যদি জানতে চাওয়া হয়- বাংলার বুকে সর্বমহলে স্বীকৃত ও সমাদৃত এমন এক হাদিসগ্রন্থের নাম বলুন, যার লেখকও বেড়ে উঠেছেন এদেশে; নিঃসন্দেহে উঠে আসবে ফয়জুল কালামের নামটি। যুগ-যুগান্তর ধরে বাঙালি সাধারণ মুসলিম সমাজের বুকশেলফে যেমন স্থান হয়েছে তার, তেমনই স্থান হয়েছে অসংখ্য তালিবে ইলমের হৃদয়ে হৃদয়ে। ফয়জুল কালাম যেমন পঠিত হয়েছে দরসে, প্রশংসিত হয়েছে বয়ানের মঞ্চে— আর এর দীপ্তি মিশে গেছে বাংলার ঘরে ঘরে।
বিগত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ মুফতিয়ে আযম ফয়জুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ সেই মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন— যার কাছে জটিল সব সমস্যার সমাধান করতে ছুটে যেতেন খোদ তার শিক্ষকরা। জন্মগত ওলী হিসেবে যাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন সে শতাব্দীর হিরকতুল্য মনীষীরা। কুসংস্কারের আঁধারে নিমজ্জিত গোটা বাংলায় তিনি ছড়িয়েছিলেন সুন্নাহর রৌশনি । একটি আটপৌরে কুড়েঘরে বসে সংশোধন করেছেন গোটা বাঙালি মুসলিম সমাজ ও রাষ্ট্রকে। এ মহান ব্যক্তি নিজের সবটুকু ভালোবাসা ও প্রচেষ্টা মিশিয়ে রচনা করেছেন এই অমরগ্রন্থ 'ফয়জুল কালাম'। যা তাকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে মানুষের হৃদয়ে।
মকবুল ও বরকতময় হাদিসগ্রন্থ 'ফয়জুল কালাম হিফজুল হাদিসের জন্য উপযোগী একটি বই। বাংলাদেশের অসংখ্য মাদরাসায় এটি সিলেবাসভুক্ত। একইভাবে একজন আদর্শ আলোচক বা বক্তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী হতে পারে এই বই। সদ্য দীনে ফেরা মানুষটি যেমন এতে খুঁজে পাবে হিদায়াতের সন্ধান, নিত্যদিন আমলের অনুশীলনকারী মুসলিমের জন্যও এটি আদর্শপাঠ। আপনি যদি সুন্নাহকে উজ্জীবিত করতে চান, বিদআতকে মুছে ফেলতে চান ভেতর থেকে, সমাজ থেকে— তবে শতাব্দীর আলোচিত বহুল সমাদৃত এই হাদিসগ্রন্থটি আপনার ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষায়।