(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

সিয়ান পাবলিকেশন -Sean Publication

সিয়ান পাবলিকেশন -Sean Publication

সিয়ান পাবলিকেশন -Sean Publication এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

ওপারে
ওপারে
রেহনুমা বিনতে আনিস
140 200-30%
সভ্যতার সংকট
সভ্যতার সংকট
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স
  • সমকালীন বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইসলামকে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুধাবন করার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। কারণ অনেকেই মনে করেন যে, খোদ মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে চলমানের সংঘাতের আসল কারণ ‘সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব’। এই একুশ শতক, এবং একুশ শতককে ছাড়িয়ে মুসলিম জাতির সভ্যতার সাথে ইসলামের এই যে সুগভীর সম্পর্ক, তা উপলব্ধি করতে হলে ‘সংস্কৃতি’ এবং সংস্কৃতির আলোচনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পরিভাষা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা অপরিহার্য।

245 350-30%
তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে
তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে
শরীফ আবু হায়াত অপু
  • ডাক্তার হোক কিংবা ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক কিংবা অফিস সহকারী; চাকুরীর জন্য যেখানেই যাবেন সিলেকশন বোর্ড আগেই দেখতে চাইবেন ‘অভিজ্ঞতা ঝুলিতে কী আছে’? হ্যা, এটা অস্বাভাবিকও নয়। কারণ, পুথিগত বিদ্যা যতোই থাক না কেন, ফলিত অভিজ্ঞতা না থাকলে সেটা আর জ্ঞানের মর্যাদা পায় না; কেবল তথ্য হয়ে দাঁড়ায়। মিষ্টির স্বাদ কেমন কেমন তা যদি পৃথিবির সেরা পণ্ডিত দিয়েও কাউকে বোঝানো হয়, নিস্ফল; যতোক্ষণ না চেখে দেখবেন।

    ইসলামের জ্ঞানটাও এমনই। যারা তাদের জানা অনুযায়ী মানার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন তারাই কেবল জ্ঞানী। মস্তিষ্কে কেবল কতোগুলো তথ্য থাকলেই চলবে না। তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে এমনই একটি বই, যেখানে তত্তকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের রংবেরঙের গল্প রয়েছে; আছে তিক্ত অভিজ্ঞতা, স্বরণিয় ঘটনা। যারা ইসলামকে তাত্তিক পর্যায় থেকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে চান তাদের জন্য সত্যিই এক অনবদ্য সংগ্রহ।

175 250-30%
হাদীস বোঝার মূলনীতি
হাদীস বোঝার মূলনীতি
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স
  • জীবনকে আল্লাহর পছন্দনীয় শৈলীতে সাজাতে চাইলে কুরআনের পাশাপাশি হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই জ্ঞান হতে হবে বিশুদ্ধ–প্রান্তিকতা মুক্ত। শুদ্ধ জ্ঞান যেমন মানুষকে সঠিক পথ দেখায় তেমনি ভুল জ্ঞান কেবল বিপথগামিতাকেই ত্বরান্বিত করে।
    আমরা যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামের জ্ঞান লাভ করতে পারিনি, তারা যখন বাজার থেকে হাদীসের অনুবাদ কিনে পাঠ শুরু করি তখন বেশ গোলমেলে এক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
    হাদীস পাঠ করে নিজেদের আমল-আখলাক সংশোধনের চেয়ে অন্যদের প্রতি আঙুল তুলতে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্যই তখন মাঠে মারা যায়।
    হাদীসের অনুবাদ পড়ে তার মর্মার্থ বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে হাদীস বোঝার মূলনীতিগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখতে হবে। অন্যথায় সে মূলনীতিহীন জ্ঞান আমাদেরকে ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে।
    এ বইটি আমাদেরকে সেই জ্ঞান অর্জনে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।

269 395-32%
সালাতের দুআ (যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত)
সালাতের দুআ (যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত)
আবু উমামা কুতুবুদ্দীন মাহমূদ
  • দুআ ইবাদতের মগজ। বান্দা আল্লাহর দরবারে বিনীত হলে আল্লাহ কখনোই বান্দাকে ফিরিয়ে দেন না। কুরআনে আল্লাহ যেমন অনেক দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তার উম্মতদেরকে নানান বিষয়ের দুআ ও আমলের তরিকা শিক্ষা দিয়েছেন।

    ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলির একটি সালাত। মুমিন এবং কাফেরের মধ্যকার বাহ্যিক পার্থক্যও স্পষ্ট হয় সালাতের মধ্য দিয়ে। আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য সালাত ফরজ বা আবশ্যক পর্যন্ত করে দিয়েছেন। কবুলের জন্য সালাতের ভেতরেও নবীজির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত বেশকিছু দুআ আছে। পাক-পবিত্রতা থেকে শুরু করে, সালাত, মাজলিস, জানাযা প্রভৃতির জন্য হাদিস শরিফে দুআ আর দরুদের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। আমরা যেগুলো জানি, তার বাইরেও আছে আরও অনেক দুআ।

    সব দুআ কি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত? এই প্রশ্নের জবাবে ‘সালাতের দুআ : যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত’ বইটি আপনাকে বিশেষ গাইড দেবে। সালাতের যেসব দুআ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রমাণিত, সে সমস্ত সন্নিবেশিত হয়েছে এই পুস্তিকাটিতে। প্রতিটি দুআর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে একাধিক হাদিসের মজবুত রেফারেন্স। ফলে বইটি বিশেষ শক্তি নিয়ে হয়ে উঠেছে আপনার নিত্য সঙ্গী।

82 120-32%
আকীদাহ আত-তাওহীদ (পেপারব্যাক)
আকীদাহ আত-তাওহীদ (পেপারব্যাক)
ড. মানজুরে ইলাহী
  • মহান আল্লাহ আমাদের চোখের সামনেই তাঁর এককত্বের অগণিত উদাহরণ রেখে দিয়েছেন, যেন আমরা তা উপলব্ধি করতে পারি। করতেও পারেন অনেকে। জাত-পাত নির্বিশেষে অনেককেই শুনবেন উপরওয়ালা ‘একজন’-এর কথা বলতে। এভাবে সৃষ্টির পরতে পরতে মহান আল্লাহ তাঁর এককত্বের নিদর্শন রেখে দিয়েছেন। তাঁকে চিনিয়ে দিয়েছেন।

315 450-30%
যাকাত : হ্যান্ডবুক
যাকাত : হ্যান্ডবুক
ড. মানজুরে ইলাহী
  • খাবারে ভেজাল কেউ পছন্দ করে না, কাপড় ময়লা হলে আমরা চট করে ধুয়ে ফেলি। কিন্তু এসবের মূল উৎসে যদি অপরিচ্ছন্নতা থেকে যায়? যা আমরা প্রতিদিন ভোগ করছি। আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের খাওয়াচ্ছি। কীভাবে?

    সম্পদের যাকাত না দিয়ে। কেন দিই না? সম্পদ কমে যাবে বলে? খোসা না ফেললে ফল খাওয়া যায় না। আঁশ না ছাড়ালে মাছ রান্না করা যায় না। সাদা চোখে অনেক কিছুকে ‘কমে’ যাওয়া মনে হলেও প্রকৃত চিত্রটি আসলে তা নয়। যাকাত দিলে আমরা ঠকি না; এতে সম্পদ কমে না, বরং বাড়ে। যাকাত আমাদের সম্পদ পবিত্র করে। বলেছেন সম্পদের স্রষ্টা, মালিক ও মহান দাতা আল্লাহ।

    শয়তান আমাদের দারিদ্রের ভয় দেখায়; বলে সম্পদ জমাও, ভবিষ্যতটা নিশ্চিত করো। আল্লাহ আমাদের আশ্বাস দেন প্রবৃদ্ধির। যত দেবে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি পাবে। এটাই মুক্তি, এটাই স্বাধীনতা। দারিদ্র, অসচ্ছলতা, কৃপণতা ও সম্পদের ডান্ডা-বেড়ি থেকে। যাকাত এই মুক্তির হাতিয়ার। তাই যাকাত কী এবং কীভাবে দিতে হবে তা জানা জরুরী।

    এটি যাকাত বিষয়ে ছোট্ট পুস্তিকা মাত্র। ব্যবসায় কত টাকা বিনিয়োগ আছে; কত টাকা বেতন, সংসার চালিয়ে উদ্বৃত্ত অর্থ, জমি-জমা, ফল-ফসল, গবাদি পশু থাকলে, খনিজ সম্পদ কিংবা কোনো গুপ্তধন পেয়ে গেলে ইত্যাদির যাকাতের অঙ্ক কীভাবে কষতে হবে – এসব বিষয়ে মৌলিক ধারণা রাখার জন্য বইটি একটি চমৎকার সংগ্রহ।

90 95-6%
মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স
  • মাযহাবঃ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বইটিতে লেখক ফিকহ শাস্ত্র ও মাযহাবের ক্রমবিকাশের সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। মাযহাব আবির্ভাবের মূল কারণ এবং মাযহাবগুলোর মধ্যে মতপার্থেক্যের অন্তর্নিহিত কারণ আলোকপাত করা হয়েছে। মাযহাব যাদের জন্য এক ধাঁধার বিষয়, বইটির এই দিকটি তাদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে নিঃসন্দেহে। ফিকহকেন্দ্রিক মতপার্থক্যের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিক নিয়ে আলোচনা করা হলেও বইটির মূল বার্তা মুসলিম উম্মাহর একত্রীকরণের প্রস্তাবনা।

330 450-27%
টাইম ম্যানেজমেন্ট
টাইম ম্যানেজমেন্ট
আবু মুআবিয়া ইসমাইল কামদার
  • ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের কাজ করার একটি বড় ঘর ছিল। তাঁর কাছে অনেক পোশাক শ্রমিক ও কারিগর থাকত। অর্থাৎ তিনিও প্রায় ব্যস্ত ছিলেন। ইবনুল মুবারক রহ.-ও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আবার তিনি ফিকহ, হাদীস ও জুহদের ইমামও ছিলেন।

    হামজা ইবনে হাবিব আজ-জাইয়্যাত রহ. । তিনি সাত কারিদের একজন ছিলেন। তিনি কুফা থেকে হালওয়ানে তেল আমদানি করতেন। ইমাম নববি রহ. তাঁর বাবাকে দোকানের কাজে সহায়তা করতেন। এই কাজ তাঁকে সে অল্প বয়সেও পবিত্র কুরআন হিফয করায় বাধা দিতে পারেনি।

    ওপরে যাদের উদ্বৃতি দেয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই মানুষ ছিলেন, যান্ত্রিক রোবট নয়। তাদের পরিবার ছিল, সন্ন্যাসীর জীবন নয়। দুনিয়াবি প্রয়োজন ছিল, পেটের ক্ষুধা ছিল, পরিবারের চাহিদা ছিল। সব-ই তারা সাধ্য মতো পূরণ করতেন। তথাপি প্রায় সকলেই হয়েছেন যুগশ্রেষ্ঠ আলিম। কেউ বলতে পারে, ‘ভাই এগুলো এ্যাক্সেপশনাল কেইস।’ কিন্তু ইসলামের ইতিহাস বলে, মুসলিমরা এরকমই কর্মমুখোর ছিল। তারা সময়ের কদর করতেন, তাই সময় তাদের নিকট কল্যাণের অজস্র বারিধারা সহ হাজির হয়েছে। তাঁরা সত্যিকারের ইলমপিয়াসু ছিলেন, ইলমের ওপর আমল করতেন, তাই ইলম তাদের উভয় জাহানে করেছে সম্মানিত।

    সময় ব্যবস্থাপনা স্রেফ অমুসলিমদের জন্যই না, বরং আমাদের নেককার পূর্বপুরুষদেরও জীবনের একটি অংশ ছিল। তারা সময় ব্যবস্থাপনা শিখতেন, এবং সেখাতেন। সেই লক্ষ্য থেকেই ইসমাইল কামদার কুরআন সুন্নাহর আলোকে অসাধারণ এই বইটি বই রচনা করেছেন। এতে তিনি সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে কার্যকরী নানান কৌশল আলোচনা করেছেন এবং রকমারি রুটিন তৈরির দ্বারা পাঠকের জন্য অত্যন্ত সহজ করে দেয়া হয়েছে।

155 228-33%
সন্তান : স্বপ্নের পরিচর্যা
সন্তান : স্বপ্নের পরিচর্যা
মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ
  • একটি সন্তানকে শুধু খাইয়ে-পরিয়ে বড় করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ঠ হতে পারে, কিন্তু মানব-সন্তানের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট নয়। একটি শিশুকে আদর-যত্ন-ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করতে হয়। সমাজে তার স্থান সম্পর্কে ধারণা দিতে হয়। সাফল্য লাভের উপায়গুলো শিখিয়ে দিতে হয়। তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে তাকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হয়। প্রতিটি শিশুকেই এ বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন; তবে মুসলিম শিশুদের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা আরও অনেক বেশি, অনেক…। আমাদের এ বইটি আমাদের সন্তান প্রতিপালন ও পরিচর্যা নিয়ে। লিখেছেন মির্জা ইয়াওয়ার বেগ। দুনিয়াকে তিনি ব্যবসায়ীর নির্মোহ চোখে দেখেছেন, ধর্মের নির্ভুল দণ্ডে ব্যবচ্ছেদ করেছেন। অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, উপদেশ দিয়েছেন। কখনও কঠিনভাবে; কখনও কোমলভাবে। উভয়টাই আমাদের কল্যাণের জন্য—সেই জীবন ও এই জীবনের।

119 125-5%
তাঁর পরিচয়
তাঁর পরিচয়
উম্মে আবদুর রহমান সাকিনা হার্শফেল্ডার

  • ইসলামের বিষয়ে আলোচনা এলে সাধারণত আমরা ইসলামি বিধিবিধান নিয়েই কথা বলতে দেখি। আমরা কী করতে পারব, কী পারব না; কী আদেশ পালন করতে হবে, কোন নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে থাকতে হবে—এটাই ইসলাম বিষয়ক আলোচনায় মূল প্রতিপাদ্য হয়ে দাঁড়ায়।

    বস্তুত আল্লাহর প্রতি ঈমানের আলোচনাই হওয়া দরকার ছিল সবার আগে। কারণ, আল্লাহর প্রতি যদি আমাদের যথাযথ ঈমানই না থাকে, তাহলে এই আদেশ-নিষেধ বিষয়ক জ্ঞান আমাদের কী কাজে লাগবে? আদেশ-নিষেধ তো শেষ পর্যন্ত আনুগত্যকেই নির্দেশ করে; কিন্তু কার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করছি, সেটাই যদি জানা না থাকে; তবে সেটা কেমন আনুগত্য হবে? অতএব, আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন আমাদের একেবারেই প্রাথমিক কর্তব্য। আমাদের অবশ্যই সুস্পষ্টভাবে জানতে হবে—আল্লাহ কে?

    এই বইটি রচনার পিছনে আমার মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠকদেরকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, যিনি আমাদের প্রভু-প্রতিপালক, যিনি উপাসনা লাভের একমাত্র যোগ্য। তবে এই পরিচয়পর্ব আমি কেবল তাঁর নাম ও গুনাবলির পরিচয় বর্ণনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখব না; বরং আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনের সঙ্গে এই জ্ঞানের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি আশা করি পাঠকরা এর মধ্য দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চমৎকার সব উপায় খুঁজে পাবেন।

    লেখক পরিচিতি: উম্মে আবদুর রহমান সাকিনা হার্শফেল্ডার একজন রিভার্ট মুসলিম। অন্যান্য অনেক রিভার্টেড মুসলিমদের মতো তিনি ইসলাম গ্রহণের পর দীন শেখা ও প্রচারণায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্কলারদের কাছে দীনের পাঠ নিয়েছেন। মুখে ইসলাম গ্রহণ করে মন মননে পশ্চিমা সেক্যুলার চিন্তা ধারণ করে রাখেননি। ব্যক্তি জীবনে এই মহীয়সী নারী সাত সন্তানের জননী। লেখাপড়া করেছেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ওপেন ইউনিভার্সিটিতে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলাম শেখার জন্য লেখাপড়া করেছেন দ্য ইন্সটিটিউশন অব ইসলামিক এণ্ড এরাবিক সায়েন্স অব আমেরিকা’তে। মতপার্থক্য সমাধান কিংবা বিতর্ক উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়; বরং বিশ্বাসকে জীবন ঘনিষ্ঠ করে তোলাই তার লেখার মূল প্রতিপাদ্য। দ্য পাথ টু সেলফ ফুলফিলমেন্ট, ফ্রম মনোগ্যামি টু পলিজিনি তার আরও দুটি বই তিনি ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছেন।


307 330-7%
ইসলামিক ম্যানেজমেন্ট
ইসলামিক ম্যানেজমেন্ট
নেসিউর জ্যাবনন
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :

    ইসলামের শিক্ষা মানুষকে এই জীবনে সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় সব দিকনির্দেশনাই যথাযথভাবে দেয়—এই নিগূঢ় বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে বইটি। অন্য কথায়, ইসলাম আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছে তা একেবারেই নিখুঁত। এর যথাযথ প্রয়োগ এই জীবনে এবং পরকালেও আমাদের সাফল্য এনে দেবে। ইসলামের শিক্ষাকে যদি আমরা একটা সামগ্রিক পরিকল্পনা হিসেবে দেখি, তবে সেখান থেকে আমরা ম্যানেজারিয়াল শিক্ষার অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত আহরণ করতে পারি।

    সাইয়েদ কুতুব শহিদ তার তাফসির ‘ফী যিলালিল কুরআনে’ গনিমত ভাগ-বাটোয়ারার ফিক্‌হ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন যে, আগে গনিমত প্রাপ্তির উপায় নিয়ে আলোচনা হোক, গনিমত অর্জিত হোক, তারপর ভাগ-বাটোয়ারার আলোচনা করা যাবে। সালাফদের ফিক্‌হের কিতাবে এগুলো তো সব বলাই আছে। মুসলিমদের এখন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অধিক পরিমাণ অধ্যয়নের সময় হয়েছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই তারা গোটা পৃথিবীকে আবার নেতৃত্ব দেবে ইনশাআল্লাহ।

180 190-6%
রউফুর রহীম (২য় খণ্ড),হার্ড কভার
রউফুর রহীম (২য় খণ্ড),হার্ড কভার
Dr. Ali Muhammad Sallabi
  • কটি জরাগ্রস্ত জনপদের আলপথ ধরে তিনি দাঁড়ালেন। জনপদটি ছিল দাঁড়াবার নিমিত্তমাত্র। পুরো পৃথিবীই তখন পাপের সাম্রাজ্য। জগতের সর্বস্তর আর জীবনের সবখান থেকেই মুছে গেছে বেঁচে থাকবার মানে। এই নরকের পিঠে তিনি নামলেন আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ হয়ে। তাঁর চোখে ত্রিকালের মায়া, বুকে কম্প্র-দরদের টলোমল জল, মুখে আল্লাহর মোহন-মহান বাণী; তিনি স্থবির এই মানুষ-জীবনের মূলে ফুঁকে দিলেন জীবনের দিশা।

    সূর্যের উদয় হলো জীবনের তটরেখা ধরে। তিনি আল্লাহর নবি ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি রাহমাত সকল জগতে।

    হলে কী হবে—মমতায় ভরা কুসুমকুড়ানো জীবন ছিল না তাঁর,ছিল নির্মমতায় ঘেরা। বন্ধুর পথ আর অনতিক্রম্য চড়াই পাড়ি দিতে হয়েছে, সমগ্র জীবন জুড়ে। একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ছিলেন সঙ্গী, তাঁর একমাত্র রফিকে আ‘লা। এই মহামানবের অপূর্ব আনুগত্যমোড়া অভূত নবি-জীবনের গ্রন্থনা এ বই । এখানের পুরোটা জুড়েই ছড়ানো ঘুমিয়ে-পড়া জীবনের জীয়নছোঁয়া; এখানে প্রভুর আলোতে দীপ্যমান হয়ে আছে পথ, পাথেয় ও একজন পথিক—একজন ‘রউফুর রহীম’।

539 770-30%
চয়ন ( নতুন সংস্করণ )
চয়ন ( নতুন সংস্করণ )
ড. মানজুরে ইলাহী, আবু তাসমিয়া আহমদ রফিক
  • শুধুই সামাজিক সম্মানের কারণে, নিজের আত্মতৃপ্তির কারণে, পড়াশোনা করেছি বলেই প্রয়োজনীয় ইসলামি জ্ঞানে পিছিয়ে থেকে, নিজের সন্তানদের টিভি আর কাজের মানুষের কাছে বড় হতে দিয়ে, আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এমন পরিবেশে বাইরে কাজ করতে যাওয়াটা কি আমাদের দুনিয়া বা আখিরাতে কল্যাণ বয়ে আনতে পেরেছে? সম্মান কি সত্যিই আমরা পেয়েছি এর মাধ্যমে? অফিসে উচ্চপদে চাকরি করেও ঘরে ফিরে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার চিত্র তো অহরহ দেখা যায়! তা যদি নাও হয়, অনেকেই সন্তানদের যথেষ্ট সময় দিতে না পারার মনোকষ্টে ভোগেন। সেই সাথে নিয়ন্ত্রণহীন টিভি দেখে ও মায়ের সাহচর্য ছাড়া বড় হয়ে বাচ্চারা যে অসংখ্য ভুল জিনিস শিখছে, সেই বিপদ তো আছেই। তবুও সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবে চাকরির মোহ কাটানো হয়ে ওঠে না আমাদের। ভেবে দেখেছি কি, দুনিয়ার ফাঁদে পড়ে এই স্বল্প সময়ে আখিরাতের জন্য আমরা তাহলে কী সংগ্রহ করছি? সম্মান শুধুই পাওয়া সম্ভব সম্মানের মালিকের সাথে মজবুত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে।

    আমরা এখন সমাজের এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছি যে, পড়ালেখা করে চাকরি না করলে বা কম ডিগ্রি অর্জন করে গৃহিণী হলে আমরা মনে করি সে বুঝি মেধাহীন, অকর্মণ্য। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিই তার দিকে, “সারাদিন ঘরে বসে কী করো?” হ্যাঁ, যারা আসলেই গৃহিণী হয়ে টিভির সিরিয়ালগুলো দেখে সময় নষ্ট করছেন, তারা আল্লাহর কাছে সময়ের হিসাব কিভাবে দেবেন, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। কিন্তু যে গৃহিণীর দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রমে তার সংসারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় আছে, তাকে আপনি-আমি ছোট করে দেখার কে?
    .
    … এই মডারেট মুসলিমদের মধ্যে এমন লোকও আছেন যারা মেয়েদের গা থেকে ওড়না টেনে খুলে ফেলেছেন, মেয়েদের বোরকা নিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছেন, মেয়েদের ঘরবন্দী করে রেখেছেন কেবল এরা সভ্য সমাজে চলার উপযোগী নয় বলে। অনেক ছেলেই বেয়াদব হয়ে যায় শুধু বাবা, চাচা কিংবা দাদার আগে দাড়ি রাখার কারণে! বিয়ের সময় এদের জন্য পছন্দমতো মেয়ে খুঁজে বের করা মুশকিল হয়ে যায়; কারণ মেয়ে পরিবারের পছন্দ হলে ছেলের পছন্দ হয় না, ছেলের পছন্দ হলে পরিবারের পছন্দ হয় না।

    অন্যদিকে আছে ইসলামপন্থীদের সোনার পাথরবাটির সন্ধান। ছেলে সুন্দর এবং স্মার্ট হতে হবে, কিন্তু দাড়ি থাকার কারণে মেয়ে না করে দেবে; ছেলে শিক্ষিত এবং পয়সাওয়ালা হতে হবে, কিন্তু অবৈধ ইনকাম করতে পারবে না; শুধু ছেলে নয় ছেলের পরিবারকেও ইসলাম বিশেষজ্ঞ হতে হবে, চর্চা থাকুক বা না থাকুক।

    আর মেয়ে হলে তো কথাই নেই। মেয়ে পর্দা করবে কিন্তু তাকে দেখতে নায়িকার মতো হতে হবে; মেয়ের বাপভাই থাকতে হবে এবং তাদের যথেষ্ট পয়সাওয়ালা হতে হবে; মেয়ে ছেলের পরিবার এবং তাকে উভয়কেই চমৎকৃত করতে হবে।

    আমরা কবে ইসলামের আসল স্পিরিটটা বুঝব?
    .
    একটি বিখ্যাত কথা আছে ইংরেজিতে, “You Are Free To Choose, But You Are Not Free From The Consequence Of Your Choice. অর্থাৎ পছন্দের ক্ষেত্রে আপনি স্বাধীন হলেও পছন্দের ফলাফল মেনে নিতে আপনি বাধ্য।

    অনেক তালা যেমন আছে অনেক চাবিও আছে তেমনি। আপনি কোন তালা খুলতে চান, কোন পথে যেতে চান, সেটা সম্পূর্ণ আপনার সিদ্ধান্ত। কিন্তু সে পথ যেখানে গিয়ে মিশেছে, আপনি সেখানেই গিয়ে পৌঁছুবেন। পথ অনেক। স্পষ্ট নরকের পথ যেমন আছে; তেমনি আছে দেখতে স্বর্গের পথের মতো কিন্তু কার্যত নরকের অনেক মত-পথ। কেবল মাত্র একটি চাবি সঠিক তালার, একটি পথ ইসলামের, যার গন্তব্য আমাদের আদি নিবাস জান্নাত।

    একটি আসলের যদি একটি নকল হতো তাও মানুষ বেঁচে যেত; কিন্তু একটি আসলের যখন অনেকগুলো নকল হয়ে যায়, তখন বিভ্রান্তিই হয়ে ওঠে সাধারণ চিত্র। সব নকলের ভিড়ে আসলটি, আসল পথটি, আসল চাবিটি বেছে নেওয়ার জন্য আমাদের এ বইটি কিছুটা সহায়ক হবে আশা করি, ইনশা আল্লাহ।

209 220-5%
বিদায়াতুল আরাবিয়াহ ( আরবির শুরু ও শেষ )
বিদায়াতুল আরাবিয়াহ ( আরবির শুরু ও শেষ )
এস এম নাহিদ হাসান
  • বিদায়াতুল আরাবিয়াহ বইটা বাচ্চাদের জন্য আরবি শিক্ষার প্রথম পাঠ হিসেবে রচিত।

    ছয় কিংবা সাত বছরের বাচ্চাদের জন্য উপযোগী উদাহরণ ও ছবির মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। বইটির প্রথম খণ্ডে ছবির মাধ্যমে কেবল শব্দ শেখানো হয়েছে। অতঃপর ছোট ছোট বাক্যের মাধ্যমে সেই শব্দগুলোর অনুশীলন করা হয়েছে।

    বইটির দ্বিতীয় খণ্ডে ছোট ছোট বাক্যের মাধ্যমে বস্তুর গুণ, অবস্থান ও মালিকানা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, ব্যক্তির পেশা সম্পর্কে বলা, কাজ সম্পর্কে বলা ইত্যাদি অনুশীলন করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায় শেষে বাচ্চাদের উপযোগী করে প্রশ্ন ও প্রশ্নোত্তর পর্ব রয়েছে যাতে তারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে শেখে। শেষ দিকে অর্জিত জ্ঞানের বিস্তৃতি হিসেবে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ রচনা করা হয়েছে। সব শেষে কুরআনের আয়াত দিয়ে ইমানের তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যাতে কুরআনের আয়াতের অর্থ করার সাথে সামান্য পরিচিত হয়।

    আশা করি এটা বাচ্চাদের আরবি ভাষার হাতেখড়ি হিসেবে উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।

500
কিতাবুত্ তাওহিদ
কিতাবুত্ তাওহিদ
মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহ্হাব
  • কিতাবুত্ তাওহিদ বইটি মহান আল্লাহর তাওহিদের ওপর এককালজয়ী গ্রন্থ। অনেকগুলো অধ্যায় রয়েছে এই বইয়ে, যেগুলোর প্রতিটিতে একাধিক শিরকি কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। আশা করি বইটি মনোযোগের সঙ্গে আপনারা পাঠ করবেন এবং শিরকমুক্ত জীবন গঠনে প্রত্যয়ী হবেন। এই বইয়ের লেখক, ব্যাখ্যাকার, সংকলক, অনুবাদক, সম্পাদক এবং এই বই প্রকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা যত সহযোগিতা করেছেন, মহান আল্লাহ তা কবুল করে নিন। তাদের প্রত্যেককে উত্তম বিনিময় দান করুন। তাদেরকে শিরকমুক্ত তাওহিদের নির্মল আলোকচ্ছটায় আলোকিত জীবন গঠনের তাওফিক দান করুন

340
টাইম ম্যানেজমেন্ট (বাংলা)
টাইম ম্যানেজমেন্ট (বাংলা)
ইসমাইল কামদার
  • তথ্যপ্রযুক্তির অক্টোপাসে জড়ানো আধুনিক এই সময়ে জীবনটাকে আরেকটু যারা অর্থবহ করতে চান; পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার মতো কিছু করতে চান তাদের জন্য সিয়ানের বই “Time Management” বাংলা অনূদিত হয়ে এসেছে “টাইম ম্যানেজমেন্ট” নামে।

    একেবারে সহজ সরল সমীকরণে বইটি লিখেছেন ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটির হেড টিউটরিয়াল এসিসট্যান্ট উস্তাদ ইসমাইল কামদার।

155 228-33%
রউফুর রহীম (১ম খণ্ড)
রউফুর রহীম (১ম খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • আপনার মহৎ পরিকল্পনায় যদি কারও সমর্থন না পান, তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী পড়ুন। যদি মনে হয় জীবনে অনেক বাধা পেরিয়ে এসে অনেক কিছু অর্জন করে ফেলেছেন, রাসূলের জীবনী পড়ুন। সত্য ও ন্যায়ের পথে দাঁড়ানোর কারণে যদি জীবন হুমকির মুখে পড়ে তবে সিরাত পড়ুন। যদি মানুষের কষ্ট দেখে শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো রাস্তা খুঁজে না পান, তবে সিরাতের কাছে ফিরে যান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত সব মানুষের জন্য আশার বাতিঘর, কর্তব্যের পথ নির্দেশিকা। এজন্যই আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেছেন উসওয়াতুল হাসানাহ—অনুসরণযোগ্য সর্বোত্তম আদর্শ।

525 750-30%
আবু বাকর আস-সিদ্দীক : জীবন ও শাসন
আবু বাকর আস-সিদ্দীক : জীবন ও শাসন
ড. আলী মুহাম্মদ আস সাল্লাবী
  • ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কী জানেন ঐ ব্যক্তি কে?’ মহিলা জানালেন, ঐ ব্যক্তি কে, সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। মদিনার ওই লোক কখনোই বৃদ্ধার কাছে এই ব্যাপারে কিছু বলেনি। ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু তখন বৃদ্ধাকে বললেন, ‘তিনি ছিলেন খলিফাতুর রাসূল আবু বকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লাহু আনহু’।

589 620-5%
উমার ইবন আল-খাত্তাব রা. ১ম খণ্ড
উমার ইবন আল-খাত্তাব রা. ১ম খণ্ড
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • ‘আমার পরে যদি কেউ নবী হতো, সে হতো উমার।’
    কী ছিল উমারের মাঝে যে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সম্পর্কে এমন কথা বলেছিলেন! কেন শয়তান তাকে দেখলে অন্য পথে পালাত? দীর্ঘ দশ বছর কীভাবে নবীন এক ইসলামি রাষ্ট্রের হাল ধরে রেখেছিলেন শক্ত হাতে? কেন ফিতনা ফেঁপে ওঠার সাহস করেনি তার সময়ে?
    ড. সাল্লাবি ছড়ানো-ছিটানো সব উৎস থেকে বিশুদ্ধ বর্ণনাগুলো ছেকে জহুরির চোখে বিশ্লেষণ করেছেন তার জীবন ও শাসনকাল। শুধু ঘটনার পর ঘটনা নয়; যারা পেছনের কাহিনি জানতে চান, তাদের জন্যই উমার ইবনুল-খাত্তাব রা. : জীবন ও শাসন


525 750-30%
উমার ইবনুল-খাত্তাব (২য় খণ্ড)
উমার ইবনুল-খাত্তাব (২য় খণ্ড)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • ‘আমার পরে যদি কেউ নবী হতো, সে হতো উমার।’
    কী ছিল উমারের মাঝে যে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সম্পর্কে এমন কথা বলেছিলেন! কেন শয়তান তাকে দেখলে অন্য পথে পালাত? দীর্ঘ দশ বছর কীভাবে নবীন এক ইসলামি রাষ্ট্রের হাল ধরে রেখেছিলেন শক্ত হাতে? কেন ফিতনা ফেঁপে ওঠার সাহস করেনি তার সময়ে?
    ড. সাল্লাবি ছড়ানো-ছিটানো সব উৎস থেকে বিশুদ্ধ বর্ণনাগুলো ছেকে জহুরির চোখে বিশ্লেষণ করেছেন তার জীবন ও শাসনকাল। শুধু ঘটনার পর ঘটনা নয়; যারা পেছনের কাহিনি জানতে চান, তাদের জন্যই উমার ইবনুল-খাত্তাব রা. : জীবন ও শাসন


580
হাসান ইবনু আলি রা. জীবন ও শাসন (হার্ডকভার)
হাসান ইবনু আলি রা. জীবন ও শাসন (হার্ডকভার)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • হাসান ইবনু আলি—খুলাফায়ে রাশিদিনের শেষ খলিফা। নবিজির প্রিয় দৌহিত্র। যখন খিলাফতের শুভ্র-ধবল আঙিনায় রক্তের দগদগে দাগ, তখন তিনি উম্মাহর ঐক্যের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সমঝোতার পথ। উম্মাহকে দেখিয়েছিলেন সুন্নাহর সরল সরণি।

    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এই প্রিয় দৌহিত্র সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমার এই ছেলে ভবিষ্যতে নেতা হবে। অচিরেই তার মাধ্যমে আল্লাহ মুসলিমদের বিরাট দুটি দলকে সমঝোতায় পৌঁছাবেন।

    রাসূলের বাণীকে সত্য করে  সমঝোতার এক মহান কীর্তি স্থাপন করেন উম্মাহর এই মহান ইমাম। প্রতারকদের হাতে শহীদ হয়ে পারি জমান ওপারে; কিন্তু উম্মাহর আস্থা ও বিশ্বাসে টল আসতে দেননি। তার মাধ্যমে আবার ফিরে আসে চারপাশে আল্লাহর দীন ছড়িয়ে পড়ার মাহেন্দ্রক্ষণ।

    মহান এই খলিফার জীবনী জানতে পড়ুন—হাসান ইবনু আলি : জীবন ও শাসন।

550
হাসান ইবনু আলি রা. জীবন ও শাসন (পেপারব্যাক)
হাসান ইবনু আলি রা. জীবন ও শাসন (পেপারব্যাক)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • ইসলামের ইতিহাসে ‘চার খলিফা’ একটি ভুল প্রচলন। মূলত খলিফা পাঁচজন। নবী-দৌহিত্র হযরত হাসান ইবনু আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু পঞ্চম খলিফা হিসেবে স্বীকৃত। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, ইসলামি রাজনীতি খিলাফাত থেকে সরে গিয়ে ইমারতের দিকে বাঁক বদলের কেন্দ্রও হাসান ইবনু আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু।

    ‘খিলাফাত আলা মানহাজিন নুবুওয়্যাহ’ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূলের বলে যাওয়া তিরিশ বছরের মেয়াদ তাকে দিয়েই শেষ হয় এবং তারপর শুরু হয় উমাইয়া শাসন। ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ বাঁকটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে অনেকের ঈমান নিজের অজান্তেই ভিন্ন দিকে ঘুরে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় ।

    আমরা যে হাসানকে জানি নবী-দৌহিত্র হিসেবে, ইসলামের ইতিহাসে তার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অবস্থান অনালোচিতই রয়ে গেছে। ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কাজ করেছেন এবং বাংলাভাষীদের জন্য অনুবাদ তুলে এনে প্রকাশ করেছে সিয়ান পাবলিকেশন।

475
হাদিস বোঝার মূলনীতি
হাদিস বোঝার মূলনীতি
ড. আবু আমীনাহ বিলাল ফিলিপস
  • ভুল জ্ঞান মানুষকে ঠেলে দেয় জাহিলিয়াতের দিকে। জ্ঞান অর্জন ন্যুনতম কতটুকু পরিমাণ প্রয়োজন? এর অনেক একাডেমিক উত্তর আছে। একটি অন্যরকম উত্তর হলো : যতটুকু জ্ঞান থাকলে নিজের জ্ঞানহীনতাকে উপলব্ধি ও পরিমাপ করা যায়, ততটুকু জ্ঞান অন্তত সকলেরই থাকা উচিৎ। অযাচিত তর্ক-বিতর্ক, হিংসা-বিদ্বেষ ও সংকীর্ণ দলাদলি জ্ঞানহীনতারই আরেক নাম। হাদিস শাস্ত্রের পরিধি ও গভীরতা যত বেশি, জাতির সাধারণ জ্ঞান এ বিষয়ে ততই কম। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তর্ক আর তিক্ততা। জীবনকে আল্লাহর পছন্দনীয় শৈলীতে সাজাতে চাইলে কুরআনের পাশাপাশি হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই জ্ঞান হতে হবে বিশুদ্ধ—প্রান্তিকতা মুক্ত। শুদ্ধ জ্ঞান যেমন মানুষকে সঠিক পথ দেখায়, তেমনি ভুল জ্ঞান কেবল বিপথগামিতাকেই ত্বরান্বিত করে। আমরা যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামের জ্ঞান লাভ করতে পারিনি, তারা যখন বাজার থেকে হাদিসের অনুবাদ কিনে পাঠ শুরু করি, তখন বেশ গোলমেলে এক অবস্থার সৃষ্টি হয়। হাদিস পাঠ করে নিজেদের আমল-আখলাক সংশোধনের চেয়ে অন্যদের প্রতি আঙুল তুলতে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্যই তখন মাঠে মারা যায়। হাদিসের অনুবাদ পড়ে তার মর্মার্থ বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে হাদিস বোঝার মূলনীতিগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখতে হবে। অন্যথায় সে মূলনীতিহীন জ্ঞান আমাদেরকে ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে। এ বিষয়ে ন্যূনতম যতটুকু জানা থাকলে আমাদের না জানার পরিধিকে অন্তত পরিমাপ করতে পারব, ততটুকু নিয়েই সিয়ান পাবলিকেশনের বই : হাদিস বোঝার মূলনীতি। এ বইটি আমাদেরকে সেই জ্ঞান অর্জনে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।

395
আকিদাহ আত-তাওহীদ (পেপারব্যাক)
আকিদাহ আত-তাওহীদ (পেপারব্যাক)
ড. শায়খ সালিহ আল ফাওযান
  • জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরের বাসিন্দা যারা…

    আভিধানিকভাবে ‘নিফাক’-এর মূল ধাতুর অর্থ হলো ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর গর্তের অনেকগুলো মুখের একটি মুখ। তাকে কোনো এক মুখ দিয়ে খোঁজা হলে অন্য মুখ দিয়ে সে বেরিয়ে যায়।

    নিফাক প্রথমত দুপ্রকার হয় :

    ১. বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নিফাক
    ২. আমল বা কর্মের ক্ষেত্রে নিফাক

    বিশ্বাসের নিফাকি হলো বড় নিফাকি। এটা তখন হয়, যখন কোনো ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে নিজেকে মুসলিম হিসেবে প্রকাশ করে; কিন্তু মনের মধ্যে কুফরি গোপন রাখে। এটা মানুষকে দীন ইসলাম থেকে সম্পূর্ণ বের করে দেয়। পরিণতিতে সে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে নিজের জায়গা করে নেয়।

    আল্লাহ সূরা আল-বাকারাহর শুরুতে তিন শ্রেণির লোকদের কথা বর্ণনা করেছেন : মুমিন, কাফির ও মুনাফিক়। মুমিনদের সম্পর্কে চারটি আয়াত, কাফিরদের সম্পর্কে দুটি আয়াত এবং মুনাফিক়দের সম্পর্কে তেরটি আয়াত অবতীর্ণ করেছেন।

    মুনাফিকদের সংখ্যাধিক্য, সমাজে তাদের নিফাক-এর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং ইসলামের ব্যাপারে মুসলিমদের জন্য তারা ভয়ানক ফিতনা সৃষ্টির কারণেই তাদের ব্যাপারে এত বেশি আলোচনা করা হয়েছে।

    মুনাফিকদের কারণে মুসলিম জাতির উপর অনেক বেশি বিপদ-আপদ আপতিত হয়, কেননা ইসলামের শত্রু হওয়া সত্ত্বেও তারা সমাজে মুসলিম হিসেবে পরিচিত এবং তাদেরকে অনেক সময় ইসলামের বন্ধুও ভাবা হয়।

    তারা এমন সব উপায়ে ইসলামের শত্রুতা করে থাকে যা দেখে বাহ্যিকভাবে মনে হতে পারে যে, তারা ইসলামের খেদমত করছে। ফলে অজ্ঞ লোকেরা মনে করে যে, এ হলো তাদের দ্বিনি ইলমের প্রচারণা ও সমাজ সংশোধনমূলক কাজ। অথচ বাস্তবে তা তাদের মূর্খতা ও ফাসাদ সৃষ্টি বৈ কিছু নয়।

    এ ধরনের নিফাক আবার ছয় ভাগে বিভক্ত। এর কোনো একটিও যদি কারও মধ্যে পাওয়া যায়, তবে খাঁটি মুনাফিক হিসেবেই সাব্যস্ত হবে এবং তার স্থান হবে জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে। যথা :

    (ক) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা,

    (খ) তাঁর আনীত শারিআহর কোনো অংশকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা,

    (গ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা,

    (ঘ) তাঁর আনীত শারিআহর কোনো অংশের প্রতি বিদ্বেষ রাখা,

    (ঙ) তাঁর আনীত দীনের পরাজয়ে খুশি হওয়া,

    (চ) তাঁর আনীত দীনের বিজয়ে অখুশি হওয়া কিংবা মনে কষ্ট অনুভব করা।

    ইমাম মালিক (রহ.) বলেন, এই জাতির পরবর্তী প্রজন্ম কেবল সেই উপায়েই নিজেদেরকে সংশোধন করতে পারবে, যে উপায় অবলম্বন করে জাতির প্রথম প্রজন্ম নিজেদেরকে সংশোধন করেছিলেন। আর এ কথা বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, সেই উপায়টির সর্বপ্রধান অনুষঙ্গ হলো বিশুদ্ধ আকীদা-বিশ্বাস।

    আরব বিশ্বের প্রতিথযশা আলিম ড. সালিহ আল ফাওযান তার ‘আকীদাহ আত-তাওহীদ’ বইয়ে আকীদা-বিশ্বাসের মৌলিক বিষয়গুলো সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের জন্য বোধগম্য করে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেছেন। ইসলাম সম্পর্কে মৌলিক ধারণা রাখার জন্য অসাধারণ একটি বই। অনুবাদ করেছেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলিম ড. মানযুরে ইলাহী।

315 450-30%
এক
এক
ড. আবু আমীনাহ বিলাল ফিলিপস
  • অ্যামেরিকায় তেরো সংখ্যাটিকে অশুভ মনে করা হয়। একারণে অনেক বহুতল ভবনের ১৩তম তলাকে বলা হয় ১৪তম তলা । ১৩ তারিখের শুক্রবারকে বিশেষভাবে অশুভ বিবেচনা করা হয় এবং অনেক মানুষ এই দিনে ভ্রমণ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকেন। এদিনে কোনো অঘটন ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে এই দিনটিকেই দায়ী করা হয়।

    অনেকেই ভাবতে পারেন, এই ব্যাপারটি শুধু সাধারণ লোকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে মোটেই তা নয়। যেমন : ১৯৭০ সালে চন্দ্রাভিযানে পাঠানো মহাকাশ যান অ্যাপোলো ১৩ অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়। মহাকাশ যানটি পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তার ফ্লাইট কমান্ডার দুর্ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, তার আগেই বোঝা উচিত ছিল যে, কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।

    তার এ মন্তব্যের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটি উৎক্ষেপণ করা হয় শুক্রবার গ্রিনিচমান ১৩০০ ঘণ্টার সময়, সেদিনটি ছিল ১৩ তারিখ, আবার নভোযানটির নামও ছিল এ্যাপোলো ১৩।

    বাইবেলে বর্ণিত যীশুখ্রিস্টের শেষ নৈশভোজ থেকেই এই বিশ্বাসের উৎপত্তি হয়েছে। এই নৈশভোজে যোগ দিয়েছিল ১৩ জন লোক। এই ১৩ জনের একজন হলো জুডাস, যে যীশুখ্রিস্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল বলে মনে করা হয়।

    কমপক্ষে, দুটি কারণে ১৩ তারিখের শুক্রবারকে বিশেষভাবে অশুভ মনে করা হয়। প্রথমত, এই শুক্রবারেই যীশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল বলে তাদের ধারণা। দ্বিতীয়ত, মধ্যযুগীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, ডাইনীরা শুক্রবারেই তাদের সভা আয়োজন করে থাকে।

    এই ধরনের বিশ্বাসের দ্বারা ভালো এবং মন্দ ঘটানোর ব্যাপারে আল্লাহর একচ্ছত্র ক্ষমতায় তাঁর সৃষ্টিকে অংশীদার করা হয়৷

    ২.
    খ্রিস্টান ধর্মে কিছু ব্যক্তিকে কথিত সিদ্ধি লাভের কারণে অতিমাত্রায় ভক্তি ও প্রশংসা করার ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। তারা বিশ্বাস করে যে, এসব লোকেরা অলৌকিক ঘটনা ঘটানোর ক্ষমতা রাখে।

    তাদেরকে সাধকের (Saint) মর্যাদা দেওয়া হয়। খ্রিস্টান ধর্মের পূর্বে হিন্দু এবং বৌদ্ধ রীতিতে যেসব আধ্যাত্মিক গুরুদেরকে উৎকর্ষের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেছেন বলে ভাবা হতো এবং অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করা হতো, তাদেরকেও তাদের আধ্যাত্মিক শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন উপাধি দেওয়া হয়েছে, যেমন, গুরু, সাধু ও অবতার ইত্যাদি।

    এসব উপাধি সাধারণ মানুষকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, তারা এসব গুরু, সাধকদেরকে স্রষ্টা ও মানুষের মাঝে সুপারিশকারী বানিয়ে নিয়েছে; এমনকি অনেক ক্ষেত্রে দেবতা হিসেবে তাদের পূজা করার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

    এ কারণে এসব ধর্মে সাধুসন্তদের কাছে সাধারণ মানুষ ভক্তিভরে প্রার্থনা করে থাকে। পক্ষান্তরে, ইসলাম স্বয়ং নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরও মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করার বিরোধিতা করে। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই বলে গেছেন, ‘আমার মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করো না, যেভাবে খ্রিস্টানরা ঈসা ইবনে মারইয়ামের ক্ষেত্রে করেছে। নিশ্চয়ই আমি কেবলই একজন বান্দা, তাই আমাকে বরং আল্লাহর বান্দা এবং রসূল বলেই ডেকো।’

    ৩.
    পৃথিবীর সব ধর্মের লোকেরাই ‘উপরওয়ালা’ একজন আছে বলে কমবেশ বিশ্বাস করে। কিন্তু কী তাঁর নাম, কেমন তাঁর প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য। কীভাবে তা জানা যাবে, তাঁকে জানা যাবে; কীভাবে তাঁকে মানতে হবে এখানেই যত দ্বন্দ্ব আর সংঘাত। উৎপত্তি ধর্মের নামে অনেক অধর্মের।

    এ সংঘাতের পরিণতিতে খোদ ইসলাম ধর্মের অনুসারী দাবিদারদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে নানান মত। কিন্তু এটি এমন কোনো হাল্কা বিষয় নয় যে, যেকোনো একটি মত মেনে চললেই হলো; বরং এক্ষেত্রে সত্য একটিই এবং কেবল সেই একটি সত্যকেই মানতে হবে।

    এ বিষয় নিয়েই গবেষক ও লেখক ড. বিলাল ফিলিপসের বই এক

450
মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
ড. আবু আমীনাহ বিলাল ফিলিপস
  • “উমাইয়া শাসনামলে (৬৬১-৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ) খিলাফত শাসনব্যবস্থা রাজতন্ত্রে রূপ নেয়। তাই রাষ্ট্রপ্রধানের মতকে আর শারই ব্যাপারে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হতো না। আলিম সাহাবিগণ এবং তাদের ছাত্ররা ইসলামি রাষ্ট্রের কেন্দ্র ছেড়ে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকলেন। এর ফলে ইজতিহাদের পরিসর ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত হতে থাকল এবং ইজমা গঠন করা একরকম প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ল।

    এ পর্যায়ে এসে ফিকহশাস্ত্রের অধ্যয়ন একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ছাত্ররা স্বাধীনভাবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে অধ্যয়ন করা শুরু করেন এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন আইনি বিষয়ে মতবিনিময় আরম্ভ করেন। এ কারণে আব্বাসীয় শাসনামলে (৭৫০-৮৫০) অনেকগুলো মাযহাবের জন্ম হয় এবং তারা প্রত্যেকে স্বতন্ত্রভাবে পরিচিতি লাভ করে। তবে আইনি সিদ্ধান্ত প্রদান কিংবা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যেও পূর্ববর্তীদের মতো উদারতা, বিনয় ও পরমতসহিষ্ণুতা বিদ্যমান ছিল।

    ব্যাপকভাবে স্বীকৃত চারটি মাযহাব ছাড়াও তৎকালীন সময়ে আরও বেশ কয়েকটি পরিচিত মাযহাব ছিল। যেমন, আওযাই, লাইসি, সাওরি, যাহিরি এবং জারিরি মাযহাব।”
    .

    মাযহাব মানা না মানা, গ্রহণ বর্জন নিয়ে আমাদের ধর্ম অনুশীলনকারীদের সমাজে তর্কের শেষ নেই। কিন্তু সঠিক জ্ঞানের অভাবে এই তর্ক শেষ হয় যে-কোনো একটি প্রান্তিকতা অবলম্বনে গিয়ে। ফলাফল : উম্মাহ্‌র মধ্যে অনৈক্য বিভেদ, বিবাদ বিসম্বাদ। কিন্তু সঠিক জ্ঞানটুকু যদি আমাদের থাকত, তাহলে এই চরমপন্থা থেকে সহজেই নিজেদের রক্ষা করতে পারতাম। ঐক্য ও সংহতির সুবাতাস বইত আমাদের মাঝে।

    মুসলিম জাতির ঐক্য ও সংহতি রক্ষার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েই আমাদের এই পরিবেশনা—মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত। লিখেছেন প্রতিথযশা লেখক ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস

450
দা ডিভাইন রিয়ালিটি (পেপারব্যাক)
দা ডিভাইন রিয়ালিটি (পেপারব্যাক)
হামজা জর্জিস
  • ২০১৩ সালের কথা। কতিপয় ব্লগের সংস্পর্শে এসে আমার মতো অসংখ্য তরুণ তাদের দীর্ঘদিনের লালিত ঈমান হারাতে বসেছিলো। আমার দিবস রজনী কাটতো অস্থিরতায়। উক্ত ব্লগসমূহে বিশ্বাসের বিপরীতে যেসব প্রশ্ন ছোড়া হচ্ছিলো- মন থেকে জানতাম, সেসবের উত্তর অবশ্যই আছে। কিন্তু ঠিক ধরতে পারতাম না। ধরিয়ে দেবার মতও কেউ ছিলো না। নিজের চোখের সামনেই অনেক বিশ্বাসী ভাইকে প্রথমে সংশয়বাদী, এরপরে নাস্তিক হয়ে যেতে দেখেছি।

    পৃথিবীর জীবনটা বড়ই বিষ্ময়কর। আমাদের জন্মের পর থেকে আমরা অনেক প্রত্যাশা, প্রাপ্তি আর প্রশ্নের সম্মুখীন হই। জন্মের পর থেকে বয়ে চলা সংস্কৃতিবোধ মানতে চায় না নতুন কোনো সংস্কার। তবুও, জীবনের কোনো বাঁকে এসে আমাদের নিজস্ব সংস্কার ও সংস্কৃতিবোধ বারবার প্রশ্নের মুখোমুখী হয়, আমাদের এতদিনের লালিত বিশ্বাসে দানাবাঁধে সংশয় আর সন্দেহের আবেশ। হৃদয়ের গভীরটা বিশ্বাসী থাকতে চায়, কিন্তু চতুর্পাশের ছুড়ে দেয়া যুক্তির মারপ্যাঁচ আমাদের করে তোলে সংশয়ী।

    আমরা ভুল প্রশ্নের উওর খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যাই কিছু ভুল উত্তর। আমাদের প্রশ্নগুলোই যে ভুল- সেটা ধরিয়ে দেয় না কেউ। আমরা তাই অসংখ্য ভুল প্রশ্নের মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খেতে খেতে ডুবে যেতে থাকি সন্দেহের অতল গহবরে।

    দর্শন আসলে কী? বিজ্ঞান আসলে কীভাবে কাজ করে? আমরা কি আদোও জানি? নাস্তিকরা যখন দর্শন ও বিজ্ঞানকে বিশ্বাসের বিপরীতে দাঁড় করায়- তখন আমরাও ভাবতে শুরু করি, দর্শন আর বিজ্ঞান চর্চা করলে বোধহয় মানুষ নাস্তিক হয়ে যায়। দর্শন আর বিজ্ঞান বোধহয় ধর্ম বিরোধী। আসলে Philosophy Of Science না বোঝার কারণে আমরা মতাদর্শিক বিজ্ঞানবাদী নাস্তিকদের প্রপাগান্ডায় সাড়া দিই, পঁচা শামুকে পা কেটে বসি।

    আলহামদুলিল্লাহ। বিশ্বাস আর ঐশিজ্ঞানের বিপরীতে যেসব সন্দেহ আর সংশয় আমাদের বিশ্বাসী আত্মাকে অস্থির করে তুলছিলো, সেসব প্রশ্নের জবাব কিম্বা প্রশ্নকেই উল্টো প্রশ্ন করার কাজটুকু অনেক ভাই আনজাম দিতে শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সিয়ান প্রকাশ করেছিলো গ্রিক স্কলার হামজা জর্জিসের বইয়ের অনুবাদ – “দা ডিভাইন রিয়ালিটি”। এই বইটি নাস্তিকতা বিষয়ক একটা একাডেমিক বই। জনপ্রিয় ধারার পরিবর্তে লেখক একাডেমিক এপ্রোচে বইটির কনটেন্ট সাজিয়েছেন।

280 295-6%
THE GLORIOUS QURAN : WORD FOR WORD TRANSLATION -COMPLETED IN 1 VOLUME (HARDCOVER)
The Glorious Quran : Word For Word Translation -Completed In 1 Volume (Hardcover)
Dr. Shehnaz Shaikh, Ms. Kausar Khatri
  • Some Features Of This Book :
    Even Though There Are Many Translation Of The Meaning Of The Quran, They Do Not Help The Reader In Linking The Arabic Words To Their Meanings. The Only Purpose Of This Word-For-Word Translation Is To Facilitate Learning The Language Of The Quran. Even Though A Few Word-For-Word Translations Exist But The Format Of The Present Work Is Different From Them.

    * The Meaning Of Each Word Is Given Right Below It.

    * The Translation Provided In The Left Column Is Kept Close To The Arabic And Not Literal. The Objective Of The Whole Exercise Is To Enable The Reader Understand Directly From Arabic.

    * Last, But Not The Least, The Layout Is Such That It Can Also Be Used For Regular Recitation Enabling Constant Revision.

1040
LEADERSHIP LESSONS FROM THE LIFE OF RASOOLULLAH (HARDCOVER)
Leadership Lessons From The Life Of Rasoolullah (Hardcover)
Mirza Yawar Baig
  • The Leader Must Have The Courage To Go Where Nobody Dared To Venture Before In The World Of The Minds And Spirits Of Men.
    He Must Question What Was Always Assumed To Be Correct. He Must Challenge Beliefs Handed Down From Generation To Generation And Accepted As Being Real. He Must Stand For The Truth No Matter What The Cost Is.

    He Must Support The Oppressed, The Weak, And The Deprived And Stand Up To The Raw Power Of The Oppressors, No Matter Who They May Be. All These Things Help The Leader To Inspire Trust, The Very Foundation Of Leadership.

486 695-31%
Home
Categories
Cart
Account