(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

আযান প্রকাশনী

আযান প্রকাশনী

আযান প্রকাশনী এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

দুআ কবুলের গল্পগুলো
দুআ কবুলের গল্পগুলো
রাজিব হাসান
  • দু’আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাহ। রাসূল ( ﷺ) ইরশাদ করেন,“দু’আ মূল ইবাদাহ”। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী] দু’আ হলো মহান আল্লাহর নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করা। যিনি আমাদের সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন, পরীক্ষার নিমিত্তে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন, কৃত গুনাহ মাফের জন্য কিংবা যে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন। যুগে যুগে মানবতার মুক্তির দূত নাবী রাসূলগণ যে কোন প্রয়োজনে স্বীয় রবের কাছে দু’আ করতেন। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।

    সাহাবাগণ দু’আ করতেন, চাইতেন, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ফিক্বির জারি রাখতেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দু’আ, যেকোন বিপদ-আপদে দু’আ, যে কোন সমস্যায় দু’আ, সুখের সময়ও দু’আ। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দু’আ। তাদের যাবতীয় ফরিয়াদ ছিল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে, শুধুমাত্র তারই কাছে। রদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহুম ওয়া আজমাঈন।

    আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া উম্মতের বড় একটা অংশ দু’আর দেখানো পথ থেকে অনেক দূরে। উম্মতের এই বড় অংশটা আবার কয়েক ভাগে বিভক্ত। একভাগ দু’আ করেনা বা করতে চায় না, একভাগ স্বীয় রব্বকে ভুলে সৃষ্টিকূলের কাছে মাথা ঠুকে, আর আরেকভাগ দু’আ করতে চাইলেও আত্ন-বিশ্বাস আর তাওয়াক্কুলের অভাবে কিংবা পদ্ধতি না জানার কারণে নিজে দু’আ করা থেকে মাহরুম থাকে।

    আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, “সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যাক্তি যে দু’আ করে না”[সহিহ আল জামি’]

    আমাদের কোনকিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথমে আমরা সৃর্ষ্টির কাছে ধরনা দেই। যখন একে একে সবগুলো দরজা বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখন আল্লাহর দিকে ফিরে এসে ফিক্বির জারী করি। অনেক সময় দু’আর হালই ছেড়ে দেই, দু’আ করতেই চাই না, হতাশায় ভুগি।

    সকল প্রয়োজনে সর্বাগ্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে সাহায্য চাওয়ার মানুষের বড্ড অভাব। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে দুর্বল সৃষ্টিকূলের দিকে ধাবিত হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী। অথচ তিনিই আল্লাহ্‌ যিনি আমাদের দু’আ কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন। বেশী বেশী দু’আ করতে বলেছেন। প্রতিটি বিষয়ে হউক তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, হউক বৃহদাকার একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকেই সর্বদা ডাকতে হবে আমাদের, তার কাছেই চাইতে হবে সবকিছু। কোন কিছুর জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে দু’আ করলে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত খুশি হন।

    শাইত্বন আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিতে নাড়া দেয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন? তিনি কী শুনবেন আমার মত এই নগন্য-জঘন্য এক সাধারণ মানুষের কথা? কত মানুষই তো দু’আ করে, তাদের দু’আ কী কবুল হয় ? তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের শাইত্বনিক ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শাইত্বনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শাইত্বনই করে থাকে। কেননা আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো তারই। একদম সহজ সমীকরণ।

    আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্‌ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন বই “দু’আ কবুলের গল্পগুলো”

196 280-30%
প্রশ্নোত্তরে শিশুদের আখলাক (শিশুতোষ)
প্রশ্নোত্তরে শিশুদের আখলাক (শিশুতোষ)
ইয়াজিন আল গানিম
  • শিশুদের আখলাক বা চরিত্র গঠনে প্রয়োজন উত্তম তরবিয়ত। কেননা উত্তম তরবিয়তের মাধ্যমেই উত্তম আখলাক গড়ে উঠতে পারে। উত্তম আখলাক শিখে একটি শিশু বাচ্চা সুন্দরভাবে মিষ্টি ভাষায় নরম স্বরে কথা বলতে শিখবে, কাউকে গালি দেবে না, দান-সদাকা করতে শিখবে, অন্যের দুঃখে দুঃখী হবে, অন্যকে আনন্দ দেবে, হিতৈষী হবে, সবর করতে শিখবে, সততা শিখবে, স্পষ্টভাষী হবে, শান্তভাব অর্জন করবে, লজ্জাশীলতা শিখবে, বীরত্ব নিয়ে বড় হবে, বিনয়ী হবে, ধীরস্থিরতা শিখবে, দৃঢ়তা অর্জন করবে, ন্যায়বিচার শিখবে, হিকমাহ ও সুধারণা পোষণ করবে, সহযোগিতাম সহনশীলতা, সময়ানুবর্তিতা ও সমবেদনাবোধ হাসিল করবে। রসিকতা, ভদ্রতা, ভাবগাম্ভীর্যতা, মহানুভবতা ও ওয়াদা পূরনে থাকবে অগ্রগামী। অল্পেতুষ্টি, কর্মোদ্যম, ইহসান, আমানত, জবানের হেফাযত, তাওবাহ গোপনীয়তা রক্ষা ও ক্ষমা করে দেওয়া হবে তার দৈনন্দিন জীবনের পথ চলার অবলম্বন।

    তাই, শিশুদের চরিত্র গঠনের সোপান হিসেবে আযান প্রকাশনীর এবারের আয়োজন বই –

    “শিশুদের আখলাক”

    সিরিয়ান লেখক, গবেষক, ইমাম ও খতিব – ইয়াজিন আল-গানিম রচিত, ভাই সালমান মাসরুর এর অনুবাদে বইটি হয়ে উঠেছে শিক্ষণীয় ও প্রাণবন্ত।

    আমরা বিশ্বাস করি এই বইটি পড়ে শিশুরা সুন্দর আখলাক গড়ার পাথেয় পাবে। নবীজির (সাঃ) আদর্শে ন্যায়, আদল ও ইনসাফ করতে শিখবে। প্রশ্নোত্তরে লেখা এই বইটি থেকে প্রতিটি শিশু আখিরাতের পাথেয় কুড়ানোর সবরকমের উপায় খুঁজে পাবে ইন শা আল্লাহ!

154 220-30%
Home
Categories
Cart
Account