের সময়ে পূর্ববর্তীদের বিশুদ্ধ জ্ঞানকে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর করার কোনো বিকল্প নেই।

    মহান সালাফে-সালেহিনের রচনার স্বাদ এবং ঘ্রাণই আলাদা। অষ্টম শতকের মহান ইমাম ইবনু রজব রহ.-এর রচনায় খুব সরলভাবে উঠে এসেছে তাওহিদের চিত্র। সব শ্রেণির পাঠকদের জন্যই ইনশাআল্লাহ বইটি সুখপাঠ্য হবে। আল্লাহ তাআলা এই মহান ইমামকে গোটা উম্মাহর পক্ষ থেকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

    তাওহিদের চেতনা ফের জাগ্রত হোক এ মাটিতে। তাওহিদের আলোয় আলোকিত হোক দল-মত নির্বিশেষে সকলে। দূর হয়ে যাক জাহিলিয়াতের ঘুটঘুটে অন্ধকার। তাওহিদের আলোকিত জ্ঞান-সরোবরে পাঠক, আপনাকে স্বাগতম! দীপ্ত হোন, দীপ্তি ছড়ান।


90
ইখলাস
ইখলাস
শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ

  • আমলের মূলপ্রাণ ইখলাস। যে আমলে ইখলাস নেই সে আমল প্রাণহীন শরীরের মত। প্রাণহীন শরীর যেমন ওই ব্যক্তির কোনো কাজে আসে না; কেউ তাকে আক্রমণ করলে প্রতিহত করে পারে না—ইখলাসবিহীন আমলও তেমন। পরকালে সে আমল কোনো কাজে আসবে না।

    একজন মানুষ গভীর রাতে পুরো পৃথিবীতে পিনপতন নীরবতা নেমে আসার পর জায়নামাজে দাঁড়িয়েছে, অনেক রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ছে; কিন্তু তার অন্তরে যদি এ কথা উদয় হয় যে, আমি আসলেই কত বড় আল্লাহওয়ালা—গভীর রাতে সবাই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার পর আমি নামাজ পড়ছি! সে নামাজের কোনো মূল্য নেই আল্লাহর কাছে! আরেকজন জনসমক্ষে শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য নামাজে দাঁড়িয়ে গেল, দুনিয়ার সকলে তার নামাজ দেখলেও তার নামাজ আল্লাহর কাছে কবুল হবে।
    কুরআন-হাদিসের জায়গায় জায়গায় ইখলাসের কথা এসেছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমার আমলকে ইখলাসপূর্ণ তথা খাঁটি করো। অল্প আমলই পরকালে তোমার মুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে।’
    শায়খ সালিহ মুনাজ্জিদকে আল্লাহ জাজায়ে খায়র দান করুন। বিভিন্ন কিতাবের পাতা চষে বেড়িয়ে তিনি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন ইখলাস সম্পর্কে চমৎকার তথ্যবহুল এ বইটি। এ বই পড়লে পাঠক জানতে পারবেন কীভাবে রিয়া তথা লৌকিকতামুক্ত ইবাদত করতে হবে, কীভাবে ইবাদত করলে আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবে

56 80-30%
জীবন গড়ার কিছু কথা
জীবন গড়ার কিছু কথা
নাজমুল ইসলাম কাসিমী

  • ক্ষুদ্র এ জীবন চলার পথে কোন্ কাজটি ভালো এবং কোন্ কাজটি খারাপ; কোন্টা  করা উচিৎ আর কোন্টা করা অনুচিৎ-অনেকটা আমরা জানি না। জানলেও প্রায়ই ভুলে যাই। আবার যতটুকু জানি; তা মানতে পারি না বা চাই না।

    জীবন চলার পথে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। তখন খুব পেরেশান হই, হতাশ হই; ভেঙে পড়ি। হা-হুতাশ করে সমাধান খুঁজি খুব করে; কিন্তু সেটাও করি প্রায়ই ভুল পন্থায়। কতশত স্বপ্ন দেখি, উভয়জাহানে সফলতার শৃঙ্গ স্পর্শ করার আশা করি; কিন্তু সেটা কি অদৌ সম্ভব?

    জি, সম্ভব। তবে শর্ত হলো আগে নিজের জীবনকে গড়া। সুশোভিত করা। টুয়েন্টি ফোর আওয়ারের প্রতিটা মুহূর্ত রাব্বে কারিমের বলে দেওয়া পথেই সমস্যার সমাধান খোঁজা; কিন্তু তা কীভাবে?

    জি, সফল হওয়ার এবং জীবন গড়ার এমন কিছু টিপস দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘জীবন গড়ার কিছু কথা’ বইটি।

    যে বইগুলো একবার পাঠ করলে বারবার পড়তে মন চায়; এই বইটিও আশা করি সেরকম একটি বইয়ের মত মনে হবে।


110
বিপ্রতীপ
বিপ্রতীপ
হাসান আনহার

  • আল কুরআন। আল্লাহ তাআলার কালাম। মহাপবিত্র ঐশী গ্রন্থ। সন্দেহ-সংশয়ের সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে যার অবস্থান। এর উৎপত্তিস্থল খোদ মহান স্রষ্টা। যার ওপর নির্ভর করে ইসলামের ভিত্তি।

    এ নির্ভুল গ্রন্থ কুরআনুল কারিমকে নিয়েও খোদাদ্রোহী সেকুলারদের অসাড় আপত্তির অন্ত নেই। আসলে আপত্তি তো নয়; সরলমনা মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার একধরনের অপপ্রয়াস মাত্র। বিভিন্ন ধরনের দলিলকে বিকৃত করে তারা তাদের মিশন চালিয়ে যাচ্ছে এবং এভাবে ক্রমশ এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে।

    আলিমকুল শিরোমণি আল্লামা শাহ আহমদ শফি (হাফিজাহুল্লাহ)-এর তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় রচিত হয়েছে নাস্তিকদের কুরআন সংক্রান্ত আপত্তিগুলোর অসাধারণ দালিলিক পর্যালোচনামূলক গ্রন্থ ‘বিপ্রতীপ’।

    বইটি সাধারণ পাঠক এবং আলেম ওলামার জন্য খুবই উপকারী হবে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য চিন্তার খোরাক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


140
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (শেষ খণ্ড)
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (শেষ খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • প্রথম খণ্ডের ব্যাক কভারে ‘বইটি কেন পড়বেন’ শিরোনামে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত উমর রা. সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা বলা হয়েছে। এখানে আরও কিছু বিষয় বলা দরকার মনে করছি।

    * এই গ্রন্থটি সরাসরি মূল আরবি কিতাব থেকে অনুবাদ করা হয়েছে এবং সম্পাদনার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভার্সন সাথে রাখা হয়েছে।

    * কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের অনুবাদের সাথে আরবি ইবারতও রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে কিছু কবিতা, উদ্বৃতি বা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের বেলায়ও এমনটা করা হয়েছে—যাতে আরবি জানা পাঠকের জন্য বইটি অধিক উপকারী হয়।

    * অনুবাদক একজন প্রসিদ্ধ আলেম। সাথে সাথে তিনি ইংরেজিতেও সমান পারদর্শী। ইতোমধ্যে তার ত্রিশোর্ধ্ব মৌলিক ও অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে এবং ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

    * অনুবাদের ক্ষেত্রে বইয়ের মধ্যে কোনো বিষয় অস্পষ্ট বা দুর্ভেদ্য মনে হলে সেখানে প্রয়োজনীয় সংযোজন করা হয়েছে। সাথে সাথে প্রচুর টীকাও ব্যবহার করা হয়েছে। পাঠক বইটি পাঠ করলে এতে আলাদা একটা স্বাদ অনুভব করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।

    * বিজ্ঞ প্রুফরিডার দিয়ে প্রুফ দেখানো হয়েছে  এবং একজন অভিজ্ঞ আলেম শরয়ি বিষয়গুলো দেখে দিয়েছেন।

    * ভাষা ও বানানের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতি অনুসরণ করা হয়েছে।

    * অক্ষরবিন্যাস অত্যন্ত সচেতনতার সাথে করা হয়েছে। বইগুলো হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টালেই পাঠক বুঝতে পারবেন। এতে যদিও পৃষ্ঠাসংখ্যা বেড়েছে; কিন্তু আলাদা সৌন্দর্যও এসেছে।

    আমরা বইটি নিখুঁত, নির্ভুল ও আকর্ষণীয় করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তারপরও কোনো ধরনের ত্রুটি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। এমনটা হলে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এবং আমাদেরকে অবগত করলে সংশোধন করে নেব ইনশাআল্লাহ।


520
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (১ম খণ্ড)
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (১ম খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • আমাদের একজন শাসক ছিলেন।


    কেমন শাসক?


    ভৃত্যকে সওয়ারিতে বসিয়ে যিনি নিজে হেঁটেছেন খালি পায়ে।


    আমাদের একজন মহান বিজেতা ছিলেন। অর্ধপৃথিবী যিনি ন্যায়নিষ্ঠার আলোকে শাসন করে গেছেন। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় খলিফায়ে রাশেদ।


    হজরত আবু বকর সিদ্দিক রা.-এর পর তিনি ছিলেন সাহাবাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। আমিরুল মুমিনিন খলিফাতুল মুসলিমিন উমর ইবনুল খাত্তাব রা.।


    হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা.-এর জীবন ইসলামের ইতিহাসে এক আলোকোজ্জ্বল অধ্যায়। মহত্ব, মর্যাদা, নিষ্ঠা, জিহাদ ও আল্লাহর পথে দাওয়াতে তাঁর ভূমিকা ও অবদানের মতো এমন আলোকিত জীবন অন্য কোনো জাতি-কালে দেখা যায় না। আলোচ্য গ্রন্থে তাঁর জীবনী ও জীবনকালের বৈশিষ্ট্যাবলি দুষ্প্রাপ্য ইলমি রত্ন থেকে বিবৃত হয়েছে বিশুদ্ধ আঙ্গিকে। জাহেলি যুগের জীবন, ইসলাম গ্রহণ থেকে শুরু করে হিজরত, কুরআনি জীবন, রাসুলের সার্বক্ষণিক সাহচর্য এবং সিদ্দিকি খেলাফতকালে তাঁর মহান কীর্তিগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। শাসনপদ্ধতির পাশাপাশি চারিত্রিক উৎকর্ষতা, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন, জ্ঞান ও জ্ঞানীদের কদর, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে তাঁর ভূমিকার বিষয়টিও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।


    নতুন আবাদি অঞ্চলের গণপূর্ত বিভাগ সংস্কার ও সংকট নিরসনকল্পে পরিকল্পনাগুলোর পাশাপাশি স্পষ্ট করা হয়েছে কীভাবে তিনি বিভিন্ন বক্তব্যের ব্যাখ্যায় গভীর দৃষ্টিপাত, বিষয়নিগূঢ়তা এবং ভালোমন্দ যাচাই করে স্পষ্টভাবে অভিমত প্রকাশ করতেন।


    আরবি সাহিত্য কেন হজরত উমর রা.-এর কাছে চিরঋণী—সেটাও তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে। মোটকথা, ফারুকি জীবনের এ টু জেড উঠে এসেছে আলোচ্য গ্রন্থে।


480
দাজ্জাল : ফিতনা ও পর্যালোচনা
দাজ্জাল : ফিতনা ও পর্যালোচনা
মুফতি রেজাউল কারীম আবরার
  • আমাদের রাসুল সাঃ শেষনবি। তাঁর উম্মতের মাধ্যমেই পৃথিবী সমাপ্তির প্রান্তরে নোঙর করবে। তাঁর উম্মতের ওপর দিয়েই বয়ে যাবে কিয়ামতের আগে ভয়াবহ ফিতনার তুফান। উম্মত যাতে সে ফিতনার সময় নিজের ইমান রক্ষা করে কবরে যেতে পারে, সে জন্য রাসুল সাঃ যাবতীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
    পৃথিবীর ইতিহাসে আদম আ. থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সবেচেয়ে ভয়ংকর ফিতনা হলো দাজ্জাল। নবিগণ দাজ্জালের ফিতনা সম্পর্কে নিজ নিজ উম্মতকে সতর্ক করেছেন।
    রাসুলের উম্মত যেহেতু নিশ্চিতভাবে দাজ্জালের ফিতনার সম্মুখীন হবে, এ জন্য অন্যান্য নবির চেয়ে তাঁর উম্মতকে তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সতর্ক করেছেন, যাতে উম্মত দাজ্জালের ফিতনায় পড়ে নিজের মূল্যবান ইমান না হারায়।
    ভবিষ্যতের কোনো বিষয়ে আকিদা পোষণ করতে হলে আগে দেখতে হবে, সে সম্পর্কে কুরআন ও সুন্নাহতে কী বলা হয়েছে। অনুরূপ দাজ্জাল সম্পর্কে আমাদের আকিদা রাখতে হবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকেই গবেষণার নামে দাজ্জাল সম্পর্কে এমনকিছু বলেন বা লিখে বসেন, যেগুলো স্পষ্টভাবে হাদিসের বিকৃতি। আলোচ্য গ্রন্থে এ ধরনের কিছু ভ্রান্তিরও অপনোদন করা হয়েছে।

200
বিবেকের জবানবন্দি
বিবেকের জবানবন্দি
আল্লামা আমিন সফদর রাহ.

  • প্রাইমারি লেভেল শেষ করে কুরআন-হাদিসের জ্ঞানার্জনের অদম্য স্পৃহা আর আকাশসম আশা নিয়ে ‘লা-মাযহাবি’ মাদরাসায় ভর্তি হলো একজন বালক। লা-মাযহাবি আকিদায় দীক্ষিত করে গড়ে তুলতে শুরু করলেন আহলে হাদিস শিক্ষক। দিন যায়, সময় যায়, বালকের দীক্ষাও বাড়তে থাকে। একসময় মাযহাব বিরোধিতার নামে বালক হয়ে ওঠে চরম হানাফি বিদ্বেষী। অন্তরে গেঁথে যায়-হানাফি মানেই হাদিস বিরোধী।

    কিন্তু…

    সময়ের পালাবদলে পরবর্তীতে সেই হানাফি বিদ্বেষী ছেলেটি হয়ে গেলো হানাফি মাযহাবের ভাষ্যকার। হয়ে গেলো লা-মাযহাবিদের ত্রাস। সমগ্র বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করলেন ‘মুনাযিরে আহনাফ’ নামে।

    কী ছিলো তার হানাফি হবার কারণ? কী এমন ঘটেছিলো-যার কারণে হানাফিদের প্রতি দীর্ঘদিনের জমানো বিদ্বেষ দূরিভূত হয়ে তার অন্তরে হানাফি মাযহাবের প্রতি ভালোবাসা আর আকর্ষণ জন্ম নিলো?

    কী ছিলো নেপথ্য কারণ?

    জানতে হলে বইটি পড়ুন…


50
রেশমি রুমাল আন্দোলন
রেশমি রুমাল আন্দোলন
সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানি

  • রাব্বুল আলামিনের প্রিয়তম সৃষ্টি মানুষ পৃথিবীতে নিয়ে আসে স্বাধীনতা। কিন্তু পরবর্তীতে আলস্য, ভোগ-বিলাস, আত্মপরিচয়, ও জিহাদ-বিমুখতার দরুণ নিজেদের জীবনে টেনে আনে পরাধীনতা। পরাধীনতা মানবজীবনের জন্য ভয়ঙ্কর এক অভিশাপ। এটা একধরনের চারিত্রিক ব্যাধি। এ অভিশাপে মানবতা হয়ে যায় শক্তিমানের পণ্য। পরাধীন জাতি হারিয়ে ফেলে ইনসানিয়াতের সৌকর্য। রুদ্ধ হয়ে যায় তাদের আত্মবিকাশের পথ। তবে এটা চিরন্তন কোনো ব্যাধি নয়। ভাইরাসগুলো সরাতে পারলে মানুষ পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে পেতে পারে স্বাধীনতা।

    স্বাধীনতা প্রয়াসের সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অন্যতম একটি হচ্ছে ‘রেশমি রুমাল আন্দোলন’। আলোচ্য গ্রন্থে উঠে এসেছে সেই সোনালি আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনের অজানা ও বিস্ময়কর অনেক বিষয়। যা ভবিষ্যতের যে কোনো মুক্তি আন্দোলনের জন্য হতে পারে শিক্ষার উপাদান। সর্বোপরি এ বইয়ের মাধ্যমে জানা যাবে ভারতবর্ষের তৎকালীন অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থা ও স্বাধীনতা আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের প্রকৃত অবস্থান। আরও জানা যাবে উসমানি খেলাফতের তখনকার অবস্থা, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে হেজাজের গভর্নর ও আফগান শাসকের ভূমিকা, ব্রিটিশের কূটচাল, জার্মান, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জাপানসহ তখনকার উল্লেখযোগ্য দেশসমূহের অবস্থান। জানা যাবে এত সুক্ষ্ম এবং নিখুঁত পরিকল্পনা থাকার পরও আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কারণ।

    ‘রেশমি রুমাল আন্দোলন’ যদি ব্যর্থ না হত, তাহলে হয়ত পৃথিবীর ইতিহাস অন্যরকম লেখা হত। আমরাও দেখতে পেতাম অন্যরকম এক পৃথিবী। হয়ত আজও স্বগর্বে দাঁড়িয়ে পুরো পৃথিবী শাসন করতেন উসমানি খলিফারা।


230
সিলেটে বঙ্গবন্ধু
সিলেটে বঙ্গবন্ধু
সৈয়দ আব্দুল্লাহ

  • বাংলা-আসামের এক সুপ্রাচীন জনপদ পূণ্যভূমি সিলেট। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, ধলাই, বিজনা, বিবিয়ানা, করাঙ্গীসহ হাজারো নদী -উপনদী বিধৌত, হাওর-বাওর, বন-বনানী, পাহাড় পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি ও ৩৬০ আওলিয়ার স্পর্শধন্য এই সিলেট অঞ্চল।

    বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক হিয়াংসাং আর ইবনে বতুতা থেকে শুরু করে উপমহাদেশের অসংখ্য খ্যাতিমান মনীষী বিভিন্ন সময়ে নানা ঐতিহাসিক কারণে এই পবিত্র ভূমিতে পদার্পন করেছেন। সবুজ-শ্যামলে ঘেরা, আতর-আগরের সুগন্ধে ভরা, দুটি পাতা একটি কুড়ির মনোরম দৃশ্যপট আর সিলেটের কমলালেবুর ঘ্রাণ অনেককে হাতছানি দেয়।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক নানা প্রেক্ষাপটে বহুবার সিলেট এসেছেন। তাঁর অক্লান্ত ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দীর্ঘ সংগ্রামের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি হৃদয়সম একটি স্বাধীন-সর্বভৌম বাংলাদেশ ও একটি রক্তেভেজা লাল-সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী কাফেলার বহু রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও ঘনিষ্ঠ সহচর রয়েছেন এই সিলেট অঞ্চলে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের নানা চিত্রপটের ঐতিহাসিক সন্ধান পাওয়া যায় এই পূণ্যভূমি সিলেটে।


300
খাইরুদ্দিন বারবারুসা (সমুদ্র ঈগল)
খাইরুদ্দিন বারবারুসা (সমুদ্র ঈগল)
আসলাম রাহি

  • ‘সমুদ্র ঈগল’ সালতানাতে উসমানিয়ার (অটোমান সাম্রাজ্য) মহান সুলতান সুলায়মান আল-কানুনি এবং তাঁর নৌ-সেনাপতি খাইরুদ্দিন বারবারুসার জীবনীভিত্তিক ইতিহাস।

    এঁরা ছিলেন তৎকালীন ইউরোপীয়দের জন্য জীবন্ত দুই আতঙ্কের নাম। সুলায়মান যেমন স্থলভাগে ইউরোপের ৮০০ মাইল ভেতরে ঢুকে ভেঙে দিয়েছিলেন তাদের শক্তির মেরুদণ্ড, তেমনি সাগরে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছিলেন খাইরুদ্দিন বারবারুসা। সুলতান যেমন হাঙ্গেরির রণক্ষেত্রে পর্যুদস্ত করেছিলেন ইউরোপের সাত-সাতটি দেশের যৌথবাহিনীর শক্তির মেরুদণ্ড, তেমনি বারবারুসা প্রিভিজার নিকটবর্তী কিরতা উপসাগরে মাত্র ১২০টি যুদ্ধজাহাজ আর কিশতির বহর নিয়ে সুলতানের কোনো প্রকার সাহায্য ব্যতিরেকে এককভাবে সাগরে সলিল-সমাধি ঘটিয়েছিলেন উইরোপীয় ইতিহাসের ৪ শতাধিক যুদ্ধ জাহাজের বৃহত্তম নৌবহটির।

    খাইরুদ্দিনের হাতে পর্যুদস্ত হয়ে পালিয়ে গিয়েছিল স্পেন অধিপতি চার্লসের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডুরিয়া। যে পরাজয়ের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে মারা গিয়েছিল ভেনিসের রাজা দুজে। রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল চার্লস। সাগর এককভাবে কর্তৃত্বে এসে গিয়েছিল বারবারুসার। সাগরে তাঁর আর কোনোই প্রতিপক্ষ ছিল না।

    উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে এরূপ আরও শিহরণজাগানিয়া অনেক বিজয়কাহিনী। পরতে পরতে উত্তেজনা আর রোমান্টিকতায় ভরপুর এ এক অনবদ্য রচনা।


300
রাগ করবেন না
রাগ করবেন না
ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি

  • কোনো বিষয়ে পুস্তক বা কিতাব রচনা বিষয়বস্তুর গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখেই হয়ে থাকে। আপনাদের খেদমতে যে বইটি উপস্থাপন করা হচ্ছে, সেটা আরবের প্রখ্যাত দায়ি মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফির কোনো কিতাব নয়; বরং এটা তাঁর একটি বক্তব্যের অনুবাদ। বক্তব্যের বিষয়বস্তু হলো ‘রাগ করবেন না’ বা ‘কখন রাগ করবেন’!

    বক্তব্যের বিষয়বস্তুই তার গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত বহন করছে। যেহেতু যেখানে-সেখানে রাগ করাটা কারও কাছেই পছন্দনীয় নয়। এ জন্যই লোকেরা বলে ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’।

    বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে কখন আপনি অন্যায়ের প্রতিবাদী হবেন, কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন, অন্যায়ে লিপ্ত লোকটিকে আপনি কীভাবে বোঝাবেন এবং প্রত্যেকেই কীভাবে নিজের আত্মমর্যাদা বজায় রেখে চলবেন।


50
দ্য প্যান্থার (সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স)
দ্য প্যান্থার (সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স)
ইমরান আহমাদ

  • ৫৪ বছরের ছোট্ট একটা জীবন। ৩৩ বছরই যার কেটেছে অশ্বপৃষ্টে। ১৭ বছরের শাসনকাল। ১৭ মাসও নির্বিঘ্নে রাষ্ট্র চালাতে পেরেছেন কি না সন্দেহ! সর্বদাই ছুটতে হয়েছে শত্রুর পিছু-পিছু। দেশ থেকে দেশান্তরে। চিতার ক্ষিপ্রতায় চষে ফিরতে হয়েছে পাহাড়ে, জঙ্গলে—মরু বিয়াবান আর সমুদ্র উপকূলে।

    আধুনিক মিসর, ইসরাইল, ফিলিস্তিন, জর্দান, লেবানন, সিরিয়া, তুরস্ক ছিল তাঁর অবাধ বিচরণক্ষেত্র। তিন মহাদেশ ছিল কুরুক্ষেত্র।

    তাঁকে একসাথে লড়তে হয়েছে তিন-তিনটি দুর্ধর্ষ পরাশক্তির সাথে। তাঁর দুর্দান্ত থাবায়ই মোঙ্গলদের পিলে চমকে উঠেছিল। ক্রুসেডমানসে ভীতি ছড়িয়েছিল। গুপ্তঘাতকরা পথ হারিয়েছিল।

    ক্রুসেড যদি তাঁকে দিয়ে থাকে অমরত্ব—মোঙ্গলবধ করে তুলেছে আরও গৌরবদীপ্ত। গুপ্তঘাতক নিধন তার কীর্তিতে চড়িয়েছে আলাদা মাহাত্ম্য।

    তীব্রগতি, বজ্রথাবার কারণে ক্রুসেডারদের চোখে তিনি ছিলেন ‘দ্য প্যান্থার’—চিতারাজ। ক্রুসেডের দীর্ঘ ইতিহাসে খ্রিষ্টানরা তাঁর হাতেই সর্বশেষ ও প্রচণ্ড মার খায়। বস্তুত তাঁর কঠোর কষাঘাতেই যবনিকাপাত ঘটে অন্তহীন ক্রুসেডের। ফলে তাঁর ছিল আরও একটি ইউরোপীয় অভিধা—‘শেষ আঘাত’।

    অথচ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, সুলতান বাইবার্সের সেসব কালজয়ী উপাখ্যান, বর্ণাঢ্য বীরত্বগাঁথা বহুকাল ধরেই পর্দাবৃত হয়ে আছে। চেপে রাখা হয়েছে সুকৌশলে।

    এই বই চায়, সামান্য হলেও মহাকালের ঘনকালো সে পর্দা সরে যাক। অনালোচিত ইতিহাসের দ্বার খুলুক। প্রজন্মের চিন্তায় গতি পাক।


197 270-28%
আমেরিকা মুসলিমদের আবিষ্কার
আমেরিকা মুসলিমদের আবিষ্কার
মুসা আল হাফিজ

  • ইসলাম-ফোবিয়া যখন আমেরিকায় মুসলিমদের উপস্থিতিকে হুমকি হিসেবে দেখায় আর পামেলা গেলারদের স্লোগান হয়—আমেরিকা থেকে মুসলিম খেদাও, তখন আমেরিকায় মুসলিমদের শিকড় সন্ধান করতেই হয়। অভিবাসীদের দেশ আমেরিকায় মুসলিম-শিকড় অনেক গভীরে। ইউরোপীয়রা আমেরিকায় আসে গণহত্যা, দখল আর মহামারি নিয়ে। মুসলিমরা এসেছিল তাদের আগে এবং নিয়ে এসেছিল শান্তি, মহত্ব ও সম্প্রীতি। তারা আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল কলম্বাসের অনেক আগে।

    আমরা যখন বলি ‘আমেরিকা : মুসলিমদের আবিষ্কার’, তখন মুসলিমদের আগে আমেরিকায় আগত বিভিন্ন জাতির অস্থিত্বকে ভুলে যাই না। তারা এসেছিল এবং হারিয়ে ফেলেছিল বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ। মুসলিমরা সৃষ্টি করেন সামুদ্রিক যোগাযোগ-রোড। রচনা করেন বিভিন্ন ম্যাপ ও পথের নির্দেশনা। কলম্বাস সে রোড দিয়েই ভারতে যেতে চেয়ে পৌঁছে যান আমেরিকায়। তার চেতনায় লুকানো ছিল নৌ-ক্রুসেড।

     

    পশ্চিমা ইতিহাস কলম্বাসের যাত্রাকে গ্রাহ্য করেছে, মুসলিমদের আবিষ্কারকে চেপে গিয়েছে বেমালুম। এ বই গোপন সেই ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসার প্রয়াস। নৌ-ক্রুসেড এবং আমেরিকায় এর নির্মমতার দিকেও চোখ রেখেছে বইটি। নিয়ে এসেছে আমেরিকায় মুসলমানদের হাজার বছরের কালপঞ্জি।

    ইসলাম-ফোবিয়া যখন আমেরিকায় মুসলিমদের উপস্থিতিকে হুমকি হিসেবে দেখায় আর পামেলা গেলারদের স্লোগান হয়—আমেরিকা থেকে মুসলিম খেদাও, তখন আমেরিকায় মুসলিমদের শিকড় সন্ধান করতেই হয়। অভিবাসীদের দেশ আমেরিকায় মুসলিম-শিকড় অনেক গভীরে। ইউরোপীয়রা আমেরিকায় আসে গণহত্যা, দখল আর মহামারি নিয়ে। মুসলিমরা এসেছিল তাদের আগে এবং নিয়ে এসেছিল শান্তি, মহত্ব ও সম্প্রীতি। তারা আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল কলম্বাসের অনেক আগে।

    আমরা যখন বলি ‘আমেরিকা : মুসলিমদের আবিষ্কার’, তখন মুসলিমদের আগে আমেরিকায় আগত বিভিন্ন জাতির অস্থিত্বকে ভুলে যাই না। তারা এসেছিল এবং হারিয়ে ফেলেছিল বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ। মুসলিমরা সৃষ্টি করেন সামুদ্রিক যোগাযোগ-রোড। রচনা করেন বিভিন্ন ম্যাপ ও পথের নির্দেশনা। কলম্বাস সে রোড দিয়েই ভারতে যেতে চেয়ে পৌঁছে যান আমেরিকায়। তার চেতনায় লুকানো ছিল নৌ-ক্রুসেড।

    পশ্চিমা ইতিহাস কলম্বাসের যাত্রাকে গ্রাহ্য করেছে, মুসলিমদের আবিষ্কারকে চেপে গিয়েছে বেমালুম। এ বই গোপন সেই ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসার প্রয়াস। নৌ-ক্রুসেড এবং আমেরিকায় এর নির্মমতার দিকেও চোখ রেখেছে বইটি। নিয়ে এসেছে আমেরিকায় মুসলমানদের হাজার বছরের কালপঞ্জি।

    ইসলাম-ফোবিয়া যখন আমেরিকায় মুসলিমদের উপস্থিতিকে হুমকি হিসেবে দেখায় আর পামেলা গেলারদের স্লোগান হয়—আমেরিকা থেকে মুসলিম খেদাও, তখন আমেরিকায় মুসলিমদের শিকড় সন্ধান করতেই হয়। অভিবাসীদের দেশ আমেরিকায় মুসলিম-শিকড় অনেক গভীরে। ইউরোপীয়রা আমেরিকায় আসে গণহত্যা, দখল আর মহামারি নিয়ে। মুসলিমরা এসেছিল তাদের আগে এবং নিয়ে এসেছিল শান্তি, মহত্ব ও সম্প্রীতি। তারা আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল কলম্বাসের অনেক আগে।

    আমরা যখন বলি ‘আমেরিকা : মুসলিমদের আবিষ্কার’, তখন মুসলিমদের আগে আমেরিকায় আগত বিভিন্ন জাতির অস্থিত্বকে ভুলে যাই না। তারা এসেছিল এবং হারিয়ে ফেলেছিল বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ। মুসলিমরা সৃষ্টি করেন সামুদ্রিক যোগাযোগ-রোড। রচনা করেন বিভিন্ন ম্যাপ ও পথের নির্দেশনা। কলম্বাস সে রোড দিয়েই ভারতে যেতে চেয়ে পৌঁছে যান আমেরিকায়। তার চেতনায় লুকানো ছিল নৌ-ক্রুসেড।

    পশ্চিমা ইতিহাস কলম্বাসের যাত্রাকে গ্রাহ্য করেছে, মুসলিমদের আবিষ্কারকে চেপে গিয়েছে বেমালুম। এ বই গোপন সেই ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসার প্রয়াস। নৌ-ক্রুসেড এবং আমেরিকায় এর নির্মমতার দিকেও চোখ রেখেছে বইটি। নিয়ে এসেছে আমেরিকায় মুসলমানদের হাজার বছরের কালপঞ্জি।


112 160-30%
পাগলের মাথা খারাপ
পাগলের মাথা খারাপ
রশীদ জামীল
  • কেউ যদি বিজ্ঞান নিয়ে একটা বই লিখে আর বইয়ের নাম দেয় ‘ভূতের বাচ্চা আইনস্টাইন’! কেউ যদি দর্শন নিয়ে বই লিখে আর নাম দেয় ‘হনুমানের বাচ্চা সক্রেটিস’! অবশ্যই সেটা এক্সেপ্টেবল না। কারণ, নামগুলো স্ব স্ব ক্ষেত্রে একেকটি ব্র্যান্ড হয়ে গেছে।

    কোনো পণ্ডিত যদি রাজনীতি নিয়ে বই লিখে বইয়ের নাম দিয়ে দেয় ‘…র বাচ্চা জিয়া’, তাহলে ভাঙ্গা কোমর নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও বিএনপির লোকজন রাস্থায় বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করবে। আর কোনো কারণে এবং অকারণেই ‘…র বাচ্চা শেখ মুজিব’ নাম দিলে তো আর হয়েছেই। লেখকের চৌদ্দগোষ্ঠীর খবর হয়ে যাবে।

    নামে কিছুই যায় আসে না আবার অনেক কিছুই যায় আসে। তাই, যে যুক্তিতে ভূতের বাচ্চা আইনস্টাইন/সক্রেটিস/জিয়া/মুজিব বলা অমার্জনীয় ধৃষ্টতা হবে, সেই যুক্তিতে; বরং তারচে’ও শক্তিশালী যুক্তিতে ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ বলাটাও অমার্জনীয় ধৃষ্টতার শামিল… ‘পাগলের মাথা খারাপ’ বইটি এই প্রেক্ষাপটেই রচিত।

126 180-30%
আহাফি (আহলে হাদিস ফিরকা)
আহাফি (আহলে হাদিস ফিরকা)
রশীদ জামীল
  • আহলে হাদিস ফিরকার বিভ্রান্তিকর কিছু মতবাদের খণ্ডন করে লেখা একটি সুখপাঠ্য বই। লেখক কুরআন-হাদিসের দলিলের সাথে সাথে বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বাস্তবধর্মী যুক্তি ও উদাহরণ দিয়ে বইটি রচনা করেছেন।
    বইয়ের কিছু অংশ :
    – তুমি কি আসল আহলে হাদিস, নাকি দু…
    – অবশ্যই আসল আহলে হাদিস।
    – আচ্ছা! তাহলে বলো দেখি, ইলমে হাদিসের উসুল কী?
    – উসুল মানে কী?
    – ‘বাবা! তুমি উসুল মানেই জানো না; অথচ দাবি করছ আহলে হাদিস’
    —এখনই এই কথা বলে তাকে ভাগিয়ে দেয়ার দরকার নাই। তাকে বলুন, উসুল মানে মূলনীতি। এবার বলো, হাদিস শাস্ত্রের মূলনীতি কী?
    – আমি জানি না।
    – আচ্ছা বলো, হাদিস মোট কত প্রকার?
    – আমি জানি না।
    – সমস্যা নাই। সবকথা সবাই জানেও না। হাদিস যারা শেখান, তাদেরকে মুহাদ্দিস বলা হয়—এটা জানো তো?
    – হ্যাঁ, কেন জানব না?
    – গুড, মুহাদ্দিসিনের তবকা কয়টি?
    – তবকা কী?
    – তবকা মানে স্তর। তাঁদের স্তর কয়টি?
    – আমি জানি না।
    এবার তাকে অতি-মোলায়েম সুরে বলুন, ‘ও মামা! তুমি তো হাদিসশাস্ত্রের কিছুই জানো না। তাহলে নিজেকে তুমি আহলে হাদিস বলছো কোন দুক্কে? তুমি তো দেখি মোটেও আসল আহলে হাদিস না; পুরাই দুই নাম্বারি…

260
Home
Categories
Cart
Account