(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

সবুজপত্র পাবলিকেশন্স

সবুজপত্র পাবলিকেশন্স

সবুজপত্র পাবলিকেশন্স এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

মহৎপ্রাণের সান্নিধ্যে [১ম খণ্ড] [সাহাবী পর্ব]
মহৎপ্রাণের সান্নিধ্যে [১ম খণ্ড] [সাহাবী পর্ব]
শাইখ ড. মুহাম্মাদ মূসা আশ-শরীফ
  • গ্রন্থখানি বেশ কয়েক খণ্ডে বের হবে। প্রথম খণ্ডে খোলাফায়ে রাশেদীন ও ১৫২ জন সাহাবীর জীবনী রয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ডে তাবেয়ী পর্ব শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।
    মূল (আরবী): ইমাম যাহাবী রাহেমাহুল্লাহ রচিত মুসলিম মনীষীদের জীবনীর আকর-গ্রন্হ সিয়ারু আ’লামীন নুবালার সংকলিত ও সংক্ষেপিত সস্করণ নুযহাতুল ফুদালা।
    সংকলক ও সংক্ষেপক: শায়খ ড: মুহাম্মাদ মুসা আশ-শরীফ
    ভাষান্তর- আব্দুল্লাহ মজুমদার
    অনুবাদ-সম্পাদনা- ড: আবূবকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
    সংক্ষিপ্ত বিবরণ (অনুবাদকের কথা থেকে): আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল ‘আ-লামীন, ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু ‘আলা আশরাফিল আম্বিয়া ওয়াল-মুরসালীন ওয়া ‘আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমা’ঈন।
    কী দিয়ে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো? তার ভাষা আমার জানা নেই! আল্লাহর অশেষ রহমত, অপরিসীম করুণা ও নিঃসীম কৃপায় আমার এই সামান্য কর্মটুকু প্রকাশিত হয়েছে। ওয়ালিল্লাহিল হামদ!
    ছোটবেলা থেকেই ইতিহাসের প্রতি আমার আগ্রহ। ইতিহাস সম্পর্কে কোনো বই পেলে সেটা পড়ার চেষ্টা করি। একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামের ইতিহাস জানার ইচ্ছাটাও প্রবল। ইসলামী জ্ঞানের মৌলিক শাখাসমূহ (তাফসীর, হাদীস, ফিকহ, উসূল)-এর সাথে আরো কিছু আনুষাঙ্গিক বিষয় (লুগাহ, তারীখ, সিয়ার, তারাজিম) রয়েছে। ইসলামের প্রথম যুগে কুরআন-হাদীস কেন্দ্রিক বিবিধ গ্রন্থ লেখা হয়। পরবর্তী যুগে ইমামগণ ইতিহাসকেও বেশ গুরুত্বের সাথে দেখতে শুরু করেন। ইসলামের ইতিহাস ও ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান মুসলিম মনীষাকে তারা বিভিন্ন গ্রন্থে তুলে ধরেন। ইমাম ত্বাবারী রচিত ‘তারীখুল উমাম ওয়াল মুলূক’ গ্রন্থটি একটি মাইলফলক বলা চলে। যদিও আগে-পরে আরো বেশ কিছু গ্রন্থ রচিত হয়েছে ইসলামের ইতিহাসের উপর। ইমাম ইবন কাসীরের জগদ্বিখ্যাত বই ‘আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া’ সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জেনে থাকবেন। এ বইগুলোকে দুটো ভাগে বিভক্ত করা যায়, তারীখ (ইতিহাস) ও সিয়ার (মনীষীদের জীবনী)।
    আমার জীবনাকাশে তিনজন আলেম উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে জ্বলজ্বল করে সর্বদা। ইবনু তাইমিয়্যা, ইবনুল কাইয়্যিম ও যাহাবী –রাহিমাহুমুল্লাহ-। এদের রেখে যাওয়া লিখনী আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথে চলতে সহায়তা করেছে। আল্লাহর কাছে চাই, তাদেরকে যেনো জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন।
    ইমাম যাহাবী আমার কাছে এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। তার বই যতো পড়েছি, তার চিন্তাধারা ও মানহাজকে যতো জানছি, ততোই তার প্রতি আমার ভক্তি ও শ্রদ্ধা বেড়েছে। ইমাম যাহাবীকে চিনেছি ‘সিয়ারু আ-লামিন নুবালা’ গ্রন্থটির মাধ্যমে। তার পরিচিতি মূলত মুহাদ্দীস হিসেবে। উলুমূল হাদীসের একজন দিকপাল হিসেবে আলেমগণ তাকে জানেন। এ বিষয়ে তার রচিত ‘তাযকেরাতুল হুফ্‌ফায’, ‘মীযানুল ই’তিদাল’, ‘আল-মুঈন’, ‘আল-মুগনী’, ‘আল-কাশেফ’, ‘তাযহীবুত তাহযীব’-সহ বিবিধ গ্রন্থ তালিবুল ইলমগণ অবশ্যই জেনে থাকবেন। হাদীসশাস্ত্রে যে কোনো হাদীসের বর্ণনাকারীদের গ্রহণযোগ্যতার ‘মান ও স্তর’ পর্যালোচনায় ইমাম যাহাবীর অবদান অনস্বীকার্য।
    আকীদার ক্ষেত্রে ইমাম যাহাবী রচিত ‘আল-উলূ’ ও ‘কিতাবুল আরশ’ প্রমাণ বহন করে যে, তিনি সালাফ-সালিহীনের আকীদাকেই নিজের আকীদা হিসেবে ধারণ করতেন। এছাড়া তার রচিত ‘কিতাবুল কাবায়ের’-এ কবীরা গুনাহসমূহের একটি তালিকা করেছেন তিনি, যা বাংলায় অনূদিত হয়েছে এবং বইটি পাঠকমহলে সমাদৃত।
    ইসলামের ইতিহাসের ক্ষেত্রে তার অনন্য রচনা ‘তারীখুল ইসলাম’। আর মুসলিম মনীষার জীবনী বিষয়ে তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘সিয়ারু আ-লামিন নুবালা’। এই যে দুটি বই! এগুলো অতুলনীয়। আজ পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে যতো কাজ হয়েছে, তন্মধ্যে একজন আলেম কর্তৃক সেরা কাজ হিসেবে এ দুটিকে বিবেচনা করাটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়।
    ‘সিয়ারু আ-লামিন নুবালা’ বইটি পঁচিশ খণ্ডের এক বৃহৎ গ্রন্থ। ‘‌দারু ইবন হাযম’ ও ‘দারুল আন্দালুস আল-খাদ্বরা’ নামে সৌদি আরবের দুটি পাবলিকেশন্স থেকে এটি প্রকাশিত। লেখক নিজের সময়কালের পূর্ব পর্যন্ত যতো মনীষী পেয়েছেন, তাদের সকলের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। কারো জীবনী ছিলো কেবল নাম, বংশ ও মৃত্যুর সনে সীমাবদ্ধ। মূলত এ বইটিকে একটা বিশ্বকোষ বললে অত্যুক্তি হবে না। বইটি থেকে সাধারণ মানুষ উপকৃত হওয়ার সুযোগ ছিলো না। সে কারণেই সৌদি আরবের শাইখ মুহাম্মাদ মুসা আশ-শরীফ এ দীর্ঘ কিতাবকে নিয়ে এসেছেন মাত্র চার খণ্ডে। তাহলে কি সব বাদ পড়ে গেলো? না! যাদের জীবনী থেকে শিক্ষণীয় কিছু পাওয়া গেছে, তাদেরকেই তিনি অন্তর্ভুক্ত করে সাজিয়েছেন সংক্ষিপ্ত বইটি। নাম দিয়েছেন ‘নুযহাতুল ফুদালা’। মূল বইটিতে চার খলীফার জীবনী নেই, তাই ‘তারীখুল ইসলাম’ গ্রন্থ থেকে সেটুকু নিয়েছেন। তারপর সাহাবীদের থেকে শুরু করে শেষ নাগাদ এসেছেন। বইটির সংক্ষিপ্তরূপ বেশ কয়েক বছর আগেই প্রকাশিত হয়েছে সৌদি আরব থেকে।
    বাংলায় সালাফদের জীবনী বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে যে বইটি মোটামুটি রেফারেন্স বুক বলা চলে, সেটা হলো এই‌ ‌‘সিয়ারু আ-লামিন নুবালা’। তবে এতো বিশাল বই থেকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের খোরাক কতটুকু তা শাইখ মুহাম্মাদ মুসা আশ-শরীফ হয়তো ধরতে পেরেছিলেন। তাই তিনি সংক্ষিপ্ত করে প্রয়োজনীয় অংশগুলো রেখে দিয়েছেন। ২০১৬ সালের কোনো এক বিকেলে সম্মানিত পিতা ও শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়ের পরামর্শে বইটির অনুবাদ কাজে হাত দিই। অবশেষে ‘মহৎ প্রাণের সান্নিধ্যে’ নামে বইটির প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হতে যাচ্ছে কয়েক বছর পরে। যাতে কেবল সাহাবীদের জীবনী স্থান পেয়েছে। আল্লাহর রহমতে ধীরে ধীরে কাজ এগিয়ে চলেছে। দোআ চাই, মহান আল্লাহ যেনো সবটুকু অনুবাদের তাওফীক দেন।
    বিশ্বাস করুন ভাই-বোনেরা, বইটি এতোই অসাধারণ, আমি বলে বুঝাতে পারবো না, কী রয়েছে এতে! যদি আপনারা পড়ে না দেখেন। বইটির বেশ কিছু পাতা আমাকে ভাবিয়েছে, কিছু পাতা আমার চোখে পানি এনেছে, কিছু জীবনীর সাথে নিজের জীবনকে তুলনা করে আফসোস করেছি, কতোই না পিছিয়ে আছি আমরা। আমাদের আদর্শ, আমার কাছে যারা হিরো, তাদের জীবনাচরণ অনুসরণে কতোই না পিছিয়ে। আমরা কি তাদের নাগাল পাবো? তাদের মতো আমরাও কি আল্লাহর কাছে কবুল হবো? আল্লাহ ভালো জানেন!
    বইটি প্রকাশ করতে সম্মত হয়েছেন সবুজপত্র পাবলিকেশন্স’র মুহাম্মাদ হেলাল উদ্দীন আঙ্কেল। তাকে জানাই অগণিত শুকরিয়া। এতে বহু সংশোধনী ও পরামর্শ নিয়েছি, আমার অগ্রজ জনাব আব্দুর রহমান ভাইয়ার নিকট থেকে। বইটির সম্পাদনা করে দিয়েছেন, আমার শ্রদ্ধেয় আব্বা প্রফেসর ড. আবুবকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া। আল্লাহ তাদেরকে নেক হায়াত দান করুন। আমীন!
    একজন অনুবাদক হিসেবে আমার কী চাওয়া? আমার আসলে তেমন কোনো চাওয়া নেই; আমি ইমাম যাহাবীকে ভালোবাসি হৃদয়ের গভীর থেকে, তার জন্য জান্নাতের দোয়া করি। আরো দোয়া করি, আল্লাহ যেনো এ বইটিকে তার জন্য কবুল করে নেন। কিছুদিন পরই তো এ দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো, কবরের দীর্ঘ জীবনে কীভাবে থাকবো জানি না। এ গুনাহগারকে যেনো বইটির উসীলায় ক্ষমা করে দেন মহান আল্লাহ তাআলা। আমাকে যেনো কবুল করেন জান্নাতের জন্য। হয়তো কোনো একদিন জান্নাতের বাগিচায় দেখা হয়ে যাবে ইমাম যাহাবী রাহেমুহুল্লাহ’র সাথে। মুচকি হেসে সালাম বিনিময় করে বলতে পারবো, ‘আপনাকে ভালোবেসে আপনার বইটা পৌঁছে দিয়েছিলাম দামেস্ক থেকে সেই সুদূর বাংলায়।’ তিনিও হয়তো আমাকে কাছে টেনে বসাবেন। এরপর মেতে উঠবো অনন্ত বাতচিতে, যার কোনো শেষ নেই, কোনো সমাপ্তি নেই। আমরা সেই প্রশান্তির অসীম জীবন কামনা করতেই তো পারি, তাই না?

336 460-27%
ইসলামী আকীদাহ : তাওহীদ শির্ক বিদআত
ইসলামী আকীদাহ : তাওহীদ শির্ক বিদআত
ড. মুহাম্মাদ রফিকুর রহমান মাদানী
  • আকীদাহ্ মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো ইবাদত আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ার পূর্বশর্ত হলো, বিশুদ্ধ আকীদা। মহান আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠানোর পূর্বেই রূহের জগতে আমাদের থেকে তাওহীদে বিশ্বাস তথা বিশুদ্ধ আকীদাহ’র প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে, “আর যখন তোমার রব বনী আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে বের করলেন তাদের সন্তানদেরকে এবং নিজের উপর তাদেরকে প্রতিজ্ঞা করালেন, আমি কি তোমাদের রব নই? তারা বলেছিলো, অবশ্যই! আমরা সাক্ষী রইলাম। আবার না কিয়ামত দিবসে বলতে শুরু কর যে, এ বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না অথবা বলতে শুরু কর যে, র্শিক তো আমাদের বাপ-দাদারা উদ্ভাবন করেছিলো আমাদের পূর্বেই, আর আমরা হলাম তাদের পশ্চাদ্বর্তী সন্তান সন্ততি। তাহলে কি সে কর্মের জন্য আমাদেরকে ধ্বংস করবেন, যা আমাদের বাতিলপন্থীরা করেছে?” (সূরা ৭; আ‘রাফ ১৭২)

    সর্বশেষ নাযিলকৃত কুরআন মাজীদসহ সকল আসমানী কিতাবের মূল বক্তব্য ও নবী-রাসূলগণের দাওয়াতের লক্ষ্যই হলো, মানবজাতির মাঝে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা এবং তাগুতের মূলোৎপাটন। মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমি সকল জাতির মাঝে রাসূল পাঠিয়েছি এ দাওয়াত দেওয়ার জন্য যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদত করো এবং তাগুতকে বর্জন করো।” (সূরা ১৬; নাহল ৩৬)


    তাওহীদের নির্ভেজাল বিশ্বাস এবং সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে নেক আমলের মাধ্যমেই মানবজাতির জন্য নিশ্চিত হতে পারে দুনিয়ার সুখ-শান্তি এবং পরকালে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামাত। কিন্তু বনী আদমের চিরশত্রু“ শয়তান আমাদের এই চূড়ান্ত সাফল্য কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। তাই তাওহীদের বিপরীতে তাগুতকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তার সর্বান্তকরণ প্রচেষ্টা। কুরআনের ভাষায় তার ঘোষণা, “আপনি (আল্লাহ) যেহেতু আমাকে সঠিক পথ হতে বিচ্যুত করেছেন সেহেতু আমিও (তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্য) আপনার সরল পথে অবশ্যই ওৎ পেতে বসে থাকবো। অতঃপর তাদের কাছে আসবো তাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, ডান ও বাম দিক থেকে। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।” (সূরা ৭; আ‘রাফ ১৬-১৭)


    এ জন্যই শয়তান তার কূটকৌশল বাস্তবায়নের জন্য বেছে নিয়েছে, ‘র্শিক’-এর মতো গোমরাহীর মহাসড়ক। কারণ, র্শিকই চুরমার করে দিতে পারে বনী আদমের স্বপ্নসাধকে। ধ্বংস করে দিতে পারে, ‘আমল’-এর গগনচুম্বী প্রাসাদ। ভেজালে পূর্ণ করে দিতে পারে তার খাঁটি ঈমানকে। র্শিক-এর করালগ্রাসে আবদ্ধ করার জন্য সে ফাঁদ পেতেছে, কখনো নেকলোকদের মৃত্যুর পর তাদের মূর্তি বানিয়ে, কখনো আশা পূরণের স্থল হিসেবে মাজারকে দাঁড় করিয়ে, কখনো মৃতব্যক্তিকে অতিশয় ক্ষমতাধর সাজিয়ে আবার কখনো ওলীদের প্রশংসার অতিরঞ্জন করে জান্নাতের ফায়সালাকারী রূপ দিয়ে। মানুষকে ইবাদাতের নামে নানারকম বানোয়াট বিষয় ও পদ্ধতির মাধ্যমেও গোমরাহের দিকে ডাকছে ইবলিস-শয়তান। আল্লাহ তাআলা বলেন, “বলো, আমি কি তোমাদেরকে সেসব লোকদের সংবাদ দেবো, যারা কর্মের দিক থেকে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত? তারা সেসব লোক, যাদের পার্থিব জীবনের প্রচেষ্টা পথভ্রষ্টতায় পর্যবসিত হয়, অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্ম করছে।” (সূরা ১৮; কাহফ ১০৩-১০৪)


    আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, “আর শয়তান তাদের আমলকে সুশোভিত করে পেশ করেছে।” (সূরা ২৭; নামল ২৪)


    যুগে যুগে সকল নবী-রাসূল এবং তাঁদের উত্তরাধিকারী নেক আলেমগণ তাগুতকে হটিয়ে আল্লাহর জমীনে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে সদা সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু মানুষ পারিবারিক কারণে, শয়তানের প্ররোচনা, প্রবৃত্তির তাড়নায়, পরিবেশের বদ-ছোঁয়ায় বারংবারই তাওহীদের বিশ্বাস ভুলে গিয়ে র্শিক এবং কুফরীতে লিপ্ত হয়ে যায়।


    তাওহীদ ও র্শিক-এর সংঘাত চলছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। নির্ভেজাল তাওহীদী আকীদাহ’র পতাকাবাহীদের উপর নেমে আসছে যুলুম-নির্যাতনের বিভিষীকা। কিন্তু কোনোকালেই থেমে থাকেনি তাওহীদের আওয়াজ বুলন্দকারীদের মেহনত। আর তাই র্শিক-বিদআতের ভিত্তিমূলেও ক্রমাগত আঘাত হানছেন দীনের দাঈ’ মহান আল্লাহর নেক বান্দাগণ ।


    আকীদাহ-বিশ্বাসের নানারকম বিভ্রান্তি ও র্শিক-বিদআতের বেড়াজালে নিমজ্জিত মুসলিম উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে এ বইটি কিছুটা হলেও তাদের আকীদাহ্ বিশুদ্ধকরণে সহযোগিতা করবে বলে আমার বিশ্বাস। এতে যতটুকু সঠিক লিখতে পেরেছি, তা আল্লাহর অপার করুণা আর ভুল-ভ্রান্তির সবটাই আমার অপারগতা ও অযোগ্যতা। সম্মানিত পাঠকদের নিকট আরজ, ভুল-ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে মেহেরবানী করে জানাবেন, যেনো পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করে নিতে পারি।


    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিশুদ্ধ খাঁটি ঈমান নিয়ে দুনিয়ায় শান্তিতে বেঁচে থাকার এবং বিশুদ্ধ আকীদাহ্ নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভ করার তাওফীক দিন। আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন


400
Home
Categories
Cart
Account