(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

কালান্তর প্রকাশনী-Kalantor Prokashoni

কালান্তর প্রকাশনী-Kalantor Prokashoni

কালান্তর প্রকাশনী-Kalantor Prokashoni এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান রা.
মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান রা.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • কাতিবে ওহি, প্রিয়নবির প্রিয় শ্যালক, ইসলামি জগতের প্রথম শাহানশাহ, আমিরুল মুমিনিন মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান রা. আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত এমন এক সমুজ্জ্বল নাম। যাঁর সুমহান কীর্তিসমূহের আলোচনা মুমিনহৃদয়ে বইয়ে দেয় আনন্দের প্রস্রবণ। অপরদিকে ইয়াহুদিদের পোষ্য ইবনু সাবা, তার পদলেহী রাফিজিরাসহ প্রাচ্যবিদরা এবং অধুনার গবেষকরা সত্যাসত্য নিরূপণ না করে তাঁর ওপর নিন্দাবাদের যে ছুরি চালিয়েছে, তা যেকোনো মুমিনের অন্তরে তুলে বেদনার রক্তপ্লাবন। যেখানে উম্মাহর স্বীকৃত ইতিহাসবিদ জাহাবি, ইবনু কাসির ও ইবনু খালদুনরা তাঁর সুউচ্চ মর্যাদা ও কৃতিত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন ভাষা, খুঁজে পান না উপযুক্ত শব্দ, সেখানে রাশিদ রেজা আর আব্বাস মাহমুদ আক্কাদরা তাঁর মর্যাদায় দুর্গন্ধময় ভাষা; দূষিত সব শব্দ ব্যবহার করতে কুণ্ঠিত হন না।


    তাঁর সঙ্গে হাসান ইবনু আলির সন্ধি একসুতোয় গেঁথে দেয় দ্বিধাবিভক্ত জাতিকে। উম্মাহর ঐকমত্যে তিনি অধিষ্ঠিত হন ইসলামি খিলাফতের সিংহাসনে। ক্ষণের জন্য স্থাণু হয়ে পড়া জিহাদ ও বিজয়ের ধারায় এনে দেন গতির সঞ্চার। ইসলামের পক্ষে সমুদ্রযুদ্ধের মহানায়ক ছিলেন তিনি, যে ব্যাপারে নবিজির সুসংবাদ বিদ্যমান। বিলাদুল মাগরিব তথা দূর আফ্রিকা থেকে নিয়ে মধ্য-এশিয়ার খোরাসান পর্যন্ত ইসলামের নিশান ছড়িয়ে দেন এই দিগ্‌বিজয়ী বীর সাহাবি। এতকিছুর পরেও তিনি পদে পদে বিদ্বেষী ইতিহাসবিদদের দ্বারা বিদ্ধ হয়েছেন অন্যায্য সমালোচনার তিরে।


    মাজলুম সেই সাহাবিকে নিয়ে ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি রচিত এ গ্রন্থটি আপনাকে দেবে তাঁর সম্পর্কে সত্য-সুন্দর ধারণা। পাতায় পাতায় পাবেন তাঁর ওপর আরোপিত মিথ্যা সব অপবাদের দাঁতভাঙা জবাব। দূর হবে তাঁর ব্যাপারে শোনা সব সংশয়জাগানিয়া মিথ্যা।

580 750-23%
মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস ১-২
মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস ১-২
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে গোবির তৃণহীন মরুভূমি থেকে আকাশ আঁধার করে আসা সর্বনাশা ঝড় প্রচণ্ড আক্রোশে আছড়ে পড়ে খাওয়ারিজমের ওপর এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে শক্তিমান ও সমৃদ্ধ এই সাম্রাজ্য। কিন্তু খাওয়ারিজমের করুণ অবস্থা দেখেও সতর্ক হওয়ার গরজ অনুভব করেনি পাশের বাগদাদ। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়। মোঙ্গল ও তাতার নামক সেই প্রলয়ংকরী তাণ্ডবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিশাল আব্বাসি খিলাফত। মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ত্রাস, শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা। রক্তের স্রোতে তলিয়ে যেতে থাকে খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ। ফেলে দেওয়া গ্রন্থের কালিতে কালো হয়ে যায় দিজলা ও ফুরাত। জীবিতরা আশ্রয়ের খোঁজে পালাতে থাকে মিসরের দিকে—মামলুক সুলতানের আশ্রয়ে।

    মানুষ মনে করেই নিয়েছিল, তাতারঝড় একটা খোদায়ি গজব; কিয়ামতপূর্ব ইয়াজুজ-মাজুজের বাহিনী। কেউ কেউ ভাবছিল এরা দাজ্জালের বাহিনী; তাই মানুষের সাধ্য নেই এই ঝড়ের মোকাবিলার। মুসলিমবিশ্বের ওপর বয়ে যাওয়া এ তাণ্ডব দেখে সেদিন থরথর করে কাঁপছিল ইউরোপও। হ্যারল্ড ল্যাম্বের ভাষায়, ‘সুইডেন আর ভেনিসের জেলেরা তাতারদের ভয়ে সাগরে মাছ ধরার নৌকা ভাসাতে ভয় পেত!’

    ইতিহাসকে তুলনা করা হয় আয়নার সঙ্গে। ইতিহাসের পাতায় দেখে নিতে হয় অতীতের উত্থানের কারণ, পতনের প্রধান নিয়ামক। জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে অনুসরণ করতে হয় সেই উত্থানের মাধ্যমগুলোর এবং পরাজয় থেকে বাঁচতে হলে পরিহার করতে হয় পতনের কারণসমূহ। এমনই এক ইতিহাস হচ্ছে মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস আর মামলুকদের উত্থান।

    মানবতার সেই ট্রাজেডি আর উত্থান নিয়ে বিশ্বখ্যাত গবেষক ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি লিখেছেন গ্রন্থটি।


770
মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (১ম খণ্ড)
মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (১ম খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে গোবির তৃণহীন মরুভূমি থেকে আকাশ আঁধার করে আসা সর্বনাশা ঝড় প্রচণ্ড আক্রোশে আছড়ে পড়ে খাওয়ারিজমের ওপর এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে শক্তিমান ও সমৃদ্ধ এই সাম্রাজ্য। কিন্তু খাওয়ারিজমের করুণ অবস্থা দেখেও সতর্ক হওয়ার গরজ অনুভব করেনি পাশের বাগদাদ। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়। মোঙ্গল ও তাতার নামক সেই প্রলয়ংকরী তাণ্ডবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিশাল আব্বাসি খিলাফত। মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ত্রাস, শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা। রক্তের স্রোতে তলিয়ে যেতে থাকে খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ। ফেলে দেওয়া গ্রন্থের কালিতে কালো হয়ে যায় দিজলা ও ফুরাত। জীবিতরা আশ্রয়ের খোঁজে পালাতে থাকে মিসরের দিকে—মামলুক সুলতানের আশ্রয়ে।

    মানুষ মনে করেই নিয়েছিল, তাতারঝড় একটা খোদায়ি গজব; কিয়ামতপূর্ব ইয়াজুজ-মাজুজের বাহিনী। কেউ কেউ ভাবছিল এরা দাজ্জালের বাহিনী; তাই মানুষের সাধ্য নেই এই ঝড়ের মোকাবিলার। মুসলিমবিশ্বের ওপর বয়ে যাওয়া এ তাণ্ডব দেখে সেদিন থরথর করে কাঁপছিল ইউরোপও। হ্যারল্ড ল্যাম্বের ভাষায়, ‘সুইডেন আর ভেনিসের জেলেরা তাতারদের ভয়ে সাগরে মাছ ধরার নৌকা ভাসাতে ভয় পেত!’

    ইতিহাসকে তুলনা করা হয় আয়নার সঙ্গে। ইতিহাসের পাতায় দেখে নিতে হয় অতীতের উত্থানের কারণ, পতনের প্রধান নিয়ামক। জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে অনুসরণ করতে হয় সেই উত্থানের মাধ্যমগুলোর এবং পরাজয় থেকে বাঁচতে হলে পরিহার করতে হয় পতনের কারণসমূহ। এমনই এক ইতিহাস হচ্ছে মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস আর মামলুকদের উত্থান।

    মানবতার সেই ট্রাজেডি আর উত্থান নিয়ে বিশ্বখ্যাত গবেষক ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি লিখেছেন গ্রন্থটি।


307 420-27%
জিনকি সাম্রাজ্যের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
জিনকি সাম্রাজ্যের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • খিলাফতের পতাকা যখন পুরো পৃথিবীকে আলোকিত ও আলোড়িত করে যাচ্ছিল, ইউরোপীয়রা তখন ক্রুসেডের নামে বিশ্বমানবতার ওপর ধ্বংসযজ্ঞের মহড়া চালায়; এরই মোকাবিলায় উম্মাহ জেগে ওঠে, কালিমার পতাকা হাতে ঘুরে দাঁড়ায়, জিহাদি চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দখলদার শত্রুর শেষ চিহ্নটুকুও মুছে দেয়।

    ক্রুসেডবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বের বাগডোর হাতে নেন ইমামুদ্দিন জিনকি, নুরুদ্দিন জিনকি ও সালাহুদ্দিন আইয়ুবি; সঙ্গে ছিলেন ইতিহাসের কিংবদন্তি—আবদুল কাদির জিলানি, ইবনু আসাকির আর ইবনু আসরুন; তাঁদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় জিহাদি আন্দোলন, সুফি আন্দোলন, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম ও উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে জিনকিরা ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করেন। ফলে জিনকিদের ইতিহাস হয়ে ওঠে ক্রুসেডের ইতিহাস।

    ক্রুসেডের ইতিহাস বুঝতে হলে জিনকিদের উত্থান, নেতৃত্ব ও শাসনকে বুঝতে হবে; বুঝতে হবে জিহাদি চেতনায় জিনকিদের দুর্নিবার ছুটে চলার ফল-প্রতিক্রিয়া। বিশুদ্ধ, সাবলীল আর প্রামাণ্যে মোদিত করে ইতিহাসের এই অধ্যায় নিয়ে হাজির হয়েছেন বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। কালান্তরের অনুবাদ উপস্থাপনায় পড়ুন জিনকি সাম্রাজ্যের ইতিহাস, বাংলাভাষী পাঠকের কাছে এতকাল যা ছিল প্রায় অজানা।


1020
আরবি নবি
আরবি নবি
মাওলানা কাজি জায়নুল আবিদিন মিরাঠি রাহ.
  • আরবিতে রচিত প্রাচীন ও আধুনিক প্রসিদ্ধ কিছু সিরাতগ্রন্থের তথ্য ও বয়ানের আলোকে রচিত আরবি নবি। সংক্ষিপ্ত অথচ সমৃদ্ধ এ গ্রন্থে উঠে এসেছে নবিজীবনের আদ্যোপান্ত। বর্ণনাসমূহের জটিলতায় না গিয়ে প্রাধান্যপ্রাপ্ত বর্ণনার আলোকে তুলে ধরা হয়েছে সব। ঘটনার ধারাবাহিক বিবরণ আর সুন্দর বিন্যাসে হয়ে উঠেছে মূলের চেয়েও সহজ ও স্মৃতি-ধারণযোগ্য। তা ছাড়া এর ভাষা ও উপস্থাপনায় গল্প আর গদ্যের মাঝামাঝি অনন্যসুন্দর গতিশীল এক আঙ্গিক অনুসরণ করা হয়েছে। ফলত ছোটবড় সবার জন্য এর পাঠ হয়েছে মধুর ও সুখকর।
    গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ততা বিবেচনায় এর বিষয়বৈচিত্র্যের বিপুলতায় বাংলা ভাষার এক নতুন সংযোজন বলা যায় একে এবং এক বৈঠকে সিরাতের সারাৎসার জেনে ফেলার নির্ভরযোগ্য সূত্র গণ্য করা যায়। আশা করি, সিরাতের সুরভিত কাননের এই সুগন্ধি জীবন ও অনুভবকে নাড়িয়ে দেবে—নবিজির অনুসরণ আর আনুগত্যে এবং সজাগ ও সজীব করে তুলবে আপনার হৃদয়মিনার।

88 120-27%
উম্মাহর প্রতি আহ্বান
উম্মাহর প্রতি আহ্বান
ড. শায়খ আলি তানতাবি
  • উসমানি খিলাফতের পতনের পর থেকে মুসলমানরা পৃথিবীতে একতরফা মার খেয়ে যাচ্ছে। পবিত্র ভূমি বায়তুল মাকদিস অভিশপ্ত ইয়াহুদিরা ৯০ বছর থেকে দখল করে আছে। আফগান, ইরাক, ফিলিস্তিন, কাশমির, আরাকান, সিরিয়া, উইঘুর, মিসর ও বসনিয়ায় মুসলিমদের কচুকাটা করা হচ্ছে! মুসলমান মা-বোনদের আর্তচিৎকারে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠছে! কিন্তু আমরা গাফলতির চাদরমুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছি। শিশু আইলান কুর্দির নিথর দেহ সাগরে ভাসতে দেখে আমাদের অনুভূতিতে ধাক্কা লাগে না। আফিয়া সিদ্দিকাদের রক্তমাখা চিঠিও আমাদের আয়েশের ঘুম থেকে জাগাতে পারে না!
    আমরা ছিলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। কেন আমরা এখন সবচেয়ে অসহায় জাতিতে পরিণত হলাম? যে জাতির সামনে রোম এবং পারস্যের মতো পরাশক্তি লুটিয়ে পড়েছিল, সে জাতি আজ কেন গুটিকতক অভিশপ্ত ইয়াহুদির হাতে যুগের পর যুগ মার খেয়েই যাচ্ছে?
    আমরা কি আমাদের হারানো গৌরব পনুরুদ্ধার করতে পারব? ফিরে যেতে পারব সেই সোনালি দিনে? যেতে হলে কী করতে হবে আমাদের? জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে বিশ্বখ্যাত গবেষক ড. শায়খ আলি তানতাবি রাহ.-এর অশ্রুমাখা গ্রন্থ উম্মাহর প্রতি আহবান।

175 250-30%
মুমিনের নামাজ (পকেটসাইজ)
মুমিনের নামাজ (পকেটসাইজ)
রশীদ জামীল

  • যদি এমন হতো—মুমিনের নামাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকত এক মলাটে!

    সঙ্গে থাকত হাদিসের রেফারেন্স! বইটা হতো পাসপোর্ট সাইজে, যাতে পকেটে নিয়ে ঘোরা যায়!

    এমনটাই হয়েছে। মুমিনের নামাজ থাকবে মুমিনের বুক পকেটে। কলিজার কাছাকাছি। একমলাটে পুরো নামাজ, মিনাত-তাহরিম ইলাত-তাসলিম। শুরু থেকে শেষ। প্রতি পাতায় একটি বিষয়, সংশ্লিষ্ট হাদিসসহ।


75
হাসান-হুসাইন রা.
হাসান-হুসাইন রা.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • হাসান, হুসাইন রা.। ভালোবাসার তাজমহল। শ্রদ্ধার রাজপুত্র। যাঁদের নাম শুনলেই অন্তরে ভালোবাসার জোয়ার ওঠে। নবিজির দৌহিত্র। জান্নাতি মহিলাগণের সরদার মা ফাতিমার কলিজার টুকরো সন্তানদ্বয়। প্রতি জুমুআর খুৎবায় যাঁদের নাম শুনে আমরা অভ্যস্ত।
    কতটুকু জানি আমরা তাঁদের সম্পর্কে! নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন…
    দুঃখজনক হলেও সত্য, তাঁদের ব্যাপারে আমাদের জানাশোনা তেমন কিছুই না। আসুন তাঁদের জানি… শিক্ষা গ্রহণ করি। তাঁদের জীবনী উম্মাহর জন্য জীবন্ত শিক্ষা। অথচ, তাঁদের জীবনী থেকে শিক্ষাগ্রহণকারীর সংখ্যা বর্তমান সমাজে একেবারেই অপ্রতুল। এ জন্য এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য বই পড়ার বিকল্প নেই।


840
খুলাফায়ে রাশিদিন সিরিজ
খুলাফায়ে রাশিদিন সিরিজ
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • এই প্যাকেজে আছে, ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির লেখা, কালান্তর প্রকাশিত থেকে প্রকাশিত:

    • আবু বকর সিদ্দিক রা
    • আমিরুল মুমিনিন উমর ইবনুল খাত্তাব ( দুই খণ্ড একত্রে)
    • খলিফাতুল মুসলিমিন উসমান ইবনু আফফান
    • আলি ইবনে আবি তালিব রা. (১ম খণ্ড)
    • আলি ইবনু আবি তালিব রা. (শেষ খণ্ড)
2600 3650-29%
হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের ইতিহাস
হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের ইতিহাস
ড. জিয়াউর রাহমান আজমি

  • ভারতবর্ষ হলো হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের উৎপত্তিস্থল। এই চারটি ধর্ম একত্রে ভারতীয় ধর্ম নামে পরিচিত। বর্তমানে হিন্দু ও বৌদ্ধধর্ম যথাক্রমে বিশ্বের তৃতীয় ও চতুর্থ বৃহত্তম ধর্মবিশ্বাস। এই ধর্মগুলোর প্রতিটির মধ্যেই রয়েছে প্রগাঢ় সম্পর্ক। ভারতীয় সমাজে এসব ধর্মের প্রভাব ছিল অপরিসীম।

    হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের ইতিহাস গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে ভারতবর্ষের ধর্মসমূহের উপাখ্যান। আর এগুলোর রেফারেন্স আনা হয়েছে সেসব ধর্মের লেখকদের লেখা থেকেই। গ্রন্থটিতে দেখানো হয়েছে সেখানের অসংখ্য মানুষ আল্লাহকে বাদ দিয়ে গাছ-পাথর, মানুষ-জিন ও প্রাকৃতিক শক্তিগুলোকে উপাস্যরূপে কীভাবে গ্রহণ করেছে।

    গ্রন্থটি অধ্যয়নে পাঠক হয়তো সৌভাগ্যের পরশে সিজদাবনত হবেন দয়াময় রবের দরবারে। অনুধাবন করবেন, আল্লাহর দরবারের একটি সিজদা কীভাবে আপনাকে মুক্তি দিয়েছে অসংখ্য সৃষ্টির সামনে মাথা ঝোঁকানো থেকে। আলহামদুলিল্লাহি আলা নিমািতল ইসলাম।

    গ্রন্থটি রচনা করেছেন ড. জিয়াউর রাহমান আজমি। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের বিলিরিয়াগঞ্জে এক ধনাঢ্য হিন্দু-পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর নাম ছিল বাঁকেলাল। ১৬ বছর বয়সে তিনি মাধ্যমিক স্তরে অধ্যায়নকালে ইসলামগ্রহণ করেন। পরে জিয়াউর রাহমান নাম গ্রহণ করেন। স্বজাতির নিগ্রহের শিকার হয়ে তিনি প্রথমে পাকিস্তান, এরপর সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মক্কার কিং আবদুল অািজজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

    কর্মজীবনে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর নিযুক্ত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। হাদিস অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুলাই এই মহান মনীষী ইনতিকাল করেন।


165 230-29%
শ্রেষ্ঠমানব
শ্রেষ্ঠমানব
শায়খ মুহাম্মাদ হারুন আজহারি

  • শ্রেষ্ঠমানব গ্রন্থটিতে নবিজীবনের প্রতিটি দিক সংক্ষেপে, সহজে ও স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে মহানবির বংশপরিচয়, শৈশব, কৈশোর, নবুওয়াত, দাওয়াত, মুজিজা, হিজরত, ‍যুদ্ধ-সন্ধি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দারুণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। চিত্রিত করা হয়েছে নবিজির দাওয়াতের সূচনা থেকে সমাপ্তির সারাংশ। এ ছাড়া বিদায়হজের ঘটনা, নবিজির ব্যক্তিত্ব, চারিত্রিক গুণাবলি নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।

    সর্বোপরি এই গ্রন্থে সিরাতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। চেষ্টা করা হয়েছে পাঠক যেন নবিজীবনের বিশেষ দিকগুলো অবহিত হয়ে অনুভবের গলিপথ পেরিয়ে অনুকরণের দরজায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে।

    শ্রেষ্ঠমানব
    (রাসুল সা.-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী)
    —শায়খ মুহাম্মাদ হারুন আজহারি
    সাবেক প্রধান বিচারপতি, সুদান। মহাপরিদর্শক, ধর্মমন্ত্রণালয়, মিসর


60
সিরাতুন নবি সা. (সব খণ্ড)
সিরাতুন নবি সা. (সব খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • শত শত সিরাত পড়তে কার না মন চায়! মন তো চায়, রাসুলের যত জীবনী আছে, সব আমার পড়া থাক। কিন্তু মন চাইলেও জীবন ও জীবিকার চাপে আমরা অনেক কিছুই পড়ি না। অনেক কিছু মাটির মানুষের পক্ষে সম্ভবও না।

    বিশ্ব জুড়ে চলছে সিরাতের নানামুখী কাজ। সে ধারাবাহিকতায় একটি সিরাত যদি এমন পাওয়া যায়, যেটি অনেক সিরাতের মূল স্বর ও সুরকে ধারণ করছে, তাহলে কেমন হয়!

    ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি রচিত এই সিরাত আপনাকে শত শত সিরাত পাঠের নির্যাস, তথ্য ও অভিজ্ঞান দিতে পারে। সিরাতটি সেভাবেই রচিত। সিরাতটির আরও একটি দিক এই—রাসুলের জীবন-অভিজ্ঞতাকে অবলম্বন করে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার সমাধান এতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

    মানব-জীবনের শুদ্ধতার মাপকাঠি নবিজির আদর্শ। তাই তাঁর জীবনী বা সিরাত অধ্যয়ন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অতি জরুরি। তাই ড. সাল্লাবি রচিত প্রায় ১৬৫০ পৃষ্ঠার ৩ খণ্ডের সিরাতুন নবি সা.-এর মতো বহু-বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ সিরাত মুসলিম-মাত্র সংগ্রহে থাকা অতি দরকারি।


1800
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (একত্রে)
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (একত্রে)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • প্রথম খণ্ডের ব্যাক কভারে ‘বইটি কেন পড়বেন’ শিরোনামে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত উমর রা. সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা বলা হয়েছে। এখানে আরও কিছু বিষয় বলা দরকার মনে করছি।

    * এই গ্রন্থটি সরাসরি মূল আরবি কিতাব থেকে অনুবাদ করা হয়েছে এবং সম্পাদনার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভার্সন সাথে রাখা হয়েছে।

    * কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের অনুবাদের সাথে আরবি ইবারতও রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে কিছু কবিতা, উদ্বৃতি বা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের বেলায়ও এমনটা করা হয়েছে—যাতে আরবি জানা পাঠকের জন্য বইটি অধিক উপকারী হয়।

    * অনুবাদক একজন প্রসিদ্ধ আলেম। সাথে সাথে তিনি ইংরেজিতেও সমান পারদর্শী। ইতোমধ্যে তার ত্রিশোর্ধ্ব মৌলিক ও অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে এবং ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

    * অনুবাদের ক্ষেত্রে বইয়ের মধ্যে কোনো বিষয় অস্পষ্ট বা দুর্ভেদ্য মনে হলে সেখানে প্রয়োজনীয় সংযোজন করা হয়েছে। সাথে সাথে প্রচুর টীকাও ব্যবহার করা হয়েছে। পাঠক বইটি পাঠ করলে এতে আলাদা একটা স্বাদ অনুভব করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।

    * বিজ্ঞ প্রুফরিডার দিয়ে প্রুফ দেখানো হয়েছে  এবং একজন অভিজ্ঞ আলেম শরয়ি বিষয়গুলো দেখে দিয়েছেন।

    * ভাষা ও বানানের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতি অনুসরণ করা হয়েছে।

    * অক্ষরবিন্যাস অত্যন্ত সচেতনতার সাথে করা হয়েছে। বইগুলো হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টালেই পাঠক বুঝতে পারবেন। এতে যদিও পৃষ্ঠাসংখ্যা বেড়েছে; কিন্তু আলাদা সৌন্দর্যও এসেছে।

    আমরা বইটি নিখুঁত, নির্ভুল ও আকর্ষণীয় করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তারপরও কোনো ধরনের ত্রুটি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। এমনটা হলে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এবং আমাদেরকে অবগত করলে সংশোধন করে নেব ইনশাআল্লাহ।


1000
উসমানি খিলাফতের ইতিহাস (১ম-২য় খণ্ড)
উসমানি খিলাফতের ইতিহাস (১ম-২য় খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • খিলাফতব্যবস্থা পৃথিবীর ইতিহাসে দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে দীর্ঘ সময় টিকে থাকা একমাত্র শাসনব্যবস্থা। প্রায় সাড়ে ১৩ শ বছর এই শাসনব্যবস্থা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়েছে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ইনসাফের সঙ্গে। খিলাফতে রাশিদার পর নেতৃত্বের বাগডোর ছিল বংশপরম্পরায়। সর্বশেষ খিলাফতের নেতৃত্ব দিয়েছে তুর্কি বংশোদ্ভূত উসমানিগণ। ইতিহাসে যাঁরা অটোমান হিসেবে পরিচিত।

    এই বইয়ে আলোচিত হয়েছে উসমানি সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন নিয়ে। সেলজুক সাম্রাজ্যের পতনের পর উসমানি সাম্রাজ্যের উত্থান ছিল সর্বব্যাপী। জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি, যুদ্ধ এবং সমরবিজ্ঞান—এককথায় মানুষের জাগতিক জীবনের এমন কোনো বিভাগ ছিল না, যেখানে উন্নতির ছোঁয়া তারা পৌঁছে দেয়নি।

    উসমানি সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহের কনস্টান্টিনোপল বিজয় ছিল এই সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। তাঁর পরবর্তী একের পর এক শক্তিমান সুলতান এসে এশিয়া, আফ্রিকা আর ইউরোপ জয় করে নিয়েছেন। পৃথিবী থেকে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার দূর করে ইসলামের বিজয়পতাকা উড্ডীন করেছেন।

    একসময় এই বিশাল শক্তিধর সাম্রাজ্য ক্রুসেডীয় আক্রমণে জর্জরিত হয়। সুলতানগণ দুর্বল হতে থাকে। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মুসলমানরা পশ্চিমাদের নিকট পরাজিত হতে থাকে। জনগণ ও বুদ্ধিজীবী-শ্রেণি পশ্চিমা সেকুলার চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়। তারপর নানা ষড়যন্ত্রে শত বছরের প্রচেষ্টায় উসমানি শাসনের পতন ঘটানো হয়।

    এই বইয়ে আলোচিত হয়েছে কীভাবে উত্থান হয়েছিল উসমানি সাম্রাজ্যের। তারপর কীভাবে খিলাফতের নেতৃত্ব তাঁদের হাতে আসে। কীভাবে এই উসমানি সাম্রাজ্য প্রায় ৭০০ বছর শাসনের পর নেতৃত্ব হারায় এবং সাড়ে ১৩ শ বছর নেতৃত্ব দেওয়া খিলাফতব্যবস্থার পতন হয়। কীভাবে খিলাফতব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে পশ্চিমা সেকুলার গণতন্ত্র মুসলিম উম্মাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে আরও নানাবিধ করুণ ষড়যন্ত্রের ইতিহাস এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

    মুসলিম উম্মাহ আজ হতাশ, দিকভ্রান্ত। তাদের কোনো অভিভাবক নেই। যে যেভাবে পারছে খাবলে খাচ্ছে। তারপরও বিশ্বব্যাপী উম্মাহ ঘুরে দাঁড়াবার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। মুসলিম তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে, আশার আলো জাগাতে লেখক সুসংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন, দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। হৃদয় স্পর্শ করা উত্তপ্ত কথামালা দ্বারা জ্বালিয়েছেন চেতনার মশাল। ‍উল্লেখ করেছেন নবিজির হাদিস—‘নবুওয়াতের আদলে আবারও আসবে খিলাফত।’

    সর্বোপরি বইটি উন্মোচিত করবে আমাদের অতীত-ভুল, যার কারণে মুসলিম উম্মাহ আজ লাঞ্ছিত; দেখাবে বিজয়ের পথ, যার মাধ্যমে আবারও আলোকিত হবে পৃথিবী।


592 870-32%
আলি ইবনে আবি তালিব রা. (শেষ খণ্ড)
আলি ইবনে আবি তালিব রা. (শেষ খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • আলি ইবনু আবি তালিব রা.। চতুর্থ খলিফায়ে রাশিদ। গ্রন্থটিতে তাঁর জন্ম থেকে শাহাদাত পর্যন্ত বিস্তারিত ঘটনাবলি আলোচনা করা হয়েছে।

    তাঁর পরিচয়, ইসলামগ্রহণ, রাসুলের সঙ্গে কাটানো শৈশবকাল, তাঁর সঙ্গে রাসুল সাঃ কীভাবে আচরণ করতেন, সেগুলোও আলোচনায় এসেছে।

    বদর, উহুদ, খন্দক, বনু কুরাইজা, হুদায়বিয়া, খায়বার, মক্কাবিজয়, হুনাইনের যুদ্ধসহ বিভিন্ন যুদ্ধে তাঁর কৃতিত্ব ও ভূমিকা নিয়ে গবেষণালব্ধ আলোচনা করা হয়েছে।

    আবু বকর, উমর ও উসমান রা.-এর খিলাফতকালে তাঁর ভূমিকার পাশাপাশি শুরার ব্যাপারে ভণ্ড রাফিজিদের মিথ্যাচারেরও খণ্ডন করা হয়েছে।

    আলোচনা করা হয়েছে তাঁর বায়আত, মর্যাদা, গুণাবলি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মূলনীতিসমূহ।

    তাঁর জ্ঞান, আত্মত্যাগ, বিনয়, লজ্জা ও দানশীলতা, ইবাদত, ধৈর্য ও ইখলাস, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, আল্লাহর দরবারে দুআর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

    আলির সামাজিক জীবনের পাশাপাশি, শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমনে তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। জঙ্গে জামাল তথা উষ্ট্রীর যুদ্ধ এবং সিফফিনের যুদ্ধের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গ্রন্থের শেষ দিকে রাফিজি, খারিজিসহ বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ বিষয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ পেশ করা হয়েছে।

    এ ছাড়া তাঁর যুগে ধর্মে বাড়াবাড়ি, দীন সম্পর্কে উদাসীনতা, মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা, কবিরা গুনাহে লিপ্ত মুসলমানকে কাফির বলা, মুসলমানদের হত্যা ও তাঁদের সম্পদ হালাল ঘোষণা করা, নির্বিচারে গালিগালাজ করা, কতেক সাহাবিকে গালমন্দ ও নিন্দা করা এবং উসমান ও আলি রা.-কে কাফির সাব্যস্ত করা—ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

    এ ছাড়া আরও অনেক সাহাবির জীবনী এবং বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়িল সম্পর্কেও আমরা জানতে পারব। জানতে পারব ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে।


438 600-27%
ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম
ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত চিন্তাবিদ দাবি করেন, খিলাফতে রাশিদার পরপর মুসলিম ইতিহাসে নেমে আসে জাহিলিয়াতের আঁধার। তাঁর মতে, এই জাহিলিয়াতে আলিমরাও জালিম  শাসকগোষ্ঠীর সাহায্যকারী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। সন্দেহ নেই আলিমদের অনেকে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, উল্লেখযোগ্য ইলমি ও রাজনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারেননি। তবে যারা মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন, রাজনৈতিক ও ইলমি সংস্কারের ডাক দিয়েছেন, তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়।

    আবুল হাসান আলি নদবি রাহ. ইসলামি ইতিহাসের এই সোনালি অধ্যায় সংকলনের অংশ হিসেবে রচনা করেন এক বিখ্যাত গ্রন্থ : সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস। এতে তিনি তুলে ধরতে চেষ্টা করেন আলিমদের সংস্কারমূলক চেষ্টা, রাজনৈতিক ও ইলমি ভূমিকা। আলি নদবি দেখান, আলিমদের এই সংগ্রামী ও সংস্কারমূলক ভূমিকা ইসলামি ইতিহাসের মৌল প্রকৃতির অংশ। আলি নদবির ব্যাখ্যায় বিশ্বাস রাখলে বলতে হবে, হিজরি সপ্তম শতাব্দীতে এই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় ব্যক্তি ছিলেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রাহ.।

    হিজরি সপ্তম শতক। উম্মতের এক ক্রান্তিকাল—রাজনৈতিক বিভক্তি, নানামুখী  ষড়যন্ত্র; মোঙ্গল, ক্রুসেডার, বাতিনিপন্থি ধারাসহ নানামুখী বিপদ ঘিরে রেখেছিল মুসলমানদের। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম। রাজনৈতিক ভূমিকার পাশাপাশি পেশ করেন  সংস্কারের পরিপূর্ণ পয়গাম ও প্রস্তাব। বিশেষভাবে সংকলন করেন মাকাসিদে শরিয়াহ। ইতিহাসবিদ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির দক্ষ হাতে উঠে এসেছে এই মহান ইমামের জীবন, চিন্তা ও অবদানের উল্লেখযোগ্য দিক।


145 200-28%
সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগির
সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগির
ফাহাদ আবদুল্লাহ

  • ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে পানিপথের যুদ্ধে ইবরাহিম লোদিকে পরাজিত করে সম্রাট বাবরের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দুস্থানের ইতিহাসে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী সাম্রাজ্য—ইতিহাসের পাতায় যা ‘মোগল সাম্রাজ্য’ নামে চির ভাস্বর হয়ে আছে। হিন্দুস্থানের বুকে সর্বশেষ নেতৃত্ব দেওয়া তৈমুরের বংশোদ্ভূত এ মোগলদের হাতেই তদানীন্তন সময়ে জ্ঞানবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা-দীক্ষা ও সমরবিদ্যা—এককথায় সবকিছুতেই উন্নতি ও সমৃদ্ধির শীর্ষ শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল হিন্দুস্থান।

    বাবর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গির ও শাহজাহানের পর সালতানাতের বাগডোর হাতে নিয়েছিলেন এই সাম্রাজ্যের সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী ও আলোচিত শাসক সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগির—যিনি দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে সুদীর্ঘ ৫১ বছর সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন।

    বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি এ ন্যায়পরায়ণ সুলতানেরই বর্ণাঢ্য শাসনামলের ঐতিহাসিক ধারাভাষ্য। জন্ম, বেড়ে ওঠা ও সিংহাসনে আরোহণের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর ‘জিহাদি-জীবন’-এর প্রতিটি অধ্যায় এতে আলোচিত হয়েছে। বাঙলার কট্টর হিন্দুসম্প্রদায়, আফগানের খাইবার ও আফ্রিদি গোত্রসমূহ, সৎনামি, জাট আর রাজপুতদের বিদ্রোহ দমনসহ প্রাসঙ্গিক সব আলোচনা স্থান পেয়েছে। ইতিহাসের এ মজলুম সুলতানের ওপর উত্থাপিত সব অভিযোগ নিয়েও সরল আলোচনা করা হয়েছে। ধুলোবালি ঝেড়ে আড়ালে থেকে যাওয়া বাস্তবতাগুলো সামনে আনা হয়েছে। সর্বোপরি সুলতানের মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণও বাদ যায়নি।

    আশা করি, পাঠক বইটি উপভোগ করবেন।


245 350-30%
সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ
সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ
ইসমাইল রেহান

  • ইতিহাস বিজয়ী আর বিজয়কেই ফলাও করে; পরাজয় আর পরাজিতকে ঢেকে রাখে বিস্মৃতির আড়ালে; কিন্তু কোনো কোনো পরাজয় ও পরাজিত পক্ষ এতই মহিয়ান হয়, তা গৌরবের দিক দিয়ে অনেক বিজয়কে ছাড়িয়ে যায়—দূর বহু দূর। ইতিহাসের তেমনই পরাজিত এক মহানায়ক সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ।
    জালালুদ্দিন ছিলেন খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের শেষ সুলতান। তিনিই তাতারদের প্রথম প্রতিরোধকারী। গ্রন্থটি তাঁকে নিয়েই রচিত। তবে খাওয়ারিজম সাম্রাজের ইতিহাসও সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হয়েছে গ্রন্থটিতে।
    তাতারঝড়ে যখন গোটা মুসলিম বিশ্ব লন্ডভন্ড, ঠিক সে মুহূর্তে ধুমকেতুর ন্যায় আবির্ভূত হয়েছিলেন মুসলিমবিশ্বের ত্রাতা হিসেবে। তাতারদের মোকাবিলায় তাঁর প্রতিরোধযুদ্ধ অসফল হলেও ব্যর্থ ছিল না মোটেও। অন্তত সাত-আটটি বছর তিনি আটকে রেখেছিলেন তাদের বিজয়ের স্রোত। দৌড়ের উপর রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন সেই বিশ্বত্রাস শক্তিকে। অনেক ক্ষেত্রে নাকানি-
    চুবানিও খাইয়েছিলেন পিশাচ তাতারদের। এই রক্তপিপাসুদের নিজের সঙ্গে ব্যস্ত রেখে দিয়ে গেছেন বাগদাদের খিলাফত, হারামাইন, মুসলিমবিশ্বসহ মানবসভ্যতার সুরক্ষা। সিন্ধু নদের তীরে বীরত্বের যে মহাকাব্য রচনা করেছিলেন এই অমর বীর, তা চিরকাল মুসলিম মুজাহিদদের জন্য হয়ে থাকবে প্রেরণার উৎস। ইতিহাসের মাজলুম সেই মহান সুলতানের জীবনালেখ্যই ফুটে উঠেছে এই গ্রন্থে।
    গ্রন্থটি রচনা করেছেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা আলিম, ইতিহাসবিদ ইসমাইল রেহান। দীর্ঘদিন তিনি জামিয়াতুর রশিদ করাচিতে অধ্যাপনা করেছেন। লিখেছেন ইতিহাস বিষয়ে জনপ্রিয় অনেক গ্রন্থ। তাঁর রচিত আফগানিস্তানের ইতিহাস গ্রন্থটিসহ আরও কিছু গ্রন্থ প্রকাশ করবে কালান্তর প্রকাশনী।

    গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন ইমরান রাইহান। পড়াশোনা কওমি মাদরাসায়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে লেখালেখিকেই ব্যস্ততা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আগ্রহ ইতিহাস বিষয়ে। তার রচিত ও অনূদিত আরও কিছু গ্রন্থ কালান্তর থেকে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ।


300
বিয়ে ও ডিভোর্স
বিয়ে ও ডিভোর্স
ড. গওহার মুশতাক

  • এই গ্রন্থটি মুসলিম তরুণ ও যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের কারণ হবে। গ্রন্থটিতে বিশদভাবে বিয়ের উপকারিতা উপস্থাপন করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যক্তি, সন্তান ও সমাজের ওপর বিয়ে-বিচ্ছেদের ভয়াবহ প্রভাবের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।
    মুসলিম নবদম্পতি কীভাবে তাদের বৈবাহিক জীবনে সংঘাত এড়িয়ে চলবে, কীভাবে সুন্দর ও সুখী জীবন অতিবাহিত করবে, তার বাস্তবসম্মত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
    লেখক কুরআন-সুন্নাহর দলিল ছাড়াও প্রচুর উপাত্ত এনে সেগুলোর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। শতাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ভিত্তি বানিয়ে দেখিয়েছেন—কেন বিয়েতে উৎসাহ দেওয়া ও বিয়ে-বিচ্ছেদকে অনুৎসাহিত করা জরুরি।
    গ্রন্থটির লেখক ড. গওহার মুশতাক–মেডিক্যাল টেকনোলজির ওপর ব্যাচেলর অফ সাইন্স ডিগ্রি অর্জন করেন সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কের ইয়র্ক কলেজ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যাল রিসার্চের ওপর ডক্টরেট লাভ করেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন শায়খ আবদুর রহমান কাশমিরি (ব্রুকলিন, নিউ ইয়র্ক), শায়খ ড. ইসমাইল মাহমুদ আল আজহারি (নিউ জার্সি), মুফতি আবদুর রহমান ইবনু ইউসুফ (যুক্তরাজ্য), ইমাম তারেক শেববি আল তুনিসি (ফ্লোরিডা)সহ অনেকের তত্ত্বাবধানে।
    লেখকের গ্রন্থগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক রিসার্চের উল্লেখ থাকে, যা ইসলামের বিভিন্ন শিক্ষার পেছনের মাহাত্ম্যকে তুলে ধরে। তিনি নিজেও একজন গবেষক এবং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিছু শ্রেষ্ঠ পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের অধীনে। প্রায় ৫০টি বৈজ্ঞানিক
    গবেষণাপত্রে তিনি অবদান রেখেছেন, যা পিয়ার-রিভিউড হয়ে বিভিন্ন খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
    ড. মুশতাক নিয়মিত জুমুআর খুতবা দেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মসজিদে এবং বক্তৃতা দেন ইসলামিক সেন্টারে। তিনি আল-জুমুআ ম্যাগাজিন (ইংরেজি), বাতুল (উরদু) ও মেসাক (উরদু) নামক মাসিক ম্যাগাজিনে লিখেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর রচিত গ্রন্থ রয়েছে। কয়েকটি গ্রন্থ কালান্তর থেকে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ।

    অনুবাদক শাহেদ হাসানের জন্ম ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জানুয়ারি রাজশাহীতে। লেখাপড়া করেছেন ঢাকার সেন্ট জোসেফ স্কুলে এবং সেখান থেকেই এসএসসি পাশ করেছেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকার নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞানবিভাগে এবং বর্তমানে সেখানেই পড়াশোনা করছেন।
    লেখালেখি এবং অন্যান্য কর্মের দ্বারা দীনি খিদমতের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া এবং আখিরাতের কঠিন দিবসে নাজাত লাভ করাই শাহেদের জীবনের লক্ষ্য।


126 180-30%
ইসলামি আকিদা (১ম খণ্ড, তাওহিদ)
ইসলামি আকিদা (১ম খণ্ড, তাওহিদ)
আল্লামা ইদরিস কান্ধলবি
  • হালজামানার একশ্রেণির মুসলমান নিজেদেরকে সহিহ আকিদার অনুসারী পরিচয় দিয়ে হাজার বছর ধরে স্বীকৃত আকিদা নিয়ে ফিতনা ছড়াচ্ছে। সালাফে সালিহিনের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বিপথগামী করছে। অনলাইনে ও অফলাইনে সর্বস্তরের মুসলমানদের মধ্যে সংশয় ছড়াচ্ছে। সর্বযুগের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিম ও মুজাহিদদের একবাক্যে বিদআতি বলে আখ্যায়িত করছে।
    আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদাকে জাহমি আকিদা বলে অভিহিত করে সমাজে নিরেট দেহবাদী ও অক্ষরবাদী ভ্রান্ত আকিদা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ইতিহাসের পাতায় বিগত হওয়া মুশাববিহা (সাদৃশ্যবাদী), মুজাসসিমা (দেহবাদী) এবং ভ্রান্ত হাশাওয়ি ফিরকার আকিদা পুনরুজ্জীবিত করছে আর এগুলো সালাফের একমাত্র সহিহ আকিদা বলে একপাক্ষিক প্রচারণা চালাচ্ছে। সালাফ ও খালাফ তথা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আলিমদের আকিদা থেকে বিচ্যুত এই বিচ্ছিন্ন ও বিভ্রান্ত আকিদার মোকাবিলার জন্য আমাদের হকপন্থি মহান আকাবিরদের আকিদাবিষয়ক আলোচনাগুলো বাংলায় অনূদিত হয়ে আসা সময়ের দাবি ছিল। আল্লাহ তাআলা অনুবাদককে সেই দাবি পূরণের জন্য কবুল করেছেন।
    আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা গ্রন্থটির লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সবাইকে উত্তমরূপে কবুল করুন। তরুণ আলিম মুফতি আলী হাসান উসামাকে উম্মাহর খিদমতে আরও বেশি বেশি অসামান্য অবদান রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
    হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
    ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

360
হুসাইন ইবনু আলি রা.
হুসাইন ইবনু আলি রা.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • হুসাইন রা.। ভালোবাসার তাজমহল। শ্রদ্ধার রাজপুত্র। নাম শুনলেই অন্তরে ভালোবাসার জোয়ার ওঠে। সাইয়িদুল ইনসি ওয়াল জান নবি মুহাম্মাদ সা.-এর দৌহিত্র। জান্নাতি মহিলাগণের সরদার মা ফাতিমা রা.-এর কলিজার টুকরো সন্তান।
    মদিনায় জন্ম। মদিনায় বেড়ে ওঠা। রাসুল সা.-এর আদর-সোহাগে শৈশব কাটানো জান্নাতি যুবকদের সরদার। কারবালায় মৃত্যু।
    কারবালা! কারবালা শুনলেই বেদনাহত হৃদয় আরও বেদনাবিধুর হয়ে পড়ে। মর্মান্তিক দৃশ্য ভেসে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। কারবালার আলোচনা শুনলে অশ্রু আপনাতেই গড়িয়ে পড়ে।
    সোনার মদিনা থেকে কারবালার দূরত্ব প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার। পরিবার-পরিজন নিয়ে উটের পিঠে সওয়ার হয়ে তিনি এ দীর্ঘ কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। মরুভূমির বালুসাগর পাড়ি দিয়ে কেন গিয়েছিলেন কারবালায়? মদিনায় কি তাঁর কোনো কিছুর অভাব ছিল? নানাজানের রওজায়ে আকদাস ছেড়ে কারবালায় কেন গিয়েছিলেন? গিয়েছিলেন জালিম শাসকের কবল থেকে উম্মাহকে উদ্ধারের জন্য, নানাজানের প্রিয় দীনের হিফাজতের জন্য, খিলাফত রক্ষার জন্য। দুনিয়াবি পরিণাম-পরিণতির পরোয়া না করে শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি প্রিয় মদিনা থেকে সুদূর কুফার উদ্দেশে রওনা হন।
    তারপরের কাহিনি কী ছিল, কেমন ছিল জানতে হলে পড়ুন হালজামানার বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ও ফকিহ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি লিখিত এ গ্রন্থ।

154 220-30%
হাসান ইবনু আলি রা.
হাসান ইবনু আলি রা.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি রাসুল সাঃ ও খুলাফায়ে রাশিদিনের শাসনামলের একটি পর্যালোচনা। এতে হাসান রা.-এর পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে।
    ফাতিমা রা.-এর সঙ্গে আবু বকর রা.-এর সম্পর্ক, রাসুলের মিরাস, ফাতিমার মৃত্যু, হাসানের মর্যাদা, তাঁর সম্পর্কে রাসুলের ভবিষ্যদ্‌বাণী­; তাঁর মাধ্যমে বিবদমান দুটি দলের মধ্যে মীমাংসার বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
    উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, তাঁর ওপর পারিবারিক শিক্ষার প্রভাব, খুলাফায়ে রাশিদিনের যুগে তাঁর জীবনধারা, আলির শাহাদাত ও হাসান-হুসাইনের প্রতি পিতার অসিয়ত, পিতার শাহাদাতের পর তাঁর বক্তব্য, মুআবিয়া রা.-এর নিকট আলির মৃত্যুসংবাদ, তাঁর হাতে লোকজনের বায়আত, বায়আতের শর্ত, তাঁর খিলাফতের ব্যাপারে নসের ভুল ব্যবহার, খলিফা নির্বাচন, খিলাফতের মেয়াদ ও খিলাফত সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতাদর্শ।
    তুলে ধরা হয়েছে হাসান রা.-এর খুলাফায়ে রাশিদার অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আলিমদের বক্তব্য। খণ্ডন করা হয়েছে তাঁকে জড়িয়ে বলা কিছু ভুল বক্তব্য, ইতিহাসের কিছু বানোয়াট কাহিনি। উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর ব্যাপারে মহান ব্যক্তিদের অভিমত। মুআবিয়া রা.-এর সঙ্গে হাসানের সন্ধি-বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ছাড়াও সন্ধির পর তাঁর ও মুআবিয়ার সম্পর্ক কেমন ছিল, তারও আলোচনা করা
    হয়েছে। কিছু কিছু গ্রন্থে মুআবিয়ার প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়েছে, সেসবও খণ্ডন করা হয়েছে। হাসানের শেষজীবন, হুসাইনের জন্য তাঁর অসিয়ত, আল্লাহর সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা, শাহাদাত লাভ এবং জান্নাতুল বাকিতে তাঁর দাফন হওয়া সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।
    হাসানের জীবনী থেকে শিক্ষাগ্রহণকারীর সংখ্যা সমাজে একেবারেই অপ্রতুল। আমরা হাসানের কর্মপন্থা দেখে আশ্চর্য হই; অথচ সেখান থেকে শিক্ষা নিই না। তাঁর জীবনী উম্মাহর জন্য জীবন্ত শিক্ষা। তিনি সে-সকল মহান ইমামের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের কথা, কাজ ও জীবনী থেকে উম্মাহ শিক্ষা নিতে পারে এবং নিজেদের জীবন তাঁদের আদলে ঢেলে সাজাতে পারে।

640
কাচের দেয়াল
কাচের দেয়াল
রশীদ জামীল

  • কাঁচের দেয়াল না বলে অদৃশ্য দেয়ালও বলা যেত। ছাপ্নান্ন হাজার বর্গমাইল ঘিরে আছে অদৃশ্য সেই দেয়ালটি। কেউ দেখছে, কেউ দেখছে না। যা দেখছে না, তাদের কাছে অদৃশ্য। ডিঙানোর প্রশ্নও আসে না। যারা দেখছে, তাদের কাছে কাঁচের। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে চুপসে আছে।


    কোনো জাতি যতক্ষণ মরতে রাজি না হয়, ততক্ষণ মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে না। বাঙালি বাঁচতে চায়, মরতে ভুলে গিয়ে। যে কারণে বেঁচে থাকাটা হয় লাশের মতো। লাশ নিয়ে চলে লালালাসি।


    কেউ মার দিয়ে খুশি, কেউ মার খেয়ে।


    এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো তুমি।


    এমন দেশই কি চেয়েছিল সাড়ে সাত কোটি মানুষ?


140 200-30%
সুলতান আবদুল হামিদ খান ও উসমানি খিলাফত পতনের ইতিহাস
সুলতান আবদুল হামিদ খান ও উসমানি খিলাফত পতনের ইতিহাস
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ সোনায় মোড়া একটি নাম, এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের স্মারক, জাগৃতির এক অনুপম চেতনা। তাঁর জীবনাচার সংবলিত এই বইয়ের পরতে পরতে পাবেন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। জানতে পারবেন ধর্মনিরপেক্ষবাদী কামাল পাশাদের গাদ্দারির ইতিহাস। প্রতিটি পাতার কালো অক্ষরগুলো যেন খিলাফতহারা ও েশাকে মুহ্যমান উম্মাহর অব্যক্ত বেদনার প্রতিনিধিত্ব করছে।


    বইটিতে আরও পাবেন মুসলিম উম্মাহকে খিলাফতবিহীন করতে পেরে  পাশ্চাত্যসমাজ যে নগ্ননৃত্যের মঞ্চায়ন করেছিল, তারই এক যথার্থ বিবরণ। দ্বিতীয় খিলাফতে রাশিদার নেতৃত্বদানের স্বপ্নদ্রষ্টাদের জন্য এখানে রয়েছে উত্তম পাথেয়, সুন্দর আগামী সাজানোর সোনালি শিক্ষা। রয়েছে চারদিকের শত্রু থেকে আত্মরক্ষার কৌশল।


    যারা জানতে চান কীভাবে খিলাফতের পতন হয়েছে, কীভাবে সাড়ে তেরোশ বছর পৃথিবীকে নেতৃত্বদানকারী একটি পরাশক্তি বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব থেকে সরে পড়েছে এবং উম্মাহর অধঃপতন যখন চূড়ান্তের দিকে গড়াচ্ছে তখন মুসলিম উম্মাহর অবস্থা কেমন ছিল, সেই ইতিহাস—এই বই তাদের জন্য।


170 234-28%
বিরাট ওয়াজ মাহফিল
বিরাট ওয়াজ মাহফিল
রশীদ জামীল

  • ওয়াজ এবং আওয়াজ এক না। এক করে ফেলা হচ্ছে। আওয়াজের নিচে ওয়াজ চিরেচেপ্টা। চলছে ‘যেমন খুশি সাজো’ স্টাইলে। বক্তা আর কমেডিয়ান প্রতিশব্দ হয়ে যাচ্ছে। ওয়াজের মজলিস হয়ে যাচ্ছে গানের আসরের মতো। অভিনয়ও চলছে সমানতালে। এমনটা আমরা চাইনি।

    জিনিস যত ভালো, নষ্ট হলে তত বেশি গন্ধ ছড়ায়। একড্রাম ঘিয়ের মাঝে একফোঁটা কেরোসিন পড়ে গেলে ড্রামের পুরো ঘি-ই নষ্ট হয়ে যায়। একপুকুর ভালোর মধ্যে একচিলতে কালোর মিশ্রণে পুকুরের সব পানি নাপাক হয় না; কিন্তু জেনেবুঝে সেই পানি কেনই-বা পান করতে হবে!

    বাংলাদেশে কত জন বক্তা আছেন আমরা জানি না। গোণায় ধরার মতো বক্তার সংখ্যা যদি হয় ৫ হাজার, ফাউল বক্তার সংখ্যা ১০০ জনের বেশি হবে না। এই ১০০ জনের কারণে আমরা যেমন ৪ হাজার ৯০০ জনকে অপমান করব না, একইভাবে ১০০ হুতোম প্যাঁচার কারণে বাগান উজাড় হতেও দেবো না।

    ওয়াজের সেকাল-একাল এবং আগামীর আন্তঃপথে একটুকরো সাজেশন—বিরাট ওয়াজ মাহফিল।

     

    মানুষ ওয়াজ শুনতে চায়, আওয়াজ না। মানুষ ওয়াজ মাহফিলে এসে গান শুনতে চায় না; অভিনয় দেখতে চায় না; চায় না অনর্থক বিষয়ের সমালোচনা আর নিন্দামন্দ শুনতে। দীনি এই মাহফিলগুলো স্বরূপে ফিরে আসুক। এর জন্য উত্তরণের উপায় খোঁজা দরকার।

    এসব নিয়েই বইটি রচনা করেছেন শক্তিমান লেখক কথাসাহিত্যিক রশীদ জামীল।


230
আবদুল কাদির জিলানি
আবদুল কাদির জিলানি
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • ইসলামের ইতিহাস যেসব ব্যক্তির জীবন ও কর্মের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে শায়খ আবদুল কাদির জিলানি তাঁদের অন্যতম। শায়খ জিলানি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন ইসলামের প্রতি আহ্বান, সমাজ থেকে শিরক-বিদআত দূরীকরণ, দীনি শিক্ষার প্রসার ও উম্মাহকে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণে তাঁর আকর্ষণীয় পদ্ধতির কারণে। তাঁর ইসলামি বক্তব্যে হাজার হাজার মানুষ পাপ ও অন্যায় কাজ থেকে তাওবা করত; ইসলাম পালন ও টিকিয়ে রাখার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ত। আব্বাসি খিলাফতের সেই সময়টায় তাঁর এই কর্মযজ্ঞ বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। অনেকেই তাঁকে অনুসরণ করে দীনি দাওয়াত ও ব্যক্তিপরিশুদ্ধির কাজ করতে থাকে। তাঁর কাজ ও পদ্ধতির অনুসরণই একটা সময় ‘কাদিরিয়া তরিকা’ নামে প্রসিদ্ধি পায়।

    ভারত উপমহাদেশে যাঁরা ইসলাম প্রচারে কাজ করেছেন তাঁদের অনেকেই শায়খ আবদুল কাদির জিলানির পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। ফলে উপমহাদেশে তিনি বড়পির হিসেবে সুপরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর প্রতি অতি শ্রদ্ধা েথকে মানুষের মুখে মুখে জন্ম িনয়েছে নানা কল্পকাহিনি। তৈরি হয়েছে তাঁর বানোয়াট জীবনকথা। বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি বিষয়টি লক্ষ করে রচনা করেছেন তাঁর বিশুদ্ধ জীবনচরিত। তথ্য ও বিশুদ্ধ বর্ণনার আলোকে তুলে ধরেছেন একজন সত্যিকার দায়ির কর্ম ও জীবনের উদ্দেশ্য।

    আমাদের দেশের সর্বসাধারণের মাঝে শায়খ আবদুল কাদির জিলানিকে নিয়ে যেসব মনগড়া কল্পকাহিনি প্রচলিত আছে; শায়খকে নিয়ে যেসব শিরক-বিদআতের ব্যবসা রমরমা হয়ে আছে, সে-সবের অসারতা ও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পাঠককে পথ দেখাবে শায়খ আবদুল কাদির জিলানির এই জীবনীগ্রন্থ। সত্য ইতিহাসের বইতালিকায় এই গ্রন্থ সমৃদ্ধির ইট হিসেবে যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ।


200
পারিবারিক কলহ ও প্রতিকার
পারিবারিক কলহ ও প্রতিকার
আল্লামা মুফতি মুহাম্মাদ তাকি উসমানি

  • আলাদা প্রকৃতির, ভিন্ন চিন্তার দুজন মানুষ যখন একই ছাদের নিচে একই কামরায় সহাবস্থান করে তখন  মনোমালিন্য, কলহ-বিবাদ হওয়া অতি স্বাভাবিক। পৃথিবীজুড়ে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এসব বিষয় তিক্ত সত্যি, অতি সাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ। অথচ এই অতি সাধারণ অনুষঙ্গই কখনো কখনো ডেকে আনে  অস্বাভাবিক পরিণতি। সামান্য মান-অভিমান বা মন-কষাকষি থেকে শুরু হওয়া বিবাদ একসময় হয়ে ওঠে দুটো জীবনের অনিশ্চিত গন্তব্যের কারণ।

    আবার পরিবারের সীমিত গণ্ডির জীবনযাপনে আমাদের মুখোমুখি হতে হয় বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়েসহ বিভিন্ন শ্রেণির আলাদা চিন্তাচেতনার মানুষের। অন্তর্দ্বন্দ্ব, কলহ-বিবাদ তাদের সঙ্গেও হয়।ঃ

    পূর্ণাঙ্গ ধর্ম হিসেবে মানবজীবনের খুঁটিনাটি সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে ইসলামে। পারিবারিক এসব সমস্যা ও সংকটের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপত্র সাড়ে চোদ্দশ বছর আগেই ইসলাম মানবজীবনের সামনে প্রস্তাব করেছে। নবিজীবন ও সাহাবিজীবনকে উপলক্ষ করে সেসব সমাধান বিবৃত হয়েছে সহজ ও সরল বয়ানে। চলতি পথে যদি কখনো মনোমালিন্য হয়, যদি কখনো খেই হারায় মেজাজ; কিংবা যদি নেহাত অপছন্দনীয় কাজের মুখোমুখি হতে হয়—কী করণীয় তখন —কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সে কথাগুলোই উঠে এসেছে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে। একজন দরদি মানুষের, একজন চিন্তক ব্যক্তির, সর্বোপরি চলমান পৃথিবীর দুরবস্থা ও সংকট সম্পর্কে সচেতন ও ব্যথিতপ্রাণ একজন প্রাজ্ঞ আলিম শায়খুল ইসলাম বিচারপতি আল্লামা মুফতি মুহাম্মাদ তাকি উসমানির প্রেমময় শব্দবন্ধে উঠে এসেছে পারিবারিক জীবনকে শান্তিময় করা ও দুনিয়া-আখিরাতে সফল হওয়ার অনিন্দ্য-সুন্দর ইসলামি সমাধান। জীবনের এই দুর্বিনীত ঝঞ্ঝায় নাকাল পাঠক বইটি সমাপ্ত করার পর উপলব্ধি করবেন—‘এই বিষয়ে এরচেয়ে ভালো বই আর হয় না’।


160
আলি ইবনে আবি তালিব রা. (১ম খণ্ড)
আলি ইবনে আবি তালিব রা. (১ম খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • আলি ইবনে আবি তালিব রা.। চতুর্থ খলিফায়ে রাশিদ। এই গ্রন্থটিতে তাঁর জন্ম থেকে শাহাদাত পর্যন্ত বিস্তারিত ঘটনাবলি আলোচনা করা হয়েছে।

    তাঁর পরিচয়, ইসলামগ্রহণ, রাসুলের সঙ্গে কাটানো শৈশবকাল তাঁর সঙ্গে রাসুল সা. কীভাবে আচরণ করতেন—সেগুলোও আলোচনায় এসেছে।

    বদর, উহুদ, খন্দক, বনু কুরাইজা, হুদায়বিয়া, খায়বার, মক্কা বিজয় এবং হুনাইনের যুদ্ধসহ বিভিন্ন যুদ্ধে তাঁর কৃতিত্ব ও ভূমিকা নিয়ে গবেষণালব্ধ আলোচনা করা হয়েছে।

    আবু বকর, উমর ও উসমান রা.-এর খিলাফতকালে তাঁর ভূমিকার পাশাপাশি শুরার ব্যাপারে ভণ্ড রাফিজিদের মিথ্যাচারেরও খণ্ডন করা হয়েছে।

    তাঁর বায়আত, মর্যাদা, গুণাবলি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মূলনীতিসমূহ আলোচনা করা হয়েছে।

    তাঁর জ্ঞান, আত্মত্যাগ, বিনয়, দানশীলতা, লজ্জাশীলতা, ইবাদত, ধৈর্য ও ইখলাস, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, আল্লাহর দরবারে দুআর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

    তাঁর সামাজিক জীবনের পাশাপাশি, শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমনে তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। জঙ্গে জামাল তথা উষ্ট্রীর যুদ্ধ এবং সিফফিনের যুদ্ধের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গ্রন্থের শেষ দিকে রাফিজি ও খারিজিসহ বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ বিষয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ পেশ করা হয়েছে।

    এ ছাড়া তাঁর যুগে ধর্মে বাড়াবাড়ি, দীন সম্পর্কে উদাসীনতা, মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা, কবিরা গুনাহে লিপ্ত মুসলমানকে কাফির বলা, মুসলমানদের হত্যা ও তাঁদের সম্পদ হালাল ঘোষণা করা, নির্বিচারে গালিগালাজ করা, কতেক সাহাবিকে গালমন্দ ও নিন্দা করা এবং উসমান ও আলি রা.-কে কাফির সাব্যস্ত করা—ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

    এ ছাড়া আরও অনেক সাহাবির জীবনী এবং বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়িল সম্পর্কেও আমরা জানতে পারব। জানতে পারব ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে।


438 600-27%
উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.
উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ও রাষ্ট্রপরিচালনায় যিনি দ্বিতীয় উমর হিসেবে ইতিহাসে সুপরিচিত। তাঁর শাসনকাল খিলাফতে রাশিদার সোনালি শাসনের সঙ্গে তুলনা করা হয়; আর তাঁকেও বলা হয় খলিফায়ে রাশিদ।

    একজন পরিপূর্ণ আদর্শ ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায় এর সব গুণে গুণান্বিত ছিলেন—জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে গঠন করা, চরিত্র-মাধুরী দিয়ে পৃথিবীকে জয় করা, বিনয়, নম্রতা, ক্ষমা, সহশীলতা, ধৈর্য আর আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত থাকার অনন্য উদাহরণ উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.।

    একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, পরাশক্তি খিলাফতের কর্তৃত্ববান হয়ে কীভাবে রক্ষা করেছেন রাষ্ট্রীয় আমানত, দিয়েছেন জনগণের অধিকার, সমাজ থেকে দূর করেছেন জুলুম-অত্যাচার, বিদ্রোহ দমন করে প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তি; রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অদ্বিতীয় দৃষ্টান্ত উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.।

    ব্যক্তিজীবনের পরিশুদ্ধি, পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে আচরণ, সন্তানদের লালনপালন ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পদ্ধতির অসাধারণ এক চিত্র রয়েছে উমরের জীবনে।

    সর্বোপরি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব, যাঁর ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের খুঁটিনাটি আমাদের জন্য অনুকরণীয়। যিনি একজন তাবিয়ি, যুগশ্রেষ্ঠ ফকিহ ও মুহাদ্দিস, মুজাদ্দিদ, রাষ্ট্রসংস্কারক, ইতিহাসের বিরল ব্যক্তিত্ব। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে জানার জন্য এই বই আপনাকে খুলে দেবে ইতিহাসের দরজা।


480
উসমানি খিলাফতের ইতিহাস [অটোমান এম্পায়ার] (শেষ খণ্ড)
উসমানি খিলাফতের ইতিহাস [অটোমান এম্পায়ার] (শেষ খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • খিলাফতব্যবস্থা পৃথিবীর ইতিহাসে দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে দীর্ঘ সময় টিকে থাকা একমাত্র শাসনব্যবস্থা। প্রায় সাড়ে ১৩ শ বছর এই শাসনব্যবস্থা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়েছে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ইনসাফের সঙ্গে। খিলাফতে রাশিদার পর নেতৃত্বের বাগডোর ছিল বংশপরম্পরায়। সর্বশেষ খিলাফতের নেতৃত্ব দিয়েছে তুর্কি বংশোদ্ভূত উসমানিগণ। ইতিহাসে যাঁরা অটোমান হিসেবে পরিচিত।

    এই বইয়ে আলোচিত হয়েছে উসমানি সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন নিয়ে। সেলজুক সাম্রাজ্যের পতনের পর উসমানি সাম্রাজ্যের উত্থান ছিল সর্বব্যাপী। জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি, যুদ্ধ এবং সমরবিজ্ঞান—এককথায় মানুষের জাগতিক জীবনের এমন কোনো বিভাগ ছিল না, যেখানে উন্নতির ছোঁয়া তারা পৌঁছে দেয়নি।

    উসমানি সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহের কনস্টান্টিনোপল বিজয় ছিল এই সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। তাঁর পরবর্তী একের পর এক শক্তিমান সুলতান এসে এশিয়া, আফ্রিকা আর ইউরোপ জয় করে নিয়েছেন। পৃথিবী থেকে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার দূর করে ইসলামের বিজয়পতাকা উড্ডীন করেছেন।

    একসময় এই বিশাল শক্তিধর সাম্রাজ্য ক্রুসেডীয় আক্রমণে জর্জরিত হয়। সুলতানগণ দুর্বল হতে থাকে। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মুসলমানরা পশ্চিমাদের নিকট পরাজিত হতে থাকে। জনগণ ও বুদ্ধিজীবী-শ্রেণি পশ্চিমা সেকুলার চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়। তারপর নানা ষড়যন্ত্রে শত বছরের প্রচেষ্টায় উসমানি শাসনের পতন ঘটানো হয়।

    এই বইয়ে আলোচিত হয়েছে কীভাবে উত্থান হয়েছিল উসমানি সাম্রাজ্যের। তারপর কীভাবে খিলাফতের নেতৃত্ব তাঁদের হাতে আসে। কীভাবে এই উসমানি সাম্রাজ্য প্রায় ৭০০ বছর শাসনের পর নেতৃত্ব হারায় এবং সাড়ে ১৩ শ বছর নেতৃত্ব দেওয়া খিলাফতব্যবস্থার পতন হয়। কীভাবে খিলাফতব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে পশ্চিমা সেকুলার গণতন্ত্র মুসলিম উম্মাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে আরও নানাবিধ করুণ ষড়যন্ত্রের ইতিহাস এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

    মুসলিম উম্মাহ আজ হতাশ, দিকভ্রান্ত। তাদের কোনো অভিভাবক নেই। যে যেভাবে পারছে খাবলে খাচ্ছে। তারপরও বিশ্বব্যাপী উম্মাহ ঘুরে দাঁড়াবার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। মুসলিম তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে, আশার আলো জাগাতে লেখক সুসংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন, দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। হৃদয় স্পর্শ করা উত্তপ্ত কথামালা দ্বারা জ্বালিয়েছেন চেতনার মশাল। ‍উল্লেখ করেছেন নবিজির হাদিস—‘নবুওয়াতের আদলে আবারও আসবে খিলাফত।’

    সর্বোপরি বইটি উন্মোচিত করবে আমাদের অতীত-ভুল, যার কারণে মুসলিম উম্মাহ আজ লাঞ্ছিত; দেখাবে বিজয়ের পথ, যার মাধ্যমে আবারও আলোকিত হবে পৃথিবী।


435
উসমানি খিলাফতের ইতিহাস [অটোমান এম্পায়ার] (১ম খণ্ড)
উসমানি খিলাফতের ইতিহাস [অটোমান এম্পায়ার] (১ম খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

  • খিলাফতব্যবস্থা পৃথিবীর ইতিহাসে দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে দীর্ঘ সময় টিকে থাকা একমাত্র শাসনব্যবস্থা। প্রায় সাড়ে ১৩ শ বছর এই শাসনব্যবস্থা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়েছে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ইনসাফের সঙ্গে। খিলাফতে রাশিদার পর নেতৃত্বের বাগডোর ছিল বংশপরম্পরায়। সর্বশেষ খিলাফতের নেতৃত্ব দিয়েছে তুর্কি বংশোদ্ভূত উসমানিগণ। ইতিহাসে যাঁরা অটোমান হিসেবে পরিচিত।

    এই বইয়ে আলোচিত হয়েছে উসমানি সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন নিয়ে। সেলজুক সাম্রাজ্যের পতনের পর উসমানি সাম্রাজ্যের উত্থান ছিল সর্বব্যাপী। জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি, যুদ্ধ এবং সমরবিজ্ঞান—এককথায় মানুষের জাগতিক জীবনের এমন কোনো বিভাগ ছিল না, যেখানে উন্নতির ছোঁয়া তারা পৌঁছে দেয়নি।

    উসমানি সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহের কনস্টান্টিনোপল বিজয় ছিল এই সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। তাঁর পরবর্তী একের পর এক শক্তিমান সুলতান এসে এশিয়া, আফ্রিকা আর ইউরোপ জয় করে নিয়েছেন। পৃথিবী থেকে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার দূর করে ইসলামের বিজয়পতাকা উড্ডীন করেছেন।

    একসময় এই বিশাল শক্তিধর সাম্রাজ্য ক্রুসেডীয় আক্রমণে জর্জরিত হয়। সুলতানগণ দুর্বল হতে থাকে। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মুসলমানরা পশ্চিমাদের নিকট পরাজিত হতে থাকে। জনগণ ও বুদ্ধিজীবী-শ্রেণি পশ্চিমা সেকুলার চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়। তারপর নানা ষড়যন্ত্রে শত বছরের প্রচেষ্টায় উসমানি শাসনের পতন ঘটানো হয়।

    এই বইয়ে আলোচিত হয়েছে কীভাবে উত্থান হয়েছিল উসমানি সাম্রাজ্যের। তারপর কীভাবে খিলাফতের নেতৃত্ব তাঁদের হাতে আসে। কীভাবে এই উসমানি সাম্রাজ্য প্রায় ৭০০ বছর শাসনের পর নেতৃত্ব হারায় এবং সাড়ে ১৩ শ বছর নেতৃত্ব দেওয়া খিলাফতব্যবস্থার পতন হয়। কীভাবে খিলাফতব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে পশ্চিমা সেকুলার গণতন্ত্র মুসলিম উম্মাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে আরও নানাবিধ করুণ ষড়যন্ত্রের ইতিহাস এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

    মুসলিম উম্মাহ আজ হতাশ, দিকভ্রান্ত। তাদের কোনো অভিভাবক নেই। যে যেভাবে পারছে খাবলে খাচ্ছে। তারপরও বিশ্বব্যাপী উম্মাহ ঘুরে দাঁড়াবার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। মুসলিম তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে, আশার আলো জাগাতে লেখক সুসংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন, দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। হৃদয় স্পর্শ করা উত্তপ্ত কথামালা দ্বারা জ্বালিয়েছেন চেতনার মশাল। ‍উল্লেখ করেছেন নবিজির হাদিস—‘নবুওয়াতের আদলে আবারও আসবে খিলাফত।’

    সর্বোপরি বইটি উন্মোচিত করবে আমাদের অতীত-ভুল, যার কারণে মুসলিম উম্মাহ আজ লাঞ্ছিত; দেখাবে বিজয়ের পথ, যার মাধ্যমে আবারও আলোকিত হবে পৃথিবী।


435
Home
Categories
Cart
Account