(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

আয়ান প্রকাশন

আয়ান প্রকাশন

আয়ান প্রকাশন এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

ফিরে আসুন রবের দিকে প্যাকেজ
ফিরে আসুন রবের দিকে প্যাকেজ
শাইখ সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী রহ.
  • আল্লাহর সঙ্গে কিভাবে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করবেন?

    মুমিন মানুষ আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী। আল্লাহর গোলামীর মাধ্যমেই মানুষ তার সান্নিধ্য লাভ করে। আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভ করতে হলে পূতপবিত্র থাকতে হবে, যেমন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে, ফিতনা থেকে বেচে থাকতে হবে, রবের নিকটবর্তী হওয়ার রাস্তা খুজতে হবে। আর তাঁর গোলামি বা ইবাদত করার অন্যতম মাধ্যম হলো কিয়ামুল লাইল বা নামাজ। যা মুমিন মুসলমানের অনন্য গৌরবময় ইবাদত। এ ইবাদতের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

    রবের দিকে ফিরা যায়, এমন কিছু বই নিয়ে আমাদের এই 'ফিরে আসুন রবের দিকে প্যাকেজ'

    .

    বই- রাতের আঁধারে প্রভুর সান্নিধ্যে

    মূল- শাইখ সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী রহ.

    অনুবাদ- আব্দুল আহাদ তাওহীদ

    মুদ্রিত মূল্য- ২৪০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৪৪

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1eu8TjrBqB2AYUCHfVM3AOr9C8Ze5iVth/view?usp=drivesdk 

    .

    বই- গুনাহ থেকে ফিরে আসুন

    মূল- ইমাম ইবনুল কায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ রহ.

    তাখরিজ- মাওলানা তাহের নাক্কাশ পাকিস্তানি

    অনুবাদ- মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার

    মুদ্রিত মূল্য- ২৬০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৬০

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1_xpjCYWLmPklt3sWNp8kPmO9r6hhZL9l/view?usp=drivesdk

    .
    বই- ফিতনা থেকে বাঁচুন

    মূল- শাইখ ইউসুফ বিননূরী রহ.
    অনুবাদ- মারগুব ইরফান

    মুদ্রিত মূল্য- ২৮০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৮৪

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1Uvl7cQvgCKkf4T1w3YsyxBTOkZZB_ObB/view?usp=drivesdk

780
তাকওয়া: মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন
তাকওয়া: মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন
শাইখ ড. উমর সুলায়মান আল আশকার

  • তাকওয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ, বেঁচে থাকা, দূরে থাকা, পরহেজ করা, নিজেকে বাঁচানো ইত্যাদি। পরিভাষায় এটি আল্লাহকে ভয় করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ আল্লাহর শাস্তি ও তাঁর আজাবের ভয়ে গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে মুক্ত থাকার নামই হল তাকওয়া। জাহান্নামের আজাবের ভয়ে গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকা।


    ইমাম রাগেব ইসফাহানি বলেন, ‘তাকওয়া বলা হয় নফসকে সেসব জিনিস থেকে বাঁচানো যেগুলোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করা হয়। তাকওয়ার এই অর্থই সঠিক ও যথার্থ।


    মুত্তাকি মানে হলো পরহেজগার ব্যক্তি; যিনি তাকওয়া অবলম্বন করেন। তাকওয়ার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যথা:-


    ১। সাধারণ তাকওয়া। যেমন, কুফর থেকে বেঁচে থাকা।


    ২। বিশেষ তাকওয়া। যেমন, সন্দেহ-সংশয়মূলক জিনিস বা বিষয় থেকে হারাম হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেঁচে থাকা।


    ৩। সর্বোচ্চ পর্যায়ের তাকওয়া। যেমন, মুবাহ এবং সন্দেহমূলক জিনিস থেকে বেঁচে থাকা।


    আল্লাহ ও তাঁর রাসুলদের আদেশ তাকওয়া অবলম্বন করো—


    মহান আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে তাকওয়া অবলম্বন করার আদেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন— ‘তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তাদেরকে আদেশ করেছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।’ (সুরা নিসা: ১৩১)


    আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘সুতরাং সে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।’ (সূরা বাকারা: ২৪)


    অন্য জায়গায় আরো বলেন, ‘আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারো সামান্য উপকারে আসবে না।’ (সূরা বাকারা: ৪৮)


    এক হাদীসে এসেছে, হযরত আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)


    কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্‌ জিনিসের বদৌলতে বেশিরভাগ লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বলেনঃ তাক্বওয়া ও সচ্চরিত্রের বদৌলতে। তাকে আরও জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্‌ জিনিসের কারণে অধিকাংশ লোক জাহান্নামে যাবে? তিনি বলেনঃ দু’টি অংগ- মুখ ও লজ্জাস্থান। [৩৫৭৮]


    (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৪৬


    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)


           তাকওয়ার স্থান হল হৃদয়। নীরবে নিভৃতে, একাকী সর্বদা অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকার নামই হল তাকওয়া। প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রে বান্দার নিয়ত খালেস হওয়া শর্ত। যদি বান্দার নিয়ত থাকে প্রসিদ্ধি অর্জন এবং লোক দেখানো তাহলে তাকওয়া সামান্যও অর্জিত হবে না। তাকওয়া অবলম্বন করা ব্যতীত প্রকৃত মুমিন হওয়া অসম্ভব। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে হলে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে আবশ্যিকভাবে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তা জানেন যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে।’


     (সূরা মায়িদা: ৭)


    তাকওয়া তথা খোদাভীতির ফায়দা ও উপকারিতা এবং আবশ্যকীয়তা সহ মুত্তাকিদের ঘটনা এবং তাদের উত্তম পরিসমাপ্তির ব্যাপারে জানতে হলে পড়ুন ‘তাকওয়া: মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন’ ।


190 360-48%
দ্য বন্ড অব ফেইথ (দৃঢ় করো ঈমানী বন্ধন)
দ্য বন্ড অব ফেইথ (দৃঢ় করো ঈমানী বন্ধন)
মুসআদ হুসাইন মুহাম্মাদ

  • ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব। হৃদ্যতা ও ভালোবাসা। আমাদের যাপিত জীবনের চেনা কিছু শব্দ। পরিচিত কিছু বন্ধন। যে বন্ধনগুলো মিলে গড়ে ওঠেছে জীবনের বলয়। এর মাঝেই ফিরছি অহর্নিশ। চেতনে অবচেতনে গড়ে ওঠছে আমাদের বন্ধুত্ব। গড়ে ওঠছে হৃদ্যতা। ভালোবাসা। সজ্জন কুজন-সবার সঙ্গে। ফলে যা হবার, হচ্ছে তাই। ভাগ্যচক্রে দ্বীপান্বিত হচ্ছে কারো চেতনালোক, কেউবা হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে। ভ্রান্তির সাগরে।

    জীবনে চলার পথে নানাজনের সাথে পরিচয় হয়। কারো সাথে পরিচয় ক্ষণিকের আবার কারো সাথে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি। মানুষের মেধা-মনন, চিন্তা-চেতনা, বোধ-উপলব্ধি বিনির্মাণে রয়েছে পরিচয় ও বন্ধনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই ইসলাম এ ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বারোপ করেছে। ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে ইসলামের আছে কিছু নীতিমালা আছে কিছু দিকনির্দেশনা। তাছাড়া এ প্রসঙ্গে সাহাবি ও মণীষীদের জীবনের মুগ্ধকর বহু ছবি ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় পাতায়। যাদের পথনির্দেশের আলোকবর্তিকা আমাদের চলার পথকে করবে মসৃণ ও কুসুমাস্তীর্ন। এসব নিয়েই দ্যা বন্ড অফ ফেইথ। বইটি পাঠকের সামনে একজন মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সুসজ্জিত রূপ তুলে ধরবে-এই আমাদের বিশ্বাস।


128 220-42%
ইলা মাগফিরাহ
ইলা মাগফিরাহ
মুফতি মুহাম্মাদ খুবাইব ফাফি.
  • মাগফিরাত! শব্দটি শুনতেই হৃদয়ে এক অন্যরকম প্রশান্তি-প্রশান্তি শিহরণ অনুভব হয়। একজন মুমিনের গোটা জীবনের পরম চাওয়াটাই হল এই মাগফিরাত। আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা আর পরকালের চিরমুক্তি। মাগফিরাতের জন্য প্রয়োজন খাঁটি তাওবা আর ইস্তিগফার। আর এ বিষয়ে পাকিস্তানের মাজলুম কারাবন্দি মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব হাফি.- এর রচিত “ইলা-মাগফিরাহ” গ্রন্থটি একটি অসাধারণ গ্রন্থ। যে গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে মুহতারাম লেখক পুরো কুরআনুল কারিমের মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির সুরার বিন্যাস অনুসারে একত্রিত করেছেন। দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, ফজিলত ও মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার বিষয়ের হাদিস ও আসার তথা বিভিন্ন বাণী একত্রিত করেছেন। মোটকথা মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সম্পর্কে অসাধারণ একটি গ্রন্থ। যে গ্রন্থে পাঠক পাবেন তাওবাহ-ইস্তিগফার ও মাগফিরাতের এক অনাবিল ঝর্ণাধারা। আসুন! পাঠ করি আর অবগাহন করি মাগফিরাতের পরম কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নীল ভুবনে।




500 1000-50%
তাকওয়া মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন
তাকওয়া মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন
শাইখ ড. উমর সুলায়মান আল আশকার

  • তাকওয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ, বেঁচে থাকা, দূরে থাকা, পরহেজ করা, নিজেকে বাঁচানো ইত্যাদি। পরিভাষায় এটি আল্লাহকে ভয় করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ আল্লাহর শাস্তি ও তাঁর আজাবের ভয়ে গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে মুক্ত থাকার নামই হল তাকওয়া। জাহান্নামের আজাবের ভয়ে গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকা।
    ইমাম রাগেব ইসফাহানি বলেন, ‘তাকওয়া বলা হয় নফসকে সেসব জিনিস থেকে বাঁচানো যেগুলোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করা হয়। তাকওয়ার এই অর্থই সঠিক ও যথার্থ।

    মুত্তাকি মানে হলো পরহেজগার ব্যক্তি; যিনি তাকওয়া অবলম্বন করেন। তাকওয়ার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যথা:
    ১। সাধারণ তাকওয়া। যেমন, কুফর থেকে বেঁচে থাকা।
    ২। বিশেষ তাকওয়া। যেমন, সন্দেহ-সংশয়মূলক জিনিস বা বিষয় থেকে হারাম হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেঁচে থাকা।
    ৩। সর্বোচ্চ পর্যায়ের তাকওয়া। যেমন, মুবাহ এবং সন্দেহমূলক জিনিস থেকে বেঁচে থাকা।

    আল্লাহ ও তাঁর রাসুলদের আদেশ তাকওয়া অবলম্বন করো—

    মহান আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে তাকওয়া অবলম্বন করার আদেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন— ‘তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তাদেরকে আদেশ করেছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।’ (সুরা নিসা: ১৩১)

    আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘সুতরাং সে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।’ (সূরা বাকারা: ২৪)

    অন্য জায়গায় আরো বলেন, ‘আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারো সামান্য উপকারে আসবে না।’ (সূরা বাকারা: ৪৮)

    এক হাদীসে এসেছে, হযরত আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্‌ জিনিসের বদৌলতে বেশিরভাগ লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বলেনঃ তাক্বওয়া ও সচ্চরিত্রের বদৌলতে। তাকে আরও জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্‌ জিনিসের কারণে অধিকাংশ লোক জাহান্নামে যাবে? তিনি বলেনঃ দু’টি অংগ- মুখ ও লজ্জাস্থান। [৩৫৭৮]
    (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৪৬ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

           তাকওয়ার স্থান হল হৃদয়। নীরবে নিভৃতে, একাকী সর্বদা অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকার নামই হল তাকওয়া। প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রে বান্দার নিয়ত খালেস হওয়া শর্ত। যদি বান্দার নিয়ত থাকে প্রসিদ্ধি অর্জন এবং লোক দেখানো তাহলে তাকওয়া সামান্যও অর্জিত হবে না। তাকওয়া অবলম্বন করা ব্যতীত প্রকৃত মুমিন হওয়া অসম্ভব। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে হলে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে আবশ্যিকভাবে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তা জানেন যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে।’
    (সূরা মায়িদা: ৭)

    তাকওয়া তথা খোদাভীতির ফায়দা ও উপকারিতা এবং আবশ্যকীয়তা সহ মুত্তাকিদের ঘটনা এবং তাদের উত্তম পরিসমাপ্তির ব্যাপারে জানতে হলে পড়ুন ‘তাকওয়া: মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন’ ।


320
ফিতনা থেকে বাঁচুন
ফিতনা থেকে বাঁচুন
শাইখ ইউসুফ বিন্নুরী রহ.
  • ফিতনা, এই নামটি শুনেই চমকে উঠলেন, চমকে উঠার কিছুই নেই। এটা তো মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যৎবাণী। শেষ যুগটা হবে ফিতনার যুগ। এখন আমরা সেই যুগেই দিনাতিপাত করছি। ফিতনার এই কালো থাবায় মানুষ একেবারেই কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে পড়েছে। সবাইকে গোলক ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে। ফিতনার এই ভয়াবহতা দিন দিন এতোই বেড়ে চলেছে যে, বিশেষ থেকে সাধারণ কেউই এর থেকে নিরাপদ নয়।
    এখন এই নাজুক পরিস্থিতিতে ফিতনা থেকে কিভাবে বাঁচবো, পরিত্রাণের উপায় কি? লেখক বেশ গোছালোভাবে এখানে উপস্থাপন করেছেন। লেখক এখানে ফিতনাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। ইলমী ফিতনা এবং আমলী ফিতনা। কোন্ ফিতনা কিভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

    পাঠক! এ বইয়ের একেকটি লাইন যখন পড়বেন তখন মনে হবে এই ফিতনাগুলো প্রতিনিয়তই ঘটছে আমাদের সমাজে। যেমন-মনে করুন, দলের মধ্যে মতবিরোধ করা, অবাধে ফটো তোলা, বস্তুবাদীদের বস্তুবাদী ফিতনা, বিদ্বান ও কলামিস্টদের ফিতনা, নারী স্বাধীনতা ও বেপর্দার ফিতনা
    ইত্যাদি। এ জাতীয় অনেক বিষয় এখানে উল্লেখ করছেন।
    মোটকথা লেখক এ কিতাবে বর্তমান সমাজের যত অঙ্গনে ফিতনা ঢুকে পড়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করেছেন এবং এর থেকে উত্তরণের উপায় কি হতে পারে তাও বিশেষ ভঙ্গিমায় ব্যক্ত করেছেন।

190 360-48%
রাতের আধাঁরে প্রভুর সান্নিধ্যে
রাতের আধাঁরে প্রভুর সান্নিধ্যে
সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী
  • তারা কি দেখে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্য এবং দিনকে করেছি আলােকময়। নিশ্চয় এতে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। প্রিয় পাঠক! রাত যখন ঘাের হয়, নিকষ কালাে অন্ধকার যখন ঢেকে নেয় সমগ্র পৃথিবীকে তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার আহবান “কে আছ এমন যে, আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছ এমন যে, আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দিব। কে আছ এমন যে, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহীহ বুখারী: ১১৪৫)

    দোআ সব সময়ই করা যায়। তবে নির্জন রাতের নিস্তব্ধ পরিবেশে তাহাজ্জুদের সালাতে আল্লাহর কাছে দোআ করার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।

    রাসূলের ভাষ্য:
    তাহাজ্জুদ সালাত তােমাদের নিয়মিতভাবে পড়া উচিত, কেননা এটা অতীতকালের সৎকর্মশীলদের পদ্ধতি ছিল এবং স্রষ্টার নৈকট্য লাভের মাধ্যম ছিল। এই অভ্যাস পাপকর্ম থেকে বিরত রাখে, মন্দকর্ম দূর করে আর শারীরিক রােগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। (তিরমিজি)

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা তাঁর বান্দার প্রতি বিভিন্ন সময়ে গাফফার-গফুর, রহমান-রহীম নামের উসিলায় ক্ষমার অদৃশ্য হাত সম্প্রসারিত করেন। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রামাদানে। কারণ, এ মাসটি হচ্ছে রহমত ও কুরআন অবতীর্ন হওয়ার মাস, ক্ষমা ও শবে কদরের রজনীর ফজীলতপূর্ণ মাস।

    রাসূল সা. বলেন:
    “দুর্ভাগা তারা, যারা মাহে রামাদান পেয়েও মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভ করতে পারল না।”

    পবিত্র মাহে রামাদানের শুরুতে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন, জান্নাতের দরজা খুলে দেন এবং শয়তানকে শিকলবদ্ধ করে রাখেন। তাই শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। নেক কাজে অগ্রগামী হতে পারে। বান্দা যখন উপবাস থেকে দিবসের শেষ প্রহরে উপনীত হয় তখন তার মাঝে বয়ে যায় অনাবিল সুখ-শান্তি। কেননা সে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন করেছে।

    হাদিস শরিফে বিতর সালাত পড়ার কয়েকটি পদ্ধতি আমরা দেখতে পাই। সেগুলাের আলােকে বিভিন্ন মাজহাবে একাধিক পন্থায় বিতর সালাত আদায়ের পদ্ধতি পরিলক্ষিতি হয় এবং তারাবী সালাতের সংখ্যা নিয়েও আমাদের সমাজে দেখা যায় তুমুল বিতর্ক-মতানৈক্য।

    প্রিয় পাঠক! আর উপরােল্লিখিত এই সকল বিষয়ে কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমে বিশদভাবে উল্লেখ করে মানুষের হৃদয়ে লালিত অসার মতানৈক্য নিরসন করে ইসলামের সঠিক জ্ঞান-ভাবনা মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে গেঁথে দেয়ার জন্য দলীল-প্রমাণ দিয়ে উত্থাপন করেছেন আরবের বিশিষ্ট দাঈ, গবেষক, কলামিষ্ট সাইদ ইবনে ওহাফ আল কাহতানী রহ.

240
গল্পগুলো ভালোলাগার
গল্পগুলো ভালোলাগার
আয়ান আরবিন
  • তাল পুকুরের চারপাশের ভীড়টা ক্রমশ বাড়ছে, আমি ভেসে ভেসে বেশ দেখতে পাচ্ছি। আমার অনেক লজ্জা লাগছে। কারণ কাপড়চোপড় এলোমেলো হয়ে আছে, ঠিক করতে পারছি না। অথচ আমাকে আগে কেউ এভাবে বেপর্দা অবস্থায় দেখেনি। ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে।
    এরই মাঝে দেখলাম আলতাফ চেয়ারম্যান লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে এসেছেন। তাদের দিয়ে ঠ্যাংগিয়েও লোকজন সরাতে পারছেন না। চেয়ারম্যানের নির্দেশে চারজন গাট্টা-গোট্টা লোক পুকুরে নৌকা দিয়ে আমার লাশটাকে টেনে ডাঙ্গার কাছে নিয়ে এলো। সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত। কোনো কোনো স্থানে হাড়ও বের হয়ে গেছে। নিজেকে চিনতেই পারছি না। বড় চাদর পেঁচিয়ে আমাকে উঠোনের এক কোণায় জারুল গাছের ছায়ায় বিছানো চাটাইয়ের উপরে রেখে দিয়ে বাড়ির প্রাচীর লাগোয়া গেইট বন্ধ করে দিলো। জনমানবশূন্য উঠোনে লাল শাড়ি পরে খুবলে খাওয়া টাটকা লাশ হয়ে পড়ে আছি। অদূরে কিছু পাইক পেয়াদা কারও নির্দেশের অপেক্ষায় দন্ডায়মান।
    বাড়ির ভেতর থেকে একজন বয়স্ক মহিলা নাকে কাপড় চেপে কয়েক মিনিটের জন্য আমার কাছ থেকে ঘুরে গেলেন, চেহারার কাঠিন্য ভাব তখনও বিদ্যমান। ওনার চেহারার নমুনা দেখে আমার ভীষণ হাসি পেল হা হা হা, তার স্বভাবটা বুঝি আর বদলালো না।
    এক হাতে জ্বলন্ত আগর বাতি আরেক হাতে গোলাপজলের বোতল নিয়ে কেউ একজন কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে এলো। এসেই আমার শরীরে গোলাপজল ছিটিয়ে দিতে লাগল। ওহ আমি তাকে চিনতে পেরেছি তাকে আমি চাচী বলে ডাকি। গোলাপ জলটা অসহ্য লাগছে। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল; প্লিজ গায়ে দিয়ো না, ক্ষতগুলো জ্বলে যাচ্ছে….

151 260-42%
Home
Categories
Cart
Account